শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া নিয়ে রশি টানাটানি বন্ধ করুন

“শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া নিয়ে রশি টানাটানি বন্ধ করুন “১৮ আগস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে ভার্সুয়াল সভা করে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। মাঠ পর্যায়ে প্রস্তুতি চলছে। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী অক্টোবরের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয়ের খুলে দেওয়ার কথা বলেছেন। সেই লক্ষ্যে ১৮ উর্ধব শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ১৭ মার্চ ২০২০ খ্রি. থেকে অতিমারি করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। অ্যসাইনমেন্ড চালু করার সাথে সাথে আমরা তা বাস্তবায়নে শতভাগ চেষ্টা করছি। করোনা কালীন অ্যসাইনমেন্ড ব্যবস্থা অন্যান্য ব্যবস্থা থেকে বেশি কার্যকর হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে নানা জন নানা মন্তব্য করলেও আমরা শিক্ষক সমাজ সরকারের প্রতি আস্তা রেখেছি। সরকার যেটা করেছে সেটা শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবকসহ দেশের মানুষের সার্বিক মঙ্গলের জন্য করেছে। আমরা মাঝে মাঝে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ক্ষতি কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা বলেছি।আবার শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয় চিন্তা করে, অভিভাবকদের উদ্বেগের কথা বিবেচনা করে নিবৃত থেকেছি।প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বন্ধ বাড়িয়ে ১১সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় গতকাল বলেছেন আগামী সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে সংক্রমণের হার আর একটু কমলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। শুনে আমরা খুশি হলাম। সরকারের গ্রহীত সকল ব্যবস্থার প্রতি জনগণের বিশ্বাস আছে। আমরা মাঝে মাঝে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলি, বিভ্রান্ত হই।যখন দেখি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক ব্যাক্তিবৃন্দ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। আমার মনেহয় আমাদের সময় এসেছে অতিকথন বন্ধ করার। এ সকল কথা মানুষ বুঝে।সাধারণ মানুষকে কোন বিষয় বেশি দিন বোকা বানিয়ে রাখা যায় না। ইতিহাস কিন্তু তাই বলে। দেশের মানুষ যেমন বিশ্বাস করে না যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এত খাবার হয়েছে যে পদ্মা সেতুর উপর উঠলেই সেতু ভেঙে যাবে।সেই কথা যতবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বলুক না কেন? তেমনি ভাবে মানুষ এটাও বিশ্বাস করে না যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেই সেখান থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে। কেউ উস্কে দিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম সৃষ্টি করতে পারে না। বাংলাদেশ সৃষ্টির পূর্বে বা পরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে সরকার পতনের আন্দোলন হয়েছিল তার প্রত্যেকটি আন্দোলনের পিছনে যুক্তি ছিল। অযৌক্তিক কোন বিষয় নিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হয়নি কোন দিন হবেও না।এ সমস্ত বিভ্রান্তি না ছড়ানো ভালো। শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে দুটি বছর হারিয়ে গেল। তারা তীর্থের কাকের মতো চেয়ে আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দিকে। সরকার দলীয় নেতাদের কথার রেশ টেনে বিরুধী দলের মহাসচিব বলে দিলেন শুধু আন্দোলন কর্মসূচি ঠেকানোর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে খুলে না দিলে তারা আন্দোলনে যাবে। এত দিন কোথায় ছিলেন? কতো আন্দোলনের তারিখ দিলেন? কোনটি আলোর মুখ দেখে নাই। আপনাদের এ নিয়ে রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে রশি টানাটানি বন্ধ করুন, রাজনীতি করা বন্ধ করুন। আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পক্ষে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় যে বলেছেন বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে যত তারাতারি সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিবে।আমার বিশ্বাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অতি অল্প সময়ের মধ্যে খুলে দেওয়া হবে। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় যখন খুলবেন তখনই আমরা প্রস্তুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য, শিক্ষার্থীদের কাছে পাওয়ার জন্য।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার অপেক্ষায় রইলাম

অপেক্ষারত পুরো শিক্ষা পরিবার

দুলাল চন্দ্র চৌধুরী

সাংগঠনিক সম্পাদক

কেন্দ্রীয় কমিটি

বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ।

Leave a Reply