মাদার টেরেসার জীবনী Mother Teresa Biography in Bengali

গরীব-আর্ত ও সর্বহারাদের সেবায় যিনি নিজেকে শেষ দিন পর্যন্ত নিয়োজিত করেছিলেন সেই অ্যাগনিস গঞ্জা বোজাঝিউকে সকলে স্বয়ং ঈশ্বরের দূত মনে করতেন | যাদের সমাজে কোনো স্থান ছিলোনা,তাদের সযত্নে নিজের কোলে আশ্রয় দিয়েছিলেন আলবেনিয়া থেকে ভারতে আসা এই মহিয়সী নারী |

দেখতে দেখতে তিনি পরে হয়ে ওঠেন সকলের প্রিয় মাদার টেরেসা | নিজের ছোটবেলা থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন সন্যাস নিয়ে গরীব-আর্তদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন | আর সেটা ভেবেই সুদূর আলবানিয়া ছেড়ে মানুষের সেবার টানে তিনি ভারতের কোলকাতায় চলে আসেন |

 

এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে প্রতিটা জীব সাধারণত নিজের জন্যই চিন্তাকরে ও নিজের জন্য বেঁচে থাকার প্রয়াস চালিয়ে যায় এই কথাটি আমাদের মানব সমাজে জন্মনেয়া মানুষের জন্যও প্রযোজ্য। সাধারণ ভাবে আমরা আমাদের ও পরিবারের সুখ শান্তি ও বিলাসিতার চিন্তায় কাজকরি ও নিজেদের নিয়েই সুখী থাকতে ভালোবাসি অপরের দুঃখ কষ্ট খুব কম মানুষের মনেই বেদনার জন্ম দেয়। আর তারও চাইতে কম মানুষ রয়েছেন এই পৃথিবীতে যারা নিজেদের জীবনের সময় ও উপার্জন অন্যের জন্য ব্যায় করেন।

 
 মাদার টেরেসা ছিলেন এমনই একজন জনদরদী ও সমাজসেবী ব্যাক্তিত্ব যিনি তার মানব জীবনের সমস্তটাই দান করেছেন গরিব, দুঃখী, দুস্থ, অনাথ ও দাঙ্গা পীড়িত মানুষের কল্যানে। মানবতার সেবার তার অবদান সমস্ত পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল।
নাম: – মাদার টেরিজা বেজাঝিউ
জন্ম: – ২৬ আগস্ট ১৯১০ ( অটোমান সাম্রাজ্য) স্কোপিয়া, উত্তর মেসিডোনিয়া মৃত্যু: – ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ইন্ডিয়া, বয়স: – ৮৭ বছর ধর্ম: – ক্যাথিলিক, ক্রিস্টান পেশা: – ক্যাথিলিক সন্ন্যাসিনী,
ধর্মপ্রচারক পরিচিতি: – দা মিশনারিজ অফ চ্যারিটি নাগরিকত্ব: – ইন্ডিয়ান (১৯৪৭ – ১৯৯৭)
পুরস্কার: – নোবেল শান্তি পুরস্কার (১৯৭৯) ভারত রত্ন (১৯৮০), প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম (১৯৮৫) বালজান পুরস্কার (১৯৭৮)
 মাদার টেরিজার জন্ম ২৬ অগাস্ট ১৯১০ সালে আলবেনিয়ায় হয়েছিল, তিনি আলবেনিও বংশোদ্ভূত ছিলেন। তার পিতার নাম নিকোলা বোজাঝিউ, ও মাতা দ্রোনাফাইল বোজাঝিউ। তার পিতা একজন নির্মাণ শিল্প উদ্যোগপতি ছিলেন। মাদার টেরিজার এক ভাই ও এক বোন ছিল তাদের নাম এগা বোজাঝিউ, লেজার বোজাঝিউ।
 মাদার টেরিজার অল্পবয়সে তার পিতার মৃত্যু হয়ে যায় স্বাভাবিক কারণে তার পিতার ব্যাবসায়িক বন্ধুরা তার ব্যাবসায়িক শেয়ার তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেন। সেই সময় তাদের পরিবারে ভয়ানক আর্থিক সংকটের মধ্যে চলে আসে। সেই সময় তার মা দ্রোনাফাইল বোজাঝিউ খুবই দক্ষতার সাথে সেই আর্থিক পরিস্থিকে ধীরে ধীরে উন্নতির চেষ্টা করতে থাকেন।
 তিনি সেইসময় সেলার বা আম্ব্রোডায়রির কাজ করতে থাকেন। মাদার টেরিজা এমন এক পরিবারে জন্মেছিলেন যে পরিবারে ধর্মের চৰ্চা ও মানবতার উপকার করা হত, তার পিতার মৃত্যুর পরে আর্থিক সমস্যার মধ্যেও তার মা অন্যদের উপকারের সাহায্য করতেন। বলা হয়েথাকে অল্প বয়স থেকেই মাদার টেরিজা খুব শান্ত ও কম কথা বলতেন তিনি খুব শান্তভাবে সবকিছু বিচার করতেন। ভাবা হয় তার ক্যাথিলিক সন্যাসিনী হওয়ার বিচার তার পরিবারের ধার্মিক ও উপকারী মানসিকতার জন্য এসেছিলো। Mother Teresa Biography | মাদার টেরিজার কর্মজীবন তবে শুরুতে তার এই সিদ্ধান্ত তার মা এবং ভাই বোনকে খুব আহত করে কারণ তার পরিবার জানতে এতে হয়তো সারাজীবনের জন্য তাদের সাথে টেরিজার দেখা হওয়ার আর সৌভাগ্য নাও হতে পারে। কারণ মানুষের সেবা ও ধর্ম প্রচারের জন্য তাকে সুদূর কোন দেশে যেতে হবে। পুরস্কার ও সম্নাননা মাদার টেরিজার জীবনকালে তাকে বিভিন্ন দেশের অজস্র পুরস্কারে ভূষিত করা হয় তার প্রাপ্ত পুরস্কারের সংখ্যা অগণিত ও অসংখ।
 তিনি ভারতীয় সর্বোচ্ছ সম্মান ভারতরত্ন পুরস্কার প্রাপ্ত হন ১৯৮০ সালে। তাকে আমেরিকার সর্বাধিক পুরস্কার প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম (১৯৮৫) প্রদান করা হয় সেই সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড রিগান। ডোনাল্ড রিগান ও তার সহধর্মিনীর উপস্থিতিতে মাদার টেরিজা সম্মান গ্রহণ করেন। তিনি নোবেল বিশ্ব শান্তি পুরস্কার লাভ করেন ১৯৭৯ সালে সেই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তার দেয়া ভাষণে মুগ্ধ হয়ে যায় গোটা নোবেল পুরস্কার প্রদানে আগত বিখ্যাত অতিথিরা। সেই ভাষণের কিছু অংশ সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ইউটুবে ও রয়েছে চাইলে সবাই সেই মুগ্ধকর বক্তিতা শুনতে পারেন। নাগরিকত্বের দিক থেকে ভারতীয় হলেও তার জন্মভূমি আলবেনিয়া, তার মাতৃভূমি দেশ থেকেও তাকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্ছ সম্মান পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
 Achievements of Mother Teresa:
 ১. ১৯৬২ সাল: পদ্মশ্রী পুরস্কার রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার
 ২. ১৯৬৯ সাল: জওহরলাল নেহেরু পুরস্কার
 ৩. ১৯৭১ সাল: পোপ জন ২৩ শান্তি পুরস্কার
 ৪. ১৯৭৩ সাল: টেমপ্লেটন পুরস্কার
 ৫. ১৯৭৫ সাল: আলবার্ট সেটজার আন্তর্জাতিক পুরস্কার
 ৬. ১৯৭৬ সাল: পাসিম ইন টেররিস পুরস্কার
 ৭. ১৯৭৮ সাল: বালজান পুরস্কার
 ৮. ১৯৭৯ সাল: প্যাট্রনাল মেডেল নোবেল শান্তি পুরস্কার
 ৯. ১৯৮০ সাল: ভারতরত্ন পুরস্কার
 ১০. ১৯৮৫ সাল: রাষ্ট্রপতি পদক
 ১১. ১৯৯৪ সাল: রাষ্ট্রীয় স্বর্ণপদক
 ১২. ১৯৯৭ সাল: কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল স
বশেষে একটাই কথা, সিস্টার মাদার টেরেসার অবদান কলকাতাবাসী সহ সমগ্র ভারতের কেউ কোনদিনই ভুলতে পারবেনা | তিনি সকল নিপীড়িত মানুষদের জন্য নিস্বার্থ ভাবে যা করে গেছিলেন তা সত্যিই প্রশংসনীয় |
 আরো পড়ুন:
 তবুও এতসব কিছু করার পরও, অনেকে তাঁর আচরণকে নিয়ে নিন্দাও করেছিলেন | বিশ্ববিখ্যাত চিন্তাবিদ জার্মেইন গ্রেয়ার, টেরেসাকে ‘ধর্মীয় সাম্রাজ্যবাদী’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছিলেন | শুধু তিনি নন, এরকম অনেক সমালোচকদের মতে, তিনি ছিলেন একজন উগ্রবাদী, মৌলবাদী তথা ভণ্ড মানুষ যিনি কিনা ধর্মীয় আদর্শ তথা ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নিপীড়িত মানুষদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতেন তিনি আসলে কেমন ধরনের মানুষ ছিলেন এই সম্বন্ধে আমাদের কারোরই জানা নেই | তাই, যে যাই বলুক না কেন তিনি সত্যিই কোলকাতাবাসীদের কাছে ছিলেন একজন মহিয়সী নারী, যার মাতৃত্বের ছোয়ায় অনেকই নিজেদের জীবনে আশার আলো দেখেছিলেন | তাই তাঁর অবদানকে আমরা সবাই সারাজীবন ধরে মনে রাখবো এবং তিনি সর্বদা আমাদের মনের ভীতর অমর হয়ে থাকবেন |

 আশা করি তুমি “Mother Teresa ” পড়ে নিশ্চই অনেক কিছু সুন্দর তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছো | পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও | তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে |

Biography Mother Teresa
MotherTeresa_Mother Teresa (1910–1997) was a Roman Catholic nun who devoted her life to serving the poor and destitute around the world. She spent many years in Calcutta, India where she founded the Missionaries of Charity, a religious congregation devoted to helping those in great need. In 1979, Mother Teresa was awarded the Nobel Peace Prize and became a symbol of charitable, selfless work. In 2016, Mother Teresa was canonised by the Roman Catholic Church as Saint Teresa. “It is not how much we do, but how much love we put in the doing. It is not how much we give, but how much love we put in the giving.” – Mother Teresa. From: No Greater Love Short Biography of Mother Teresa mother teresaMother Teresa was born in 1910 in Skopje, the capital of the Republic of Macedonia.
 Little is known about her early life, but at a young age, she felt a calling to be a nun and serve through helping the poor. At the age of 18, she was given permission to join a group of nuns in Ireland. After a few months of training, with the Sisters of Loreto, she was then given permission to travel to India. She took her formal religious vows in 1931 and chose to be named after St Therese of Lisieux – the patron saint of missionaries. On her arrival in India, she began by working as a teacher; however, the widespread poverty of Calcutta made a deep impression on her, and this led to her starting a new order called “The Missionaries of Charity”.
The primary objective of this mission was to look after people, who nobody else was prepared to look after. Mother Teresa felt that serving others was a fundamental principle of the teachings of Jesus Christ. She often mentioned the saying of Jesus, “Whatever you do to the least of my brethren, you do it to me.” As Mother Teresa said herself: “Love cannot remain by itself – it has no meaning. Love has to be put into action, and that action is service .” – Mother Teresa mother-teresaShe experienced two particularly traumatic periods in Calcutta. The first was the Bengal famine of 1943 and the second was the Hindu/Muslim violence in 1946, before the partition of India. In 1948, she left the convent to live full-time among the poorest of Calcutta. She chose to wear a white Indian sari, with a blue border, out of respect for the traditional Indian dress.
For many years, Mother Teresa and a small band of fellow nuns survived on minimal income and food, often having to beg for funds. But, slowly her efforts with the poorest were noted and appreciated by the local community and Indian politicians. In 1952, she opened her first home for the dying, which allowed people to die with dignity. Mother Teresa often spent time with those who were dying. Some have criticised the lack of proper medical attention, and their refusal to give painkillers. Others say that it afforded many neglected people the opportunity to die knowing that someone cared. Her work spread around the world. By 2013, there were 700 missions operating in over 130 countries. The scope of their work also expanded to include orphanages and hospices for those with terminal illnesses. “Not all of us can do great things. But we can do small things with great love.” —- Mother Teresa Mother Teresa never sought to convert those of another faith. Those in her hospices were given the religious rites appropriate to their faith.
However, she had a very firm Catholic faith and took a strict line on abortion, the death penalty and divorce – even if her position was unpopular. Her whole life was influenced by her faith and religion, even though at times she confessed she didn’t feel the presence of God. The Missionaries of Charity now has branches throughout the world including branches in the developed world where they work with the homeless and people affected by AIDS. In 1965, the organisation became an International Religious Family by a decree of Pope Paul VI. In the 1960s, the life of Mother Teresa was brought to a wider public attention by Malcolm Muggeridge who wrote a book and produced a documentary called “Something Beautiful for God”. mandela-teresaIn 1979, she was awarded the Nobel Peace Prize “for work undertaken in the struggle to overcome poverty and distress, which also constitutes a threat to peace.” She didn’t attend the ceremonial banquet but asked that the $192,000 fund be given to the poor. In later years, she was more active in western developed countries. She commented that though the West was materially prosperous, there was often a spiritual poverty. “The hunger for love is much more difficult to remove than the hunger for bread.” -— Mother Teresa When she was asked how to promote world peace, she replied,”Go home and love your family”. Over the last two decades of her life, Mother Teresa suffered various health problems, but nothing could dissuade her from fulfilling her mission of serving the poor and needy. Until her very last illness she was active in travelling around the world to the different branches of The Missionaries of Charity.
During her last few years, she met Princess Diana in the Bronx, New York. The two died within a week of each other. Following Mother Teresa’s death, the Vatican began the process of beatification, which is the second step on the way to canonization and sainthood. Mother Teresa was formally beatified in October 2003 by Pope John Paul II. In September 2015, Pope Francis declared: “Mother Teresa, in all aspects of her life, was a generous dispenser of divine mercy, making herself available for everyone through her welcome and defense of human life, those unborn and those abandoned and discarded,” “She bowed down before those who were spent, left to die on the side of the road, seeing in them their God-given dignity.
 She made her voice heard before the powers of this world, so that they might recognize their guilt for the crime of poverty they created.” Mother Teresa was a living saint who offered a great example and inspiration to the world. Awards given to Mother Teresa The first Pope John XXIII Peace Prize. (1971) Kennedy Prize (1971) The Nehru Prize –“for the promotion of international peace and understanding”(1972) Albert Schweitzer International Prize (1975), The Nobel Peace Prize (1979) States Presidential Medal of Freedom (1985) Congressional Gold Medal (1994) U Thant Peace Award 1994 Honorary citizenship of the United States (November 16, 1996),
 mother teresa death, mother teresa nationality, mother teresa facts, mother teresa education, mother teresa real name, mother teresa parents, what is mother teresa known for what did mother teresa do
 মাদার তেরেসার অবদান, মাদার তেরেসার বাণী, মাদার তেরেসা রচনা, মাদার তেরেসার পুরো নাম ক,ি মাদার তেরেসার ধর্ম ক,ি মাদার তেরেসার সমালোচনা, মাদার তেরেসার জন্ম কত সালে, মানব সেবায় মাদার তেরেসার অবদান

Leave a Reply