Deprecated: Function WP_Dependencies->add_data() was called with an argument that is deprecated since version 6.9.0! IE conditional comments are ignored by all supported browsers. in /home/amadersa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6131
১৪৪ ধারা ভেঙে গোপালগঞ্জে কীর্তনের আয়োজন, সংঘর্ষের শঙ্কা

১৪৪ ধারা ভেঙে গোপালগঞ্জে কীর্তনের আয়োজন, সংঘর্ষের শঙ্কা

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ি ইউনিয়নের হরিনাহাটি গ্রামের সুদানন্দ সেবাশ্রম।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৪৪ ধারা ভেঙে একটি মন্দিরে কীর্তনের আয়োজনের অভিযোগ পাওয়া গেছে; এতে সেখানে সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

উপজেলার বান্ধাবাড়ি ইউনিয়নের হরিনাহাটি গ্রামের সুদানন্দ সেবাশ্রম নিয়ে দুপক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেছে বলে কোটালীপাড়া থানার এসআই আমিনুল ইসলাম জানান।

তিনি আরও বলেন, “আদালতের নিষেধাজ্ঞার কথা আমি গিয়ে উভয় পক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি। যদি কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

সাফ ফুটবলের ফাইনাল খেলা ৬ জনই এক প্রতিষ্ঠান কলসিন্দুর স্কুলের -ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার

আশ্রমের সেবায়েত হরিমোহন বাড়ৈর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত কীর্তন আয়োজনের ওপর ১৪৪ ধারা জারি করেন।

হরিমোহন বাড়ৈ বলেন, “১৫ বছর আগে আমাদের পৈত্রিক জায়গায় আমার গুরুঠাকুর সুদানন্দর নামে সেবাশ্রম গড়ে তুলে পূজা-অর্চনা করে আসছি। হঠাৎ করে বিনয় বৈরাগী জোরপূর্বক এই সেবাশ্রমটির সাইনবোর্ড পাল্টিয়ে রাধাগোবিন্দ জিউর মন্দির নাম দিয়েছেন। তিনি এই সেবাশ্রমটি নিজেদের বলে দাবি করছেন।

“তিনি জোরপূর্বক এখানে কীর্তনের আয়োজন করেছেন। আমি এই কীর্তন বন্ধে আদালতের মাধ্যমে   ১৪৪ ধারা জারি করিয়েছি। তারপরও বিনয় বৈরাগী ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে কীর্তনের আয়োজন অব্যাহত রেখেছেন।  এখন সেখানে সাজসজ্জার কাজ করাচ্ছেন।”

এ ব্যাপারে বিনয় বৈরাগী বলেন, “হরিমোহন বাড়ৈ যে জায়গাটি নিজেদের বলে দাবি করছেন, সেটি অর্পিত সম্পত্তি। আমরা এই অর্পিত সম্পত্তির ওপর রাধাগবিন্দ জিউর মন্দির গড়ে তুলেছি।”

শুক্রবার থেকে আশ্রমে তিন দিনব্যাপী কীর্তনের আয়োজন করা হয়েছে।

হরিনাহাটি গ্রামের সুভাষ মল্লিক বলেন, “সুদানন্দ সেবাশ্রমের জায়গাটি হরিমোহন বাড়ৈ ও আমাদের পূর্বপুরুষদের। আমরাই সুদানন্দ সেবাশ্রম গড়ে তুলেছি। এই সেবাশ্রমে বেআইনিভাবে বিনয় বৈরাগী সাইন বোর্ড লাগিয়েছেন।”

ওই গ্রামের গৃহবধূ উষা বৈদ্য বলেন, “শুক্রবার থেকে এখানে কীর্তন শুরু হলে নিশ্চিত মারামারি হবে। এই নিয়ে আমরা এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছি। আমরা চাই, এই কীর্তন বন্ধে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।”

Leave a Reply