সবার উপরে পুষ্পা, সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী কতো কোটি আয় করল

পুষ্পা পুষ্পা এবং পুষ্পা- চারদিকে যেন শুধু পুষ্পার জয়গান! গল্পের ধরন আর অভিনয়ের কারণে দক্ষিণী চলচ্চিত্রের আলাদা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে সিনেমাপ্রেমীদের কাছে। পুষ্পা সেই জনপ্রিয়তাকে এখন আকাশচুম্বী করে তুলেছে। গেল বছরে করোনা মহামারির কারণে ভারতের চলচ্চিত্রের বাজার তেমন রমরমা ছিল না। বছরের শেষ দিকে এসে অভিনেতা আল্লু অর্জুন এবং পরিচালক সুকুমার জুটি ছক্কা হাঁকালেন একের পর এক।

পুষ্পা : দ্য রাইজ পার্ট-১ ভারতীয় তেলেগু ভাষার ক্রাইম অ্যাকশন থ্রিলার চলচ্চিত্র, যা রচনা ও পরিচালনা করেছেন সুকুমার। প্রধান চরিত্রে আল্লু অর্জুন, রশ্মিকা মন্দানা, ফাহাদ ফজিল, প্রকাশ রাজ ও জগপতি বাবু অভিনয় করেছেন। এ ছাড়াও ছিলেন হরিশ উথামান, বেন্নেলা কিশোর এবং অনসুয়া ভরদ্বাজ।

 

কেবল তেলেগু নয়, হিন্দি ভাষাতেও চুটিয়ে ব্যবসা করছে আল্লু অর্জুনের ছবি ‘পুষ্পা :দ্য রাইজ’। হিন্দির পাশাপাশি তামিল, মালয়ালম এবং কন্নড় ভাষাতেও এর ডাবিং করে বাজারে ছাড়া হয়েছে। তাতেই চমক। সম্প্রতি বাণিজ্য বিশ্নেষক রমেশ বালা টুইট করে জানিয়েছেন, হিন্দিতে ডাবিং করা ‘পুষ্পা : দ্য রাইজ’ ছবিটি ১০০ কোটি টাকা লাভ করেছে।

বস্তির সেই মেয়ে এখন মাইক্রোসফটের বড় কর্মকর্তাসবার উপরে পুষ্পা, সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী কতো কোটি আয় করল

পাঁচটি ভাষাতেই প্রেক্ষাগৃহ মাতাচ্ছেন আল্লুর এ ছবিটি। শেষ সপ্তাহের রিপোর্ট অনুসারে ভারতে এই ছবি মোট ৩১৯ কোটির ব্যবসা করেছে। বিদেশে এই ছবির লাভের পরিমাণ ৩৫ কোটি। যোগ করলে মোট লাভ দাঁড়ায় ৩৫৪ কোটি। মহামারির মধ্যে একমাত্র ‘পুষ্পা’ই ৩০০ কোটির সীমানা পেরিয়েছে।

 

পুষ্পা সিনেমার সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হলো এর দুর্দান্ত সংলাপ, গল্পের টুইস্ট আর চমৎকার সিনেমাটোগ্রাফি ছিল চোখে লেগে থাকার মতো। তবে এ রকম মাসালা মুভিতে সবকিছুই লজিক মেনে হবে- এটা আশা করবেন না। অভিনয়ের কথা বলতে গেলে পুষ্পা চরিত্রে আল্লু অর্জুনকে দেখে মনে হয়েছে এ চরিত্রটি আসলে তার জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লু অর্জুনের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে এ মুভিতে নারী চরিত্রের তেমন গুরুত্ব নেই; এরপরও রাশমিকা তার স্ট্ক্রিন টাইমে সেরাটা দেখিয়েছেন।

 

লাল চন্দন কাঠের ব্যবসা করা একদল চোরাকারবারিকে দিয়ে শুরু হয় ‘পুষ্পা’র গল্প। এই চোরাকারবারিদের দলনেতা পুষ্পা। পুষ্পারাজ পুলিশ থেকে শুরু করে স্থানীয় মাফিয়াসহ কাউকেই খুব একটা পরোয়া করে না সে।

 

গল্প এগোয়। পিতৃপরিচয়হীন এক শিশু, যে বড় হচ্ছে মায়ের সঙ্গে, সঙ্গদোষে বখে যাচ্ছে, বড় হয়ে ছিঁচকে কাজ করতে করতে পুকুরচুরি করছে। পুষ্পার উত্থানের গল্পটা এ রকম। একের পর এক টুইস্ট পর্দা থেকে আপনার চোখ সরাতে দেবে না। মঙ্গলাম শ্রীনু ভিলেন হিসেবে এ মুভিতে অভিনয় দক্ষতায় দারুণ মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন।

 

 

পুষ্পা কতো কোটি আয় করলগল্পে শেষদিকে ‘বানওয়ার সিং শেখাওয়াত’ নামে ফাহাদ ফসিলের পুলিশ অফিসার যুক্ত হিসেবে এন্ট্রি দর্শকদের বেশ আনন্দ দিয়েছে। মুভির ‘উ আন্তভা’ ও শ্রিভাল্লি গানে সবাই এতটাই মজেছেন, গানের মুদ্রা অনেককেই করতে দেখা যাচ্ছে। বিপিএলে আজকাল প্রায় প্রতি ম্যাচেই তার দু-একটা প্রমাণ দেখা যাচ্ছে। আল্লু অর্জুনের সে মুদ্রা নকল করে ওয়ার্নার নিজেও এর মধ্যে টিকটক করে ফেলেছেন। সে ভিডিও ভাইরালও হয়েছে যথারীতি।

অথচ যে মুভি নিয়ে এত হৈচৈ, সে মুভি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন মুম্বাই এবং দক্ষিণ ভারতের অনেক বড় তারকা। পর্দায় ‘পুষ্পা’ হিসেবে প্রথমে মহেশ বাবুকে চেয়েছিলেন পরিচালক সুকুমার। ছবি নিয়ে কিছু দূর কথা এগোলেও শেষমেশ সরে আসেন মহেশ। চোরাকারবারির প্রেমিকা ‘শ্রীবল্লী’র চরিত্রেও প্রথম পছন্দ ছিলেন না রশ্মিকা মন্দানা। নায়িকার ভূমিকায় সামান্থা প্রভু ছিলেন প্রথম পছন্দ। নানা কারণে সামান্থারও আর ‘শ্রীবল্লী’ হয়ে ওঠা হয়নি। বরং ছবির একটি আইটেম গানে তাক লাগিয়েছেন তিনি। সেই গানটি যদিও প্রথমে প্রস্তাব গিয়েছিল দিশা পাটানির কাছে। কিন্তু সুকুমারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।

 

ফাহাদ ফাসিলকে ‘পুষ্পা’-এ ভয়ংকর ভানওয়ার সিং শেখাওয়াতের চরিত্রে দেখা মিলেছে। তবে এই চরিত্রের জন্য বিজয় সেতুপতি নাকি প্রথম পছন্দ ছিল নির্মাতাদের। বিজয় সেতুপতি ব্যস্ততম অভিনেতাদের মধ্যে একজন। নিজের টাইম শিডিউলের জন্য এই ছবির কাজ হাতছাড়া করেছিলেন তিনি। পুষ্পার আকাশছোঁয়া সাফল্য নিশ্চয়ই এখন তাদের আক্ষেপ বাড়াবে। সেই সঙ্গে অপেক্ষা বাড়াবে দর্শকদের। কী সে অপেক্ষা!

 

 

বাণিজ্য বিশ্নেষক রমেশ বালার টুইট থেকে জানা গেল, এই ছবির পর হিন্দিতে ১০০ কোটির ক্লাবে যোগ দিলেন আল্লুও। যেখানে আগেই নাম লিখিয়েছিলেন প্রভাস এবং রজনীকান্তের মতো সুপারস্টাররা। এখানেই থেমে থাকবে না এই ছবির যাত্রা। পরিচালক সুকুমার সিক্যুয়েলের কথা ঘোষণা করেছেন আগেই। নাম ‘পুষ্পা : দ্য রুল’। আল্লু নিজেই জানিয়েছেন, সেই ছবিটি নাকি এই প্রথম কিস্তির থেকেও বড় মাপের

 

মঙ্গলগ্রহের জল নিয়ে এতদিনের সব ধারনা ভেঙে দিলেন ২ বিজ্ঞানী

..

অবশেষে দেবের কাছে হার মানলো অল্লু অর্জুন

 

বিনোদন ডেস্ক : গত বছরের শেষের দিকে বাংলা কাঁপিয়ে মুক্তি পেয়েছে সুপারস্টার দেবের টনিক ছবিটি। করোনা পরবর্তী পর্যায়ে বক্স অফিসে রেকর্ড সাফল্য পেয়েছে এই ছবিটি। এদিকে নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণে মুক্তি পেয়েছে অল্লু অর্জুনের পুষ্পা ছবিটি।

 

অল্লু অর্জুন

 

এই ছবি বলতে গেলে সারা ভারতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। একদিকে পুষ্পা অন্যদিকে টনিক, বক্সঅফিসে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছে এই দুটি ছবিই। তবে বাংলাতে কিন্তু পুষ্পাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে টনিক।

 

অল্লু অর্জুনের পুষ্পা ছবির কাছে হার মানছে বলিউডের তাবড় তাবড় ছবি। সারাদেশের নিরিখে বক্সঅফিস জুড়ে শুধুই পুষ্পা। তবে বাংলাতে কিন্তু পুষ্পাকে বলতে গেলে কার্যত কোণঠাসা করে ফেলেছে টনিক। সুপারস্টার দেবের এই ছবিটি এখনও বাংলাতে সেরা। সেই জনপ্রিয়তা ছাপিয়ে যেতে পারেনি পুষ্পা। তাই অন্যান্য রাজ্যে যেখানে পুষ্পার জয়জয়কার চলছে পশ্চিমবঙ্গে সেখানে চিত্রটা একটু আলাদাই ধরা পড়ছে।

 

‘পুষ্পা’ স্টাইলে লাল চন্দন পাচারকালে ধরা ইয়াসিন

 

২০২১ সালের ২৩শে ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু পর্যন্ত বাংলার বক্সঅফিস জুড়ে হাউসফুল দেব এবং পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত এই ভিন্ন স্বাদের ছবি। এখনও পর্যন্ত টনিকের জন্য প্রেক্ষাগৃহ হাউসফুলই থাকছে। গত রবিবার পর্যন্ত এই বাংলার সিনেমা হলে হাউসফুল ছবি ছিল টনিক। এই সাফল্যের জন্য দর্শককে ধন্যবাদ জানাতে গত রবিবার নন্দনে উপস্থিত হয়েছিলেন দেব।

 

 

 

Advertisement

 

করোনার মধ্যে হলেও দর্শককে হলমুখী করতে পেরেছে টনিক। অন্যদিকে সারা ভারতজুড়ে অল্লু অর্জুনের পুষ্পার দাপট চলছে। দক্ষিণ ভারতের এই ছবিটি বলতে গেলে বলিউডকে কোণঠাসা করে দিয়েছে। তবে বাংলাতে এসে পুষ্পার রথ থমকে গিয়েছে। বদলে সমানে সমানে টেক্কা দিচ্ছে টনিক। বলতে গেলে সারা ভারতের হয়ে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা জগতের বিপরীতে টনিকের মতো কাজ করছে দেবের এই ছবি।

 

লাগাতার এক মাসেরও বেশি সময় ধরে টনিককে এত ভালোবাসা জানানোর জন্য আপ্লুত দেব। দর্শকের প্রতি তিনি অনেক আগেই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছিলেন। রবিবার নন্দন সিনেমা হলে সশরীরে উপস্থিত থেকে তিনি দর্শকদের ধন্যবাদ জানান। এতে দেবের ভক্তরাও বেজায় খুশি।

 

Leave a Reply