স্কুলে স্যানিটারি প্যাডের মেশিন বসালো ছাত্রীরা

ঋতুস্রাব বা মাসিক বিষয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ময়মনসিংহ নগরীর সরকারি বিদ্যাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রীরা। তারা নিজেদের চাঁদার টাকায় স্থাপন করেছে হাইজিন স্যানিটারি ভেন্ডিং মেশিন। যে মেশিনে কার্ড স্ক্যান করলেই বের হবে সুরক্ষা প্যাড।

ময়মনসিংহ নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সরকারি বিদ্যাময়ী বালিকা উচ্চ-বিদ্যালয়। চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়টিতে পাঠদান চলে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে দুই হাজার ১১৯ জন ছাত্রী অধ্যয়নরত। ওই বিদ্যালয়ের দিবা শাখার ১৩৬ জন ছাত্রী ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।

স্কুলে স্যানিটারি প্যাডের মেশিন বসালো ছাত্রীরা

বিদায়বেলাকে স্মরণীয় করে রাখতে তারাই ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নিয়েছে। বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২৫ হাজার টাকা খরচ করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত মেশিনটি বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে স্থাপন করা হয়েছে। পিরিয়ডকালীন বিষয়টি গোপন রাখার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে ছাত্রীরা এ উদ্যোগ নিয়েছে।

সাফল্যের শীর্ষে যারা কখন ঘুমান তারা

আধুনিক মেশিনটি বিদ্যালয়ে স্থাপনের কারণে হাতের কাছে সহজেই মিলবে স্যানিটারি প্যাড। এতে লজ্জায় পড়তে হবে না কোনো ছাত্রীকে। মেশিনটি নির্দিষ্ট একটি কার্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। শ্রেণি শিক্ষক, ক্লাস ক্যাপ্টেন ও প্রতিষ্ঠানপ্রধানের কাছে রয়েছে কার্ড। সেই কার্ড নিয়ে মেশিনের নির্দিষ্ট স্থানে ধরলেই বেরিয়ে আসবে স্যানিটারি প্যাড। মেশিন থেকে স্যানিটারি প্যাড শেষ হয়ে গেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই রিফিল করবে।

স্কুলে স্যানিটারি প্যাডের মেশিন বসালো ছাত্রীরা

বিদায়ী শিক্ষার্থী নাবিহা জান্নাত প্রিয়তির ভাষ্য, ‘ঢাকায় অনেক পাবলিক টয়লেটে এমন ব্যবস্থা রয়েছে। বিষয়টি জানার পর অনলাইনে মেশিন সম্পর্কে ধারণা নিই।

পরে বান্ধবীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমরাই চাঁদা দিই।’ শিক্ষার্থী সায়ন্তী মজুমদার বলে, ‘অনেক মেয়ের অল্প বয়সে পিরিয়ড হয়। বিগত সময়ে আমরা সমস্যাটি ফেস করেছি। ছোটদের যেন সে সমস্যায় পড়তে না হয় সেজন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

ফোর্বসের তালিকা শীর্ষ ধনীদের সম্পদ কমেছে

এ বিষয়ে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। যে যুগে শিশুরা টাকা নষ্ট করে সেইসময়ে তারা সেটি না করে ছোট বোনদের কথা চিন্তা করে মেশিনটি দিয়েছে। মেশিনটিতে একবারে ২০টির মতো সুরক্ষা প্যাড রাখা হয়। শেষ হলে আবার বিদ্যালয় থেকে রিফিল করে দেওয়া হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন >>

Leave a Reply