লিভ টুগেটার: বিয়ে না করেও একসাথে থাকছেন বাংলাদেশের যে নারী-পুরুষেরা

কার্টুনে যুগল জীবন

 

ধরা যাক, ঢাকার বাসিন্দা ছেলেটির নাম ‘ক’ আর মেয়েটির নাম ‘খ’। বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে দুইজনের পরিচয়।

 

”প্রথমে আমরা বন্ধু ছিলাম, সেখান থেকে ভালো লাগা শুরু। আমরা বেশ ক’বছর রিলেশনে ছিলাম। তারপরে আমরা ভাবলাম, যেহেতু আমাদের একটা পার্মানেন্ট রিলেশনে যাওয়া বা বিয়ের ব্যাপারে একটা চিন্তাভাবনা হচ্ছে নিজেদের ভেতরে, তখন ভাবছিলাম যে, সেটা পসিবল কিনা বা আমরা পরস্পরের জন্য ঠিক আছি কিনা। সেটা বোঝার জন্যেই একসঙ্গে থাকতে শুরু করা,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন ‘খ’।

 

বাংলাদেশে গত এক দশক ধরে উন্নত অনেক দেশের মতো বিয়ে বা সামাজিকভাবে স্বীকৃত সম্পর্কের বাইরে গিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়েদের একত্রে বসবাস বা লিভ টুগেদারের চল দেখা যাচ্ছে।

 

পশ্চিমা দেশগুলোতে যদিও লিভ টুগেদার সামাজিকভাবে স্বীকৃত, কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণশীল সমাজে ছেলে-মেয়ের বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক বা একত্রে থাকা ভালো চোখে দেখা হয় না।

 

ফলে বাংলাদেশে এখনো এ ধরনের সম্পর্ক খুবই সীমিত পরিসরে এবং গোপনে রয়েছে। তবে বিশ্বায়ন ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের সম্পর্কের সংখ্যা ধীরে হলেও বাড়ছে বলে সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন।

 

কেন লিভ টুগেটারের প্রতি যুগলদের আগ্রহ

এই বিষয়ে বিবিসি বাংলার কথা হয়েছে ঢাকায় বসবাসকারী দুই যুগলের সঙ্গে, যারা প্রচলিত সম্পর্কের বাইরে গিয়ে একত্রে বসবাস করছেন।

 

তাদের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার স্বার্থে কারও নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।

 

‘ক’ বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, ”আমাদের বিয়ের ব্যাপারে দুই পরিবারই প্রাথমিক সম্মতি জানিয়েছে । কিন্তু যখন আমরা দ্বৈত-জীবন শুরু করি এসব চিন্তা মাথায় ছিল না। দুই পরিবারই তুলনামূলক রক্ষণশীল হওয়ায় তখন এতটা অন্তরঙ্গতা মেনে নিতেন না। তাই আমরা পরিবার এ সংক্রান্ত কিছুই জানতে দেইনি। পরস্পরের বোঝাপড়া দারুণ ছিল তাই পারিবারিক স্বীকৃতির কথা না ভেবেও আমরা একসাথে থাকা শুরু করেছিলাম।”

 

যেভাবে হৃদয় ভঙ্গের বেদনা সামলাতে পারেন

বিয়েতে কি শারীরিক সম্পর্ক থাকতেই হবে?

কীভাবে গড়ে তুলবেন, ধরে রাখবেন দু’জনের সম্পর্ক?

বাংলাদেশে এখন অনেক যুগল বিবাহিত না হয়েও একত্রে বসবাস করছেন

ছবির ক্যাপশান,

বাংলাদেশে এখন অনেক যুগল বিবাহিত না হয়েও একত্রে বসবাস করছেন

 

বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের চাকুরীজীবী একজন তরুণী বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ”একত্রে চাকরি করতে গিয়ে আমাদের দুজনের দুজনকে ভালো লাগে। কিন্তু ওর পরিবারে অনেক দায়িত্ব রয়েছে, এখন তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয়। আমিও এখনি বিয়ে করতে চাই না।”

 

ঢাকার একটি অভিজাত এলাকায় তারা একটি ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে থাকেন। ভাড়া নেয়ার সময় তারা স্বামী-স্ত্রী হিসাবে থাকবেন বলে পরিচয় দিতে হয়েছে।

 

এই তরুণী বলছিলেন, ”আমাদের দুজনকেই ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হতো। তখন ভাবলাম, তাহলে একসাথেই কেন থাকি না। দুজনের খরচ যেমন কমনে, পাশাপাশি দম্পতি হিসাবে আমরা কেমন হবো, বোঝাপড়া কেমন হবে, সেটাও পরিষ্কার হবে। এসব ভেবেই একসঙ্গে বাসা ভাড়া করে থাকতে শুরু করি।”

 

তবে দুজনের পরিবার তাদের একত্রে থাকার বিষয়ে এখনো জানে না।

 

লিভ টুগেদারে আগ্রহ কতটা বেড়েছে?

লিভ টুগেদারে বাংলাদেশের যুগলরা কতটা আগ্রহী হয়ে উঠেছে, এ নিয়ে বাংলাদেশে এখনো কোন গবেষণা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে যখন যুগলদের মধ্যে নানা সমস্যা দেখা দেয়, তখন তাদের পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে কোন আইনগত বা সামাজিক সম্পর্কের বাইরে গিয়ে এভাবে একত্রে বসবাসের বিষয়টি বেরিয়ে আসে।

 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

তথ্য সূত্র বিবিসি

Leave a Reply