১২৬ বছরেও সক্রিয় স্বামী শিবানন্দ, Swami Sivananda এই ৫ অভ্যাস মেনে চললে আপনিও পাবেন সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন

দিন কয়েক আগেই নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতিভবনের (Rashtrapati Bhavan, New Delhi) দরবার হলে (Darbar Hall), রাষ্ট্রপতি রানমাথ কোভিন্দের (President Ranmath Kovind) হাত থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার (Padma Shri Award) গ্রহণ করলেন, ১২৬ বছর বয়সী বাবা শিবানন্দ (Baba Shivananda)। এই যোগগুরুই (Yoga Guru) সবথেকে বেশি বয়সে  পদ্মশ্রী খেতাব পেলেন। ১৮৯৬ সালের ৮ অগাস্ট জন্ম হয়েছিল তাঁর। অথচ, এখনও পুরোপুরি সক্রিয় এই তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) এই যোগগুরু। এমনকী, দরবার হলে পদ্মশ্রী পুরস্কারও তিনি গ্রহণ করেন একেবারে খালি পায়ে হেঁটে এসে। তবে, বাবা শিবানন্দ এমনি এমনি এত দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন লাভ করেননি। এই বয়সেও তাঁর এই ফিটনেসের রহস্য কী? আসুন জেনে নেওয়া যাক –

১. তেল-মশলাহীন খাওবার – দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবনের জন্য, স্বামী শিবানন্দ যে মৌলিক নিয়মগুলি পালন করে চলেন, তার মধ্যে প্রথমটি হল, তেল-মশলা দেওয়া খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা। একেবারে খাঁটি সাত্ত্বিক সিদ্ধ খাবার গ্রহণ করেন তিনি। তাঁর প্রধান খাবার হল সিদ্ধ ভাত ও সিদ্ধ মসুর ডাল। তবে, ভাত ও ডাল সিদ্ধর সঙ্গে সবুজ কাঁচা লঙ্কা অবশ্যই লাগবে।

Swami Sivananda

২. প্রতিদিন যোগব্যায়াম – স্বামী শিবানন্দ তার দীর্ঘ জীবন, সুস্বাস্থ্য এবং এই বয়সের সক্রিয় থাকার পিছনে প্রধান কৃতিত্ব দেন তাঁর নিয়মিত যোগব্যায়ামের অভ্যাসকে। তিনি বিলা নাগা যোগাভ্যাস করে থাকেন। তাঁর মতে, প্রতিদিন যোগব্যায়াম করার ফলেই, এত বয়স হওয়া সত্ত্বেও তাঁর কোনও বড় রোগ হয়নি।

৩. যৌনতা থেকে দূরত্ব – তাঁর দীর্ঘায়ুর রহস্য সম্পর্কে জানতে চাইলে, স্বামী শিবানন্দ বলেন, তিনি সর্বদা যৌনতা থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকার জন্য যৌন মিলন থেকে দূরে থাকা তিনি খুবই প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন।

Swami Sivananda

৪. খান না দুধ এবং ফল – সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেকেই দুধ ও ফল খাওয়ার কথা বলেন। দুধ ও ফলের খাদ্যগুণের চর্চা করেন। কিন্তু, ১২৬ বছর বয়সী যোগগুরুর খাদ্যাভ্যাস থেকে দুধ এবং ফল একেবারে বাদ। তাঁর মতে, এগুলি কোনও অপরিহার্য খাদ্য নয়। খেতে ভাল, তবে বিশেষ কাজের নয়। তিনি জানিয়েছেন, শৈশবে দারিদ্রের কারণে, তিনি অনেক সময় খালি পেটেও ঘুমিয়েছেন। তাতে তাঁর আয়ু বা সুস্থতার হেরফের হয়নি।

৫. মাটিতে ঘুমানো – স্বামী শিবানন্দ ঘুমের সময় গদি বা বালিশ কোনওটিই ব্যবহার করেন না। সবসময় তিনি মাটিতে মাদুর পেতে তার উপর শোন। আর বালিশের জায়গায় ব্যবহার করেন একটি কাঠের পাটাতন। আর তাঁর পায়ে কোনও সময় জুতোও দেখা যায় না, খালি পায়েই হাঁটাচলা করেন।

এগুলি ছাড়াও,দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনের জন্য আরও একটি জিনিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন শতায়ু যোগগুরু। তিনি জানিয়েছেন, মানসিক সুখ থাকাটা খুবই দরকারি। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ের মানুষ খুবই অসুখী। এটা খুবই অস্বাস্থ্যকর। একই সঙ্গে তারা সতও নয়। এটাও তাদের স্বাস্থের জন্য ভালো নয়।

Leave a Reply