Deprecated: Function WP_Dependencies->add_data() was called with an argument that is deprecated since version 6.9.0! IE conditional comments are ignored by all supported browsers. in /home/amadersa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6131
মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মাকে হারিয়ে আজ ৩৪ জন অনাথ

মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মাকে হারিয়ে আজ ৩৪ জন অনাথ বাচ্চার মা প্রীতি জিন্টা, অভিনেত্রীর জীবন কাহিনী জানলে চোখে জল আসবে

ব্যক্তিগত জীবনের কারণে হামেশাই খবরের শিরোনামে থাকেন বলি তারকারা। আর এই গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনের খবর জানার জন্য মুখিয়ে থাকেন তাদের ভক্তবৃন্দ। তারকাদের এই বিলাসবহুল জীবনযাপন সকলের কাছেই বেশ আকর্ষণের বিষয়। তবে জানেন কি এমন অনেক তারকাই আছেন যাদের বাস্তব জীবন সিনেমার মতো রঙচঙে নয়, বরঞ্চ কিছুটা রংচটা। সেখানে লুকিয়ে আছে অনেক বেদনা এবং গভীর রহস্য। বি-টাউনের এমনই এক অভিনেত্রী কথা বলবো আজ যার যার সোশ্যাল মিডিয়া ফ্যান ফলোয়িং আকাশছোঁয়া কিন্তু, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বেশ রহস্যময়ী। এই অভিনেত্রী আর কেউ নন বলিউডের ডিম্পল গার্ল প্রীতি জিন্টা(Preity Zinta)।‌ ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় এবং সফল অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি একজন। তিনি তার দূর্দান্ত অভিনয় এবং মন ভোলানো হাসি দিয়ে বহুদিন ধরেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। সারোগেসির মাধ্যমে মাতৃত্বের স্বাদ অনুভব করেছেন এই অভিনেত্রী, তার কোল আলো করে এসেছে যমজ সন্তান। হেমা মালিনীকে যদি ড্রিম গার্ল বলা হয় তাহলে প্রীতি জিন্টা হলেন ডিম্পল গার্ল। তার টোল পড়া গালের হাসিতে বুঁদ গোটা ইন্ডাস্ট্রি। বৈচিত্র্যে ভরা তার জীবন।

বাংলাদেশে ইলন মাস্কের কার্যক্রম নিয়ে যা জনালো বিটিআরসি

মৃত্যুকে দু’বার বড্ডো সামনে থেকে দেখেছেন তিনি। ১৩ জানুয়ারি ১৯৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। অভিনেত্রীর বয়স যখন মাত্র ১৩ বছর তখন এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তার বাবা দুর্গানন্দ জিন্টা। তার বাবা ছিলেন ভারতীয় সেনা অফিসার। বাবার সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন প্রীতির মা’ও। মা প্রাণে বেঁচে গেলেও দুর্ঘটনার দু’বছর পর্যন্ত শয্যাশায়ী ছিলেন প্রীতির মা নীলপ্রভা জিন্টা। কিন্তু তিনিও কিছুদিন পর না ফেরার দেশে পাড়ি দেন। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর এই পৃথিবীতে পুরোপুরি একা হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ে হাল ছেড়ে দেননি তিনি। লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যেতে থাকেন জীবনে।

খুব কম লোকই জানেন যে অভিনেত্রী খুব অল্প বয়স থেকেই মডেলিং শুরু করেন তিনি এবং ধীরে ধীরে বিজ্ঞাপনে কাজ করতে থাকেন। সেখান থেকেই নাম ছড়িয়ে পড়ে তার, সুযোগ আসে চলচ্চিত্রে কাজ করার। ১৯৯৮ সালে তার প্রথম সিনেমা ‘দিল সে’ মুক্তি পায়। ঐ ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রীতি। পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করলেও দর্শকদের মন কেড়েছিলেন তিনি। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

পরবর্তী জীবনে বহু সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। ‘কোই মিল গয়া’, ‘কাভি আলবিদা না কেহনা’, ‘বীর জারা, ‘দিল হ্যায় তুমহারা’র মতো অনেক ব্লকবাস্টার ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। তার সৌন্দর্যের পাশাপাশি তাঁর অভিনয় দক্ষতাও দর্শকদের মুগ্ধ করে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে আয় ৩০০ কোটি ছাড়িয়েছে: বিএসসিএল

ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই বিটাউনের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের তালিকায় জায়গা করে নেন তিনি। জেনে অবাক হবেন মা-বাবা হারা প্রীতি এক দুজন নয়, বরং ৩৪ জন সন্তানের মা। আসলে ২০০৯ সালে হৃষিকেশ থেকে ৩৪ জনকে শিশুকে দত্তক নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। নিজের জন্মদিনের দিন এই শুভকাজ করেন তিনি এবং প্রতিবছর নিয়ম করে তাদের দেখতে আসেন তিনি।‌ উল্লেখ্য, প্রীতি জিন্টাকেই গডফ্রে ফিলিপস ন্যাশনাল ব্রুয়ারি অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছে।

Leave a Reply