যিশুর জীবনী ।। Jesus Christ biography in bengali ।। যীশুর জীবন কাহিনী

জগতে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি রয়েছে। কেউ কেউ তাদের নিজেদের সমাজ, শহর বা দেশে সুপরিচিত। অন্যেরা সারা বিশ্বে পরিচিত। কিন্তু, কেবল বিখ্যাত কারো নাম জানা থাকলেই তা বোঝায় না যে, আপনি সত্যি সত্যি তাকে জানেন। এটা বোঝায় না যে, আপনি তার পটভূমি এবং ব্যক্তি হিসেবে তিনি কেমন, তা বিস্তারিতভাবে জানেন।

নাজরতীয় যীশুর জন্মের তারিখ গসপেল বা কোন ধর্মনিরপেক্ষ পাঠে উল্লেখ করা হয়নি, কিন্তু বেশিরভাগ পন্ডিতই খ্রীষ্টর্পূব ৬ এবং খ্রীষ্টর্পূব ৪ মধ্যে জন্মের একটি তারিখ অনুমান করেন। ঐতিহাসিক প্রমাণসমূহ র্নিদিষ্ট তারিখ র্নিধারনরে ক্ষেত্রে দ্ব্যর্থক ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে তারিখটি দুটি ভিন্ন পন্থা দ্বারা অনুমান করা হয় – লূক ও মথিের সুসমাচারে খৃষ্টীয় খৃস্টানদের উল্লেখ করা ঐতিহাসিক ঘটনাগুলির উল্লেখ বিশ্লেষণ করে এবং দ্বিতীয়টি যিশুর মন্ত্রণালয়ের শুরু থেকে প্রাক্কালের ওপর গবেষনা করে।

যিশু খ্রিস্টের জন্ম – জন্মস্থান

 সারা পৃথিবীর লোকেরা যিশু খ্রিস্ট সম্বন্ধে কিছু-না-কিছু শুনেছে, যদিও তিনি প্রায় ২,০০০ বছর আগে পৃথিবীতে বেঁচে ছিলেন। তা সত্ত্বেও, যিশু আসলে কে ছিলেন, তা নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। কেউ কেউ বলে যে, তিনি নিতান্তই একজন ভালো মানুষ ছিলেন। অন্যেরা দাবি করে যে, তিনি একজন ভাববাদী ছাড়া আর কিছুই ছিলেন না। আবার কেউ কেউ বিশ্বাস করে যে, যিশু হলেন ঈশ্বর এবং তাঁকে উপাসনা করা উচিত। আসলেই কি তাঁকে উপাসনা করা উচিত?যিশু সম্বন্ধে সত্য জানা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কেন? কারণ বাইবেল বলে: “আর ইহাই অনন্ত জীবন যে, তাহারা তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁহাকে পাঠাইয়াছ, তাঁহাকে, যীশু খ্রীষ্টকে, জানিতে পায়।” ) হ্যাঁ, যিহোবা ঈশ্বর ও যিশু খ্রিস্টকে প্রকৃতরূপে জানা, এক পরমদেশ পৃথিবীতে অনন্তজীবনের দিকে পরিচালিত করতে পারে।  অধিকন্তু, কীভাবে জীবনযাপন করতে হয় ও অন্যদের সঙ্গে ব্যবহার  করতে হয়, সেই সম্বন্ধে যিশু সর্বোত্তম উদাহরণস্থাপন করেন।

যিশুর জন্মের অনেক আগে, বাইবেল এমন একজন ব্যক্তির আগমনের বিষয় ভবিষ্যদ্‌বাণী করেছিল, ঈশ্বর যাঁকে মশীহ বা খ্রিস্ট হিসেবে পাঠাবেন। “মশীহ” (এক ইব্রীয় শব্দ থেকে) এবং “খ্রিস্ট” (এক গ্রিক শব্দ থেকে), দুটো উপাধিরই অর্থ হচ্ছে “অভিষিক্ত ব্যক্তি।” এই প্রতিজ্ঞাত ব্যক্তি  হবেন অভিষিক্ত অর্থাৎ তিনি এক বিশেষ পদমর্যাদায় ঈশ্বরের দ্বারা নিযুক্ত হবেন। এই বইয়ের পরবর্তী অধ্যায়গুলোতে আমরা ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাগুলোর পরিপূর্ণতায় মশীহের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সম্বন্ধে আরও বেশি কিছু শিখব। এ ছাড়া, আমরা সেই আশীর্বাদগুলো সম্বন্ধেও আরও বেশি কিছু শিখব, যেগুলো যিশু এমনকী এখনই আনতে পারেন। তবে, যিশু জন্মগ্রহণ করার আগে, নিঃসন্দেহে অনেকেই ভেবেছিল যে, ‘কে সেই মশীহ হিসেবে প্রমাণিত হবেন?

 প্রথম শতাব্দীতে, নাসরতের যিশুর শিষ্যরা সম্পূর্ণ দৃঢ়প্রত্যয়ী ছিলেন যে, তিনিই ছিলেন ভবিষ্যদ্‌বাণীকৃত সেই মশীহ।  শিমোন পিতর নামে, শিষ্যদের মধ্যে একজন খোলাখুলিভাবে যিশুকে বলেছিলেন: “আপনি সেই খ্রীষ্ট।”  কিন্তু, কীভাবে সেই শিষ্যরা নিশ্চিত হতে পেরেছিলেন এবং কীভাবে আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে, প্রকৃতপক্ষে যিশুই হচ্ছেন প্রতিজ্ঞাত মশীহ?

বর্তমান কালে পৃথিবীতে সবচেয়ে জাঁকজমকভাবে যে ধর্মীয় উৎসব পালিত হয় নিঃসন্দেহে সেটাক্রিসমাস। বড়দিন।ক্রিসমাস উপলক্ষে আজকের এই নোট। ক্রিসমাস (Christmas) শব্দটা এসেছে Christ’s Mass থেকে। আক্ষরিক অর্থ খ্রিস্টের সার্ভিস। “মেরি ক্রিসমাস” অর্থ তাই “শুভ হোক খ্রিস্টের সার্ভিস”; যদিও এ অর্থ মাথায় রাখে না মানুষ বলার সময়। সংক্ষেপে X-Masও লিখা হয় ক্রিসমাস বুঝাতে। কারন, গ্রিক ভাষায় খ্রিস্ট লেখার শুরু হয় X দিয়ে  ক্রিসমাস উদযাপন মূলত যীশুর জন্মদিন পালন। খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে এ দিন যীশু জন্ম নেন এ পৃথিবীতে মা মেরীর গর্ভ থেকে। বিশ্বব্যাপী পালিত এ জন্মদিন কি আসলেই জন্মদিন?  জন্মতারিখটা ইতিহাস নাকি মিথ সে আলোচনায় যাওয়ার আগে কিছু হালকা বিষয় জেনে নেয়া যাক।

বেশিরভাগ দেশেই এ দিনটি ছুটির দিন। এ দিনটার একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ হল সান্তা ক্লজ এর লিজেন্ড। Santa Claus শব্দটা এসেছে Saint Nicholas থেকে। ফাদার ক্রিসমাস বা শুধু সান্তা নামেও ডাকা হয়। শিশুদের বিশ্বাস করানো হয়, সান্তা ক্রিসমাস এর আগের রাতে সবাইকে গিফট দিয়ে যান “মোজা”য় ভরে। সাদা দাঁড়ির মোটাসোটা লাল পোশাকের এ লোক থাকেন উত্তর মেরুতে। তাঁর সাথে আছে অসংখ্য জাদুকরি এলফ আর নয়টা (বা ৮টা) উড়ন্ত বল্গা হরিণ। এলফ-রা গিফট প্রস্তুত করে। তিনি সেটা তাঁর স্লেজ এ করে উড়ে উড়ে দিয়ে আসেন।

যীশুর মৃত্যু


ঈশ্বরের কাছে আমাদের নিয়ে যাবার জন্য সেই নির্দোষ লোকটি পাপীদের জন্য, অর্থাৎ আমাদের জন্য মরেছিলেন। দেহে তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছিল, কিন্তু আত্মায় তাঁকে জীবিত করা হয়েছিল এবং তিনি বন্দী আত্মাদের কাছে গিয়ে প্রচার করেছিলেন।” ১৮ পদে উল্লেখিত “আত্মায়” বলতে যে বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে তা ঠিক একইভাবে ব্যবহৃত বাক্য “দেহের” সাথে সম্পর্কিত। তাই, দেহ এবং আত্মা একই ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়েছে। এই দেহ এবং আত্মা হচ্ছে খ্রীষ্টের দেহ এবং আত্মা। আবার, “আত্মায় জীবিত করা হয়েছিল” এই কথাটি বলে যে, খ্রীষ্টের পাপ বহন ও মৃত্যু তাঁর মানবীয় আত্মাকে তাঁর পিতার কাছ থেকে আলাদা করে দিয়েছিল । মথি  পদ এবং রোমীয়  পদে দেহ ও আত্মার তুলনার কথা বলা হয়েছে তা খ্রীষ্টের দেহ এবং পবিত্র আত্মার সাথে নয়। যখন খ্রীষ্ট আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ব কাজটি শেষ করেছিলেন, তখন তাঁর আত্মা আবার তাঁর ভেংগে যাওয়া সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করেছিল।

১ পিতর পদে খ্রীষ্টের কষ্টভোগ(১৮ পদ) এবং তাঁর স্বর্গে যাবার বিষয়টি দরকারী বলে যুক্ত করে বর্ণনা করা হয়েছে। এই দুটি ঘটনার মাঝখানে কি ঘটেছিল তার নির্দিষ্ট বর্ণনা শুধুমাত্র পিতর দিয়েছেন। ১৯ পদে বলা “প্রচার করেছিলেন” কথাটি নতুন নিয়মে সাধারণভাবে ব্যবহার করা হয় না, কিন্তু সুসমাচার প্রচার করা ব্যবহার করা হয়। আক্ষরিক অর্থে এই কথার মানে কোন বিশেষ সংবাদ ঘোষণা করা বুঝায়। যীশু কষ্টভোগ করে ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, তাঁর দেহকে মৃত্যুর হাতে সমর্পণ করা হয়েছিল এবং পাপের কারণে তাঁকে আত্মায় মরতে হয়েছিল। কিন্তু তাঁর আত্মা আবার জীবিত হয়ে উঠেছিল এবং তাঁর আত্মা পিতার কাছে গিয়েছিল। পিতরের কথা অনুসারে, যীশু তাঁর মৃত্যু ও পুনরুত্থানের মাঝামাঝি সময়ে “বন্দী আত্মাদের কাছে” এক বিশেষ বাণী প্রচার করেছিলেন।

এই বিষয়ে পিতর যে উদ্ধৃতি দিয়েছেন, তা “আত্মা” নয় কিন্তু “প্রাণ” বলতে চেয়েছেন। নতুন নিয়মে “আত্মা” শব্দটি দিয়ে স্বর্গদূত বা মন্দ আত্মাদের বুঝানো হয়েছে, মানুষের ক্ষেত্রে নয়। সম্ভবত, ২২ পদে এই অর্থই বোঝানো হয়েছে। তাছাড়া, বাইবেলের কোথাও উল্লেখ নাই, যীশু নরক পরিদর্শন করেছেন। প্রেরিত  পদে বলা হয়েছে, তিনি “মৃতস্থানে” গিয়েছিলেন এবং “মৃতস্থান” এবং “নরক” এক নয়। “মৃতস্থান” বলতে মূলত মৃত লোকদের জন্য সাময়িক স্থান বুঝায় যেখানে তারা পুনরুত্থানের জন্য অপেক্ষা করছে। প্রকাশিত বাক্য  পদে এই দুটো স্থানের পার্থক্য সম্পর্কে এক সুস্পষ্ট ধারণা দেয়া হয়েছে। বিচারের পর নরক হচ্ছে পাপীদের জন্য চুড়ান্তভাবে নির্দিষ্ট থাকার স্থান, আর মৃতস্থান হচ্ছে সাময়িক থাকার স্থান।

আমাদের প্রভু তাঁর আত্মা ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করেছেন, মারা গিয়েছেন এবং তাঁর মৃত্যু ও পুনরুত্থানের মাঝামাঝি কোন এক সময় মৃতদের স্থান পরিদর্শন করে মৃত আত্মাদের কাছে সুসমাচারের বাণী ঘোষণা করেছেন (যিহূদা ৬ পদ অনুসারে পতিত স্বগর্দূতদের কাছেও হতে পারে), যারা কোনভাবে নোহের সময়ে ঘটে যাওয়া বন্যার আগেকার আত্মাদের সাথে সম্পর্কযুক্ত। ২০ পদ অনুসারে স্পষ্ট এটাই বোঝা যায়। খ্রীষ্ট বন্দী আত্মাদের কাছে ঠিক কি বাণী প্রচার করেছিলেন তা পিতর আমাদের বলেন নাই, কিন্তু তা মুক্তির সুসমাচার নয়, কারণ পতিত স্বর্গদূতেরা উদ্ধার পাবে না । সম্ভবত, এই বাণী ছিল শয়তান ও তার দলবলের উপরে চুড়ান্ত বিজয়ের ঘোষণা । একইভাবে ইফিষীয়  পদে এটা ইংগীত করা হয়েছে যে, খ্রীষ্ট “স্বর্গে” উঠে গিয়েছিলেন  এবং তাঁর মৃত্যুর পরে যারা তাঁকে বিশ্বাস করেছিল, তিনি তাদের স্বর্গে নিয়ে যান। এই শাস্ত্র অংশে ব্যাপক বর্ণনা করা নাই সেই সময় কি ঘটেছিল; তবে অধিকাংশ বাইবেল পন্ডিতেরা স্বীকার করে থাকেন যে, এর মানে- খ্রীষ্ট “বন্দীদের বন্দিদশা থেকে বের করে আনলেন।”

তাই, বলা যায় যে, খ্রীষ্ট তাঁর মৃত্যু ও পুনরুত্থানের মাঝখানের ঐ সময়ে ঠিক কি করেছিলেন তা বাইবেল খুব পরিষ্কার করে বলে নাই। তবু মনে হয়, তিনি অবিশ্বাসী আত্মাদের কাছে, এবং পতিত স্বর্গদূতদের উপরে তাঁর বিজয় ঘোষণা করতে গিয়েছিলেন। তবে আমরা নিশ্চিতভাবে জানি যে, যীশু কাউকেই দ্বিতীয়বার পরিত্রাণ বা উদ্ধারের সুযোগ দেবেন না। বাইবেল আমাদের বলে যে, মৃত্যুর পরে আমাদের বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে আর দ্বিতীয় কোন সুযোগ নাই। সেজন্য বলতে হয়, যীশু তাঁর মৃত্যু ও পুনরুত্থানের মাঝখানের সময়ে ঠিক কি করেছিলেন তা একেবারে নিশ্চিত সুস্পষ্ট নয়। সম্ভবত, এটা এমন এক রহস্য, যা আমরা মহিমা প্রাপ্তির পর (মৃত্যুর পর) বুঝতে পারব।

New Year Sms – নতুন বছরের শুভেচ্ছা

যীশু খ্রীষ্ট Jesus Christ Biography

দিন গড়িয়ে মাস, মাস গড়িয়ে শেষ হলো বছর। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টাতে উল্টাতে শেষ হলো আরও একটি খ্রিস্টিয় বছর। সকালের সূর্যটা নতুন না হলেও ক্ষণটি একেবারেই নতুন।সকালের সূর্যটা নতুন না হলেও ক্ষণটি একেবারেই নতুন। নতুন বছরের শুরুতেই তাই সবাইকে শুভেচ্ছা, সেই সাথে থাকছে মন, মনের সুস্থতা এবং এই সম্পর্কিত কিছু কথা, বইয়ের কচকচানি নয়।  নতুন বছর উপলক্ষে একজন মনোরোগ চিকিৎসকের পক্ষ থেকে সাধারণ কিছু কথা।

একজন মানুষ বাঁচে নিজের জন্য, তার পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য এবং সমগ্র মানবজাতির জন্য। এর প্রতিটি ক্ষেত্রেই যথার্থ ভূমিকা পালনের জন্য দরকার সুস্থ দেহ, সুস্থ মন। (প্রকৃতপক্ষে দেহ এবং মন আলাদা কিছু নয়, তবু বোঝার সুবিধার্থে আলাদা ভাবেই ধরে নিচ্ছি)। দেহের সুস্থতার জন্য যেমন অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয় বা চলা উচিৎ, মানসিক সুস্থতার জন্য তেমনই বেশ কিছু নিয়ম মানতে হয়, মানা উচিৎ। এসবের অনেক কিছুই এতো ছোটখাটো ব্যাপার যে, আমরা আলাদাভাবে তাদের অস্তিত্বই হয়তো বুঝি না। অথচ, এসবই জন্ম দিতে পারে যন্ত্রণার এক বিরাট মহীরুহের– যার ফলে নষ্ট হয় একটি জীবন এবং তার উপর নির্ভরশীল সবকিছুই। নতুন বছরের শুরুতেই তাই জেনে নেওয়া যাক অল্প কিছু কথা- কি কি আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিৎ, কি কি পরিবর্তন করা উচিৎ, পরিবর্তন করলে কি সুবিধা ইত্যাদি ।

নতুন স্বপ্ন ও নতুন আশা নিয়ে এল একটি নতুন বছর: ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ। অর্জন-ব্যর্থতা, সুখ-দুঃখ সবকিছু নিয়ে ইতিহাসের গর্ভে চলে গেল ২০১৮। ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, আরও নতুন নতুন সাফল্যময় অর্জনের প্রয়াসী হওয়ার সংকল্প নিয়ে নতুন বছর শুরু করার এই মুহূর্তে আমরা আমাদের পাঠক, লেখক, শুভানুধ্যায়ী সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। শুভ নববর্ষ ! Happy New Year 2019

যীশু খ্রীষ্ট Jesus Christ Biography

যদিও পয়লা বৈশাখ বাঙালিদের মানে বাংলার নতুন বছর হলেও NEW  YEAR এর মোজাটাকেই একটু আলাদা। আমরা যারা খাঁটি ভোজন রসিক বাঙালি আছি তারা যেমন পয়লা বৈশাখ এ খেয়ে দিয়ে সারি আর পাঞ্জাবিতে আবদ্ধ হয়ে আনন্দ করে ঠিক NEW  YEAR এর সময় স্টাইলিশ জামা কাপড় জিন্স প্যান্ট শার্ট কোর্ট জ্যাকেট ইত্যাদি পরে ডিস্ক নিঘ্ত ক্লাব এ যাওয়া ভালো মন্দ খাওয়া ইত্যাদি লেগে থাকে। আমরা এই Happy New Year 2019 এর জন্য কিছু ভালো ভালো ম্যাসেজ সোহো শুভেচ্ছার বার্তা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।

 

1.নতুন বছর আসুক নিয়ে নতুন নতুন আশা, পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিক শুধুই ভালোবাসা । হানা-হানি বেধাবেদ সব কিছু ভুলি, এসো সবাই মিলে মিশে সৎ পথে চলি । সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা । Happy New Year 2019

 

2.স্বপ্ন সাঁজাও রঙের মেলায়, জীবন ভাসাও রঙিন ভেলায়। ফিরে চলো মাটির টানে ,নতুন সুরে নতুন গান। নতুন আশা জাগাও প্রানে,খুজে নাও বাঁচার মানে। সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। Happy New Year 2019

যীশু খ্রীষ্ট Jesus Christ Biography

3.নতুন বছর নতুন ভাবে, নতুন সাঁজে নতুন কাজে , নতুন আনন্দে, নতুন ভালোবাসায়, নতুন সম্ভাবনায়, ছুঁয়ে যাক তোমার হৃদয় ”। Happy New Year 2019

 

4.আসছে নতুন বছর, সবাইকে জানাই সুখবর , সবার মনে আনন্দ, তবে কেন মুখ বন্ধ , জোরে জোরে বলা দরকার, হেপি হেপি নিউ ইয়ার । Happy New Year 2019

 

5.নবরুপে সাজো, সাঁজাও মনটা নতুন রঙে , মুছে ফেলো মন থেকে দুঃখ বেদনার সৃতি । নব ছন্দে এগিয়ে চলো , শুভ ইংরেজি নববর্ষ ২০১৯। Happy New Year 2019

 

6.বছর শেষের ঝরা পাতা, বললো উড়ে এসে । একটি বছর পেরিয়ে গেলো, হাওয়ার সাথে ভেসে । নতুন বছর আসছে তাকে, যতন করে রেখো । স্বপ্ন গুলো সত্যি করে, ভীষণ ভালো থেকো। Happy New Year 2019

 

7.একটি সতুন সকাল, কিছু সুন্দর স্বপ্ন,এক মুঠো সাদা মেঘ, কিছু মিষ্টি অনুভূতি, আর কিছু স্বপ্নিল সৃষ্টি , এই নিয়ে শুরু হোক আগামির দিন । হেপি নিউ ইয়ার ।

 

8.নতুন দিনের নতুন আলো, দূরে নিয়ে যাক নিকষ কালো । নতুন সূর্য নতুন প্রানে, বাজাও বাধ্য জীবন গানে । কাটুক আঁধার আলোর টানে, মেতে উঠুক মন নতুন প্রানে। হেপি নিউ ইয়ার। Happy New Year 2019

 

9.নবীন প্রভাতের নতুন আলোকে, স্বাগত জানাই এই ধরণী লোকে । আনন্দ মনে বারিনু তোমাকে, আগাম শুভেচ্ছা জানাই সাধরে । নতুন বছরের শুভেচ্ছা ।Happy New Year 2019

 

10.নতুন পোশাক, নতুন সাজ। নতুন বছর শুরু আজ। মিষ্টি মন, মিষ্টি হাসি। শুভেচ্ছা জানাই রাশি রাশি।নতুন বছরের শুভেচ্ছা। Happy New Year 2019

শেষ কথা 

নতুন বছরের শেষ আর শুরুর দিনের সময়টা অনেকে নানারকম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যাস্ত। আমি ঠিক ততোটা আধুনিক হতে পারি নি বলেই হয়তো সারা জীবন এই দিনগুলিতে পরিবার আর বন্ধুদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় আর ভালোমন্দ কিছু খেয়ে সময়টা কাটিয়েছি। এবারও তার খুব একটা ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তবে বছরের শুরুর দিনটা ছুটির দিন বলে খুব ভালো লাগছে। সবাইকে অনেক অনেক শুভচ্ছা। নতুন বছরে সবার মনের ইচ্ছা পূরণ হোক। Wish You Happy New Year to All of You 

 

লেখক – শান্তনু পাল 
আরও পড়তে পারেন

#jesus #jesuschrist #dalihalder, যিশুর জীবনী ,Jesus Christ biography in bengali ।। যীশুর জীবন কাহিনী,প্রভু যীশুর গান,প্রভু যীশুর প্রার্থনা,প্রভু যীশুর জীবন কাহিনী,প্রভু যীশুর বাণী,যীশুর জীবনী,biography of jesus christ,biography of jesus christ in bengali,jesus song,jesus christ,jesus bengali biography,jesus biography in bengali,bangla christian song,যীশুর জীবন,যীশু খ্রীষ্ট কে,যীশু খ্রীষ্টের জীবন কাহিনী,যীশু খ্রীষ্টের জীবন কাহিনী বাংলা ভিডিও,যীশুর জীবন কাহিনী,যীশুর জীবন কাহিনী বাংলা,যীশু খ্রীষ্ট,jesus christ biography in bengal,যীশু কে,jesus in bengali,যীশু খ্রীষ্ট। যীশু খ্রীষ্টের জীবনী,যীশু খ্রিস্ট – উক্তি,খ্রিস্টান শিক্ষা অনুসারে, যীশু খ্রীষ্ট। যীশু খ্রীষ্টের জীবনী। যখন মসীহের জন্ম হয়েছিল, গল্প ও অর্থ – জীবনীযীশু খ্রিস্টের জীবনের নানা দিক ,যীশু খ্রীষ্টকে কে হত্যা করেছিলেনযিশু খ্রিস্ট কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যিশু খ্রিস্ট কে? যিশু কি ঈশ্বর নাকি ঈশ্বরের পুত্র?,যিশু খ্রিস্ট সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য যা আপনি সম্ভবত জানেন না,যীশু খ্রিস্টের জীবনী..,যীশু খ্রীষ্টের জীবনী , Yesu Biography in Bengali.

Leave a Reply