‘লিটন হবে বাংলাদেশের মেগাস্টার’

নিউজিল্যান্ডের ব্পিক্ষে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দারুণ এক ইনিংস খেলছিলেন লিটন দাস। তার একেকটি শট যেন মনে হচ্ছিল শিল্পীর তুলিতে আঁকা কোনও ছবি! সমান্তরালে গতিময় স্ফুলিঙ্গও স্পষ্ট হয়ে ধরা দিয়েছে। পুরো মাঠ জুড়েই খেলেছেন দৃষ্টিনন্দন শট। অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে খেলে তুলে নিয়েছিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তার এমন ইনিংসে প্রশংসা ঝরেছে ক্রিকেটপ্রেমী থেকে শুরু করে সাবেক অনেক ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকারের কণ্ঠে। বাংলাদেশের অধিনায়ক মুমিনুল হকের কণ্ঠেও ছিল স্তুতি।

 

খালেদ মাহমুদ সুজন তো স্পষ্ট করে বলেই দিলেন, ‘লিটন হবে বাংলাদেশের মেগাস্টার।’ ড্রেসিংরুমে বসে লিটনের সেঞ্চুরি উপভোগ করার পর তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর।

 

 

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে খালেদ মাহমুদ সুজন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘লিটনের বয়স যখন ১৩ বছর, তখন আমিই বোধ হয় ওর প্রথম কোচ ছিলাম। ছোট্ট লিটন প্যাড পরলে মনে হতো ব্যাটিং প্যাড হয়ে গেছে! লিটনকে ওই সময় থেকে দেখছি। লিটনের ব্যাটিং বরাবরই দৃষ্টিনন্দন। একেকটা মানুষ একেকরকম হয়। একেকজনের মানসিকতা একেকরকম হয়। লিটনকে বুঝতে হবে, ও কী চায়।’

 

 

কিউইদের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার ছিলেন লিটন দাস। দুই ম্যাচের সিরিজে তার সংগ্রহ ছিল ১৯৬ রান। এর মাঝে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ইতিহাস গড়ে জেতা টেস্টে খেলেছেন ৮৬ রানের ইনিংস। ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন ১০২ রানের ইনিংস। তাতেই জায়গা করে নিয়েছেন আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের ১৫তম স্থানে।

 

খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন, লিটন মেগাস্টার হবে। তার কথায়, ‘লিটন বাংলাদেশের মেগাস্টার হবে, এটুকুই বলতে চাই শুধু। সে দারুণ খেলোয়াড়, নতুন করে বলার কিছু নেই। নিউজিল্যান্ডে যে দুটি ইনিংস খেলেছে লিটন, প্রতিপক্ষ বোলারদের বোলারই মনে হয়নি।’

Leave a Reply