যে স্কেল এর ১ ইঞ্চি ৩৩০ ফুট ওইটায় ফিট স্কেল!
ফিট স্কেল এ লেখা থাকে 1″=330′
এই স্কেল দিয়ে নক্সা পরিমাপ করলে উভয় পাশে প্রতি ক্ষুদ্র ১ ঘর = ১০ ফিট বা ফুট ধরতে হবে।
যে সকল ম্যাপ ১৬” = ১ মাইল স্কেলে তৈরি সে সকল ক্ষেত্রে।
প্রতি ক্ষুদ্র ১ ঘর = ২ ফিট হবে যে সকল ম্যাপ ৮০” = ১ মাইল স্কেলে তৈরি।
এইগুলো মূলত ঢাকা শহরে অথবা অন্যান্য জেলা সদরে সিটি জরিপ বা বি আর এস নক্সা ৮০” = ১ মাইল মৌজা ম্যাপ হয়ে থাকে। এই সকল ম্যাপ পরিমাপের জন্য ফিট স্কেলের ১ ঘর ২ ফিট ধরতে হবে।
এই স্কেলের দাম মোটামুটি ১২০ টাকা এপেক্স ইন্ডিয়া হতে এক্সপার্ট করা।
এবার আসি গুনিয়া স্কেল এই স্কেল গুলো ছোট আকৃতির হয় দৈর্ঘে ২” হয়।
আমাদের দেশে ৩ ধরনের গুনিয়া স্কেল পাওয়া যায়।
১. হলুদ গুনিয়া ২. সাদা গুনিয়া ৩. ফাইন গুনিয়া
তবে ম্যাপ মাপার পদ্ধতি একই।
১৬”= ১ মাইল নকশা মাপলে স্কেল এর প্রতি ক্ষুদ্র ঘর ১০ লিংক এবং প্রতি বড় ঘর = ২০ লিংক করে ধরতে হবে।
লিংক থেকে ফুটে নিতে হলে ০.৬৬ দিয়ে গুণ করতে হবে।
যখন ৮০” = ১ মাইল নকশা মাপলে তখন প্রতি ক্ষুদ্র ১ ঘর = ২ লিংক
প্রতি বড় ১ ঘর =৪ লিংক ধরতে হবে।
লিংক থেকে ফুটে নিতে হলে ০.৬৬ দ্বারা গূণ করতে হবে।
যেমন ১৭০ লিংক = ১৭০ × ০.৬৬= ১১২.২ ফুট
৮০ ইঞ্চি সমান এক মাইল ফিট স্কেলের এক দাগ = কত ফুট
ফিট স্কেল বা ৩৩০ স্কেল কি এবং চেনার উপায়?
যে স্কেল এর ১ ইঞ্চি ৩৩০ ফুট ওইটায় ফিট স্কেল!
ফিট স্কেল এ লেখা থাকে 1″=330′
এই স্কেল দিয়ে নক্সা পরিমাপ করলে উভয় পাশে প্রতি ক্ষুদ্র ১ ঘর = ১০ ফিট বা ফুট ধরতে হবে।
যে সকল ম্যাপ ১৬” = ১ মাইল স্কেলে তৈরি সে সকল ক্ষেত্রে।
প্রতি ক্ষুদ্র ১ ঘর = ২ ফিট হবে যে সকল ম্যাপ ৮০” = ১ মাইল স্কেলে তৈরি।
এইগুলো মূলত ঢাকা শহরে অথবা অন্যান্য জেলা সদরে সিটি জরিপ বা বি আর এস নক্সা ৮০” = ১ মাইল মৌজা ম্যাপ হয়ে থাকে। এই সকল ম্যাপ পরিমাপের জন্য ফিট স্কেলের ১ ঘর ২ ফিট ধরতে হবে।
এই স্কেলের দাম মোটামুটি ১২০ টাকা এপেক্স ইন্ডিয়া হতে এক্সপার্ট করা।
এবার আসি গুনিয়া স্কেল এই স্কেল গুলো ছোট আকৃতির হয় দৈর্ঘে ২” হয়।
আমাদের দেশে ৩ ধরনের গুনিয়া স্কেল পাওয়া যায়।
১. হলুদ গুনিয়া ২. সাদা গুনিয়া ৩. ফাইন গুনিয়া
তবে ম্যাপ মাপার পদ্ধতি একই।
১৬”= ১ মাইল নকশা মাপলে স্কেল এর প্রতি ক্ষুদ্র ঘর ১০ লিংক এবং প্রতি বড় ঘর = ২০ লিংক করে ধরতে হবে।
লিংক থেকে ফুটে নিতে হলে ০.৬৬ দিয়ে গুণ করতে হবে।
যখন ৮০” = ১ মাইল নকশা মাপলে তখন প্রতি ক্ষুদ্র ১ ঘর = ২ লিংক
প্রতি বড় ১ ঘর =৪ লিংক ধরতে হবে।
লিংক থেকে ফুটে নিতে হলে ০.৬৬ দ্বারা গূণ করতে হবে।
যেমন ১৭০ লিংক = ১৭০ × ০.৬৬= ১১২.২ ফুট See less
যন্ত্র পরিচয়ঃ
নিচের যন্ত্রপাতি সমূহ আমাদের থেকে সংরহ করতে পারবেন। অনলাইনে খতিয়ান দেখার আমাদের একটি এপ আছে, এবাউট পিইজে এপটির ডাউনলোড লিংক দেওয়া আছে।
বিভিন্ন স্কেল দেখতে ভিড়িওটি দেখুন
ভূমি জরিপের বিভিন্ন প্রকার যন্ত্র আছে, এর মধ্যে শীট বা নকশা হতে ক্ষেত্রফল নির্ণয় করার জন্য কিছু গুরুত্ব পূর্ণ যন্ত্রের বর্ণনা নিচে দেওয়া হলঃ
১। গুনিয়া (স্বচ্ছ বা পানি কালার)
২। ফুট স্কেল / থ্রী থার্টি স্কেল (স্বচ্ছ / ট্রান্সপারেন্ট)
৩। ডায়াগোনাল গান্টার স্কেল (প্লাস্টিক বা ফিতল) (স্বচ্ছ/ ট্রান্সপারেন্ট)
৪। গ্রাফ স্কেল (প্লাস্টিক/স্বচ্ছ/ট্রান্সপারেন্ট)
৫। একর কম্ব (স্বচ্ছ/ট্রান্সপারেন্ট)
৬। ডুপ্লেক্স গান্টার স্কেল (স্বচ্ছ/ ট্রান্সপারেন্ট)
৭। ডিভাইডার / কাঁটা কম্পাস
ভূমিতে পরিমাপের জন্য যে যন্ত্রগুলো লাগেঃ
৭। অপটিক্যাল স্কোয়ার্ড
৮। ল্যাজার ডিস্টেন্স মিটার
৯। শিকল
১০। ট্যাপ বা ফিতা
১১। প্লেইন টেবিল
১২। প্লেনি মিটার
১৩। কম্পাস (দিক নির্ণয়)
১৪। থিওডোলাইড
এগুলোর মধ্যে আপনি একজন সার্ভেয়ার বা সার্ভে জানা ব্যক্তি হিসাবে যে উপকরণ সমূহ নিজের মধ্যে রাখা উচিতঃ
১। একটি দুই ইঞ্ছি গুনিয়া।
২। একটি ডায়াগোনাল গান্টার স্কেল
৩। একটি গ্রাফ স্কেল
বিশান মাঠের সমিক্ষা করার জন্য একটি
৪। একর কম্ব (প্লাস্টিকের)
৫। একটি ডিভাইডার
৬। একটি থ্রীথার্টি স্কেল
আর্থিক অবস্থা ভাল থাকলে একটি
৭। ল্যাজার ডিস্টেন্স মিটার।
বিভিন্ন স্কেল পরিচিতি ভিড়িও
১। গুনিয়াঃ এটি লম্বায় সাধারণত ২ ইঞ্ছি হয়ে থাকে, এটি সাধারণত
সাদা বা হলুদ রঙের হয়ে থাকে, অনেকে এটাকে হলুদ গুনিয়া ডাকে।
২ ইঞ্ছি গুনিয়া সাধারণত ১৬ ইঞ্ছি সমান ১ মাইল স্কেলে……
১০০০ লিংক বা ৬৬০ ফুট হয়ে থাকে।
যেখানে ১৬ ইঞ্ছি = ১ মাইল
১ ইঞ্ছি = ৫০০ লিংক।
১ মাইল = ৫২৮০ ফুট
১ ইঞ্ছি = ৩৩০ ফুট।
প্রতি লিংককে কড়িও বলে।
১ চেইন = ১০০ লিংক বা ১০০ কড়ি,
১ মাইল = ৮০ চেইন
২। ফুট স্কেল / থ্রী থার্টি স্কেলঃ
থ্রী থার্টি অর্থ হচ্ছে ৩৩০ । অর্থাৎ ১৬ ইঞ্চি = ১ মাইল স্কেলে এই থ্রী থার্টি স্কেলের প্রতি ইঞ্চির মান ৩৩০ ফুট। এই স্কেলের উপর লিখা থাকে ( 16 inch = 1 Mile ও 1 inch = 330 feet)
এই স্কেলের ১ ইঞ্ছিকে ৩৩ ভাগ করা হয়েছে, অর্থাৎ ৩৩০ ফুটকে ৩৩ ভাগ করা হয়েছে সুতরাং প্রতি ভাগের মান ১০ ফুট।
৩। ডায়াগোনাল গান্টার স্কেলঃ
এই স্কেল সাধারণত লিংকের হিসাবে হিসাব করা হয়। গান্টার স্কেল ও গুনিয়ার হিসাবের সাথে মিল আছে বলে এটাকে নকশার গান্টার স্কেল বলে। এটি এডমন্ড গান্টার সাহেব তৈরী করেছিলেন, যিনি ভূমি জরিপের শিকল পদ্ধতি আবিস্কারক। এই স্কেল দিয়ে নকশাতে একলিংক
পর্যন্ত হিসাব করা সম্ভব যা সাধারণ গুনিয়া দিয়ে সম্ভব নয়। এই স্কেলটি খুবই গ্রহণযোগ্য ও নকশা পরিমাপের উপযোগী স্কেল কিন্তু ব্যবহার কারী এই স্কেলের যথাযথ ব্যবহার পদ্ধতি না জানার কারণে খুব বেশি পরিচিত না। তবে বিদেশে বা পশ্চিমা দেশগুলোতে নকশা বা ম্যাপ সার্ভে করার জন্য এই স্কেলটি সবার প্রথমে ব্যবহার হয়ে থাকে।
গান্টার স্কেলের ব্যবহার (ভিড়িও)
৪। গ্রাফ স্কেলঃ এই স্কেলটি অনেকগুলো বর্গ ক্ষেত্রে ভাগ করা থাকে, দেখতে মনে হবে একটি গ্রাফ পেপারের মত, যেকোন একটি দাগের উপর বসিয়ে দিলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই জমির পরিমাণ বুঝা সম্ভব,
গ্রাফ স্কেলের প্রতি বর্গঘর = ৪০০ বর্গলিংক বা ১৭৪.২৪ বর্গফুট। নকশার নির্দিষ্ট দাগের জমিটির উপর গ্রাফ স্কেলটি ফেললে যত ঘর দখল করে বলে মনে হয় ঠিক তত কে ৪০০ দ্বারা গুন করলে ক্ষেত্রফল মোট বর্গলিংক এ পাওয়া যাবে, আবার যত ঘর দখল করে তত কে ১৭৪.২৪ দ্বারা গুণ করলে মোট ক্ষেত্রফল বর্গফুটে পাওয়া যাবে।
৫। একরকম্বঃ এই স্কেল দিয়ে সাধারণ বিশাল এলাক আনুমানিক হিসাব করার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে, ধরুণ আপনি একটি মৌজার ৫০ টি দাগের আনুমানিক ক্ষেত্রফল নির্ণয় করতে চান, তাহলে এই একর কম্ব দিয়ে মোটামোটি ৯৫% থেকে ৯৯% পর্যন্ত যথাযথ হিসাব পেতে পারেন। একজন ভূমি জরিপ জানা ব্যক্তি অবশ্যই এই স্কেলটিও সংগ্রহে রাখে।
বিশালাকার মৌজা দাগ অথবা একাদিক মৌজা দাগ নাম্বার হিসাব করার জন্য এই স্কেলটি ব্যবহার হয়ে থাকে, তবে নির্দিস্ট একটি মাত্র দাগ পরিমাপ করার জন্য এই স্কেল ব্যবহার না করাই শ্রেয়, এটি সাধারণত পিতল নির্মিত, তবে বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে প্লাস্টিকের একর কম্ব পাওয়া যায়। পিতলের একর কম্ব তে নির্দিস্ট ঘরে টান টান করে সুতা লাগাতে হয় কিন্তু প্লাস্টিকের একর কম্ব স্কেলে এসব জামেলা নেই এবং সহজেই বহন যোগ্য।
একর কম্ব ভিড়িও
৬। ডুপ্লেক্স গান্টার স্কেলঃ
এই স্কেলটিও গান্টার স্কেলের মত, তবে এই স্কেল লম্বালম্বি হয়, দুই দিকে গান্টার স্কেলের দাগ দেওয়া থাকে, একদিয়ে এক বড় ঘর থেকে আরেক বড় ঘরের দুরূত্ব ৫০ লিংক অন্য দিকে ২৫ লিংক। চিত্রতে লক্ষ করলে দেখতে পাবেন।
৭। অপটিক্যাল স্কোয়ার্ডঃ
আইল লাইন সোজা করার জন্য বহুল প্রচলিত যন্ত্র, সাধারণত ৯০ ডিগ্রী কোণ তৈরী করে একলাইন সাপেক্ষে অন্য লাইন সোজা করা হয়, ৯০ ডিগ্রী কোণ তৈরী করে এই যন্ত্রের দুটি কাচের মাধ্যমে প্রতিবিম্ভ তৈরি করে অপর দিকে সোজা হাটতে হয়। বিভিন্ন কোয়ালিটির অপটিক্যাল স্কোয়ার্ড পাওয়া যায়।
৮। ডিভাইডারঃ সাধারণত গুনিয়া বা তামার স্কেল সমূহের মাধ্যমে নকশা পরিমাপ করতে এই ডিভাইডার দিয়েই নকশার দাগে এবং স্কেলে মাপ নেওয়া হয়, কিন্তু প্লাস্টিকের ট্রান্সপারেন্ট স্কেল সমূহে ডিভাইডারের কোণ দরকার হয় না।
৯। কম্পাসঃ
এই যন্ত্রটি দিয়ে দিক নির্ণয় করা হয়, এই যন্ত্রটি সাধারণত উত্তর দিককে নির্দেশ করে।
১০। ল্যাজার ডিস্টেন্স মিটারঃ এই যন্ত্রটি দিয়ে একটা সুইস ক্লিক করেই অপর পাশে বাধাপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধক থেকে সরাসরি দূরুত্ব নির্ণয় করে। এই যন্ত্রটি দিয়ে হিসাব শুদ্ধ হয়, যা ফিতা বা ট্যাপ ব্যবহারের সময় উপযোগী আধুনিক বিকল্প পদ্ধতি।
যেখানে ফিতা দিয়ে মাপতে অন্তত দুইজন ব্যক্তি সহযোগীতা লাগে সেখানে লেজার লাইট দিয়ে মাপতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে, বাজারে বিভিন্ন দুরূত্বের মাপার ক্ষমতা বিশিষ্ট বিভিন্ন লেজার ডিস্টেন্স মিটার পাওয়া যায়, যদিও এই যন্ত্রটি ব্যায়বহুল, কিন্তু দ্রুত ও শুদ্ধ পরিমাপের জন্য এই জন্যের অন্য কোণ বিকল্প নাই। এই যন্ত্র একেধারে দৈর্ঘ্য প্রস্থ্য উচ্চতা হিসাব করে ক্ষেত্রফল হিসাব করতেও সক্ষম। এই যন্ত্রটির মূল্য রেঞ্জ ও ব্র্যান্ড ভেদে ৪ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা।