২০১৮ সালের এম পিও নীতিমালা ও ২০২১ সালের এম পিও নীতিমালার কিছু দূর্বল দিকের আলোচনা পর্ব ০2

“ডেইলি নিউজ টাইমস ” অনলাইন পত্রিকার পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । আমি শামীমা আফরোজ রুনা, ডেইলি নিউজ টাইমস এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইস্কাটন গার্ডেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব দুলাল চন্দ্র চৌধুরী কাছ থেকে এম.পি.ও নীতিমালা এবং জনবল কাঠামো বিষয় নিয়ে কিছু প্রশ্ন করবো।

স্যার আপনাকে ধন্যবাদ,অত্যন্ত সুন্দরভাবে ২০২১ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এম.পি.ও.নীতিমালায় শিফট ও ব্রাঞ্চ খোলার অনুমতি দেওয়ার বিপক্ষে অত্যন্ত স্পষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।

এখন আপনার কাছে আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন – ২০২১ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এম. পি.ও নীতিমালায় শুধুমাত্র অবসরপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া কতটুকু যুক্তি সংগত হয়েছে বলা আপনি মনেকরেন?

দুলাল চন্দ্র চৌধুরী বলেন শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান প্রধানদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার বিধান যুক্তি সংগত নয়।২০১৮ সালের এম.পি.ও নীতিমালায় ১১.৬ ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে বয়স ৬০ বছর পূর্ন হওয়ার পর কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধান / সহঃপ্রধন/শিক্ষক কর্মচারীকে কোন অঅবস্থাতেই পূনঃনিয়োগ বা চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে না। কিন্তু ২০২১ সালের জনবল কাঠামো এবং . এম. পি. ও নীতিমালায় ১১.৬ ধারায় শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান প্রধানকে চুক্তি ভিত্তিক শর্ত সাপেক্ষে নিয়োগ দেওয়া যাবে। আমি এর ঘোরতর বিরুধীতা করি।

০১.কোন নিয়ম কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা শ্রেণির জন্য হতে পারে না।

০২। শর্ত অনুযায়ী শুধুমাত্র মানসম্বত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই কেবল প্রতিষ্ঠান প্রধানকে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারবে। এখানে মান সম্বত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন সংঙ্গা নেই। আর শুধু মান সম্বত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন? সবার জন্য নয় কেন? এখানে অস্পষ্টতার জন্য অবৈধ লেনদেন। এখানেই দূর্নীতির আতুর ঘর তৈরি হবে। একজন সুবিধা দিবে অন্য জন নিবে এই যে মধুর সম্পর্ক তৈরি হবে।

এ সম্পর্ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে দূর্বল পেয়ে ম্যানেজিং কমিটি তাকে পেয়ে বসে।তাকে দিয়ে বিদ্যালয়ের অর্থ নয় ছয় করার সুযোগ পায়।ভারপ্রাপ্ত ও চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনিয়মের আতুর ঘর। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা বোর্ডগুলো অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরিপত্রের পর পরিপত্র জারি করে যখন যুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ বন্ধের দারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। ঠিক সেই সময় এই জনবল কাঠামোত ১১.৬ ধারা কার স্বার্থে সংযুক্ত করা হল। এ ধার কেন যুক্ত হল? কে বা কারা চাইল এই পরিবর্তন?

০৩. এখানে বলা হয়েছে স্কুল বেতন দেওয়ার শর্তে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার। স্কুলের টাকা আর সরাসরি টাকার মধ্যে পার্থক্য কী? দুটোই পাবলিক অর্থ।কোন টাকার অপচয় করা যাবেনা। আমাদের দাবি যদি চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় তবে সবার আগে সব প্রতিষ্ঠানের জন্য একই নিয়ম করতে হবে। সরকারি বেতন দিয়ে চুক্তি নবায়ন করতে হবে। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট আমাদের দেশের গড় আয়ুবেড়েছে তাই চাকুরির মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৬৫ বছর করে হউক। বিচারপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকুরির মেয়াদ ৬৫ বছর।

সেই হিসাবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী সবার চাকুরির মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৬৫ বছর করা হউক আমাদের আপত্তি নেই। আমাদের আপত্তি শুধুমাত্র মান সম্বত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে। এটা করলে করতে হবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য। শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধানের জন্য নয়, করতে হবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য। স্কুল বেতনে নয়,করতে হবে সরকারি বেতনে বহাল পরে। এক দেশে দুই আইন চলতে পারে না। এ সব কারণে আমি চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার বিপক্ষে।

Read More: ২০১৮ সালের এম পিও নীতিমালা ও ২০২১ সালের এম পিও নীতিমালার কিছু দূর্বল দিকের তুলনামূলক আলোচনা পর্ব ০১

 

দুলাল চন্দ্র চৌধুরী
সাংগঠনিক সম্পাদক
বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ।
ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।

Leave a Reply