২০২১- ২০২২ অর্থ বছরের বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে কেমন ভূমিকা রাখবে উপকৃত হবে মূল্যায়ন

২০২১- ২০২২ অর্থ বছরের বাজেটে শিক্ষা ক্ষেত্রে বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে টাকার অংকে।আমরা বর্তমান বাজেটকে স্বাগত জানাই।একটি দেশের বাজেটকে আর্দশ বাজেট বলা যায় যদি বজেটে জি. ডি. প. এর ৬% অথবা বাজেটর ২০% শিক্ষা খাতে বরাদ্দ থাকে। ২০২১ – ২০২২ অর্থ বছরের বাজেটে শিক্ষা খাতে বাজেট ধরা হয়েছে জি ডি পি এর ২.৭৫।যা বিগত বছরের তুলনায় কিছু বেশি। তবে শিক্ষা খাতে করোনা জন্য যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য এটা যথেষ্ট নয়। তবে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে জন্য সমন্নিত পরিকল্পনা প্রয়োজন । চলমান অর্থ বছরের শিক্ষা খাতের যে সকল প্রকল্প, তাদের জন্য নির্ধারিত বরাদ্দ ব্যয় করতে পারেননি,তাদের জন্য এ অর্থ বছরে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া দরকার। করোনা ক্ষতিগ্রস্ত অংশিজনের কথা মাথায় রেখে বরাদ্দকৃত অর্থ বন্টন করতে হবে।
মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয় কিছু খাতের কথা সুনির্দিষ্ট করেছেন। আমরা তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি আমরা শিক্ষকবৃন্দ আশায় বুক বেঁধে ছিলাম।মুজিব শতবর্ষে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয় করন হবে। সে বিষয় কোন কথাই উল্লেখ করা হয় নাই। আমাদের আশা ছিল জাতীয় করন না হলেও অন্তত বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের শতকরা একটা হারে এবং শতভাগ উৎস ভাতা প্রদানের ঘোষণা আসবে। কেউ কথা রাখে নি।শিক্ষা বাজেটের কথা বলতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী
১.প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল প্রকল্পের কথা বলেছেন।
০২.শিক্ষার্থীদের ড্রেস ও উপবৃতির বাবদ ব্যয় বৃদ্ধির কথা বলেছেন
০৩.শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের কথা বলেছেন।
০৪.ডিজিটাল ল্যাব, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণের কথা বলেছেন।
০৫.শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের কথা বলেছন।
আমরা এসবকিছুর জন্য সরকার কে সাধুবাদ জানাই।
আমরা সবাই জানি শিক্ষা বলতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে বুঝি। এর সব কয়টির সমন্নিত উন্নয়ন ভিন্ন শিক্ষার উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ বাজেটে উপেক্ষিত থাকল শিক্ষকরা। শিক্ষকদের বঞ্চিত করে রেখে গুণগত শিক্ষা অর্জন কিভাবে হবে? ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, মিড ডে মিল, আই,সি টি রুমের উন্নয়ন সবকিছুই ভেস্তে যাবে যদি শিক্ষক ক্ষুধার জ্বালায় পাঠদানে মনো নিবেশ করতে না পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গনতন্ত্রের মানস কন্যা, মানবতার মা, জননেত্রী শেখ হাসিনর কাছে আমাদের প্রানের দাবি এ বাজেট সমাপনী বক্তব্যে বেসরকারি শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ও শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদানে ঘোষণা দন। আমরা শিক্ষক আমাদের শ্রেনি কক্ষে মানায়, আমরা শ্রেনি কক্ষেই থাকতে চাই। আপনি বিরোধী দলীয় নেত্রী থাকা অবস্তায় ২০০৬ সালে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছিলেন আমি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষকদের কোন দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনে যেতে হবে না।আমাদের আপনার উপর অজ্ঞাত বিশ্বাস আছে।আপনি আমাদের আশাহত করবেন না।এ বাজেটেই বাড়ি ভাড়া ও শতভাগ উৎস ভাতা পাব।সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয় করন হয়েছে। আর আপনার মাধ্যমেই বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয় করন হবে।

দুলাল চন্দ্র চৌধুরী

প্রধান শিক্ষক ইস্কাটন গার্ডেন উচ্চ বিদ্যালয় ও সাংগঠনিক সম্পাদক

বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ।

Leave a Reply