Deprecated: Function WP_Dependencies->add_data() was called with an argument that is deprecated since version 6.9.0! IE conditional comments are ignored by all supported browsers. in /home/amadersa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6131
কোটালীপাড়ায় পঞ্চম শ্রেনির স্কুল ছাত্রীকে কু- প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে

কোটালীপাড়ায় পঞ্চম শ্রেনির স্কুল ছাত্রীকে কু- প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে | প্রধান শিক্ষককে গণধোলাই

কোটালীপাড়ায় পঞ্চম শ্রেনির স্কুল ছাত্রীকে কু- প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে গণধোলাই

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ায় শিক্ষককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অভিযুক্ত গুরুদাস মিস্ত্রী উপজেলার ২২নম্বর শৌলদহ মুশুরিয়া সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার অরুন কুমার ঢালী।

শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রী উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের মুশুশিয়া গ্রামের ভদ্রকান্ত মিস্ত্রীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়াসহ উত্যক্ত করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রী ওই ছাত্রীকে ছুটির পরে বিদ্যালয়ে থাকতে বলেন। এরপর শিক্ষক ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রী দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়।

শনিবার এলাকার নারীদের নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে গুরুদাস মিস্ত্রীকে মারধরে করে লাইব্রেরিতে অবরুদ্ধ করে রাখেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা। খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার অরুন কুমার ঢালী ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার অরুন কুমার ঢালী বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ওই শিক্ষককে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত ও ওই বিদ্যালয় থেকে তাকে প্রত্যাহার করেছি। ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে গুরুদাস মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযুক্ত গুরুদাস মিস্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটি আমার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র।

কোটালীপাড়ায় পঞ্চম শ্রেনির স্কুল ছাত্রীকে কু- প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে গণধোলাই

কোটালীপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. জাকারিয়া বলেন, শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রীকে সাময়িক বরখাস্ত ও ওই বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঘটনাটি ঘটেছে আজ শনিবার ঔই ছাত্রীর মা জানায় গত বৃহস্পতিবার আমার মেয়ে স্কুলে গেলে ২২ নং শৌলদহ মুশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গুরুদাশ মিস্ত্রী তাকে ঝালমুড়ি খাওয়ার জন্য টাকা দিতে চেয়ে কু- প্রস্তাব দিয়ে হাত ধরে জোর করে ছাদে নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে। পরে মেয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে বিষয়টি আমাদেরকে জানালে আজ শনিবার সকালে আমরা বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে বিক্ষুব্ধ জনতা এসে প্রধান শিক্ষককে রুমের মধ্যে অবরুদ্ধ করে গণধোলাই দেয় এবং তার শাস্তির দাবিতে ভিক্ষোব সমাবেশ করে।খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানার ওসি তদন্ত মোঃ জাকারিয়া ও ভাঙ্গারহাট নৌতদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শামিনুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্হিতি শান্ত করেন।এসময় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অরুন কুমার ঢালী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্হা গ্রহন করার আশ্বাস প্রদান করে প্রধান শিক্ষক গুরুদাশ মিস্ত্রীকে মুক্ত করে নিয়ে আসেন।

এব্যপারে ২২ নং শৌলদহ মুশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গুরুদাশ মিস্ত্রী বলেন বিষয়টি সম্পুর্ন সাজানো একটি পক্ষ শুধু আমার মান সম্মান খুন্ন করার চেস্টা করছে। গুরুদাশ মিস্ত্রী মুশুরিয়া গ্রামের ভদ্রকান্ত মিস্ত্রীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে একাধীক মেয়েকে উত্যাক্ত করার অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। এর আগে তার কর্মস্হল কাফুলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক প্রতিবন্ধী কিশোরিকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।

কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্হলে পৌছে পরিস্হিতি শান্ত করে পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অরুন কুমার ঢালী গিয়ে তার দায়ীত্বে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে আসেন। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত ঔই স্কুল ছাত্রীর পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ করেনি,অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্তা গ্রহন করা হবে।

এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কি ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে জানার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অরুন কুমার ঢালীর মুঠোফোনে বার বার কল করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।

 

Leave a Reply