Deprecated: Function WP_Dependencies->add_data() was called with an argument that is deprecated since version 6.9.0! IE conditional comments are ignored by all supported browsers. in /home/amadersa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6131
মা-মেয়ের একজনই স্বামী, ভাগ করে নেন শয্যাও,মা ও মেয়ের একজনই স্বামী! তা

ভাগ করে নেন শয্যাও,মা ও মেয়ের একজনই স্বামী! তাও আবার বাংলাদেশে

প্রাচীন এক জনগোষ্ঠী হলো মাণ্ডী সম্প্রদায়। সেই সম্প্রদায়েই এক চোখ কপালে ওঠার মতো খবর এসেছে সামনে। খবরটা হলো, মা ও মেয়ের একই স্বামী। অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি।

প্রাচীন এই জনগোষ্ঠীর বাস ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্তের পাহাড়ি অঞ্চলে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে এই দুই মাণ্ডী নারী এবং তাদের স্বামীর কথা। মা ও মেয়ে দুজনেই এক স্বামীর সঙ্গে ভাগ করে নেয় শয্যা। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই মায়ের নাম মিত্তামোনি। বয়স ৫১ বছর। মেয়ে ওরোলা দাবোত (৩০)। মা ও মেয়ের স্বামীর নাম নোতেন।

Read Mor: পাকিস্তানে একটি ছাগলকে যৌন নিপীড়ণ করে হত্যা

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মধুপুরের এক প্রত্যন্ত মাণ্ডী গ্রামে বাস ওরোলা দাবোতের। কিশোরীবেলায় যেই সে স্বাদ পেল নারীত্বের- অমনি তার সামনে প্রকাশিত হল এক ভয়ঙ্কর সত্য। ওরোলার মা মিত্তামোনি তাকে জানালেন- যাকে এতদিন ওরোলা সৎ বাবা বলে জেনে এসেছে, সে আসলে তার স্বামী।

মাতৃতান্ত্রিক হলেও মাণ্ডী সমাজে প্রচলিত আছে এক অদ্ভূত রীতি। যদি কোনো বিধবা তরুণী বিয়ে করতে চান, তাহলে তাকে বিয়ে করতে হবে শ্বশুরবাড়ির গোষ্ঠী থেকেই। যেরকম হয়েছে মিত্তামোনির সঙ্গে। মাত্র ২০ বছর বয়সে স্বামীকে হারান তিনি। এদিকে শ্বশুরবাড়ির বংশে তখন বিয়ের যোগ্য পাত্র ছিল একজনই। ১৭ বছর বয়সী নোতেন। তাকে বিয়ে করলেন মিত্তামোনি। কিন্তু মানতে হল শর্ত। সেটি হলো- মিত্তামোনির মেয়ে যখন পূর্ণ নারী হবে, তখন সে হবে নোতেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। এটাই প্রচলিত রীতি। কারণ এমনটা না হলে বেশি বয়সী নারীদের বিয়ে করতে রাজি হয় না অল্পবয়সী পুরুষ।

Read More: প্রেমিকার সঙ্গে শারীরিক মিলনে আটকে গেল পুরুষাঙ্গ দেখুন মেয়েটির অবস্থা!

তাইতো ওরোলা মায়ের কাছে জানতে পারেন- মাত্র তিন বছর বয়সে নাকি তার বিয়ে হয় নোতেনের সঙ্গে। এখন মা-মেয়ে দুই বৌয়ের সঙ্গে দিব্যি আছেন নোতেন। সংসারে বড় হচ্ছে মা মিত্তামোনি এবং মেয়ে ওরোলার সন্তানরা। সবার বাবা ওই একজনই- নোতেন। রীতির চাপে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন ওরোলা।

মাণ্ডী সমাজে মেয়েরাই বেছে নেয় জীবনসঙ্গী। প্রোপোজও তারাই করে। বিয়ের পরে শ্বশুরঘর করতে আসে স্বামী। এমনকি সম্পত্তির মালিকও হয় মেয়েরাই। কিন্তু এসবের থেকে বঞ্চিত ওরোলা। মাঝখান থেকে নষ্ট হয়ে গেছে মা-মেয়ের সম্পর্ক। মিত্তামোনি এখন মা নন- ওরোলার সতীন।

সূত্র : বিবিসি ও ইন্ডিয়া টুডে

ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।

Leave a Reply