মেয়েকে ধর্ষণের আগে বাবা-মাকে খুন করেন আশরাফুল | ধর্ষক রেপ/rape ধর্ষণ করতে কাউকে ছাড় দেয় না

মাদারীপুরের কালকিনিতে দুই মেয়ে সীমা ও শিফাকে (ছন্দনাম) নিয়ে বসবাস করতেন রফিকুল ইসলাম ও মরিয়ম বেগম (ছন্দনাম) দম্পতি। ২০২১ সালের মার্চের শেষের দিকে রফিকুল ইসলাম মাঠে কাজ করার জন্য ফরিদপুর থেকে দুইজন মজুর আনেন। তাদের একজনের নাম আশরাফুল।

শ্রমিক দুইজন রফিকুলের জমিতে কাজ করলেও রাতে থাকত তার ভাই আনিসুল ইসলামের ঘরে। গত ৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে রফিকুল ও মরিয়ম বেগম দম্পতি দুই মেয়ে সীমা ও শিফাকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

৬ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে রফিকুল ইসলামের মেয়ের স্বামী মো. হাবিব শ্বশুর বাড়ি থেকে ফোন পান। ফোন করে শ্যালিকা সীমা।


সে জানায়, তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও দুই শ্রমিককে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের মোবাইল ফোনও ঘরে নাই। পরে হাবিব সরদার ও তার স্ত্রী শ্বশুর-শাশুড়িকে নানা জায়গায় খোঁজ করেন। আত্মীয় স্বজনদেরও তাদের নিখোঁজের বিষয়টি জানান। কিন্তু কেউ রফিকুল ইসলাম ও মরিয়ম বেগমের খোঁজ দিতে পারেনি। রফিকুল ইসলাম ও মরিয়ম বেগমের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও কেউ রিসিভ করেনি। দুপুর ১টার পর নম্বর দুটিও বন্ধ পাওয়া যায়। রফিকুল ইসলাম ও মরিয়ম বেগমের মোবাইল ফোনে যখন কল করা হয় তখন দিনমজুর আশরাফুলের  নম্বরেও কল করা হয়। কাকতালীয়ভাবে দুপুর ১টার পর থেকে তার মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

রফিকুলের খালাতো ভাই করিম জানান, ৭ ও ৮ জুলাই এ দুদিন নিখোঁজ রফিকুল ইসলামের মোবাইল নম্বর থেকে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে তার খালাতো ভাই করিমের নম্বরে কল আসে।

মুক্তিপণ দাবি করল কে? এই প্রশ্নের উত্তর মেলে সহজেই।

 


করিম বলেন,  মুক্তিপণ দাবিকারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর হাবিব সরদার বাদী হয়ে কালকিনি থানায় মামলা দায়ের করেন। তাতে আশরাফুল ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান সাব-ইন্সপেক্টর সৈয়দ হাসিব আহম্মেদ।

রফিকুলের ইসলামের মেয়ের স্বামী হাবিব সরদার বলেন, ৯ এপ্রিল হাবি ব্যাপারীর পুকুরের দক্ষিণ কোনে খর কুটো দিয়ে ঢাকা দুটি মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে স্ত্রীসহ ও দুই শ্যালিকাকে নিয়ে সেখানে যাই। সীমা ও শিফা মরদেহ শনাক্ত করে।

পরে কালকিনি থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়। তারা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।

এ পর্যায়ে তফসিলভুক্ত হওয়ায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গোপালগঞ্জ জেলা মামলাটি অধিগ্রহণ করে। মামলার তদন্তভার গ্রহণ করার পরপরই সাব ইন্সপেক্টর আল-আমিন শেখ একাধিক বিশ্বস্তগুপ্তচর নিয়োগ করেন।

পিবিআইর সাব ইন্সপেক্টর (তদন্ত কর্মকর্তা) আল-আমিন এ বিষয়ে প্রযুক্তিরও আশ্রয় নেন। রফিকুল ইসলাম, তার খালাতো ভাই করিমের কলের বিস্তারিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেন। তবে, দেখা যায় আশরাফুলের মোবাইল নম্বরের নিবন্ধন ঠিক নেই। এ পর্যায়ে ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সিডিএসএসে নড়াইল জেলায় আশরাফুল নামে সার্চ দেওয়া হয়। সার্চে আশরাফুল মোল্লা নামের এক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়।

জানা যায়, তার বিরুদ্ধে যশোর কোতয়ালী থানায় দুইটি, নড়াইল সদর থানায় দুইটি এবং রাজশাহীর বাঘা থানায় একটি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে, নড়াইল সদর থানার এক মামলায় আশরাফুল ১৮ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত।

সাব ইন্সপেক্টর আল-আমিন শেখ বলেন, সিডিএমএসে পাওয়া আশরাফুলই যে ডাবল মার্ডারে সন্দেহভাজন আশরাফুল তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। কারণ সিডিএমএসে অপরাধের ফিরিস্তি পাওয়া গেলেও ছিল না অপরাধীর ছবি। তাই পাঁচ মামলার বাদীদের কাছ থেকে আশরাফুলের ছবি সংগ্রহ করে পিবিআই।

 

খোঁজ নিতে গিয়ে পিবিআই দেখে আশরাফুল একজন নারী লোভী। কখনও সেনাবাহিনীর সৈনিক, কখনো আনসার ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে সে মেয়েদের বিয়ের লোভ দেখায় এবং কৌশলে ধর্ষণ করে।


ছবি দেখানো হলে আনিসুল ইসলাম ও সীমা নিশ্চিত করে আশরাফুল মোল্লাই ফেরারি আশরাফুল।

পরে পিবিআই গোপালগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম প্রায় ১০ হাজার নম্বরের এক বছরের ডাটা বিশ্লেষণ করে। ২২ এপ্রিল নড়াইলের সিঙ্গা সৈলপুর বাজার থেকে আসামি মো. আশরাফুল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
 
পিবিআই জানাচ্ছে, গ্রেপ্তার হওয়ার পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আশরাফুল মোল্লা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে উঠে আসে তার বহুরূপী চরিত্র ও নানা অপকর্মের ফিরিস্তি।

আশরাফ মোল্লা জানায়, সে একজন দিনমজুর। একসময় আনসার বাহিনীতে চাকরি করত। ২০২১ সালের ২৮ মার্চ ফরিদপুর কৃষেন হাটে কাজ করার জন্য যায়। ওইদিন মোয়াজ্জেম নামের এক লোকের কাছে কাজের জন্য বিক্রি হয়। তারপর তার সাথে ভোলারাও নামে আরও একজনকে কাজের জন্য মোয়াজ্জেম কাকা হাট থেকে ক্রয় করে। তার বাড়ি নওগাঁ জেলার সুন্দার গ্রামের বলেছিল।

ভোলারাও কোথায়? হাট থেকে কিনতে দেখেছে কে?

রফিকুল ইসলামকে আমি ও ভোলারাও কাকা ডাকতাম এবং রফিকুল কাকার স্ত্রীকে কাকি ডাকতাম। তারপর আমরা দুইজনে মোয়াজ্জেম কাকার সাথে মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানাধীন কোলচরী সস্তাল গ্রামে তার বাড়িতে কালো জিরা কাটার কাজের জন্য চলে আসি। রফিকুলের কাকার বাড়িতে আসলে তার শালার ঘরে আমাদের দুইজনকে থাকতে দেয়।
 

আশরাফ বলে, রফিকুল কাকার একটা ১৩-১৪ বছরের মেয়ে আছে, তার নাম সীমা। তাকে দেখে আমার পছন্দ হয়। আমি রফিকুল কাকার বাড়িতে কাজ করার কারণে সীমার সঙ্গে দুষ্টামি করতাম এবং তার মোবাইল নম্বরে কল দিতাম।

সীমাকে তার মোবাইলে কল দিয়ে কথা বলা এবং দুষ্টামি করার বিষয়টা তার বাবা মা জানার পর রফিকুল কাকা ও কাকি আমাকেও অনেক বাজে কথা বলে। সীমাকে আমার সাথে কথা বলতে দিত না।

আশরাফ আরও বলে, সীমার সঙ্গে খারাপ কাজ করার লোভে আমি পরিকল্পনা করি যে, কাকা কাকিকে মেরে ফেলব। তারপর একা ঘরে থাকা সীমাকে ধর্ষণ করব। পরিকল্পনা মোতাবেক ৫ এপ্রিল রাত সোয়া ৯টার দিকে রফিকুল ইসলামকে কল দিয়ে বলি কাকা আপনি কোথায়। কাকা বলে আমি বাজার থেকে বের হইছি। আমি বলি কাকা আমি রাস্তা হারিয়ে ফেলছি আমি বাড়ি যেতে পারছি না। তখন কাকা বলে তুমি কোন জায়গায় আছো? আমি বলি কাকা আমি আপনার সাথে যে রাস্তা দিয়ে যাই সেই রাস্তায় বিলের মাঝে একটা পুকুরের পাড়ে আছি। তখন কাকা বলে যে, তুমি লাইট জ্বালাও আর ওখানে দাঁড়ায় থাকো। কাকার আসতে দেরি হওয়ায় আমি ৪-৫ বার কাকাকে কল দেই।

এরপর কাকা রাত ১০টার দিকে আমার কাছে আসে এবং বলে চলো রাস্তা দিয়ে যাই। আমি বলি কাকা আমার পা ব্যথা চলেন বাগানের ভেতর দিয়া তাড়াতাড়ি চলে যাই। কাকা সামনে লাইট মেরে যাচ্ছিল আর আমি তার পেছনে পুকুর পাড় দিয়ে হাঁটছিলাম। তখন পেছন থেকে আমি আমার সাথে থাকা তোয়ালে দিয়ে রফিকুল কাকার গলায় প্যাচ দিয়ে ধরি এবং মাটিতে ফেলে ১০-১৫ মিনিট জড়াজড়ি করি। এক সময় রফিকুল কাকা মারা গেলে আমি তার লাশ টেনে পুকুরের পাড়ে একপাশে জঙ্গলে ফেলে রাখি।

আশরাফুল আরও বলে, এরমধ্যে কাকি রফিকুল কাকার নম্বরে ফোন করতে থাকে। আমি তার ফোন বন্ধ করে দেই। রফিকুল কাকাকে মারার পর মরিয়ম কাকিকে ফোন করি। কাকি বলে তোমার কাকা ফোন ধরছে না কেন। আমি বলি তার ফোন পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। কাকা এক হিন্দু বাড়িতে ব্লকের মেশিন সারার জন্য গেছে। কাকি বলে কার বাড়ি গেছে। আমি বলি এলাকার লোক আমি চিনি না। কাকা বলছে আমি যেন আপনাকে নিয়ে দোকানের ওখান থেকে কাকাকে নিয়ে আসি। আপনি বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসেন আমি আগায়ে আসতেছি। এরপর কাকিকে আবার কল দিয়ে বলি কাকি আপনি বের হইছেন?

কাকি বাড়ি বের হয়ে রাত অনুমান ১০টা ৪০ মিনিটের সময় বাড়ির সামনে রাস্তার ওপরে আসলে আমি মরিয়ম কাকিকে নিয়ে বাড়ির কিছুটা দূরে যেখানে কাকাকে মেরেছি হাঁটতে হাঁটতে সেই পুকুর পাড়ে নিয়ে যাই এবং আমার সাথে থাকা তোয়ালে দিয়ে মরিয়ম কাকির গলায় প্যাচায়ে ধরি। কাকি অনেকটা শক্তিশালী হওয়ায় সে অনেক জোরাজুরি করে। অনুমান ১৫-২০ মিনিট জোরাজুরি করার পর যখন আমি বুঝতে পারি কাকি মারা গেছে তখন আমি কাকিকে টানতে টানতে কাকার লাশের কাছে নিয়ে আসি। আর কাকির শাড়ি ছিঁড়ে তার পা ও গলায় বেঁধে দেই। আর কাকার গায়ের ফুলহাতা জামা খুলে তার গলায় ফাঁসি দিয়ে রাখি। কারণ যাতে বেঁচে হেঁটে বাড়ি যেতে না পারে। আমি পাশে থাকা খড় দিয়ে দুজনের লাশ ঢেকে রাখি।

তারপর রাত ১২টার দিকে আমি রফিকুল কাকার বাড়িতে যাই এবং তার ঘরে ঢুকে তার মেয়ে সীমার কাছে যাই। সীমা তখন ঘুমানো ছিল। আমি সীমাকে ডেকে বলি কাকা কাকি আমাদেরকে মেনে নিয়েছে। তারা তোমার সাথে আমার বিয়ে দেবে। তাই তোমার কাছে আমাকে পাঠাইছে। আমি তোমার আব্বার কিছু দেনা পরিশোধ করে দেব।

সীমা বলে, আব্বা আম্মা কোথায়? আমি বলি তোমার মামার ঘরে। সীমা তার আব্বা আম্মার কাছে যেতে চায়। আমি তাকে যেতে দেইনি। পরে সীমার সাথে মেলামেশা করতে চাইলে সে রাজী হয় না। আমি জোর করেই একবার সীমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করি। সেইদিন রাতে আমি সীমাকে দুইবার ধর্ষণ করি। 
Source of somoynews.tv/

আরও পড়ুন: ছেলে-মেয়েদের অবৈধ সম্পর্ক : ইসলাম কী বলে?

 

বিখ্যাত লেখক মণীষীদের নির্বাচিত ৩০০০ টি [বাংলাঃ ১২০০ English 1800 ] বানী বা উক্তি সমূহের বাংলা বই বা বুক বা PDF [ কম্পিউটার + মোবাইল ভার্সন ]

বাণী চিরন্তণী all Quotes 1000 TOP POPULAR DOWNLOADS.pdf

পড়ুন স্ত্রী ও পুত্রকে বের করে দিয়ে তিন বছর ধরে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করতেন বাবা!

আরও পড়ুনমামেয়েকে ধর্ষণের দায়ে জনের যাবজ্জীবন

বন্ধুরা, এই পোস্টে আমরা আপনাকে  পোস্টটি সম্পর্কে বলেছি। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পছন্দ করবেন।

আপনার এই পোস্টটি কেমন লেগেছে, মন্তব্য করে আমাদের জানান এবং এই পোস্টে কোনও ত্রুটি থাকলেও আমরা অবশ্যই এটি সংশোধন করে আপডেট করব।

 

Biography, Famous Quotes উক্তি সমূহ লেখাটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো। এই ধরনের লেখার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি ফলো 

 

ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব  ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।

Subscribe to the Daily News Times bd.com YouTube channel and follow the Facebook page.

 

উক্ত আর্টিকেলের উক্তি বাণীসমূগ বিভিন্ন ব্লগ, উইকিপিডিয়া এবং .. রচিত গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

আরও পড়তে পারেনদরজার বাইরে মাকে রেখে মেয়েকে ধর্ষণ করেছিলেন ম্যারাডোনা, দাবি বান্ধবীর

আরও পড়ুনকালিদাস পণ্ডিতের ধাঁধাঁ ১। পর্ব moral stories Kalidas Pondit In Bangla কালিদাস

Read More: মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার যাবজ্জীবন

আরো জানুন >> ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় শিক্ষকের যাবজ্জীবন

এখনই কিনুন >> সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে বাবার যাবজ্জীবন

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন >> মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় পিতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

 

 

তথ্যসূত্র: Wikipedia, Online

Sourc of : Wikipedia, Online Internet

 

 ছবিঃ ইন্টারনেট

দৃষ্টি আকর্ষণ এই সাইটে সাধারণত আমরা নিজস্ব কোনো খবর তৈরী করি না.. আমরা বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবরগুলো সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি.. তাই কোনো খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply