Deprecated: Function WP_Dependencies->add_data() was called with an argument that is deprecated since version 6.9.0! IE conditional comments are ignored by all supported browsers. in /home/amadersa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6131
মেয়েকে বিয়ের অপরাধে দুই বছরের জেল, মেয়ের বিচারও চলছে

মেয়েকে বিয়ের অপরাধে দুই বছরের জেল, মেয়ের বিচারও চলছে

মেয়েকে বিয়ের পর তার সঙ্গে সংসার করার দায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড হয়েছে বাবার। বাবার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে ২১ বছর বয়সী মেয়েও বিচারাধীন রয়েছেন। জানা গেছে, ৪০ বছর বয়সী ত্রাভিস ফিল্ডগ্রোভকে দুই বছরের সাজা শুনিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেবরাস্কা রাজ্যের একটি আদালত। বাবা-মেয়ের যৌন সম্পর্কের অভিযোগ ওঠার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আটক হন ত্রাফিস ও তার মেয়ে সামান্থা কের্শনার। পুলিশ বলছে, তাদের মধ্যে ভালোবাসার এবং যৌন সম্পর্ক রয়েছে। তারা দু’জনেই ভালোভাবে জানে যে, তারা বায়োলোজিক্যালি বাবা-মেয়ে। সামান্থা পুলিশকে বলেছেন, সৎ বোনদের থেকে বাবার সংস্পর্শে বেশি থাকতে চেয়ে তিনি এসব করেছেন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে বিয়ে করেন তারা। এক মাস আগেই পুলিশের কাছে অভিযোগ যায়।

এরপর পুলিশ বিষয়টির তদন্ত শুরু করে। বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার আগে ত্রাভিসের আইনজীবী জানান, তার মক্কেল বিষয়টি নিয়ে একেবারেই বিব্রত। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি। ত্রাফিস মস্তিষ্কে আঘাতজনিত সমস্যায় ভুগছেন বলেও দাবি করেন তিনি। তবে বিচারক সাফ জানিয়ে দেন, ত্রাভিস এমন এক ব্যক্তি, সমাজে যার কোনো অবদান নেই। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, দীর্ঘ সময় ধরে মাদক সেবন করছেন ত্রাভিস। ২০১৮ সালের শুরু থেকে মদ্যপান করতে থাকেন। তারপরই মেয়ের সংস্পর্শে চলে আসেন তিনি। জানা গেছে, তিন বছর আগে বাবার সঙ্গে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ হয় সামান্থার।

আরও পড়তে পারেন:  এ কেমন প্রেম! স্বামীকে ছেড়ে সৎ ছেলেকে বিয়ে

তখন তার বয়স সবে ১৭ পার হচ্ছে। শুরুর দিকে বাবা-মেয়ে সম্পর্কই ছিল তাদের মধ্যে। তবে তারা জানিয়েছেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। এরপর বিয়ে করেন। তাদের দাবি, তারা কাছে আসতে আসতে বুঝতেই পারেননি যে বাবা-মেয়ের সম্পর্ক কখন যৌন সম্পর্কে রূপ নিয়েছে। সামান্থার দাবি, তিনি যখন জানতে পারেন যে তার সৎ বোন প্রথমে তার বাবার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তার ঈর্ষা হয়। এর পর তিনি বাবার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরেই পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন সামান্থার মা। যদিও বিয়ের জন্য বাবার পূর্ণ নাম লেখার প্রয়োজন পড়ে। তবে সামান্থার জন্মসনদে তার বাবার নাম উল্লেখ না থাকায় বিয়ের সময় এ নিয়ে কোনো ধরনের জটিলতা তৈরি হয়নি। ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা গেছে ত্রাভিস সামান্থার বাবা হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯.৯৯ শতাংশ।

Leave a Reply