Deprecated: Function WP_Dependencies->add_data() was called with an argument that is deprecated since version 6.9.0! IE conditional comments are ignored by all supported browsers. in /home/amadersa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6131
ডায়াবেটিস নতুন ঔষধ, ডায়াবেটিস সারানোর উপায়

ডায়াবেটিস রোগের মহৌষধ ডায়াবেটিস গাছ ও গাছের পাতা | Diabetes tree Healthcare Services | ডায়াবেটিস তাড়াতে খান গুরমার গাছের পাতা

আমাদের দেশে এখন ডায়াবেটিস রোগ মহামারী আকারে ধারণ করেছে, যা ছেলে, বুড়ো, বউ, ঝি, ভাই-বোন সবাই এই মরণব্যাধি রোগে আক্রান্ত। শরীরের যেকোন একটা অসুখ দেখা দিলেই আমরা ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হই রোগ নিরাময়ের জন্য। ডাক্তারের কাছে গেলেই, আগে জিজ্ঞেস করে রোগীর ডায়াবেটিস আছে কি না। যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে তবে আগেই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে, তারপরে ডায়াবেটিস এর রিপোর্ট দেখে রোগীর রোগ নিরাময়ের ঔষধ দেয়া হয়। আগেকার সময় ডাক্তার প্রথমে রোগীকে জিজ্ঞেস করতো গ্যাস্ট্রিক আছে নাকি? এখন প্রথমেই জিজ্ঞেস করে ডায়াবেটিস এর কথা। বর্তমানে এই ডায়াবেটিস রোগে আমাদের দেশ সহ পৃথিবীর আরো বহু দেশের জনগোষ্ঠীকে গ্রাস করে ফেলেছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে।

ডায়াবেটিস গাছ, বৈজ্ঞানিক নাম যার গাইনূরা প্রোকাম্বেন্স ৷ পরিচিত এক বন্ধুর বাড়িতে টবে রাখা ৷

আমার বড়দিদি আর জামাই বাবুও ডায়াবেটিস এর রোগী ৷ অনেকদিন ফোন করছিলো দিদির বাসায় যাওয়ার জন্য, জামাই বাবুকে একটু দেখে আসতে ৷ সময় হচ্ছিলো না আমার, নিজের কাজের ঝামেলা সবসময় এক অন্যরকম ব্যস্ততা আমার ৷ তারপর আবার গত ৩০ অক্টোবরের পর থেকে চোখের সমস্যায় ভুগছি, যা এখনো সেরে ওঠতে পারি নাই ৷ চোখের সমস্যার কথা শুনে আমার বড়দি আমার বাসায় আসতে না পেরে, ডাক দিল মোবাইল ফোনে দিদির বাসায় যেতে ৷ বড়দি আমাকে দেখতে চেয়েছে, না গিয়ে তো’ আর পারা যায় না, তাই গত কয়েক আগে খুব সকালবেলা রওনা হলাম দিদির বাসার উদ্দেশে ৷ গোদনাইল চৌধুরীবাড়ি হতে নারায়ণগঞ্জ যেতে সময় গালে ৩০ মিনিট ৷ দিদির বাসায় পৌঁছলাম সকাল ৭ টায়, বাসার সামনে গিয়ে দরজায় টোকা দিতেই দরজা খুলে দিল দিদি ৷ গিয়ে দেখি আমার জামাই বাবু ঘরের মেঝেতে লাফিয়ে লাফিয়ে ব্যায়াম করছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য ৷ জামাই বাবুর সাথে সাথে লাফাচ্ছে আমার ১৯ বছরের এক ভাগিনা ও বড় ভাগিনার ৬ বছরের এক নাতি ৷
ডায়াবেটিস গাছ, ঢালা থেকে যার জন্ম, বৈজ্ঞানিক নাম গাইনূরা প্রোকাম্বেন্স দেশীয় ভাষায় ডায়াবেটিস গাছ; গাছের পাতায় Diabetes tree

এই দৃশ্য দেখে বড়দিকে বললাম কিরে দিদি, তোদের বাসা কি কোন জিমন্যাস্টিক্সের ফ্লোর নাকি? দিদি বলল, না’রে ভাই, জিমন্যাস্টিক্স না, ডায়াবেটিস ফ্লোর ৷ আমার ডায়াবেটিস, তোর জামাই বাুর ডায়াবেটিস, তোর বড় ভাগিনার ডায়াবেটিস, তোর নাতিরও কিছুদিন আগে ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে সেও এক রুগী, তাহলে বলতো, জিমন্যাস্টিক্সের ফ্লোরের আর কাকিটা কোথায়? ৷ দিদির কথা শুনে একটু ভাবতে লাগলাম, এত সকালবেলা দিদির বাসায় রিকশা দিয়ে অাসার সময় নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপালের চতুর্দিকে দেখলাম বহুলোকে লাইন ধরে নাচছে, আর হাটছে ৷ কেউ আবার বুকডন নিচ্ছে, হাত-পা নাড়াচ্ছে, কেউ দৌড়াচ্ছে, এরা বেশির ভাগ’ই ডায়াবেটিস রুগী ৷ ভাবতে ভাবতে দিদি আমাকে বলল, ডায়াবেটিস গাছ নাকি পাওয়া য়ায়? একটু দেখিস তো, যদি একটা ডায়াবেটিস গাছ এনে দিতে পারিস তো’ ভীষণ উপকার হবে ৷ আমি এই প্রথম শুনলাম ডায়াবেটিস গাছের কথা আমার বড়দির মুখ থেকে, জিজ্ঞেস করলাম এই গাছের গুণাগুণ কী? দিদি বললেন, সকাল বিকাল দুটি করে পাতা দাঁতে চিবিয়ে পানি সহ খেলে ডায়াবেটিস বেশ নিয়ন্ত্রণে থাকে ৷ বর্তমানে অনেক বাড়ির ছাঁদে, বহু লোকে এই ডায়াবেটিস গাছ টবে লাগিয়ে রেখে গাছের পাতা খাচ্ছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ৷
ডায়াবেটিস গাছ ডায়াবেটিস রোগের মহাঔষধ ৷ নিয়মিত দুটি করে পাতা দাঁতে চিবিয়ে পানি সহ সেবন করলেই যথেষ্ট ৷

দিদি আর জামাই বাবুর সাথে কথা বলে আমার নিজ বাসার উদ্দেশে রওয়ানা হলাম, বাসায় এসে আবার অফিসে গিয়ে নিজের অফিসিয়াল কাজ সেরে পরিচিত লোকদের জিজ্ঞেস করলাম এই ডায়াবেটিস গাছের কথা ৷ সাথে সাথে পেয়ে গেলাম বিদেশি ঔষধি গুণসমৃদ্ধ এই ডায়াবেটিস গাছটির সন্ধান, যা আমার অফিসের কাছেই ৪/৫ টি বাড়িতে খুব যত্নসহকারে রাখা হয়েছে এই ঔষধি গাছটিকে ৷ জানা যায়, এই ঔষধি গুণসমৃদ্ধ গাছটি কোন একসময় সুইজারল্যান্ড থেকে কোন এক ভদ্রলোক গাছটি বাংলাদেশে আনে, সর্বপ্রথম গাছটির গন্তব্য ছিল ঢাকা গুলশান ৷ সেখান থেকে দিনে দিনে এই ডায়াবেটিস গাছটির বিস্তার, বর্তমানে সারা বাংলাদেশের আনাচেকানাচে ৷ গাছটির গুণাগুণ সমন্ধে জানা যায়, ডায়াবেটিস রুগীরা সকাল-বিকাল এই ডায়াবেটিস গাছের দুটি করে পাতা দাঁতে চিবিয়ে পানি সহ নিয়মিত সেবন করলে ডায়াবেটিস আনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে ৷ শুধু ডায়াবেটিস’ই নয়, ডায়াবেটিস গাছের পাতা সেবন করলে, কিডনি, লিভার, প্রেসারও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে ৷
ডায়াবেটিস গাছ, বৈজ্ঞানিক নাম গাইনূরা প্রোকাম্বেন্স বিদেশি ঔষধি গুণসমৃদ্ধ গাছটি, দেশীয় ভাষায় বলে ডায়াবেটিস গাছ ৷

গাছের পাতায় Diabetes tree

জানা যায়, গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম গাইনূরা প্রোকাম্বেন্স৷ এটা নাকি চীন এবং সুইজারল্যান্ডে স্থানীয়ভাবে “ডান্ডালিয়েন নামেও ডেকে থাকে ৷ বর্তমানে আমেরিকা, থাইল্যান্ড, চীন, সহ বিশ্ব জয় করে এই এন্টি ডায়াবেটিস গাছটি এখন বাংলাদেশ জয় করতে যাচ্ছে ৷ গাছটির তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন এন্টি ডায়াবেটিস গাছটির পাতা এবং পাতার রস সেবনে ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে ৷ এছাড়া সুগার এবং কলস্টোরাল নিয়ন্ত্রণ’ই করে না, তরতাজা রাখে কিডনি, লিভার, ব্লাডপ্রেসার ৷ ডাক্তার যাদের চিনি বা মিষ্টি জাতীয় কোন খাদ্য গ্রহণ করতে নিষেধ করে, তারাও এই এন্টি ডায়াবেটিস গাছের পাতা নিয়মিত সেবনে সবকিছুই খেতে পারবে ৷ শুধু প্রতিদিন সকালবেলা আর বিকেলবেলা দুটি করে পাতা দাঁতে চিবিয়ে পানি সহ সেবন করলেই হল ৷

ডায়াবেটিস রুগীর জন্য চিনির বদলে বিকল্প চিনির ট্যাবলেটস যা ডায়াবেটিস রোগীরা চা’এর সাথে মিশিয়ে সেবন করে থাকে৷
ডায়াবেটিস গাছের পাতা সেবনের পর এই বিকল্প চিনি আর ব্যবহার করতে হয় না ৷

“যেসব ডায়াবেটিস রুগীরা খাওয়ার আগে এই ইনজেকশন ব্যবহার করে তারাও আজ মুক্ত হয়েছে, এই ডায়াবেটিস গাছের পাতা সেবনের ফলে ৷

আমার এক পরিচিত বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দেখি খুব যত্নসহকারে গাছটিকে একটা টবে করে রাখা হয়েছে ৷ জিজ্ঞেস করলাম, গাছটি কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে? প্রত্যুত্তর পেলাম, ঢাকা এক পরিচিত স্বজনদের বাড়ি থেকে বহু কষ্ট করে আনা হয়েছে ৷ গাছের একটা ঢালা কেটে এনে একটা ফুলের টবে মাটির সাথে অল্প কিছু গোবর মিশিয়ে ডায়াবেটিস গাছের ঢালাটি রোপণ করা হয়েছে ৷ অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সেই ঢালা থেকে দুএকটা কুঁড়ি বাহির হতে লাগলো, তা দেখে আরো বেশি যত্ন নিতে লাগলো বাড়ির সবাই মিলে ৷ বর্তমানে ওই ঢালার গাছ থেকে ঢালা কেটে আরো দুইটা টব বাড়ানো হয়েছে ৷ আশেপাশের দুই তিনটি বাড়িতেও এই ডায়াবেটিস গাছের ঢালা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান আমার বন্ধু ৷ অনেক ডায়াবেটিস রুগীকে জিজ্ঞেস করলাম, এই ডায়াবেটিস গাছের পাতা সেবন করে কী কী উপকার পাওয়া গেছে? উত্তর পেলাম, তিন মাস নিয়মিত এই ডায়াবেটিস গাছের পাতা সেবন করে “ইনসুলিন” ব্যবহার করা বাদ দিয়েছি, যা আগে ক’দিন পরপর ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে লাগতো, এখন আর ডাক্তারের কাছে আগের মত যেতে হয় না ৷ ডাক্তারের পরামর্শে অনেক কিছুই খেতে পারতাম না, এখন সবই খেতে পারি কিছুই বাদ নেই ৷ যারা ডায়াবেটিসে বেশি আক্রান্ত তারা দুবেলা দুটি করে পাতা সেবন করতে হয়, যারা অল্প আক্রান্ত তারা একবেলা সেবন করলেই যথেষ্ট ৷

গাছটি গাছের ঢালা থেকেই জন্মে থাকে, বেঁচে থাকতে পারে কমপক্ষে ২৫ বছর, গাছটি লম্বা হয় ৩ ফুট ৷ গাছটি পাতা চিবিয়ে খেতে খুব একটা সুস্বাদু না হলেও অরুচিকর নয়, গাছের জাত গন্ধ ছাড়া বাজে কোন দুর্গন্ধ নেই ৷ আমি নিজেও এই ডায়াবেটিস গাছের পাতা দাঁতে চিবিয়ে খেয়ে দেখেছি, ডায়াবেটিস রুগী ছাড়াও সুস্থসবল লোকেরাও এই ঔষধি গুণসমৃদ্ধ গাছের পাতা সেবন করতে পারে ৷ এটাকে বলা চলে বহু রোগের মহাঔষধ, উপকার ছাড়া ক্ষতি হয় না ৷

গাছের পাতায় নির্মূল হচ্ছে ডায়াবেটিস! আর সেটা মাত্র ১৫ দিনে। এমন দাবিই করেছেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার মৃত তাইজুদ্দিনের ছেলে ডায়াবেটিস রোগী মোজাম্মেল হক সর্দার(৪৮)।

গাছের পাতায় ডায়াবেটিস নির্মূলের খবরে তোলপাড় শুরু হয়েছে জেলাজুড়ে। শত শত মানুষ ছুটে যাচ্ছে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে। একের পর এক ডায়াবেটিস রোগী সুস্থ হওয়ায় এ খবর ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।

উপজেলা সদরের আলম ফিলিং ষ্টেশনের পশ্চিমে মোজাম্মেল হক সর্দারের বাড়ি। কোন ডায়াবেটিস রোগী তার কাছে গেলে তিনি ‘যাদুকরি’ ওই পাতা এনে দিচ্ছেন। তবে কাউকে গাছ চেনাচ্ছেন না।

Read More: আনোয়ারা মেডিকেল সার্ভিসেস ধানমন্ডি রোড নং 2 ডাক্তার গোলাম মোস্তফা Anowara Medical Services Prof Dr. Golam Mustafa

মোজাম্মেল হক সর্দার বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত থাকায় কোন চিকিৎসায় কাজ হচ্ছিল না। ডাক্তারের ওষুধ খেলে কিছুটা সুস্থ থাকলেও পরবর্তীতে আবার বেড়ে যায়। অবশেষে আমি নিজেই বিভিন্ন গাছের লতাপাতার রস খাওয়া শুরু করি। এক পর্যায়ে এই যাদুকরি গাছের সন্ধান পাই। মাত্র ১৫ দিন একটানা সেই গাছের পাতার রস খেয়ে পরীক্ষাগারে গিয়ে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে বুঝতে পারলাম আমার ডায়াবেটিস ১৯ পয়েন্ট হতে ৬ পয়েন্টে নেমে এসেছে এবং পরবর্তীতে আমি ডাক্তারী ওষুধ খাওয়া একবারেই ছেড়ে দেই। বর্তমানে আমার ডায়াবেটিস একেবারেই নির্মূল এবং নিয়ন্ত্রণে।

এলাকার একাধিক মানুষ জানান, সর্দারের দেওয়া গাছের পাতা খেয়ে তারা ডায়াবেটিসের অভিশাপ থেকে মুক্ত আছেন।

সর্দারের কাছে ওই পাতার গাছের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নিকট ডায়াবেটিসের রোগী এলে আমি সেই গাছের পাতা এনে দেই, গাছের নাম বলি না।

এই পাতার বিনিময়ে টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ইচ্ছে করে কারো কাছ থেকে টাকা নেই না। তবে কেউ নিজ ইচ্ছায় দিতে চাইলে নেই।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই গাছকে ডাকা হয় গাইনূরা নামে। বৈজ্ঞানিক নাম গাইনূরা প্রোকাম্বেন্স। এটা চীন এবং সুইজারল্যান্ডে স্থানীয়ভাবে ডান্ডালিউয়েন নামেও বেশ পরিচিত। আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, চীন, মালেয়শিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিশ্ব জয় করে এই এন্টি ডায়াবেটিস গাছ এখন পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশে। বিভিন্ন অভিজাত নার্সারিতে মিলবে গাইনূরার চারা। এছাড়া রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পাশেও ভ্যানে করে এই গাছের চারা বিক্রি করতে দেখা গেছে।

চীন ও সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীদের দাবি- প্রতিদিন খালিপেটে ২ টি পাতা সেবনে শতভাগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেসার। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত এন্টি ডায়াবেটিস এই গাছটির পাতা এবং পাতার রস সেবনে ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

গাছটির ২ টি পাতা প্রতিদিন খালি পেটে সেবনে শুধু সুগার এবং কোলেস্টেরলই নিয়ন্ত্রনে আসে না, তরতাজা রাখে কিডনি, লিভার এবং নিয়ন্ত্রণে রাখে ব্লাড প্রেসার। এছাড়া সুগার স্বভাবিক মাত্রার তুলনায় আরো কমিয়ে হাইপোগ্লামিয়ার বিপদ থেকেও রক্ষা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে এই গাছের পাতা। তবে ইনসুলিন ব্যবহারকারী এবং গ্যাস্ট্রিক আক্রান্তদের ক্ষেত্রে সকালে খালি পেটে ২ টি পাতা এবং রাতে শোবার আগে ২ টি পাতা সেবন করতে হবে।

চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে, প্রথম দুই মাস ডায়াবেটিস এর নিয়মিত ওষুধের পাশাপাশি  খালি পেটে ২ টি পাতা সেবন করতে হবে। দুই মাস পর থেকে শুধু ২ টি করে গাছের পাতা খেলেই চলবে।

গাছের পাতা খেয়ে উপকার পাওয়া অনেকে জানিয়েছেন, এই গাছের পাতার সাথে  রসুন, নিমপাতা, কাঁচা হলুদ পেস্ট করে একদিন রোদে শুকিয়ে ছোট মার্বেলের মতো অনেকগুলো বল বানিয়ে, আবার একদিন রোদে শুকিয়ে একটি এয়ার টাইট বোতলে সংরক্ষণ করার পর প্রতিদিন চিবিয়ে ১/২ টি বল খেয়ে পানি পান করলে কার্যকারিতা আরো ভালো হয়।

ভেষজ ওষধি গুণসম্পন্ন এই গাছটি বেঁচে থাকে ২৫ বছর। সর্বোচ্চ ৩ ফুট লম্বা হয়। এরপর ডালাপালা বিস্তার করে জঙ্গলের মতো হয়ে যায়। তবে এ গাছে সকাল-বিকাল নিয়মিত পানি দিতে হয়। স্যাঁতস্যাতে পরিবেশ এ গাছের জন্য বেশ উপযোগি। সর্বনিম্ন ১০ ইঞ্চি টবে গোবরের সার ও মাটি মিশিয়ে চারা রোপন করতে হবে। বছরে অন্তত দুই বার মিশ্র সার ব্যবহার করতে হয়। তবে সরাসরি মাটিতে এটা বেশ ভালো হয়।

জয়তু ডায়াবেটিস গাছ, ঘরে ঘরে বিস্তার লাভ করুক ডায়াবেটিস গাছ, দূর হোক চিরতরে মরণব্যাধি ডায়াবেটিস ৷ সবাই ভালো থাকুক সুস্থ থাকুন ৷

Source: blog.bdnews24

ডায়াবেটিস বা সুগার আক্রান্ত এখন প্রায় ঘরে ঘরে। বেশিরভাগ মানুষই বাজার চলতি ওষুধের সাহায্যেই নিয়ন্ত্রণে রাখেন রক্তে শর্করার মাত্রা। কিন্তু আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা ভরসা রাখতে বলছেন গুরমার গাছের ওপর। তাঁদের বক্তব্য, নিয়ম করে এ গাছের পাতা খেলেই নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তে শর্করার মাত্রা। তাই দিনদিন বাড়ছে গুরমার বা মেষশৃঙ্গি চাষ।

যাঁরা ভেষজ গাছের চাষ করতে চান, তাঁরা গুরমার বা মেষশৃঙ্গির চাষ করতেই পারেন। কারণ, দিন দিন বাড়ছে ভেষজ গুণসমৃদ্ধ গুরমারের চাহিদা। যে গাছ পথের ধারেই গজিয়ে উঠত এক সময়, সেই লতানো গাছই এখন চাষ হচ্ছে মাঠে। কারণ এর ভেষজ গুণ।

এ গাছের পাতাতেই সমস্ত ভেষজ গুণ। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পাতা ডায়াবেটিক বা সুগার রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। গুরমারের পাতা সেবনেই অনায়াসে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় রক্তে শর্করা মাত্রা মানে সুগার লেভেল। এক মাসের মধ্যে ফল পাওয়া যাবে বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

লতানে গাছ হওয়ার কারণে মাচা দিয়ে ঘিরে এক বিঘা জমিতে প্রায় সাড়ে চারশো গুরমারের চারা লাগানো যেতে পারে। এর জন্য খরচও খুব একটা বেশি নয়। চারা লাগানোর তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই ব্যবহার করা যেতে পারে গুরমারের পাতা। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবারের মধ্যে থাকা মিষ্টি পদার্থ টেনে নিতে পারে গুরমারের পাতা। তবে যেমন তেমনভাবে ব্যবহার করলে হবে না. আয়ুর্বেদ চিকিত্‍সকেরা বলে দিচ্ছেন গুরমারের পাতার ব্যবহার-পদ্ধতি।

Read More: ব্যাক পেইন বা কোমর ব্যথার কারণ, সতর্কতা ও সমাধান | Find Lower Back Pain Relie

শুধু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা নয়। রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রেখে ওজন কমাতেও ভাল কাজ করে গুরমার পাতা। আর এ গাছের ফলেও রয়েছে ভেষজ গুণ। গুরমার ফল দেখতে ভেড়া মানে মেষের সিংয়ের মত। তাই এই গাছকে বলা হয় মেষশৃঙ্গি। গুরমার ফল ত্বকের সমস্যা মেটাতে দারুণ কাজ করে।

উর্বর মাটিতে এ গাছের চাষ হয়। তবে বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার লাল মাটিতে এই গাছের চাষ খুব ভাল হতে পারে। নিজের ব্যবহারের জন্য যে কেউ টবে লাগাতে পারেন এই গাছ। কৃষিবিশেজ্ঞরা বলছেন, কোনও রকম রাসায়নিক সার ছাড়া জৈব সারেই লতানো গাছটি মাচার মাথায় চড়বে। এই গাছের চারা মেলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ভেষজ উদ্ভিদ পর্ষদে।

বিদেশে আয়ুর্বেদের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বাড়ছে গুরমার গাছের পাতা ও মেষশৃঙ্গির চাহিদাও। বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিও গুরমারের ভেষজ গুণ ব্যবহার করছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাউডার এবং ট্যাবলেট তৈরিতে। সেসবের রমরমা বাজার। কৃষিবিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত এক বিঘা জমিতে গুরমার চাষে কৃষকের লাভ হয় বছরে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা। সারা বছরই এ গাছ লাগানো যেতে পারে।

Diabetes tree,ডায়াবেটিস নতুন ঔষধ, ডায়াবেটিস সারানোর উপায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণকারী খাবার, ডায়াবেটিস গাছের দাম, হামদর্দ ডায়াবেটিস ঔষধ, সদাবাহার গাছ, ডায়াবেটিস কমানোর ঔষধ, গাইনুরা গাছ,diabetic diabetic patient fake, insulin plant can, insulin plant cure diabetes, how to use insulin plant, leaves for diabetes, insulin plant amazon side effects of insulin, plant insulin plant reviews

Leave a Reply