সাত বছর বয়সী সরীসৃপটি লিটল প্রিন্সেস নামে পরিচিত। তাকে ধরিত্রী মাতার প্রতিনিধিত্বকারী দেবী বলে মনে করা হচ্ছে
ব্যাঙের বিয়ের কথা শুনেছেন অনেকেই। গাছের বিয়ে, পোষা প্রাণীর বিয়েও হরহামেশা শোনা যায়। তবে প্রাণীর সঙ্গে মানুষের বিয়ের কথা যেন অভিনব। এমন এক বিরল বিয়ের ঘটনা ঘটেছে মেক্সিকোতে। যেখানে পাত্র মানুষ হলেও কনে কুমির। বিয়ে উপলক্ষে কনের সাজে আসরে উপস্থিত করা হয় কুমিরটিকে। সঙ্গে বিয়ের সাজে যোগ দেন ওই ব্যক্তিও। মেক্সিকোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সান পেড্রো হুয়ামেলুলা গ্রামে অদ্ভুত এই বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় মেয়র ভিক্টর হুগো সোসা প্রাচীন রীতিতে গ্রামে প্রাচুর্যের জন্য প্রার্থনা করে এক কুমিরকে বিয়ে করেন। সাত বছর বয়সী সরীসৃপটি লিটল প্রিন্সেস নামে পরিচিত। তাকে ধরিত্রী মাতার প্রতিনিধিত্বকারী দেবী বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্বের সর্বকালের সেরা ধনী ব্যক্তি মানসা মুসা: বিশ্বের সর্বকালের সেরা ধনী ব্যক্তি
বিয়ের অনুষ্ঠানে ভেরি ও ঢোলের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী সংগীত বাজানো হয়। এ সময় অনুষ্ঠানের অতিথিরাও নৃত্য করেন। মেয়র যখন বিয়ের পোশাক পরা কুমির কনেকে কোলে করে রাস্তায় বের হন, তখন পুরুষরা তাদের টুপি খুলে “কনে”কে বাতাস দেন। বিয়ের আয়োজনকারী গডমাদার হিসেবে পরিচিত এলিয়া এডিথ আগুইলার রয়টার্সকে বলেন, “এই আয়োজন আমাকে অনেক আনন্দ দেয়। আমার শিকড় নিয়ে গর্ববোধ করার সুযোগ করে দেয়। এটি খুব সুন্দর একটি ঐতিহ্য।”
ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হিন্দু শিক্ষককে ফাঁসানোর চক্রান্ত
অবশ্য অবাঞ্ছিত ঘটনা এড়াতে লিটল প্রিন্সেসের মুখ দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা ছিল। কারণ পুরো অনুষ্ঠানে মেয়র একাধিকবার লিটল প্রিন্সেসকে চুম্বন করেন। কথিত আছে যে ওক্সাকা রাজ্যের চোন্টাল এবং হুয়াভ আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্ভট বিয়ের প্রথা বহু শতাব্দী আগে প্রাক-হিস্পানিক সময়ে শুরু হয়। বিয়ের পর মেয়র সোসা বলেন, “আমরা প্রকৃতির কাছে পর্যাপ্ত বৃষ্টি চাই, পর্যাপ্ত খাবার চাই, নদীতে মাছ চাই।” সান পেড্রো হুয়ামেলুলা ওক্সাকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে একটি গ্রাম। এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মৎস্যজীবী।