(৫টি রচনা) আমার চারপাশের প্রকৃতি রচনা

আমার চারপাশের প্রকৃতি রচনা ১

লক্ষ কোটি বছর ধরে প্রকৃতি যে ছন্দময় গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল, তার অবসান হয়েছে অনেক আগেই। মানুষের অতিরিক্ত লোভ-লালসাই মূলত এর জন্য দায়ী। তার সঙ্গে আছে পৃথিবী জুড়ে বাড়তি জনসংখ্যার চাপ। আর এই বাড়তি মানুষের জন্য সবকিছুই বাড়তি দরকার।

কিন্তু মানুষ বাড়লেও জায়গা তো বাড়েনি। আপনা-আপনি কোনো কিছুর উৎপাদনও বাড়েনি। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটতে গিয়ে, মানুষকে মাথা খাটিয়ে বের করতে হয়েছে এসব বাড়তি মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করার নানান পদ্ধতি। তখনই প্রয়োজন হল প্রযুক্তির।

প্রযুক্তির দৌড়ে আমরা প্রতিনিয়তই ছুটছি। প্রতিদিনই ব্যবহার করছি নানান প্রযুক্তি, আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে। বিনিময়ে প্রকৃতিকে দিচ্ছি কিছু বিষাক্ত বর্জ্য। যেসব বর্জ্য সম্পূর্ণ শোধন করার ক্ষমতা প্রকৃতির নেই। আমাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য তো প্রচুর শক্তি প্রয়োজন। আর সে প্রক্রিয়ায় অবিরাম নির্গত হচ্ছে অতিরিক্ত কার্বন। তার উপর নতুন করে যোগ হয়েছে পারমাণবিক বর্জ্য। সবকিছু মিলিয়ে, পৃথিবী আজ বিপন্ন। ক্রমশ পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ছে। এ উষ্ণতার ফলে হিমবাহের বরফ গলে সাগরের পানিও বাড়ছে। তাতে সমুদ্র উপকুলের কাছাকাছি যেসব দেশ আছে, সেসব দেশের একটি বড় অংশ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। এটি পরিবেশ বিপর্যয়ের একটি দিক মাত্র। এমন আরও অসংখ্য সমস্যার পাহাড় জমে আছে আমাদের চারপাশে।

তবে এ কথা সত্যি যে, পরিবেশ দূষণের  ক্ষেত্রে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর দায় খুব কম। উন্নত দেশগুলোই মূলত পরিবেশ দূষণ করছে সবচেয়ে বেশি। আমাদের দেশের কলকারখানার দূষিত বর্জ্য পরিবেশের যে পরিমাণ ক্ষতি করে, তারচেয়ে কয়েকশ’ গুণ বেশি ক্ষতি করে উন্নত দেশগুলো। তার মানে এটা নয়, আমাদের বেশি বেশি পরিবেশ দূষণ করা উচিত। এর মানে হল, উন্নত দেশগুলোকে এ ব্যাপারে আরও বেশি সচেতন হওয়া দরকার।

তারা যে একেবারেই কাজ করছে না, তা নয়। তবে তাদের বেশিরভাগ উদ্যোগই শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসু হয় না। তারা প্রায়ই নানা সভা-সমিতি সম্মেলন-কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। শেষ পর্যন্ত সে সব থেকে তেমন কোনো সিদ্ধান্তই আসে না। যেমন, ২০০৯ সালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় Cop15 নামে এক সভা। বিষয় ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে বিশ্বের দেশগুলো একসঙ্গে কিছু কাজ করবে। শেষ পর্যন্ত সম্মেলনটা কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়ে যায়।প্রযুক্তিগত দূষণ ছাড়াও, আমাদের দেশে যে গর্হিত কাজটি দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে, তার কেতাবি নাম– বৃক্ষনিধন ও বন উজাড়। গাছপালা প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রাণ। যেখানে কোনো গাছ নেই, সেখানে কোনো প্রাণ নেই। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীদের জীবনে গাছপালার ভূমিকা যে কত গুরুত্বপূর্ণ, তা তো আর নতুন করে বলার কিছু আছে?

Read more: (৫টি রচনা) নারীর অধিকার রচনা

অথচ এই কথাটা কেউ যেন বুঝতেই চায় না। আয়তন অনুযায়ী আমাদের দেশে যে পরিমাণ বনভূমি থাকার কথা, আছে তার অর্ধেকেরও কম। সুতরাং, আমাদের যেটা করা উচিত, প্রচুর পরিমাণে গাছপালা লাগানো উচিত। গাছ লাগিয়ে সারা দেশকে সবুজে মুড়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু আমরা সে কাজটি না করে, উল্টো গাছ কেটে বনভূমির পরিমাণ আরও কমিয়ে দিচ্ছি।প্রতিবছরই আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানেই। বেশিরভাগ ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ছোটখাটো বলে আমরা খবরও রাখি না। তবে বড় বড় ঝড়-জলোচ্ছ্বাস হলে, সে খবর আমরা ঠিকই পাই। এই যেমন, কদিন আগেই ‘মহাসেন’ নামের এক ভয়াবহ ঝড়ের কবল থেকে আমরা ভাগ্যগুণে বেঁচে গেলাম।

খন, এই ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলের লোকজনদের কিছুটা হলেও রক্ষা করছে উপকূলীয় বনাঞ্চলগুলো। গাছপালার নিবিড় ও নিশ্চিদ্র বুনন। গাছের আচ্ছাদন ঝড় ও জলের গতি কমিয়ে দেয়। কমিয়ে দেয় তাপমাত্রাও। পাশাপাশি মাটির ক্ষয়রোধও করে। তার ফলে ভূ-ভাগের উচ্চতা ঠিক থাকে। তার উপর, প্রাণীদের খাবার-দাবারের জোগানও আসে গাছপালা থেকেই। শুধু তাই না, বন না থাকলে জীবজন্তুরা থাকবে কোথায়? আর আমাদের প্রতিদিনের খাবার-দাবারেরও বেশিরভাগই তো আসে তরুজগত থেকেই।একটা ছোট্ট উদাহরণ দিয়ে শেষ করা যাক। কিছুদিন আগে বেড়াতে গিয়েছিলাম সোনাদিয়া দ্বীপে। সেখানে যাওয়ার ভালো কোনো ব্যবস্থা নেই। এক কথায় একেবারে দুর্গম দ্বীপ। দ্বীপের বাসিন্দাদের মধ্যে সবাই হয় জেলে, নয়তো কৃষক। আর আছে কিছু লবণচাষি। গ্রামে কোনো স্কুল নেই, হাটবাজার নেই এমনকি কোনো ডাক্তারখানাও নেই। খাবার জন্য একটা হোটেলও খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে চারপাশে ছড়িয়ে আছে অপার সৌন্দর্য। দেখে এক নিমেষেই মন ভরে যায়।

এমন একটি দুর্গম গ্রামের মানুষও কিন্তু পরিবেশ নিয়ে ভাবছে। সোনাদিয়ার সৈকতে কোনো পলিথিন বা বর্জ্য পাবে না। সেখানকার পরিবশেকর্মীরা এসব বর্জ্য কুড়িয়ে নিয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জড়ো করে রাখে। শুধু তাই না, সামুদ্রিক কচ্ছপগুলো যেন রাতে সৈকতের বালুতটে এসে নিরাপদে ডিম পাড়তে পারে, তারপর সে ডিম ফুটিয়ে বাচ্চাদের সাগরে নিয়ে যেতে পারে, সোনাদিয়ার পরিবেশকর্মীরা সেদিকেও বেশ সচেতন। এটাও কিন্তু পরিবেশ সংরক্ষণের একটি কাজ। এভাবেই পরিবেশ উন্নয়নের কাজগুলো করতে হয়।

আমার চারপাশের প্রকৃতি রচনা ২

প্রকৃতি ও জীবন এক অতি অন্বিষ্ট দুটি সত্তা। জীবন ছাড়া প্রকৃতির চলছিল না বলেইতো জীবনের উদ্ভব। আবার প্রকৃতি ছাড়া যে জীবন চলে না সেওতো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের চারপাশের জীবজগৎ আর প্রকৃতি মিলে পৃথিবীটাকে এত সুন্দর করে তুলেছে। এ নদী-নালা, পাহাড়-পর্বত, সাগর-মহাসাগর একেবারেই অর্থহীন হয়ে পড়ত যদি এদের মধ্যে জীবনের সন্তরণ না ঘটত। আমাদের চারপাশের প্রাণহীন এ প্রকৃতিকে প্রাণ দিয়েছে নানা রকম গাছগাছালি, পাখপাখালি আর বিচিত্র সব ছোট-বড় জলজ ও স্থলজ প্রাণী মিলে। আর সবকিছুকে ধারণ করেই গড়ে উঠেছে মানুষের সাম্রাজ্য। খানিকটা বেশি বুদ্ধিমান বলে চারপাশের প্রকৃতি আর জীবকূলকে সে ব্যবহার করেছে তার নিজের মতো করে। প্রকৃতি আর জীববৈচিত্র্যের প্রতি সানুগ্রহ মনোযোগ ছাড়াই একে ব্যবহার করেছে মানুষ অকাতরে। প্রকৃতি আর জীববৈচিত্র্যের প্রতি আমাদের এই যে অবিবেচনাপ্রসূত আচরণ প্রকৃতি তা আর সইতে নারাজ। এমনকি দ্রুত হ্রাসমান জীববৈচিত্র্য আজ আমাদের বাঁচা মরার এক কঠিন সংকটময় অবস্থায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে।

Read more: (৫টি রচনা) ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা

বাংলা ভাষায় প্রকৃতি বন্ধনার নমুনা আমাদের নেই তা কিন্তু নয়। আমাদের সাহিত্য সংস্কৃতিতে প্রকৃতি এক বড় অনুসঙ্গ হয়েই এসেছে। কাব্যে তো প্রকৃতি বড় উজ্জ্বল আর কমনীয় হয়েই প্রতিভাত হয়েছে। এমনকি আমাদের জীবজগতের নান্দনিক বিষয়গুলোও কোনো কোনো কবি-লেখকের লেখনীতে উঠে এসেছে নানাভাবে। এসব লেখার মধ্য দিয়ে আমরা মুগ্ধতার দিকটি যত স্পষ্ট করে পেয়েছি ততটা পাইনি এর বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ। নদী, পাহাড়, ফুল, গাছগাছালি, পাখি এসব নিয়েও কিছু গ্রন্থ যে বাংলা ভাষায় রচিত হয়নি তা কিন্তু নয়। তবে এসব গ্রন্থের মধ্য দিয়ে আমরা এদের বর্ণনামূলক বিষয়-আশয়ই বেশি পেয়েছি। আমাদের প্রাকৃতিক ও জীব পরিবেশ কীভাবে নষ্ট হচ্ছে এবং এদের রক্ষা করার কৌশল কি হতে পারে তা নিয়ে আমাদের মাতৃভাষায় রচনা বড় কম। আমাদের নানা স্তরের পাঠ্যপুস্তকে এসব বিষয় এখন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বটে তবে এসব বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজন জনপ্রিয় বিজ্ঞান নিবন্ধ বা প্রবন্ধ প্রকাশ। আমাদের প্রকৃতি ও জীবজগতের এসব কঠিন বাস্তবতাকে সবার বোধগম্য করে তুলে ধরার জন্য প্রয়োজন বাংলা ভাষায় গ্রন্থ রচনা। আমাদের প্রকৃতি ও জীবজগৎ নিয়ে যে আনন্দময় ও উচ্ছ্বসিত প্রকাশ আগামী প্রজন্মের জন্য তা ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। আমাদের লেখনীর মধ্য দিয়ে এসব ব্যবস্থাপত্রের বিষয়-আশয়ও অবশ্যই তুলে আনা বড় আবশ্যক হয়ে পড়েছে।

নদী-নালা, খাল-বিল আজ মরতে বসেছে। আমাদের অপরিকল্পিত কর্মকাণ্ড আর তাৎক্ষণিক কিছু অর্জনের আকাক্সক্ষা আমাদের এসব প্রাকৃতিক জলাশয়কে বিপর্যস্ত করে তুলছে। বিপর্যস্ত করছে একইসঙ্গে আমাদের জলজ পরিবেশকে। জলে বাস করা মৎস্যকূল আর জলজপ্রাণীর জন্য তা হয়ে উঠেছে বিপদ সংকুল। জলজ গাছগাছালিও পড়ছে মারাত্মক হুমকির মুখে। আমাদের আনন্দের উৎস যে, পাখপাখালি এবারও ক্রমশ পড়ছে বিপদের মুখে। কমছে এদের বসবাসের আশ্রয়স্থল, কমছে এদের খাদ্যের উৎসও। নিরাপদ প্রজনন কর্মকাণ্ড এদের বিঘ্নিত হচ্ছে। আমাদের নিধনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনবনানীও। এমনকি প্রাকৃতিক বন আজ দেদারছে উজাড় হচ্ছে। আমাদের বনে বাস করা পশুপাখি হারাচ্ছে তাদের আবাসস্থল। বৃক্ষরোপণ হচ্ছে বটে ঘটা করে, তবে এতে সংযোজিত হচ্ছে অনেক বিদেশী বৃক্ষ। আমাদের পাখপাখালির জন্য এদের অনেকেই বড় অচেনা। বনবনানী আমাদের অনেক ফসলাদির বুনো আত্মীয়স্বজনের আবাসস্থল। এদের আবাসস্থল নষ্ট হওয়ায় এসব মূল্যবান জিন সম্পদও দ্রুত বিলুপ্ত হচ্ছে। এসব কথা আজ আমাদের তুলে আনতে হবে নানা লেখায়। প্রকৃতি ও জীবন নিয়ে আমাদের যে আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ তাকে তুলে আনতে হবে। আমাদের শিল্প-সাহিত্যে কেবল এর নান্দনিকতা নয়, তুলে আনতে হবে এর অনান্দনিক কর্মকাণ্ডকেও যা আমাদের চিরচেনা জানা পরিবেশকে বিনষ্ট করছে। মাতৃভাষায় সহজবোধ্য করে এসব কথা ছড়িয়ে দিতে হবে মানুষের মধ্যে। কঠিন নিরস পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে কেবল সীমাবদ্ধ না রেখে গণমানুষকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর লেখালেখি। প্রচুর প্রবন্ধ-নিবন্ধ আর গ্রন্থ রচনা ও তার সুলভ প্রকাশনা।

প্রকৃতি আর জীবজগতের রূপমুগ্ধ মানুষ আমরা। এর কত বিষয়-আশয় উঠে এসেছে আমাদের শিল্পীদের তুলির আঁচড়ে। আমাদের ভাবনার জগতে এদের জন্য রয়েছে এক গোপন নিবাস। আজ তাকে আমাদের শানিত করে তুলতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রয়াসই কেবল রক্ষা করতে পারে আমাদের বিপন্ন প্রকৃতি ও জীবজগৎ। আর সবাইকে এগিয়ে আসার জন্যই প্রয়োজন সচেতনতা সৃষ্টি। সে কাজটি করতে হলে প্রয়োজন আরও বেশি জীবনঘনিষ্ঠ লেখালেখি। আর তার উত্তম ও সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম হল আমাদের বাংলা ভাষা।

আজকে দিয়েছি আমার চারপাশের প্রকৃতি রচনা আশা করি উপকৃত হয়েছেন আপনারা।

Read more: (৫টি রচনা) নারীর অধিকার রচনা

 

 

 

রূপসী বাংলাদেশ রচনা, আমাদের গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রচনা, বাংলাদেশের প্রকৃতি ও পরিবেশ, প্রবন্ধ রচনা রূপসী বাংলাদেশ, আমার দেখা একটি দর্শনীয় স্থান রচনা, বাংলাদেশের প্রকৃতি চতুর্থ শ্রেণি প্রশ্নের উত্তর, বাংলাদেশের প্রকৃতি রচনা পঞ্চম শ্রেণি বাংলার প্রকৃতি রচনা,

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রচনা, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে ৫টি বাক্য, প্রবন্ধ রচনা রূপসী বাংলাদেশ বাংলাদেশের, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে ১০ টি বাক্য, বাংলার প্রকৃতি, গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুচ্ছেদ, বাংলাদেশের সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য, বাংলাদেশের প্রকৃতি অনুচ্ছেদ চতুর্থ শ্রেণি,

Leave a Reply