(৫টি রচনা) স্বামী বিবেকানন্দ রচনা | স্বামী বিবেকানন্দ ও যুব সমাজ রচনা

স্বামী বিবেকানন্দ রচনা

ভূমিকা (Introduction)
বাঙালির কাছে স্বামী বিবেকানন্দ একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। ভারতের মহান পুরুষদের মধ্যে তিনি অন্যতম। যখন ভারত ইংরেজদের দাসত্বে ছিল সেই সময় আমাদের ভারত মা একজন মানুষকে জন্ম দিয়েছিলেন, যিনি শুধু আমাদের ভারতের নয় প্রত্যেক মানবতার গৌরব। এই মহান জ্ঞানী মানুষ জন্য সমগ্র ভারত গর্বিত।

স্বামী বিবেকানন্দের রচনা – শৈশব ও শিক্ষাজিবন (Childhood and education)
স্বামী বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮৬৩ সালে ১২ ই জানুয়ারি। তার আসল নাম ছিল নরেন্দ্র নাথ দত্ত। ছোটবেলায় সবাই তাকে বিলে বলে জানতো। শৈশব থেকে তিনি খুব চঞ্চল এবং মেধাবী প্রকৃতির বালক ছিলেন। উত্তর কলকাতায় একটি কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পিতার নাম ছিল বিশ্বনাথ দত্ত এবং স্বামী বিবেকানন্দের মা ছিলেন ভুবনেশ্বরী দেবী। বিশ্বনাথ দত্ত কলকাতার আদালতের একজন উকিল ছিলেন। ছোটবেলা থেকে তিনি খুব সাহসী ছিলেন।

মী বিবেকানন্দ ও যুব সমাজ রচনা
মী বিবেকানন্দ ও যুব সমাজ রচনা

নরেন তার মায়ের কাছ থেকে প্রথম ইংরেজি এবং বর্ণমালা শিখেছিলেন। কলকাতার মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশনে তার স্কুল জীবনের শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়। পড়াশুনোর প্রতি তার চিরকাল গভীর আগ্রহ ছিল এবং বলাই বাহুল্য তিনি একজন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন।

১৮৭৯ সালে ম্যাট্রিক পাস করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। ম্যাট্রিক পাশ করে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে এবং তার পর স্কটিশ চার্চ কলেজে ভর্তি হন দর্শন নিয়ে পড়াশুনো করার জন্য। প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময় তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়। গীতা, বেদ, উপনিষদ তার প্রচুর আগ্রহ ছিল। ধ্যান ধারণায় আগ্রহী ছিলেন এবং কেশব চন্দ্র সেনের নেতৃত্বে তিনি ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলনে যোগদান করেন।

তিনি কলকাতা থেকে বি.এ পাস করেন পাশাপাশি ভারতীয় সংস্কৃতি বিষয়ে গভীরভাবে অধ্যয়ন শুরু করে। প্রচুর গবেষণা করে এবং নিজের মনের সত্য জানার জন্য সচেতন হয়ে পড়েন। তবে গবেষণার পরেও তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না।

Read more: (৫টি রচনা) বই পড়ার আনন্দ রচনা

স্বামী বিবেকানন্দের রচনা – কর্মজীবন (Career)
‘মানুষের মধ্যে ঈশ্বর রয়েছে এই বিশ্বাস তিনি নিজের মনে গেঁথে নেন। সারা ভারত ভ্রমণ করেন স্বদেশ প্রেমে মুগ্ধ হয়ে নিজের জাতি নিজের দেশকে সকলের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছেন। ভারতের বিভিন্ন জাতি, বিভিন্ন ধর্ম, বিভিন্ন ভাষা এবং বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মিশে তিনি নিজের এক নতুন রূপ গঠন করেন এবং নিজেকে তৈরি করেন মানুষের সেবার উদ্দেশ্যে। শহর শহর ঘুরে ঘুরে মানুষকে তিনি দেশের প্রেম, সংস্কৃতি এবং ধর্ম ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করতে থাকেন।

১৮৯৭ সালে ১ লা মে কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন রামকৃষ্ণ মঠ। তার মূল আদর্শই ছিল সাধারন মানুষের সেবা করাই। তারপর স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড়ে তৈরি করেন বেলুড় মঠ। যা আজও বিখ্যাত।

সকল ভারতবাসীর দুঃখ দুর্দশা উপলব্ধি করেন তিনি। সাধারন ভারতবাসীর অশিক্ষা, দারিদ্রতা তাকে বেদনাদায়ক করে তোলে। শুধুমাত্র দেশের বিভিন্ন জায়গায় নয় বরং দেশের বাইরে তিনি আমেরিকার শিকাগো শহরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে যোগদান করেন।

See also  (৫টি রচনা) বাংলাদেশের কৃষক রচনা | বাংলাদেশের কৃষি রচনা

১৯৮৫ সালে যখন জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক যুব বছর হিসাবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন সেই বছর থেকে, ভারত সরকার স্বামী জি জন্মবার্ষিকী হিসাবে ‘স্বামী জাতীয় দিবস’ উদযাপন ঘোষণা করে। একটি মহান উৎস স্বামী বিবেকানন্দ ও তাঁর জীবন এবং তার আদর্শের দর্শন হল ভারতীয় যুবকদের জন্য অনুপ্রেরণা।

উপসংহার (Conclusion)
১৯০২ সালে ৪ ঠা জুলাই স্বামী বিবেকানন্দ দেহ ত্যাগ করেন। ইতিহাসের পাতায় বাঙালিদের রত্ন তিনি। তার বানী আজও মানুষের অন্তরে প্রেরণা জাগায় । আমাদের যুব সমাজ ওনার বানী স্মরণ করে যাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছে আজও।

Q. স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম কবে? 

A. স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম ১৮৬৩ সালে ১২ ই জানুয়ারি।

Q. স্বামী বিবেকানন্দ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? 

A. স্বামী বিবেকানন্দ উত্তর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।

Q. স্বামী বিবেকানন্দের পিতার নাম কি? 

A. স্বামী বিবেকানন্দের পিতার নাম বিশ্বনাথ দত্ত।

Q. স্বামী বিবেকানন্দের  মায়ের নাম কি? 

A. স্বামী বিবেকানন্দের মায়ের নাম ভুবনেশ্বরী দেবী।

Q. স্বামী বিবেকানন্দের ডাক নাম কি ছিল? 

A. স্বামী বিবেকানন্দের ডাক নাম নরেন্দ্র নাথ দত্ত।

Read more: (৫টি রচনা) নারীর অধিকার রচনা

স্বামী বিবেকানন্দ রচনা ২

ভূমিকা “বীর সন্ন্যাসী বিবেক বাণী ছুটেছে জগৎময়,

বাঙ্গালীর ছেলে ব্যাঘ্রে-বৃষভে ঘটাবে সমন্বয়।”

কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত আমাদের গৌরবের কথা বলতে গিয়ে এই কথাগুলি লিখেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে। ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক সত্যকে বিবেকানন্দ যে ভাবে জগৎ সভায় উপস্থাপিত করেছিলেন, তার সত্যিই তুলনা হয় না। ভারতবর্ষকে তিনি বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

জন্ম ও পরিচয় : ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই জানুয়ারি কলকাতার বিখ্যাত দত্ত পরিবারে বিবেকানন্দের জন্ম হয়। শৈশবে তার নাম ছিল “বীরেশ্বর’ বা ‘বিলে’। তার পিতা বিশ্বনাথ দত্ত সে যুগের একজন বিখ্যাত এটর্নি ছিলেন। মাতা ভুবনেশ্বরীও ছিলেন তেজস্বী মহিলা। প্রথমে গৃহশিক্ষকের কাছে, পরে মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশনে, এবং তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে তিনি পড়েন। ১৮৮৩ সালে তিনি বি. এ. পাশ করে আইন পড়তে আরম্ভ করেন বটে, কিন্তু হঠাৎ পিতার মৃত্যু হওয়ায় পড়াশুনা ছাড়তে তিনি বাধ্য হন। ছেলেবেলা থেকেই তিনি ঈশ্বরমুখী ছিলেন। সংকীর্ণ জাত-পাত তিনি মানতেন না।

রামকৃষ্ণদেবের সান্নিধ্য :- বি. এ. পড়বার সময় তিনি পরমপুরুষ রামকৃষ্ণদেবের সংস্পর্শে আসেন। আর এই সংস্পর্শে আসার প্রথম দিনটি থেকেই তিনি রামকৃষ্ণ দেবের প্রতি এক গভীর আকর্ষণ অনুভব করেন। তাঁর বিশেষ আধ্যাত্মিক ক্ষমতা এই তরুণ যুবকটিকে দান করে তাকে দীক্ষিত করেন নতুন নতুন মন্ত্রে। রামকৃষ্ণদেব ছিলেন নবযুগের আচার্য। সকল ধর্ম ও মতের প্রতি তিনি ছিলেন শ্রদ্ধাশীল এবং তিনি তার। সাধনা ও জীবন চর্চার ভিতর দিয়ে আবিষ্কার করেছিলেন যে “যত মত তত পথ’।তাছাড়া জীব সেবার মধ্য দিয়েই যে ঈশ্বর সেবা হয়, এতে তিনি ছিলেন গভীর বিশ্বাসী।

See also  (৪টি রচনা) আমাদের গ্রাম রচনা

ভারত পরিক্রমা : ১৮৮৬ খৃষ্টাব্দে রামকৃষ্ণদেবের মৃত্যুর পর বিবেকানন্দ পরিব্রাজক হয়ে তিন বছর ধরে সারা ভারত পরিক্রমা করেন। ১৮৯৩ খৃষ্টাব্দে আমেরিকার শিকাগাে শহরে ধর্মমহাসভায় বক্তৃতা দেওয়ার জন্য হিন্দু ধর্মের একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে তিনি ভারত থেকে রওয়ানা হলেন। এই মহাসভায় হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে বক্তৃতা দিয়ে তিনি অসাধারণ খ্যাতি অর্জন করেন। ইংল্যাণ্ড ও আমেরিকার বহু নর-নারী তার ধর্ম মতে আকৃষ্ট হয়ে তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এর মধ্যে ভগিনী নিবেদিতা একজন।

মিশন ও আদর্শ :- বিজয়ীর সম্মান নিয়ে দেশে ফিরে এসে ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দে ‘রামকৃষ্ণ মিশন’ এবং ১৮৯৯ খৃষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করলেন ‘বেলুড় মঠ’। মানব সেবা, বেদান্ত দর্শন এবং রামকৃষ্ণের শিক্ষাপ্রচারই ছিল মিশন প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য। দয়া নয়, দরিদ্র ও অবহেলিত মানুষদের সেবার মধ্যদিয়ে তিনি ঈশ্বর প্রাপ্তির পথ দেখিয়েছিলেন। তার মতে ঈশ্বর আছেন আমাদের সামনে ‘বহুরূপে’ দরিদ্র ও অবহেলিত মানুষদের মধ্যে। এদের সেবা করলেই ঈশ্বরকেই লাভ করা যাবে।

‘বহুরূপে সম্মুখে তােমার, ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর; |

জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।

ভারত প্রীতি :- তিনি নিজদেশকে সকলের উপরে স্থান দিতেন। প্রতিটি ভারত বাসীকে তিনি জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানিয়েছেন। দেশকে গড়ে তুলার জন্য তিনি স্বপ্ন দেখতেন, সেই দেশ গড়ার স্বপ্নকে তিনি চেয়েছেন বাস্তবে রূপায়ণ করতে। তার লক্ষ্যছিল সকলের কল্যাণের জন্য এক বৃহৎ অখণ্ড ভারতবর্ষ গড়ে তােলা। তিনিই এদেশ সম্পর্কে পাশ্চাত্যবাসীর ভ্রান্তধারণা দূর করেছিলেন। স্বামীজী দেখতে চেয়েছিলেন এক শক্তিশালী ভারতবর্ষকে।

মানবতাবাদী বৈদান্তিকঃ স্বামী বিবেকানন্দ বৈদান্তিক সন্ন্যাসী হলেও আধুনিক মানবতাবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে হিন্দুধর্মের এই শ্রেষ্ঠ গ্রন্থটিকে গ্রহণ করেছিলেন। বেদান্তের এই নবভাস্যকার বলেন – ‘জগতে জ্ঞানালোেক বিস্তার কর; আলােক-অলােক লইয়া আইস। প্রত্যেকে যেন জ্ঞানের আলাে পায়, যতদিন না সকলেই ভগবান লাভ করে, ততদিন যেন তােমাদের কাজ শেষ না হয়। জগজ্জননীর কাছে তিনি মনুষ্যত্ব প্রার্থনা। করে বলেছেন, “হে জগদম্বে আমায় মনুষ্যত্ব দাও, আমার দুর্বলতা কাপুরুষতা দুর কর, অমিয় মানুষ কর।’

সাহিত্য কৃতি : শুধু কর্মের জগতেই নয়, চিন্তা ও মননশীলতার ক্ষেত্রে স্বামী বিবেকান্দ মানবতার বাণী প্রচার করেন গেছেন। তাঁর রচিত প্রধান গ্রন্থগুলি— ‘পরিব্রাজক’, ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত’ প্রভৃতি উল্লেখযােগ্য। বাংলাভাষায় তাঁর পত্রগুচ্ছে কিছু বিজ্ঞানভিত্তিক আলােচনাও করেছেন। বাংলা চলিত গদ্যরীতির তিনি অন্যতম পথিকৃৎ, কথ্য শব্দ প্রয়োগেও দুঃসাহসী পথ প্রদর্শক। তিনি স্বপ্ন দেখতেন সমৃদ্ধ ভারতবর্ষের, শিক্ষিত ভারতবর্ষের, সংস্কারহীন ভারতবর্ষের। ভারতবর্ষই ছিল তার শৈশবের শিশুশয্যা, যৌবনের উপবন আর বাধকের বারাণসী। তিনি বুকে হাত রেখে বলতে শিখিয়েছেন, “ভারতবর্ষের প্রতিটি মানুষ আমার ভাই, আমার রক্ত। ভারতের কল্যাণ আমার কল্যাণ, ভারতের দীনতা আমার অপমান।”

See also  (৫টি রচনা) বাংলার উৎসব | বাংলাদেশের সামাজিক উৎসব রচনা

উপসংহার : অত্যাধিক পরিশ্রম আর নিরলস কর্মসাধনায় এই কর্মী সন্ন্যাসীর শরীর ভেঙ্গে পড়ে। অবশেষে ১৯০২ সালের ৪ জুলাই মাত্র ৩৯ বৎসর। বয়সে এই বীর সন্ন্যাসী বেলুড় মঠে চিরনিদ্রায় অভিভূত হন। স্বামীজীর জন্ম দিবস সারা ভারতবর্ষে ‘জাতীয় যুব দিবস’ হিসাবে পালিত হয়। কিন্তু স্বামীজীর সেই ত্যাগ, সেই জীব প্রেম, সেই উদ্যম বর্তমান ভারতবর্ষে কোথায় ? অন্ধকার থেকে আলাের দিকে, মৃত্যু থেকে অমৃতের দিকে,অসৎ থেকে সৎ এর পথে আমাদের যাত্রা শুরু করেছিলেন যে মহামানব, সেই বিবেকানন্দই ভারতবর্ষের প্রকৃত বাতিঘর।

Read more: (৫টি রচনা) ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা

স্বামী বিবেকানন্দ রচনা ৩

ভূমিকা : ভারতীয় ধর্ম ও আদর্শকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিলেন বিশ্বজয়ী স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর নেতৃত্বে সন্ন্যাসীরা মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করার ব্রত গ্রহণ করেন। বিবেকানন্দের আসল নামনরেন্দ্রনাথ দত্ত।
জন্ম ও বংশ : কলকাতার সিমলা অঞ্চলে তার জন্ম হয়েছিল ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ জানুয়ারি। তার বাবার নামবিশ্বনাথ দত্ত, মায়ের নাম ভুবনেশ্বরী দেবী। ছেলেবেলায় তিনি ছিলেন ভীষণ দুরন্ত, নির্ভীক ও মেধাবী।
বাল্যজীবন ও শিক্ষা : তিনি ছেলেবেলা থেকেই সাহসী ও ধার্মিক ছিলেন। আর ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও মনােযােগী ছাত্র। বিএ পাশ করার পর তাকে নানা আর্থিক অনটনে ভুগতে হয়। একসময় শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণদেবের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ক্রমে তিনিরামকৃষ্ণদেবের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ অনুভব করেন। দক্ষিণেশ্বরে ঘন ঘন যাতায়াত শুরুহয় তাঁর। অবশেষে তিনি শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন তাঁর।
কর্মজীবন ও আদর্শ : সন্ন্যাসগ্রহণের পর তাঁর নাম হয় স্বামী বিবেকানন্দ এবং শ্রীরামকৃষ্ণদেবের তিরােধানের পর তিনি পরিব্রাজক হয়ে সারা ভারত ভ্রমণ করেন। এবার তিনি শুরু করলেন মানব সেবার কাজ। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে শিকাগাে শহরের ধর্ম মহাসভায় যােগ দেবার জন্যে তিনি আমেরিকায় যান। ওই সভায় তাঁর বক্তৃতা শুনে উপস্থিত সকলেই মুগ্ধ হন। সারা পৃথিবীতে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। বহু বিদেশি তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। দেশে ফিরে এসে তিনি গড়ে তােলেন রামকৃষ্ণ মিশন। প্রতিষ্ঠা করেন বেলুড় মঠ। অনেকগুলি গ্রন্থও রচনা করেন।
তিরােধান : অত্যধিক পরিশ্রমের ফলে স্বামী বিবেকানন্দ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দের ৪ জুলাই বেলুড় মঠেই তাঁর জীবনাবসান হয় মাত্র উনচল্লিশ বৎসর বয়সে।

 

 

 

স্বামী বিবেকানন্দ ও যুব সমাজ রচনা, স্বামী বিবেকানন্দের রচনা pdf, স্বামী বিবেকানন্দ ছোটদের রচনা, স্বামী বিবেকানন্দ রচনা class 4, স্বামী বিবেকানন্দের মৃত্যু সাল, স্বামী বিবেকানন্দ হিন্দু ধর্ম, স্বামী বিবেকানন্দ শিকাগো বক্তৃতা প্রবন্ধ রচনা, স্বামী বিবেকানন্দ কুইজ প্রশ্ন

শিক্ষা সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী, স্বামী বিবেকানন্দের সংক্ষিপ্ত জীবনী, স্বামী বিবেকানন্দ কুইজ প্রশ্ন, স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা, স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী pdf download, স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ছবি, স্বামী বিবেকানন্দ ইমেজ, স্বামী বিবেকানন্দের ছেলেবেলার গল্প

Leave a Reply