সংবাদ সম্মেলন: বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের শতভাগ উৎসব ভাতা ও জাতীয়করনসহ ৫ দফা আদায়ের লক্ষ্যে

আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২খ্রি. শুক্রবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সভাপতি জনাব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ মজিবুর রহমান বাবুল। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব দুলাল চন্দ্র চৌধুরী এবং সহসভাপতি জনাব মোহাম্মদ শফি উদ্দিন।
বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের
সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার পূর্বে সকাল ১০টায় বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাদের বক্তব্য শুরু হয়।উক্ত আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি জনাব আহমেদ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ আবুল হোসেন মিলন, ঢাকা জেলার সভাপতি জনাব মোঃ এনামুল হক, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জনাব মোঃ কাজী গিয়াস উদ্দিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মোঃ মাসুম বিল্লাহ ,নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক জনাব আনোয়ার হোসেন, মুন্সীগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ জহিরুল ইসলাম আইয়ুব, খুলনা জেলা আব্দুর রহমান ,ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ আব্দুল জব্বার হাওলাদার, সহসভাপতি জনাব আব্দুর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব আলতাফ হোসেন নাজির, কুমিল্লা জেলার সভাপতি আব্দুল মতিন, সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক জনাব বদিউল আলম,সহ-সভাপতি অজিত কুমার তরফদার, কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জনাব মোঃ মোজাম্মেল সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আহসান হাবিব, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি প্রশান্ত কুমার সরকারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভা সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি জনাব ফেরদৌস হেলাল। নিম্নে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরা হল।

অদ্য ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২খ্রি. শুক্রবার বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ এর পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ।বাংলাদেশ বিভিন্ন উপজেলা, জেলা ও বিভাগ থেকে আগত প্রতিষ্ঠান প্রধানবৃন্দ,বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ সকলকে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও

অভিনন্দন।
বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের
আমি আমাদের দাবি দাওয়ার কথা বলার আগে আজ ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ১৯৫২ সালের ভাষা শহিদানদের। স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীর এ মহেন্দ্র ক্ষণে আমি আরও স্মরণ করছি মুক্তি সংগ্রামে আত্মদানকারী ৩০ লক্ষ শহিদদের,আড়াই লক্ষচ বীরাঙ্গনাদের এবং লক্ষ লক্ষ যুদ্ধাহত মুক্তি যোদ্ধাদের।মুজিব শতবর্ষের এই দিন শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে।সমান তালে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি সামরিক শক্তিতেও। শিক্ষা ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। স্বাধীনতা উত্তরকালে যত সরকার আসছে সব সরকারের আমলেই কমবেশি শিক্ষায় উন্নয়ন হয়েছে। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে জন নেত্রী শেখ হাসিনা আমলে।আমরা পেয়েছি আমাদের বহুল কাঙ্ক্ষিত শিক্ষানীতি, বিনামূল্যে পাঠ্যবই, মিড ডে মিল,ছাত্রীদের অবৈতনিক শিক্ষার সুযোগ।
আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন বাস্তবরূপ লাভ করছে। স্বাধীনতা উত্তরকালে যুদ্ধ বিধবস্ত বাংলাদেশে সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা কে জাতীয় করন করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন ছিল বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থার।সবার জন্য অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা। তাঁর অবাস্তবায়িত স্বপ্নের বাস্থবায়নই, তাঁর যোগ্য উত্তরসূরীর একমাত্র কাজ।কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করনে পরে প্রায় ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করন হচ্ছে না। আমরা শিক্ষক সমাজ বড় আশায় বুক বেধে ছিলাম স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীতে, মুজিব শত বর্ষে শিক্ষা ক্ষেত্রে সকল বৈষম্য নিরসনের ঘোষণা আসবে।আমাদের প্রত্যাশা বাস্তবায়নের ঘোষণা এখনও আসেনি।আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি মুজিব শত বর্ষ স্মরণীয় করে রাখার জন্য সে ঘোষণা আসবে।
বিশ্ব আজ অতিমারি করোনার করাল গ্রাসে বিপর্যস্ত। এর মধ্যে দিয়েও বাংলাদেশর অর্থনৈতিক অবস্থা পার্শ্ববর্তী যে কোন দেশের চেয়ে উন্নত। করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া জন্য সরকারের যে কোন নির্দেশনা স্বচ্ছন্দে মেনে নিব।আপনারা আমাদের প্রানের দাবি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমাদের স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিন।আমাদের প্রানের দাবি গুলো আপনাদের সদয় বিবেচনার জন্য পেশ করছি।
বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের
আমাদের দাবি সমুহ:-
০১.শতভাগ উৎসব ভাতা এবং বাড়ি ভাড়া প্রদান
০২. সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ন্যায় বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ষষ্ঠ গ্রেড এবং সহ প্রধানদের ৭ম গ্রেড প্রদান
০৩.মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহ প্রধানদের দুটি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের সুস্পষ্ট ঘোষণা প্রদান
০৪.বেসরকারি শিক্ষকদের ঐচ্ছিক বদলি এবং প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহ প্রধানদের এন.টি.আর. সি. এ এর মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা
০৫. মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ।
উপস্থিত সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ আপনাদের কাছে আমাদের বিনিত অনুরোধ আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থার গুণোগত ও টেকসই উন্নয়নের জন্য এ দাবিগুলো আপনারা আপনাদের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। অতীতও আপনারা আমাদের দাবি দাওয়ার কলম যুদ্ধ চালিয়েছেন।
বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ মনে প্রানে বিশ্বাস করি আমাদের এ দাবি দাওয়া আদায়ের জন্য আন্দোলন কর্মসূচি দিতে হবে না। মানবতার মা, মমতাময়ী জননী, বঙ্গবন্ধু দুহিতা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দাবি মেনে নিবেন। আমরা শিক্ষক আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শোভা পায়,আমরা রাজপথ যেতে চাইনা।রাজপথ আমাদের জন্য নয়।তবে আমাদের এ দাবি প্রতি সংবেদনশীল না হলে দাবির পক্ষে জনমত সৃষ্টির জন্য সৃজনশীল কর্মসূচি ঘোষণা করব।
তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ১১ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০টা প্রত্যেক জেলায় শিক্ষক বন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।
১৫ মার্চ প্রত্যেক জেলার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হবে।

Leave a Reply