Deprecated: Function WP_Dependencies->add_data() was called with an argument that is deprecated since version 6.9.0! IE conditional comments are ignored by all supported browsers. in /home/amadersa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6131
স্তন সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন বিভিন্ন সমস্যাও তার সমাধান

Breast Tips, Implant, enlargemen-স্তন সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন বিভিন্ন সমস্যাও তার সমাধান

বয়স বাড়ার সাথে সাথে একটি নির্দিষ্ট কৌনিক মাত্রায় স্তন ঝুলে যাওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু কিশোরী বয়সে স্তন ঢিলা হয়ে যাবার প্রবনতা স্বাভাবিক শাররীক পরিবর্তনের পর্যায়ে পড়েনা। কিশোরীর স্তন ঝুলে যাবার সম্ভাব্য কারনগুলোর মধ্যে আছে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া, সন্তান গর্ভধারন, ধুমপান অথবা বংশগত কারনে বড় আকৃতির স্তন থাকা এবং বড় স্তনে প্রয়োজনীয় সার্পোট/সঠিক আকারের ব্রা পরিধান না করা।

স্তন ঝুলে যাওয়ার লক্ষনসমুহ

নারী স্তন অস্থিবন্ধনীতে অবলম্বন করেথাকে; যদি ঐসকল অস্থিবন্ধনী প্রসারিত হয়, পেশীকলার শক্তি হ্রাস পাবার কারনে স্তনের প্রাকৃতিক অবস্থান সাধারনত নিচে নেমে আসে। স্তনবোঁটার স্থানচ্যুতি (স্তনের একদম নিচের দিকেচলে আসা) এবং স্তনের দুই পাশে চামড়া কুচকে যাওয়া থেকেও স্তন ঝুল সহজে অনুমান করা যায়।

মেয়েদের স্তন ঠিক রাখতে যা করা দরকার

স্তন ঝুলে যাওয়ার কারন

স্তন ঢিলা হয়ে যাবার স্বাভাবিক কারন হলো স্তন অতিরিক্ত বড় এবং ভারী হয়ে যাওয়া, অথবা অপ্রতুল স্তন-সার্পোট। সন্তান জন্মদানের কারনে অর্থাৎ প্রসুতিকালীন সময় স্তনের আকার বড় হয়ে যাওয়া এবং স্তনধারনের কারনে তা ভারী হয়ে যায় এবং ফল স্বরূপ স্তন ঢিলা হয়ে যেতে পারে।

প্রসুতিকালীন স্তন ঝুলা এখানে উল্লেখ্য যে সন্তানকে স্তন পান করালে স্তনের আকারে কোন প্রকার পরিবর্তন হয়না। একইসাথে উচ্চ প্রভাব ব্যয়াম যেমন দৌড়ানো, নাচ করা ইত্যাদির সময় যদি স্পোটস ব্রা কিংবা স্তনের পুর্ন অবলম্বনে সামর্থ্য ব্রা ব্যবহার না করা হয় তবে তা থেকে স্তনের ঝুলে যাওয়া সম্ভব!

Love Story coupleBreast Tips, Breast Implant enlargemen

স্তন ঢিলা হয়ে যাওয়ার বিষয় অনেক নারী চিন্তিত হন – সন্তানকে স্তনদানের সাথে স্তনের ঢিলা হয়ে যাবার সম্পর্ক আছে কিনা? কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে স্তনদানের সাথে স্তনের আকার এবং গঠনের পরিবর্তনের কোন প্রকার নেগেটিভ সম্পর্ক নেই। মাইয়োক্লিনিক ওয়েবসাইটের মতে প্রসুতিকালীন স্তন ঝুলার কারন হলো হঠাৎ স্তনের আকার পরিবর্তন এবং পরবতীতে তা আবার স্বল্প সময় ব্যবধানে কমে যাওয়া।

স্তন ঝুলে যাওয়ার সমাধান

কিশোরী বয়সে স্তনের ঝুলে যাওয়া রোধে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যেন স্তনেরঅস্থিবন্ধনী প্রসারীত না হয় এবং স্তন চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট নাহয়। যেহেতু প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ধুমপান চামড়ার স্থিতিস্থপকতা দুর্বল করে দেয় তাই ধুমপায়ীর তুলনায় অধুমপায়ী নারীর স্তন শিথিলতার প্রবনতা কম। স্বাস্থ্যকর শাররীক ওজন রক্ষা করা এবং উচ্চ-প্রভাব ব্যয়াম এবং দৈনন্দিন জীবনযাপনে পর্যাপ্ত স্তন সার্পোট স্তনের ঝুলে যাওয়া প্রতিহত করতে পারে। ‘মেডিসিন ইন স্পোর্টস এন্ড এক্সসেরসাইজ‘ জার্নাল এর জুলাই ২০১০ সংখ্যায় ছাপা এক প্রতিবেদনে বলা হয় –যে সকল স্পোর্টস ব্রা ক্রিয়াকালীন অধিক ওজনের স্তনকে সম্পুর্ন উত্তোলন এবং চেপে রাখতে সক্ষম তা নারীর অস্বস্তির সাথে সাথে স্তনের আকার/গঠনপরিবর্তন প্রতিহত করে।

Love Story coupleBreast Tips, Breast Implant enlargemen

স্তনের আকার ব্যপারে সাবধানতা

স্তনের আকার/গঠনে যেকোন অস্বাভাবিক পরিবর্তন এবং স্তনবোঁটার স্থান, আকার কিংবা গঠন পরিবর্তন হয়তো অন্যকোন কঠিন সমস্যার পুর্বাভাস হতে পারে। আপনার উচিত স্তনের মাসিক স্ব-পর্যবেক্ষন করা। যেকোন হঠাৎ পরিবর্তন লিপিবদ্ধ করুন। আপনার স্তনের আকার সম্পর্কে কোন প্রকার অস্বাভাবিকতা আঁচ করলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে অস্বস্তি করবেন না। কারন লজ্জার কারনে সমস্যা প্রকটতা পেতে পারে।

স্তন ঝুলে যাওয়ার চিকিৎসা

কিছু ব্যয়াম, সঠিক আকারের ব্রা/অন্তঃবাস পরিধানের পাশাপাশি ঝুলে যাওয়া স্তন সুঢৌল করার একমাত্র উপায় হলো কসমেটিক সার্জারী। ব্রেষ্ট লিপ্টিং এবং স্তন বর্ধন সার্জারী নির্দিষ্ট মাত্রায় ঝুলে যাওয়া স্তনে কিছুটা উন্নতি আনতে পারে। তবে সার্জারীর মানে এই নয়যে সার্জারীকৃত স্তন আর কখনো ঝল/ঢিলে হবেনা। মধ্যাকর্ষন স্তনের পেশীকলায় পুর্বের ন্যায় প্রভাব ফেলতে পারে – তাই সার্জারীর এই ফলাফল ক্ষনস্থায়ী এবং স্বাভাবিক।

স্তন বড় করার উপায়

প্রকৃত সুন্দর্য ফুটাতে সঠিক মাপের সুডৌল স্তনের জুড়ি নেই। বড় ব্রেস্ট মেয়েদের যৌন আকর্ষনীয় করে তোলে৷ আজকাল বেশিরভাগ নারী স্তনের গুরুত্ব বোঝে। অনেকে আছেন স্তন বড় ও সুন্দর করার নিয়ম খুজছেন বা অনেক পন্থা ইতিমধ্যেই অবলম্বন করছেন। কেউ হয়ত ভালো ফলাফল পেয়েছেন কেউ আবার পান নাই। এখন প্রাকৃতিকভাবেই ব্রেস্ট বড় করা যায়, সার্জারীর প্রয়োজন তেমন হয় না। সাধারণত ৩৪-৩৬ মেয়েদের স্ট্যান্ডার্ড ব্রেস্ট সাইজ। তবে অনেকের ব্রেস্ট আকারে ছোট হয়। এ লেখাটি তাদের জন্য যাদের ব্রেস্টের মাপ ৩৪-৩৬ এর নিচে। নিম্নে প্রাকৃতিকভাবে ব্রেস্ট বড় করার উপায় আলোচনা করা হলোঃ

১. হাত ঘষে গরম করে দুই হাত স্তনের নিচে হালকা চেপে ধরে ডানহাত ঘড়ির কাটার দিকে আর বাম হাতে ঘড়ির কাটার উল্টা দিকের মত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১০-১৫ মিনিট এভাবে ১০০…

থেকে ৩০০ বার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। মাস খানেকের মধ্যে স্তনের সাইজ কিছুটা বাড়তে পারে। সেই সাথে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে, রাতে অনেক ঘুমাতে হবে। ব্রেস্টে নিয়মিত ম্যাসাজ করলেও এটা ধীরে ধীরে বড় হয়। 

কম বয়সে মেয়েদের স্তন ঝুলে যাওয়ার কারণ, ১০০%

২. মেয়েদের জন্য ব্রেস্টের কিছু স্পেশাল ব্যায়াম আছে যেমন: বেঞ্চ প্রেস, বাটারফ্লাই প্রেস, পুশ-আপ (বুকডাউন) নিয়মিত এগুলো করে স্তনের টিস্যুতে ব্লাড ফ্লো বাড়াতে হবে। এতে বুকের পেশিগুলো সঠিক শেপে এসে স্তনকে সুগঠিক করবে। এটা অনেকটা বডিবিল্ডাররা যেভাবে শরীরের পেশি বৃদ্ধি করে, সেভাবে কাজ করবে। দিনে বেশ কয়েকবার দুইহাত দুইদিকে প্রসারিত করে আবার এক করুন।

৩. হাত ঘষে গরম করে দুই হাত স্তনের নিচে হালকা চেপে ধরে ডানহাত ঘড়ির কাটার দিকে আর বাম হাতে ঘড়ির কাটার উল্টা দিকের মত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১০-১৫ মিনিট এভাবে ১০০ থেকে ৩০০ বার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। মাস খানেকের মধ্যে স্তনের সাইজ কিছুটা বাড়তে পারে। সেই সাথে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে, রাতে অনেক ঘুমাতে হবে।

৪. বাথরুমে স্নান করার সময় হাত দিয়ে ব্রেস্টের চারপাশ ১০/১৫ মিনিট ম্যাসাজ করবেন। চাইলে ম্যাসাজের সময় হালকা গরম করে সামান্য সরিষার তেল বা খাঁটি মধু ব্যবহার করতে পারেন। আপনার শরীর যদি রোগা হয় তাহলে ২/৩ মাস সুষম খাদ্য খায়ে শরীরটা ঠিক করেন, দুধ, ডিম, ফল একটু বেশি খেলে উপকার পাবেন। চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন। শরীর বাড়ার সাথে সাথে আপনার স্তন ও বড় হবে। ম্যাসাজটা চালিয়ে যাবেন। যদি পারেন তাহলে দিনে দুই বার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আলতো ভাবে টিপবেন বা ম্যাসাজ করবেন। আর এইসময় কিন্তু সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার করতে হবে। নইলে ব্রেস্ট ঝুলে যেতে পারে।

Love Story couple

৫. আপনি যখন থেকে ব্রেস্ট বড় করার জন্য ব্যায়াম ও ম্যাসাজ শুরু করবেন, তখন থেকে ব্রেস্ট এনলার্জিং ক্রিম ব্যবহার করা বন্ধ করে দিন (যদি ম্যাসাজ শুরুর আগে থেকে ব্রেস্ট এনলার্জিং ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন)। কারণ এ ধরণের ক্রিম সাধারণত কোন কাজে আসে না। এছাড়া ব্রেস্ট বড় করার জন্য কোন পিল সেবন করবেন না। এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। ব্রেস্ট ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে এসব ক্রিম/পিল ব্যাবহার করার ফলে।

এক বা দুই সপ্তাহ পর পর নিজের ব্রেস্ট মাপুন, টাইট জামাকাপড় পরিধান করুন এবং সঠিক কাপ সাইজের ব্রা পরিধান করুন। এছাড়া ব্রেস্ট বড় করার জন্য ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট সার্জারী রয়েছে। এটি ন্যাচারাল নয় বলে না করাই ভালো এবং এ পদ্বতিটি ব্যয়বহুল।

 

স্তন ছোট করার উপায়

১। ওজন নিয়ন্ত্রণ:
মেয়েদের স্তনের ৯০% ই ফ্যাট।যদি এই ফ্যাটের সিংহভাগ কমানো যায় তবে স্তনের অঅকার ছোট করা সম্ভব।তবে শুধু স্তনের ফ্যাট কামেনা সম্বভ নয়। তাই নজর দিতে হবে সম্পূর্ণ শরীরের উপর।এক্ষত্রে ফিগার নিয়ন্ত্রন করাই হবে শ্রেয়।

২। অস্বাস্থ্যকর খাবার বর্জনঃ
বাইরের অস্স্থ্যকর খাবার বর্জন করতে হবে।সাথে সাথে চিনি জাতীয় খাবার ও বর্জন করতে হবে যেমন:জুস, আইসক্রিম, চিপস,  সফট ড্রিংক্স ও বিভিন্ন তেলে ভাজা খাবার।

৩। পুষ্টিঃ
সাস্থ্যসম্মত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। বিশেষ করে শাবসবজি খাদ্য তালিকায় কমন রাখতে হবে।লো ক্যালরীযুক্ত খাবার বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন।ক্যালরী কমে গেলে অতিরিক্ত ওজন কেমে যেতে সাহায্য করবে।

পড়ুন  মেয়েদের বক্ষ এত আকর্ষণীয় হওয়ার কারণ কি স্তন ? কি বলে মেয়েরা চলুন জেনে নিই

৪। ব্যায়ামঃ
অতিরিক্ত ফ্যাট কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। নিয়মিত ব্যায়ামে করতে হবে।ব্যায়ামের মাধ্যমে পেশী নতুনভাবে সুঘঠিত করা সম্ভব।আর পেশী সুগঠিত হলে স্তন ও সুগঠিত ও ছোট হবে।

৫। এ্যারোবিক্সঃ
ব্রেস্ট ছোট করতে প্রতিদিন না পারেন সপ্তাহে অন্তত ৫-৬  দিন এ্যারোবিক্স করুন। তাহলে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমে যাবে আর স্তন ছোট হবে।

Sad words
Sad words

৬। ডায়েটঃ
স্তন ছোট করতে ডায়েড নিয়ন্ত্রন কার উচিত।ডায়েড কারা জন্য শাক-সবজি ও রুটি খেতে হবে।অঅর বাটার,চিপস, বার্গার , আইসক্রিম বর্জন করতে হবে।

৭। রিডাকশন ম্যামোপ্লাস্টি সার্জারীঃ

উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করার পরও যদি আশানুরূপ ফল না পান, তাহলে রিডাকশন ম্যামোপ্লাস্টি সার্জারী করুন।মনে রাখবেন রিডাকশন ম্যামোপ্লাস্টি সার্জারীব্যয়বহুল। রিডাকশন ম্যামোপ্লাস্টি সার্জারী হচ্ছে অস্বাভাবিক বড় স্তনকে ছোট করে দেহের সাথে মানানসই আকার দেয়া। তবে এধরণের সার্জারী তাদেরই করা উচিত যাদের ব্রেস্ট অস্বাভাবিক। তবে এধরণের সার্জারী করার আগে অবশ্যই এ বিষয়ে কোন অভিজ্ঞ ডাক্তার বা সার্জনের সাথে পরামর্শ করে নেয়া উচিত।

এছাড়া জামা-কাপড় এবং জুয়েলারীর মাধ্যমেও আপনার বড় ব্রেস্টকে ছোট দেখাতে পারেন, যদি আপনি ব্রেস্ট ছোট করার ঝামেলা করতে না চান। এ পদ্বতিটি তাদের জন্য যারা নিজেদের ব্রেস্ট ছোট দেখাতে পছন্দ করেন। উপায়গুলো নিম্নে দেয়া হলোঃ

পড়ুন  স্তন এর সৌন্দর্য বাড়াতে সার্জারি নয়, প্রাকৃতিক উপায় জেনেনিন

১। মিনিমাইজিং ব্রা ব্যবহারঃ
যাদের ব্রেস্ট বড়, তারা মিনিমাইজিং ব্রা ব্যবহার করতে পারেন। এর বিভিন্ন ডিজাইন রয়েছে। আপনার ব্রেস্টের মাপ অনুযায়ী ব্রা কিনুন। এ ধরণের ব্রা পরলে আপনার ব্রেস্টকে অন্তত ২ সাইজ কম দেখাবে। এছাড়া মিনিমাইজিং ব্রা পরতে আরামদায়ক এবং ব্রেস্টের সাইজ কম দেখানোর অন্যতম উপায়।

২। অন্যান্য ব্রা এর মাধ্যমে ব্রেস্ট ছোট দেখানোঃ
মিনিমাইজিং ব্রা ছাড়াও অন্যান্য ব্রা এর মাধ্যমেও বড় ব্রেস্টকে ছোট দেখানো যায়। সেক্ষেত্রে পাতলা ধরণের দুটি ব্রা একত্রে পরিধান করুন। এক্ষেত্রে কাপড় বা পাতলা ফোম জাতীয় সঠিক কাপ সাইজের ব্রা পরতে পারেন। এতে আপনার ব্রেস্ট টানটান থাকবে এবং আপনার ব্রেস্ট ছোট দেখাবে। এছাড়া স্পোর্টস ব্রা পরতে পারেন। এতেও ব্রেস্ট ছোট দেখাবে। ভুলেও টাইট ব্রা অথবা ব্লাউজ পরবেন না।

৩। জামা-কাপড় এবং জুয়েলারীর মাধ্যমে ব্রেস্ট ছোট দেখানোঃ
জামা-কাপড়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই লম্বা এবং ঢিলেঢালা জামা পরতে পারেন। এছাড়া গাঢ় রংয়ের জামা পরতে পারেন। এতে ব্রেস্টের প্রকৃত মাপ বোঝা যায় না। ব্রেস্টের অধিকাংশ দেখা যায় এমন জামা পরবেন না। এছাড়া বড় গলার ডিজাইন করা এবং শর্ট জামাও পরবেন না। শর্ট জামা পরলে ব্রেস্ট বড় দেখায়। আর জুয়েলারীর ক্ষেত্রে এমন কোন জুয়েলারী পরবেন না যা ব্রেস্টের মাঝখানে এসে ঝুলে থাকে। চাইলে গলায় থাকবে এমন ছোটখাট কোন জুয়েলারী পরুন।

drBreast Tips, Breast Implant enlargemen

স্তনের বিভিন্ন সমস্যা

স্তনের সমস্যা নিয়ে যত মহিলা ডাক্তারের শরণাপন্ন হন তার প্রধান কারণ মূলত শুধু ব্যথা। আর এ সমস্যা নিয়ে রোগীরা ডাক্তারকে যে প্রশ্নটি করেন তা হলো, আমার কি ক্যান্সার হয়েছে, আর সেই কারণে কি আমার স্তনব্যথা করছে? এসব ব্যথাকে দু’টি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়।

সাধারণ স্তনব্যথা

বিশেষ ধরনের স্তনব্যথা।

সাধারণ স্তনব্যথা : এ ধরনের ব্যথার সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে এবং সেই একই কারণে শরীরের অন্য যে কোন স্থানে ব্যথা হতে পারে। যেমন- ১. আঘাতজনিত ব্যথা, ২. ফোঁড়া জাতীয় ইনফেকশন বা প্রদাহ, ৩. নানা ধরনের রোগের সংক্রমণ যেমন- যক্ষ্মা, সিফিলিস, ৪. স্তনে দুধ জমে যাওয়া, যা শিশু জন্মের প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে সাধারণত হয়ে থাকে।

সাধারণ কারণে স্তনব্যথা হলে তা একটু চেষ্টা করলেই যেকোন চিকিৎসক নির্ণয় করতে পারেন এবং সঠিক চিকিৎসায় এ জাতীয় রোগ সম্পূর্ণ সারিয়ে তোলা সম্ভব।

বিশেষ ধরনের ব্যথা : এটা কেবল স্তনের কোন রোগ বা অসামঞ্জস্যের জন্য অনুভূত হয়। ডাক্তারি শাস্ত্রে এ জাতীয় ব্যথাকে ম্যাস্টালজিয়া বলা হয়। স্তনের সমস্যাজনিত যত কারণে মহিলারা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হন তার প্রধান কারণই এই ম্যাস্টালজিয়া।

পুরুষদের যৌন শক্তি বাড়ানোর জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধ

রোগের কারণ অনেক ক্ষেত্রেই অত্যন্ত জটিল হয়ে থাকে। এং অবস্থার জন্য অনেক সময় স্তনের অস্বাভাবিক অথবা অনিয়মিত বৃদ্ধিকে দায়ী করা যায়, যা মূলত রক্তে হরমোনের অনাকাক্সিক্ষত তারতম্যের কারণে হয়ে থাকে। রোগ নির্র্ণয় এবং চিকিৎসার পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে সাধারণ চিকিৎসকের পক্ষে এই রোগের সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা অসম্ভব এবং সে কারণেই রোগীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন আর অসহায় হয়ে ছুটে বেড়ান এক ডাক্তার থেকে অন্য ডাক্তারের কাছে।

ম্যাস্টালজিয়া সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে- ১. চক্রাকার ম্যাস্টালজিয়া ও ২. চক্রহীন ম্যাস্টালজিয়া। চক্রাকার ম্যাস্টালজিয়াতে যে ধরনের ব্যথা অনুভূত হয় তা মাসিকের ঠিক আগে শুরু হয় এবং মাসিক শুরুর পরপরই তা বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত দুই স্তনেই ব্যথা হয় এবং এ জাতীয় সমস্যা ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে স্তনের উপরের অংশের বহির্ভাগে ব্যথা বেশি অনুভূত হয় এবং তা বগল হয়ে বাহু পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। অনেক সময় একটি স্তনে অন্যটির চেয়ে বেশি ব্যথা হয়। এই ব্যথা আপনা আপনিই চলে যেতে পারে, তবে প্রয়োজনবোধে কিছু চিকিৎসা দিতে হয়।

চক্রহীন ম্যাস্টালজিয়াতে সাধারণত ৪০ উর্ধ্ব মহিলারা আক্রান্ত হন এবং মাসিকের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নির্ণয় করা যায় না। এই ব্যথা মাসের যেকোন সময় অথবা দুই-তিন মাস পরপর অর্থাৎ এর কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। স্তনের নিম্নাংশে ভেতরের দিকে বেশি ব্যথা হয় এবং চারপাশে খুব একটা ছড়ায় না। যেকোন একটিতে অথবা উভয় স্তনে এ ব্যথা হতে পারে।

বুকের মাংসপেশি, অস্থি অথবা সংযোগস্থলের ব্যথাকেও অনেক সময় রোগীরা স্তনের ব্যথা মনে করে ডাক্তারের কাছে ভুল বর্ণনা দেন। ডাক্তারই কেবল রোগীর বর্ণনা এবং সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমে এই দুই ধরনের ব্যথার পার্থক্য নির্ণয় করতে পারেন, যা প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তর।

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার উপায়

স্তনব্যথা ক্যান্সারের কারণে হচ্ছে কি না তা জানার জন্য চিকিৎসক দু’টি বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হবেন-১. ব্যথার স্থান সঠিকভাবে নিরূপণ, ২. স্তনে কোন চাকার অস্তিত্ব নিরূপণ। পরিসংখ্যানে জানা যায়, স্তনে ব্যথার মাত্র ১ দশমিক ৫ থেকে ২ দশমিক ২ ভাগের ক্ষেত্রে কারণ হিসেবে ক্যান্সারকে দায়ী করা হয়। অপরদিকে যারা স্তনে চাকা এবং একই সঙ্গে ব্যথা নিয়ে আসেন তাদের ১৮ ভাগ ব্যথার জন্য ক্যান্সারই দায়ী।

স্তনের ব্যথাকে খুব সহজভাবে নেয়ার কারণ নেই। একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরী এবং একমাত্র তিনিই নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগের সঠিক কারণ নির্ণয় করতে পারেন। রোগীর যদি অন্য কোন রোগ না থাকে এবং পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার জাতীয় জটিল রোগের আশঙ্কাকে অমূলক প্রমাণ করা যায় তবে ৮৫ ভাগ মহিলার স্তনে ব্যথা কেবল আশ্বাসের মাধ্যমে অর্থাৎ ‘আপনার কোন খারাপ অসুখ বা ক্যান্সার হয়নি’ -এই বলেই দূর করা যায়। বাকি ১৫ ভাগ মহিলার ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে ওষুধ গ্রহণের। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন এবং উপযুক্ত চিকিৎসা নিয়ে নিরাপদে থাকুন।

জনকণ্ঠ

Leave a Reply