Deprecated: Function WP_Dependencies->add_data() was called with an argument that is deprecated since version 6.9.0! IE conditional comments are ignored by all supported browsers. in /home/amadersa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6131
সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার জীবনী , Biography of Sefat Ullah Sefuda

সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার জীবনী | Biography of Sefat Ullah Sefuda

আমি প্রেম সম্রাট । আমি তোদের মত শ্রমিক না আমি হলিউডে অভিনয় করি,বলিউডে অভিনয় করি ইউরোপের অনেক দেশে অভিনয় করি, টেলিভিশনে করি, থিয়েটারে করি, ঐশ্বরিয়া রাই আমাকে বুকে জড়ে চুমু খেয়েছে ।

পরিচিতিঃ

জন্ম ও কর্মঃ 

সেফুদা খুলনার সোনাডাঙ্গায় ৫ নভেম্বর ১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর।সেফাত উল্লাহ ১৯৭৯/১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে ভিয়েনায় এক স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর হিসেবে রয়েছেন। পাশাপাশি একটি অনলাইন শপে পার্টটাইম কাজ করেন।সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি নানা ধরণের অশ্লীল, অসঙ্গতিপূর্ণ ভিডিওবার্তা ছড়িয়ে বেশ আলোচনায় সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি।

পরিবারঃ

সেফুদার স্ত্রী এবং এক সন্তান রয়েছে। যদিও বর্তমানে তার স্ত্রী-সন্তান কিংবা পরিবারের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। পারিবারিক সম্পর্কবিহীন সিফাত উল্লাহ দেশের ওপর রাগ করে একাকী প্রবাস যাপন করছেন দীর্ঘদিন।

নানা বিষয় নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে অল্প সময়ে ‘তারকা’ বনে যান সেফুদা। প্রথমের দিকে সেফুদা নামটি তার নামের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তখন তার ফেসবুক লাইভ দেখার মতো মানুষও ছিল না। সেই সময়য় শুধু সিফাতউল্লাহ নামেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত ছিলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের এক ক্রিকেটারের সাথে এক তরুণীর ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময়য় সিফাত উল্লাহ ফেসবুকে একটি লাইভ করেন। তখন থেকেই মূলত তার লাইভে দর্শক বাড়তে থাকে।

১৯৯০ সাল থেকে তিনি অস্ট্রিয়ার রাজধানীর ভিয়েনায় বসবাস করছেন। ভিয়েনা বাঙালি কমিউনিটির পরিচিত মুখ ও প্রবাসী সাংবাদিক ফিরোজ আহমেদ জানান, ভিয়েনা বাংলাদেশ কমিউনিটির এক পারিবারিক ঝগড়ার কারণে কোর্টের রায়ে দীর্ঘদিন ভিয়েনায় জেল খাটেন সেফাতউল্লাহ। মুক্ত হবার পর অস্ট্রিয়ার আইন অনুযায়ী তার লিগ্যাল হবার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে। স্ত্রী সন্তানদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন সেফাতউল্লাহ।

সেফাত উল্লাহর স্ত্রী জানান, ২৮ বছর আগে দেশ ছাড়েন তিনি। তারপর থেকেই পরিবার থেকে তিনি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। পরিবারের দাবি, বর্তমানে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত। আর তার এমন কর্মকাণ্ডে পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজন বিব্রত।বর্তমানে তার এসব কার্যকলাপ ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটস অ্যাপ প্রভৃতির মাধ্যমে শহরের অলিগলি ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে গ্রামের প্রতিটি প্রান্তে। আর এসবের প্রধান দর্শক-শ্রোতা হচ্ছে আমাদের নতুন প্রজন্ম; যারা নিজেদের নৈতিক দায়িত্বের কথা বিস্মৃত হয়ে সারাক্ষণ সেফুদার মতো ভাইরাল সেলিব্রেটিদের নতুন ভিডিও পাওয়ার নেশায় মত্ত হয়ে অনলাইন মিডিয়ার বিভিন্ন সাইটে ঢু মারছে এবং বিকৃত রুচির এ মানুষটির মুখনিঃসৃত কথাগুলো ব্যবহার করছে তাদের নিত্যনৈমিত্তিক কথাবার্তা তথা প্রতিটি কার্যকলাপে।

তার লাইভ ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে শুরু করে অভিনয় শিল্পী, তারকা, খেলোয়াড়, নাট্যকারসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হচ্ছে।

সেফাত উল্লাহ’র স্ত্রী বলেন, ‘সবাই, আত্মীয়-স্বজনের কাছে আমাদের মুখ নাই। কেমন লাগতেছে আমরা জানি। এখন এগুলো কি বন্ধ করার কোনো পথ নাই? ইউটিউব কি এগুলো কোনো প্রতিকার করতে পারে না? আর উনি তো সিজোফ্রেনিয়া রোগী।’

অনেকেই দাবি করছেন, অতিরিক্ত মদ পানের জন্যই এমন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন তিনি। তার প্রচুর মদ পানের প্রমাণ মেলে ফেসবুক লাইভে। প্রায়ই লাইভে তাকে মদ পান করতে দেখা যায়।

পুলিশের মহা পরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারি জানান, এধরনের যারা দেশের বাইরে বসে দেশের সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করে নিজ দেশের সম্মান নষ্ট করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টি-শার্টে সেফুদার সেই কুখ্যাত উক্তি ‘মদ খা, মানুষ হ’, মদের বোতল ও সিফাতউল্লার ছবি সংবলিত পোশাক অহরহ পাওয়া যাচ্ছে স্থানীয় মার্কেটগুলোয়। এ যেন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে।

২০১০ সালে বড় ধরনের স্ট্রোক করেন সিফাত উল্লাহ। তার কিছুদিন পর মাথার চুল পড়ে যায় আবছাভাবে। যদিও পূর্বে তার মাথার সামনে টাক ছিল এবং যৌবনকালে ঘাড়ের দিকে লম্বা বাবরি চুল রাখতেন। স্ট্রোকের পর তার মাথা হঠাৎ হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং উল্টাপাল্টা কাজ করে বসেন।

 সিফাত উল্লাহর ধর্মঃ

২০১৩-১৪ সালে বাংলাদেশে একের পর এক ব্লগার তথা মুক্তচিন্তার মানুষদের হত্যার ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন সেফুদা।

সিফাত উল্লাহকে ব্লগ, ফেসবুক গ্রুপ, পেজে নাস্তিক সম্বোধন করা হলেও নিজেকে তিনি সুন্নী মুসলিম হিসেবে দাবি করেন। তার মতে, তিনি – নামাজ ,রোজা রাখেন, হজে যেতে চান

সেফুদার উল্লেখযোগ্য কিছু উক্তি :

১) মদ খাবি মানুষ হবি ।

২) আমার মতো হতে চাও ।

৩) আমাকে দেখে হিংসে হয় ।

৪) মদ খাও আর পরী…(অশ্লীল)  ।

৫) শুটকি খাও আর পেত্নি……….।

৬) ট্রস ট্রস করে মারবো ।

৭) কত মেয়েরা আমাকে ভালবাসে। আমি কি সবাইকে ভালবাসতে পারি?

৮) আমি প্রেম সম্রাট ।

৯) অকেয়?

১০) Love is power love is peace love is happiness love is life love never dies !

১১) তোমার পাশে যে আছে তাকে জড়িয়ে ধরো বলোঃ i love you

১২) আমি তোদের মত শ্রমিক না আমি বলিউডে অভিনয় করি,বলিউডে অভিনয় করি  ইউরোপের অনেক দেশে অভিনয় করি, টেলিভিশনে করি, থিয়েটারে করি, ঐশ্বরিয়া রাই আমাকে বুকে জড়ে চুমু খেয়েছে ।

১৩) আমি ফাস্ট বয় ছিলাম, দেখতে শুনতে নাদুস নুদুস, শান্তশিষ্ট ভদ্র।

১৪) জাতিসংঘের উপদেষ্টা ছিলাম ।

১৫) আমি একজন  VVIP মানে কি বুঝস? ভেরি ভেরি ইম্পরট্যান্ট পারসন।

১৬) মদ খা, মদ না খাইলে তোদের মাথায় বুদ্ধি আসবে না।

১৭) আমি তিন বিষয়ে মাস্টার্স করছি। ডক্টরেট কমপ্লিট করছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোর জন্মের আগে পড়াইছি।

১৮) কি হিংসে হয়? আমার মত হতে চাও? বিশ্ব বিখ্যাত সেলিব্রেটি, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দার্শনিক, অভিনেতা, বুদ্ধিজীবী, বিজ্ঞানী, বিশ্ব মানবতার মুক্তি দাতা, প্রেম সম্রাট, পারবে কখনো আমার মত হতে?

১৯) হিংসা, হিংসা, হিংসা, তোমাদের হিংসা, আমি জানি।

২০) এরকম এক হাজারটা পৃথিবীর হিরা, দানা, সোনা, আমাকে কিনতে পারবে না।

২১)  আমার শুধু একটাই দুর্বলতা কচি কচি…..।

২২) তোরা গরীব, ছোটলোক, মূর্খ, বরবর, তিনবেলা ভাত খাস। মদ খা, মদ না খেলে তোরা মানুষ হবি না। মদ খাও আর………..।

২৩) আমি ঘুম ভাঙানিয়া পাখি, আমি এসেছি সবার ঘুম ভাঙাতে, রঙিন আলোয় ভুবন রাঙাতে, উঠো উঠো জেগে উঠো সবাই।

২৪) জয় বঙ্গ, জয় জনতা, জয় মানবতা।

২৫) আমি এখন লাইভ থেকে বিদায় নিচ্ছি, জাতিসংঘের মহাসচিব আমাকে ফোন করছে ।

আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীরকে নাতনি হিসেবে সম্বোধন করতেন অস্ট্রিয়া প্রবাসী আলোচিত সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা। সেফুদার সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ও লেনদেন ছিল।রাজধানীতে কুর্মিটোলায় র‍্যাব সদরদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

কে এই সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা?

সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি নানা ধরণের অশ্লীল, অসঙ্গতিপূর্ণ ভিডিওবার্তা ছড়িয়ে বেশ আলোচনায় সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি। নানা বিষয় নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে অল্প সময়ে ‘তারকা’ বনে যান সেফুদা। প্রথমের দিকে সেফুদা নামটি তার নামের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তখন তার ফেসবুক লাইভ দেখার মতো মানুষও ছিল না।

সেই সময়য় শুধু সিফাতউল্লাহ নামেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত ছিলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের এক ক্রিকেটারের সাথে এক তরুণীর ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময়য় সিফাত উল্লাহ ফেসবুকে একটি লাইভ করেন। তখন থেকেই মূলত তার লাইভে দর্শক বাড়তে থাকে।

বর্তমানে অস্ট্রিয়া প্রবাসী এ বাংলাদেশির এমন আচরণে অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে তার পরিবার। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। ১৯৯০ সাল থেকে তিনি অস্ট্রিয়ার রাজধানীর ভিয়েনায় বসবাস করছেন।

অল্প সময়ে ফেসবুক তারকা বনে যাওয়া এ সেফুদা মূলত মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডে পরিবারসহ আত্মীয়-স্বজন খুবই লজ্জিত বলেন তার স্ত্রী। জানা যায় তার পুরো নাম সেফাতউল্লাহ মজুমদার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া করেছেন l

ভিয়েনা বাঙালি কমিউনিটির পরিচিত মুখ ও প্রবাসী সাংবাদিক ফিরোজ আহমেদ জানান, ভিয়েনা বাংলাদেশ কমিউনিটির এক পারিবারিক ঝগড়ার কারণে কোর্টের রায়ে দীর্ঘদিন ভিয়েনায় জেল খাটেন সেফাতউল্লাহ। মুক্ত হবার পর অস্ট্রিয়ার আইন অনুযায়ী তার লিগ্যাল হবার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে। স্ত্রী সন্তানদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন সেফাতউল্লাহ।

সেফুদার কর্মকাণ্ডে তার পরিবার বিব্রত। সিফাত উল্লাহর স্ত্রী এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা এখন কি করতে পারি, এগুলো বন্ধ করার কি কোনো উপায় নেই? সে তো অসুস্থ কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ কি এগুলো বন্ধ করে দিতে পারেনা? উনিতো আসলে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত।

তিনি যদি এই রোগে আক্রান্ত হন তাহলে চাকরি করছেন কীভাবে? সিফাত উল্লাহ একাই অস্ট্রিয়ার একটি বাসায় থাকেন। পরিপাটি হয়ে অফিসে যান, অফিস থেকে ফেরেন। তার ফেসবুক লাইভেও এসবের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে তিনি অসলংগ্ন কথাবার্তা বলেন।

বাংলাদেশ পুলিশের মহা পরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারি জানান, এধরনের যারা দেশের বাইরে বসে দেশের সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করে নিজ দেশের সম্মান নষ্ট করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সেফাতউল্লাহ ‘সেফুদা’র সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অস্ট্রিয়া প্রবাসী সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। ক্রোক সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

এদিন সেফুদার গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।

এরপর আইনুযায়ী আদালত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন। সাইবার ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

গত ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ মামলাটি করেন ঢাকা বারের আইনজীবী আলীম আল রাজী (জীবন)। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী প্র‌তি‌বেদন দা‌খিল ক‌রেন। এতে সিফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয়ে‌ছে ব‌লে উ‌ল্লেখ করা হয়।

আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল বাদী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখতে পান, অস্ট্রিয়া প্রবাসী সিফাত উল্লাহ ফেসবুক লাইভে এসে পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বাজে কথা বলছেন এবং কোরআনকে অবমাননা করছেন; যা সমগ্র ইসলামী বিশ্বকে মারাত্মকভাবে আহত করছে। লাইভটি ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।

এছাড়া এ আসামি একইভাবে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় লাইভে এসে কুরুচিপূর্ণ, আক্রমণাত্মক কথা বলেছেন। এমনকি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও কটুক্তি করেছেন বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সেফুদার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভ এসে সেফাত উল্লাহ সেফুদা পবিত্র কোরআন শরিফকে অবমাননা করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থানে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী): সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভ এসে সেফাত উল্লাহ সেফুদা পবিত্র কোরআন শরিফকে অবমাননা করার প্রতিবাদে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুসল্লিদের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার বাদ জুমা কোহিনূর হুদা ফাউন্ডেশনের ব্যানারে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা উপজেলার হাজারীহাট বাজারে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কোহিনূর হুদা ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি নুরুল করিম জুয়েল, মেডিকেল অফিসার ডা. আফম আবদুল হক, কোম্পানীগঞ্জ ইমাম পরিষদ সমিতি সেক্রেটারি আলী আহম্মেদ জমিরি, বিশিষ্ট সমাজসেবক শরীয়ত উল্যাহ প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, মুসলমানের সবকিছুর ঊর্ধ্বে তার ঈমান ও ইসলাম। সেফাত উল্লাহ সেফুদা কর্তৃক আল্লাহ, রাসূল (সা.), ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে কটূক্তি ও অপমান করার অপরাধে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়ার দাবি জানান।

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী): সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের আলোচিত-সমালোচিত প্রবাসী সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা কোরআনকে অবমাননা করার প্রতিবাদে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে উপজেলার মৌডুবি বাজারে এ মিছিল করা হয়।

স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উদ্যোগে মৌডুবি বাজার জামে মসজিদে আসর নামাজ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। এতে দুই শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।  মিছিল শেষে একটি প্রতিবাদসভা করা হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন নাসিম আরেফিন, জহিরুল ইসলাম টুকু, আইজুদ্দিন মাস্টার, শাহবুদ্দিন আহম্মেদ মৃধা, শাহিন মৃধা ও মহসিন উদ্দিন খান প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা আল-কোরআন অবমাননাকারী সেফাত উল্লাহ সেফুদা দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক ফাঁসির দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরিফ ও মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল মন্তব্য করেন সেফাত উল্লাহ সেফুদা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়।

নিজের ফেসবুক থেকে লাইভে এসে তিনি এসব অশ্লীল মন্তব্য করলে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বেশির ভাগ মানুষ তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন যেন ভবিষ্যতে কেউ কোনো ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করতে না পারে।

এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের দায়ে অস্ট্রিয়া প্রবাসী সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন জার্মান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মুন্না।

Read More: Don’t love me bit*h কার উদ্দেশ্যে পরীমনি হাতে ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ লেখা?

সেফুদাকে ধরিয়ে দিলেই ২ লাখ পুরস্কার!

পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননাকারী সিফাত উল্লাহ সেফুদাকে ধরিয়ে দিলে ২ লাখ টাকা পুরস্কার দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল।

তিনি বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৬টার দিকে তার ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে এ ঘোষণা দিয়েছেন।

সোহেল চৌধুরীর স্ট্যাটাস নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো:

‘এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননাকারী সিফাত উল্লাহ সেফুকে দেশ এবং বিদেশের মাটিতে যারা আইনের আওতায় সোপর্দ করতে পারবেন, তাদের জন্য ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে।’

প্রসঙ্গত, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরিফ ও মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল মন্তব্য করেন সেফাত উল্লাহ সেফুদা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়।

নিজের ফেসবুক থেকে লাইভে এসে তিনি এসব অশ্লীল মন্তব্য করলে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বেশির ভাগ মানুষ তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন যেন ভবিষ্যতে কেউ কোনো ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করতে না পারে।

এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের দায়ে অস্ট্রিয়া প্রবাসী সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন জার্মান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মুন্না।

ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।

Leave a Reply