Deprecated: Function WP_Dependencies->add_data() was called with an argument that is deprecated since version 6.9.0! IE conditional comments are ignored by all supported browsers. in /home/amadersa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6131
শিশুর জন্মগত ত্রুটি ও করণীয় শিশুর জন্মগত ত্রুটি ও করণীয়

শিশুর জন্মগত ত্রুটি ও করণীয়

জন্ম থেকেই মানুষের কোনো ত্রুটি থাকলে তা জন্মগত ত্রুটি। গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের মধ্যে শিশুর সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসহ সম্পূর্ণ অবয়ব তৈরি হয়। আর জন্মগত ত্রুটিগুলো এই সময়েই হয়। ফলে শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, মানসিক বিকাশ বাধা পায় বা প্রতিবন্ধিতা হতে পারে।

বিশ্বে প্রতি ৩৩ জনে একজন শিশু কোনো না কোনো জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মায়। নবজাতকের ২১ শতাংশ মৃত্যুই জন্মগত ত্রুটির কারণে হয়। ২০১৫ সালের হিসাব মতে, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৯ কোটি ৬০ লাখ শিশু কোনো না কোনো জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মায়। এর মধ্যে প্রায় ছয় লাখ ৩২ হাজার শিশু মারা যায়। বেশি মারা যায় হৃৎপিণ্ডে জন্মগত ত্রুটি নিয়ে। আশার কথা, চিকিৎসার মান উন্নত হওয়ায় এই ত্রুটিজনিত মৃত্যুর সংখ্যা এখন কমছে।

কারণ

কোনো জন্মগত ত্রুটিরই সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে যেসব কারণকে সন্দেহ করা হয় তার মধ্যে কিছু হলো :

♦ বংশগত (মা, বাবা)।

♦ নিকট আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে।

♦ মা-বাবার অতি অল্প বয়স বা অধিক বয়স (২০ বছরের কম বা ৩৫ বছরের বেশি)।

♦ পরিবেশদূষণ, তেজস্ক্রিয়তা।

♦ গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড, ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘বি’ ইত্যাদির স্বল্পতা।

♦ গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা, পুষ্টিহীনতা, স্থূলতা।

♦ মা বা বাবার তামাক, ধূমপান, মদ ইত্যাদির নেশা।

♦ মায়ের গর্ভে পানির স্বল্পতা।

♦ গর্ভাবস্থায় ভুল ওষুধ সেবন।

♦ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, যেমন—ঘুমের ওষুধ, বেদনানাশক, মানসিক রোগ, মৃগীরোগের ওষুধ, বিভিন্ন প্রকার কবিরাজি, হোমিও ওষুধের প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।

♦ গর্ভাবস্থায় কোনো জটিল রোগ, যেমন—ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, জীবাণু সংক্রমণ ইত্যাদি।

♦ গর্ভাবস্থায় দারিদ্র্য, মানসিক অশান্তি ইত্যাদি।

কিছু ভুল ধারণা

অনেকের মনে ধারণা, চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ, গর্ভাবস্থায় মাছ, মাংস, তরকারি কাটা, কাটা ঠোঁট ও ফাটা তালু রোগী দেখা, জিন/ভূতের আছর, মা-বাবার কর্মফল, তাবিজকবচ, কারো অভিশাপ ইত্যাদির কারণে জন্মগত ত্রুটি হয়। এসব ভ্রান্ত ধারণা, যার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

ধরন

শারীরিক গঠন, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ, বিপাকজনিত বা একাধিক কারণে জন্মগত নানা ত্রুটি হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :

হাত-পায়ের ত্রুটি

অধিক আঙুল, স্বল্প আঙুল, জোড়া আঙুল, ছোট আঙুল, কাঁকড়ার মতো আঙুল, হাত বা পা না থাকা, মুগুর পা, অ্যামনিওটিক ব্যান্ড সিনড্রোম, ক্লাব হ্যান্ড, জন্মগত হিপ জয়েন্ট ডিজলোকেশ ইত্যাদি জন্মগত ত্রুটি হয়। এসবের বড় ত্রুটির ক্ষেত্রে দৈনন্দিন কাজকর্মে সমস্যা হয়, এমনকি অনেকে প্রতিবন্ধীও হয়। সামাজিক ও মানসিক সমস্যা তো আছেই।

চিকিৎসা ও করণীয় :

বাঁকা হাতের ক্ষেত্রে জন্মের পর থেকে নির্দেশিত ব্যায়াম করানো এবং এক বছর বয়সে প্রয়োজনীয় অপারেশন করানো আবশ্যক। অধিক আঙুল, জোড়া আঙুল, অ্যামনিওটিক ব্যান্ড সিনড্রোম ইত্যাদির জন্য এক বছর বয়সের মধ্যেই প্রয়োজনীয় অপারেশন করানো ভালো। তবে ছোট আঙুল, কাঁকড়ার মতো আঙুল ইত্যাদির ক্ষেত্রে অনেক সময় কিছু করার থাকে না। হাতের আঙুল না থাকলে পায়ের আঙুল হাতে প্রতিস্থাপন করা যায়। আবার হাত বা পা না থাকলে কৃত্রিম হাত-পা সংযোজন করে তার সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোজন ঘটিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্মও করা যায়।

আবার মুগুর পা বা পায়ের পাতা বাঁকা হলে জন্মের পরপরই চিকিৎসা শুরু করতে হয়। যেমন—ব্যায়াম, সাত দিন পর থেকে সিরিয়াল প্লাস্টার ইত্যাদি। অনেক সময় অপারেশন ছাড়াই শিশু সম্পূর্ণরূপে সুস্থ-স্বাভাবিক হয়ে যায়।

হৃৎপিণ্ডে ত্রুটি

হৃৎপিণ্ডের পর্দায় ছিদ্র, আটারিওসাস, টেট্রালজি অব ফ্যালটস ইত্যাদি সমস্যা থাকলে শিশু কাঁদলে নীল হয়ে যায়। খাবার কষ্ট, শরীর কম বাড়া, ঘন ঘন শ্বাসতন্ত্রে প্রদাহ, শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি, অজ্ঞান ইত্যাদি হতে পারে। রোগীর ইতিহাস, শারীরিক পরীক্ষা ডপলার আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে সঠিক রোগ নির্ণয় করা হয়।

চিকিৎসা ও করণীয় : আকারে ছোট হলে সাধারণত এক বছর বয়সের মধ্যে আপনা-আপনি ছিদ্র ভালো হয়ে যায়। ভালো না হলে ডিভাইস লাগানো যায় বা অপারেশন করাতে হয়।

রক্তনালির সমস্যা

রক্তনালির বিভিন্ন ধরনের জন্মগত সমস্যা থাকতে পারে, যেমন—জন্মদাগ, রক্তনালির টিউমার বা হিমাঞ্জিওমা, রক্তনালির গঠনগত সমস্যা ইত্যাদি। জন্মদাগ আকারে ছোট হলে কোনো সমস্যা হয় না, কিন্তু বড় হলে দেখতে অসুন্দর লাগে। রক্তনালির টিউমার বা হিমাঞ্জিওমা, রক্তনালির গঠনগত সমস্যা ইত্যাদি চেহারার বিকৃতি, এমনকি জীবন সংশয়ও ঘটাতে পারে।

চিকিৎসা ও করণীয় :

জন্মদাগের সাধারণত কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে বেশি বড় হলে কিংবা অসুন্দর লাগলে প্লাস্টিক সার্জারি করাতে হয়। রক্তনালির টিউমার বা হিমাঞ্জিওমা এক বিশেষ ধরনের টিউমার, যা এক থেকে ১২ বছরের মধ্যে অনেক সময় আপনা-আপনিই ভালো হয়ে যায়। তবে এক বছর বয়স পর্যন্ত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হয়।

এ সময় টিউমার যদি অস্বাভাবিক বড় হতে থাকে, তখন চিকিৎসা করাতে হবে। টিউমার ছোট থাকতে অপারেশন করানোই শ্রেয়। রক্তনালির গঠনগত সমস্যা আবার বিভিন্ন রকম হতে পারে। রোগের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা, তবে বেশির ভাগ সময়ই বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করে অপারেশন ছাড়া ভালো করা যায়।

কাটা ঠোঁট

শুধু ঠোঁট কাটা হলে সৌন্দর্যহানি ও সামাজিক সমস্যা ছাড়া আর কোনো অসুবিধা হয় না। জন্মের পর যেকোনো বয়সে অপারেশন করানো যায়। তবে অল্প বয়সে অপারেশন করালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

ফাটা তালু বা টাকরা

ফাটা তালু হলে খাবার খেতে গেলে নাক দিয়ে খাবার চলে আসে বা ফুসফুসে চলে যায়। রোগীর ঘন ঘন শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ, যেমন—সর্দি-কাশি, মারাত্মক নিউমোনিয়া ইত্যাদি হতে পারে, অনেকে মারাও যায়। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক কান পাকা থাকতে পারে। ফলে রোগী বধির হয়ে যেতে পারে। বড় হলে ঠিকমতো কথা উচ্চারণ করতে পারে না। যেটুকু উচ্চারিত হয়, তা-ও নাকে নাকে। ফলে কথা অন্যরা বুঝতে পারে না।

চিকিৎসা ও করণীয় : শিশুর কথা বলা শুরুর আগে অর্থাৎ ছয় থেকে ৯ মাস বয়স হলো অপারেশনের সঠিক সময়। তবে দেরিতেও করানো যায়। কিন্তু দেরিতে অপারেশন করালে রোগীর কথা বলা পুরোপুরি ঠিক হয় না।

কানের সামনে ছিদ্র

এটা হলে দেখতে অসুন্দর লাগে। অনেক সময় বারবার পেকে বিশ্রী দাগ হয়। পেকে যাওয়ার আগেই অপারেশন করে নেওয়া ভালো।

ছোট কান

ছোট কান হলে দেখতে অসুন্দর হয়, মানসিক পীড়া বাড়ে। অনেক সময় ওই কানে শোনা যায় না। রোগের বিস্তৃতি অনুযায়ী চিকিৎসা রয়েছে। ১০-১২ বছর বয়সে রোগীর বুকে তরুণাস্থি নিয়ে অথবা কৃত্রিম জিনিসের সাহায্যে কান পুনর্গঠন করা যেতে পারে। এ ছাড়া লতি কাটা থাকলে অল্প বয়সে অপারেশন করানো ভালো।

বড় মাথা

মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক পানি জমার ফলে এমন হয়। জন্মগত সমস্যা অথবা কোনো রোগ, যেমন—মেনিনজাইটিস ইত্যাদির কারণে অনেক সমস্যা দেখা যায় অর্থাৎ শিশুর মাথা বড় হতে থাকে। এই রোগ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অপারেশন করানো ভালো। সময়মতো চিকিৎসা না করালে শিশুর বুদ্ধিমত্তা হ্রাস, এমনকি অকালমৃত্যুও হয়।

ছোট মাথা

ছোট মাথার জন্য অনেক সময় কোনো সমস্যা না-ও হতে পারে। আবার মাথা বেশি ছোট হলে বুদ্ধিমত্তা হ্রাস, শারীরিক গড়ন ছোট, এমনকি অকালমৃত্যুও হতে পারে। এই রোগের সঠিক কোনো চিকিৎসা নেই। এদের যত্ন নিতে হয়।

খাদ্যনালি-শ্বাসনালির ত্রুটি

খাদ্যনালি ও শ্বাসনালির গঠনতান্ত্রিক সমস্যা। জন্মের পরপরই বোঝা যায়। শিশু খেলেই সঙ্গে সঙ্গে বমি হয়, শ্বাসকষ্ট হয়, অনেক সময় ঠোঁট কালো হয়। বিশেষ ধরনের এক্স-রের মাধ্যমে সঠিকভাবে ত্রুটির ধরন নিরূপণ করে দ্রুত অপারেশনই একমাত্র চিকিৎসা।

অন্ত্রের অসম্পূর্ণতা

কদাচিৎ এ ধরনের সমস্যা হয়। অন্ত্রের এক বা একাধিক স্থান জন্মগতভাবে অসম্পূর্ণ থাকে। জন্মের পর আস্তে আস্তে রোগীর পেট ফুলে উঠতে থাকে, পায়খানা হয় না, খেলেই বমি হয়। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এক্স-রের মাধ্যমে রোগ নিরূপণ করে পেটে অপারেশন করাতে হয়। অন্ত্রের ত্রুটির ধরনের ওপর নির্ভর করে অপারেশনের ফল।

নাভির সমস্যা

নাভির অসম্পূর্ণতা, নাভির সঙ্গে অন্ত্রের ও মূত্রথলির সংযোগ, হার্নিয়া, নাভির পাশের হার্নিয়া ইত্যাদি সমস্যা নাভিতে থাকতে পারে। আবার নাভি ও তার পাশে পেটের কিছু অংশ নিয়ে পেটের চামড়া, মাংসপেশি সঠিকভাবে গঠিত হয় না। ফলে নাড়িভুঁড়ি পেট থেকে বের হয়ে যায়।চিকিৎসা ও করণীয় : এসব ত্রুটি ছোট হলে অনেক সময় অপারেশন ছাড়াই ভালো হয়। বড় ত্রুটির ধরন অনুযায়ী অপারেশনের সময় ঠিক করা হয়। অনেক সময় জন্মের পরপরই অপারেশন করাতে হয়।এ ছাড়া নাভিতে মাংসপিণ্ড, নাভির সঙ্গে অন্ত্রের সংযোগ, নাভির সঙ্গে মূত্রথলির সংযোগ, নাভির হার্নিয়া ইত্যাদি সমস্যা থাকে। এসব সমস্যা অনেক সময় শিশু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন লাগে।

মূত্রতন্ত্রের সমস্যা

মূত্রতন্ত্রে বিভিন্ন ধরনের গঠনগত সমস্যা থাকতে পারে, যেমন—পেলভি-ইউরেটারিক সংযোগ বন্ধ, রেনাল সিস্ট, ইকটোপিক কিডনি, ঘোড়ার খুরাকৃতি কিডনি, দ্বৈত রেনাল পেলভিস, দ্বৈত ইউরেটার, ভেসিকো ইউরেটারিক সংযোগ বন্ধ, একটপিক ইউরেটার, পোস্টেরিওর ইউরেথ্রাল ভালভ, দ্বৈত মূত্রনালি ইত্যাদি।চিকিৎসা ও করণীয় : এসব ত্রুটির সঙ্গে সাধারণত মূত্রনালির প্রদাহ হয়ে থাকে, যা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে কিডনি বা বৃক্ক স্থায়ীভাবে বিকল হয়ে যেতে পারে। মূত্রতন্ত্রের গঠনগত বা জন্মগত প্রায় সব রোগেরই চিকিৎসা অপারেশন। অবহেলা করলে বা দেরিতে অপারেশন করালে এক বা দুটি কিডনিই স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

মূত্রথলির ত্রুটি

এতে মূত্রথলির সামনের অংশ ঝুলে থাকে। ফলে রোগী প্রস্রাব ধরে রাখতে পারে না। সারাক্ষণ ত্রুটিযুক্ত অংশ দিয়ে প্রস্রাব ঝরতে থাকে। অনেক সময় এর সঙ্গে যৌনাঙ্গের ত্রুটিও থাকে। দৈনন্দিন সমস্যা ছাড়াও বড় হলে এসব ত্রুটির কারণে কিডনি রোগ, এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে।জন্মের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপারেশন করালে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে পরবর্তী সময়েও অপারেশন করানো যায়।

বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশজনিত ত্রুটি

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, আচরণগত সমস্যা, ঠিকমতো কথা বলতে না পারা, অটিজম, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি ইত্যাদি বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশজনিত ত্রুটির যদিও কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তবে সঠিক যত্ন, স্পিচ থেরাপি, আচরণগত, বিশেষায়িত শিক্ষা ইত্যাদির মাধ্যমে অনেককেই স্বাভাবিকের কাছাকাছি ফিরে আনা যায়। এ ছাড়া জন্মগত হাইপোথাইরডিজম, ফিনাইল কিটোনরিয়া ইত্যাদি ত্রুটি হয়। ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসায় ভালো হয়।

জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে করণীয়

সতর্ক হয়ে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারলে জন্মগত ত্রুটি অনেকাংশেই কম হয়। যেমন :

♦ গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শে থাকা।

♦ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা।

♦ গর্ভাবস্থায় মায়ের মানসিক প্রশান্তি।

♦ গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড, ভিটামিন ‘বি’ ইত্যাদি ভিটামিনজাতীয় খাবার গ্রহণ।

♦ তামাক, ধূমপান, মদ ইত্যাদি পরিহার।

♦ নিকট আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে পরিহার।

♦ সঠিক বয়সে সন্তান ধারণ (২০-৩৫ বছর)।

♦ বিয়ের আগে/সন্তান ধারণের আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ।

♦ কুসংস্কার থেকে দূরে থাকা।

♦ অপ্রতিকারযোগ্য মারাত্মক বিকৃত শিশুকে গর্ভপাত করা।

♦ শিশু জন্মের পরপরই তার নাক, কান, চোখ, মুখ, মুখগহ্বর, মাথা, হাত, পা, যৌনাঙ্গ, মলদ্বার ইতাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেখে নিতে হবে। কোনো অসংগতি দেখলেই সঙ্গে শিশু সার্জনের কাছে নেওয়া উচিত।

♦ এ ছাড়া জন্মের পর শিশুর বাড়ন্ত অবস্থায় কোনো প্রকার শারীরিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক কোনো অসংগতি দেখা গেলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কেননা অনেক জন্মগত ত্রুটিই দেরিতে চিকিৎসা করালে আর সম্পূর্ণরূপে ভালো করা যায় না।

তথ্যসূত্র:- কালের কন্ঠ

 

আরও পড়ুন:বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের পক্ষ থেকে ফটিকছড়ি উপজেলার নবগঠিত পূর্নাঙ্গ কমিটির সকল নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

 

ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।

Leave a Reply