যে গ্রামের সবাই অন্ধ, এমনকী পশুও

 

যে গ্রামের সবাই অন্ধ, এমনকী পশুও

একটা গ্রামের সবাই অন্ধ। এমনকী গৃহপালিত পশুও জন্মের কিছুদিন পরই হারায় দৃষ্টিশক্তি। মেক্সিকোর এ গ্রাম নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন। গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরাও। যদিও স্থায়ী সমাধান মেলেনি। এমন কেন? কীসের অভিশাপ?

যে গ্রামের সবাই অন্ধ, এমনকী পশূ।

ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জগৎবিখ্যাত ঔপন্যাসিক হোসে সারামাগোর একটি উপন্যাসের নাম ‘ব্লাইন্ডনেস’। যে উপন্যাসে অন্ধ হয় যায় একটি শহর। অর্থাৎ কি না শহরের সব নাগরিক অন্ধত্বের মহামারিতে আক্রান্ত হয়। এর পর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে পরিস্থিতি ৷ শুরু হয় একের পর এক খুন-ধর্ষণ-রাহাজানি৷ বলা বাহুল্য, নোবেলজয়ী লেখকের অন্ধত্ব ছিল মেটাফোর বা রূপক। এই গ্রামের বিষয়টি কিন্তু তা নয়। এ হলো ঘোর বাস্তব। কঠিন বাস্তব। কী সেই ভয়াবহ বাস্তবতা?

 

আরও পড়ুন: বেলি ডান্স করায় গেল চাকরি, তালাক দিলেন স্বামীও (ভিডিও)

 

এ গ্রামের সবাই দৃষ্টিহীন। অভিশপ্ত গ্রামটি রয়েছে উত্তর আমেরিকা দেশ মেক্সিকোয়। গ্রামের নাম টিলটেপেক। অবিশ্বাস্য লাগলেও সত্যি, মানুষ তো বটেই, এমনকী গ্রামের গৃহপালিত পশুরাও চোখে দেখতে পায় না। প্রশ্ন হলো, টিলটেপেক গ্রামের জাপোটেক জনজাতির মানুষেরা কি জন্মগতভাবেই অন্ধ?

 

মোটেই না। আর পাঁচটা গ্রামের মতোই এ গ্রামের নবজাতকেরাও সুস্থ-সবল শরীরেই ভূমিষ্ট হয়। কিন্তু কীভাবে যেন সপ্তাহ খানেকের মধ্যে হারিয়ে ফেলে দৃষ্টিশক্তি! ঘটনা খুব নতুন নয়৷ এ বিষয়ে অবগত মেক্সিকো সরকার। ফলে অজ্ঞাত কারণে দিনেও ‘অন্ধকার’ গ্রামটিকে নিয়ে প্রশসনের উদ্যোগে গবেষণা শুরু করে বিজ্ঞানীরা। স্থানীয়রাও তাদের অন্ধত্বের কারণ জানান। কী বলছেন তারা?

 

গ্রামবাসীর দাবি, লাবজুয়েলা নামের এক ধরনের স্থানীয় গাছ এ গ্রামবাসীর অন্ধত্বের জন্য দায়ীঅে ‘শয়তান গাছে’র কারণেই কালো দুঃস্বপ্নে বন্দি টিলটেপেক। ইতোমধ্যে ওই গাছ নিয়ে গবেষণা সেরে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, লাবজুয়েলাই যে অন্ধত্বের কারণ, এমন প্রমাণ মেলেনি। তাহলে? এখন দেখার বিষয় বিজ্ঞানীরা সে রহস্য উদঘাটন করতে পারেন কি না।

Leave a Reply