Deprecated: Function WP_Dependencies->add_data() was called with an argument that is deprecated since version 6.9.0! IE conditional comments are ignored by all supported browsers. in /home/amadersa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6131
ইউক্রেনে আটকে পড়া জাহাজের নাবিক আসিফুলের আকুতি

ইউক্রেনে আটকে পড়া জাহাজের নাবিক আসিফুলের আকুতি

বিজ্ঞাপন

যুদ্ধপরিস্থিতিতে আতঙ্কে আছেন আসিফুল ইসলামও। আজ বৃহস্পতিবার ভোর চারটায় জাহাজ থেকে একটি ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি। ৩১ সেকেন্ডের এ ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি আসিফুল ইসলাম আসিফ।…আমরা নাকি পোল্যান্ডে চলে গেছি নিরাপদভাবে। এটা ভুল নিউজ। আমাদের প্লিজ এখান থেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন।’

সৈয়দ আসিফুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মুন্সেফপাড়ার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও পারভীন আক্তারের একমাত্র ছেলে। নুরুল ইসলাম বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। আসিফুল ২০১৭ সালের ১৪ এপ্রিল সরাইলের কালিকচ্ছের তানিয়া চৌধুরীকে বিয়ে করেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আসিফুল ২০২১ সালে ‘এমভি বাংলার অর্জনে’ সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন। সেখানে চাকরি করেন ১১ মাস। ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর ছুটিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাড়িতে আসেন আসিফ। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধিতে চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টায় বাংলাদেশের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানে এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে নতুন পদে যোগ দিতে তুরস্কে যান তিনি। তুরস্ক গিয়ে ওই জাহাজে ওঠেন আসিফুল। এরপর ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে নোঙর করে ওই জাহাজ। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালানো শুরু করে রাশিয়া।

ওয়েবসাইটে ভিজটর বাড়ানোর ৭ টি উপায়

বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শহরের মুন্সেফপাড়ার বাসায় গিয়ে মা ও বোনকে আসিফুলের জন্য দোয়া পড়তে দেখা যায়। তাঁদের চোখে-মুখে উৎকণ্ঠার ছাপ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শহরের মুন্সেফপাড়ার বাসায় গিয়ে মা ও বোনকে আসিফুলের জন্য দোয়া পড়তে দেখা যায়। তাঁদের চোখে-মুখে উৎকণ্ঠার ছাপ। এ সময় আসিফুলের মা পারভীন আক্তার বলেন, ২৩ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক থেকে ইতালি হয়ে খালি জাহাজ নিয়ে ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে রওনা করেন আসিফুল। ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে নোঙর করে জাহাজ। বন্দর থেকে জাহাজে কাঠসহ বিভিন্ন মালামাল তোলা হয়। একই দিন বিকেলে ফোন করে যুদ্ধ শুরু হয়েছে বলে তাঁকে জানান ছেলে। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ছেলেসহ অন্যরা জাহাজে আটকা পড়েন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে ছেলের সঙ্গে মুঠোফোনে তাঁর দুই মিনিট কথা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

বৃদ্ধাশ্রম থেকে পাঠানো অসহায় মায়ের চিঠি

আসিফুল ইসলামের বাবা সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার রাশিয়ার সৈনিকেরা ইউক্রেনের বন্দরে থাকা ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে বোমা হামলা চালান। এতে জাহাজে আগুন ধরে গেলে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার বরগুনার বেতাগী উপজেলার হাদিসুর রহমান মারা যান।

সৈয়দ নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সাত দিন ধরে আমার ছেলেসহ বাকি নাবিকেরা ওই জাহাজে আবদ্ধ অবস্থায় আছেন। বিচ্ছিন্নভাবে গুলি ছোড়া হচ্ছে। পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ওই জাহাজের নাবিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাঁরা আর জাহাজে থাকতে চান না। তাঁরা জাহাজ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটিতে বাংলাদেশের ২৯ নাবিক ছিলেন। একজন গোলার আঘাতে মারা যাওয়ার পর ওই জাহাজে এখন ২৮ নাবিক রয়েছেন।

Leave a Reply