যথাসময়ে ভর্তির জন্য উপস্থিত হতে না পারায় মানবিক ও পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করে অবশেষে নিপুন বিশ্বাসকে ভর্তি নিচ্ছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)।

যথাসময়ে ভর্তির জন্য উপস্থিত হতে না পারায় মানবিক ও পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করে অবশেষে নিপুন বিশ্বাসকে ভর্তি নিচ্ছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের বিশেষ নির্দেশে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন নিপুন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির জরুরি সভায় নিপুন বিশ্বাসের ভর্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে উপাচার্যের উপর অর্পিত মতাবলে তাকে ভর্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ডিনস কমিটির সভায় জানানো হয়, গত ৩০ জানুয়ারি ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তির মেধাতালিকার শিক্ষার্থী নিপুন বিশ্বাস, মেধাক্রম ১৭, সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হন। অনুষদীয় ভর্তি কমিটি উক্ত ক্রমের পরবর্তী ক্রমের (মেধাক্রম ১৯, শিক্ষার্থীকে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে নিপুন বেলা দেড়টায় উপস্থিত হন। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে জানালে তিনি বিষয়টির মানবিক দিক বিবেচনায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে একটি আসন বর্ধিত করেন। পরে সেখানে তাকে ভর্তি করানোর জন্য ডিনস কমিটিকে অনুরোধ করেন। উপাচার্যের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি একটি আসন বাড়িয়ে ভর্তি করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

দলবদ্ধ ধর্ষণের পর মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেহ ফেলা হয় ধানখেতে: র‍্যাব

ডিনস কমিটির জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. তানভীর ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন জানান, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি কমিটি নিয়ম মেনেই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। নিপুন বিশ্বাস সমাজের অনগ্রসর দরিদ্র পরিবারের সদস্য, আমি এটা জানতে পেরে ডিনস কমিটির জরুরি সভার নির্দেশ দিই। আশা কথা হচ্ছে, যবিপ্রবির স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হলেও আগামীকালই সে ভর্তি হতে পারবে।

‘ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’ সেই যুবক এখন পুলিশের কাছে

গত ৩০ জানুয়ারি বিকেলে ২০২০-২১ সেশনে ৩য় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেয় যবিপ্রবির স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ। নির্বাচিতদের বলা হয়, পরদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভর্তির সময়।

নিপুন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রোববার সাড়ে ৫টার দিকে যবিপ্রবির ওয়েবসাইটের নোটিশে ৩য় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। আমার কোনো স্মার্টফোন না থাকায় এই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেখতে পারিনি। ভর্তির জন্য কোনো কল বা মেসেজ দেওয়ার কথা থাকলেও সেটাও আসেনি। মাঝরাতে আমার এক বড় ভাই আমাকে ফোন করে ভর্তির বিষয় জানালে আমি তাৎক্ষণিক প্রতিবেশি ও স্বজনদের কাছ থেকে ২৩ হাজার টাকা জোগাড় করি। ওই রাতেই নির্দিষ্ট সময়ে আসার জন্য ১৫ হাজার টাকায় রিজার্ভে একটি গাড়িতে যবিপ্রবির উদ্দেশ্য রওনা দিই। কিন্তু যশোর থেকে নীলফামারীর দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় এবং রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাতে আমার দুপুর ১২টার বেশি বেজে যায়।

৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পাচ্ছেন আজ

নিপুন বলেন, দেরিতে আসায় আমার পরিবর্তে অন্য শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়। এরপর আমি অনেক অনুনয় করলেও আমাকে ভর্তি নেওয়া হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও ভর্তি হতে না পেরে, পরিবারের কাছে না ফিরে হতাশায় ক্যাম্পাসেই অবস্থান করছিলেন এই শিক্ষার্থী।

Leave a Reply