২০১৮ সালের এম পিও নীতিমালা ও ২০২১ সালের এম পিও নীতিমালার কিছু দূর্বল দিকের আলোচনা পর্ব ০3

স্যার আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ – শুধুমাত্র অবসরপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আপনি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সকল শিক্ষক কর্মচারীদের সবাইকে এক বিধানে পরিচালনার কথা বলেছন।চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার পরিবর্তে চাকুরির মেয়াদ ৬৫ বছর করার কথা বলেছেন। শুধু মানসম্বত শিক্ষা প্রতিষ্টানের জন্য নয় সকাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য সমান সুযোগ সুবিধা রাখার কথা বলেছেন।

বিদ্যালয়ের অর্থায়নে নয় এম,পি,ও বহাল রেখে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার জন্য বলেছেন। এবারে আমি আপনার কাছে জানতে চাই ২০২১ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ( স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এম পি ও নীতিমালায় সহকারী প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষদের ক্ষেত্রে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির কী ধরনের অস্পষ্টতা আছে?

দুলাল চন্দ্র চৌধুরী বলেন ২০১৮ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো এবং এম.পি.ও নীতিমালায় ১১.৫ ধারায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মরত শিক্ষক /কর্মচারীগন তাঁদের এম.পি.ও তারিখ থেকে ১০ বছর পরে একটি উচ্চতর গ্রেড পাবে এবং পরবর্তী ৬ বছর পরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড পাবে উল্লেখ ছিল। এখানে শিক্ষক বলতে সহকারী শিক্ষক, প্রভাষক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ সবাইকে বুঝাত।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজ,কলেজ এবং ডিগ্রি কলেজকে বুঝেছি। কিন্তু সমস্যা হল ২০২১ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো এবং এম. পি. ও নীতিমালায় ২০১৮ সালের ১১.৫ ধারা কোন রূপ পরিমার্জন ছাড়া হুবহু ১১.১০ ধারা হিসাবে যুক্ত করেছেন।

আবার ২০২১ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো এবং এম পি ও নীতিমালায় আলাদা করে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজ ও কলেজের প্রভাষকদের জন্য ১১.৪ এবং ডিগ্রি কলেজর প্রভাষকদের জন্য ১১.৫ এবং মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১১.৮ ও ১১.৯ ধারা যুক্ত করা হয়েছে। তাহলে সহকারী প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক , উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষদের জন্য কোন স্পষ্ট কোন ধারা নেই। আবার ১১.১০ শিক্ষক শব্দটি যুক্ত আছে। তাহলে এই শিক্ষক দ্বারা কাদের বুঝানো হয়েছে। এখানে শিক্ষক দ্বারা যদি সহকারী প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষদের বুঝান হয় তবে তা স্পষ্ট করতে হবে।

Read More: ২০১৮ সালের এম পিও নীতিমালা ও ২০২১ সালের এম পিও নীতিমালার কিছু দূর্বল দিকের তুলনামূলক আলোচনা পর্ব ০১

আর এজন্যই আমি বলেছি প্রতিষ্টানের সহঃপ্রধান ও প্রাধানদের উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা আছে। সহকারী প্রধান পরিষদ, প্রধান শিক্ষক, উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ সম্পূর্ণ ভাবে নতুন ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত পদ। এখানে কেউ পদোন্নতির মাধ্যমে আসে নাই। তাই নতুন পদে ১০ বছর এম.পি.ও বয়স হলে তাঁরা উচ্চতর গ্রেড পাওয়া অধিকার আছে। তারপরে ৬ বছর অতিক্রান্ত হলে পরবর্তী গ্রেড প্রাপ্তির যোগ্য হবে। এটা কারো করুনা নয় এটা তাদের অধিকার। এ বিষয় সুস্পষ্ট ঘোষণা করা নাই বলে ঘোষণার দাবি করছি।

দুলাল চন্দ্র চৌধুরী
সাংগঠনিক সম্পাদক
বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ।
ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।

Leave a Reply