করোনাভাইরাস এমন একটি সাধারণ ভাইরাস যা ঊর্ধ্ব শ্বাস নালীর সংক্রমণ, সাইনাসাইটিস এবং গলা ব্যথার সৃষ্টি করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এটি পূর্বের দুটি বৃহত প্রাদুর্ভাব বাদে, কোনও গুরুতর সংক্রমণ নয়: 2012 সালে মধ্য প্রাচ্যের রেসপিরেটরি সিনড্রোম (এমইআরএস); এবং 2003 সালে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেস্পিরেটরি সিন্ড্রোম (এসএআরএস), সেই সাথে এই নোভেল করোনাভাইরাস 2019 এর শেষদিকে চীন এ প্রকাশ পেয়েছিল।
করোনা ভাইরাস রচনা 1
ভূমিকা:
সৃষ্টির আদি লগ্ন থেকে মানুষ নিজের প্রখর বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে উন্নত থেকে উন্নততর সভ্যতার পথে অগ্রসর হয়েছে। কালের নিয়মে জন্ম নিয়েছে আধুনিক বিজ্ঞান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি; জীবন লাভ করেছে এক অনন্য মাত্রা। সভ্যতার জয়যাত্রার পথে মানুষ আজ ভূগর্ভ থেকে মহাকাশ অব্দি পাড়ি দিয়েছে।
কিন্তু পাশাপাশি একথাও সত্য যে পৃথিবীর বুকে সভ্যতা যতই জাঁকিয়ে বসেছে, ততই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মানুষের জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ। ভিন্ন ভিন্ন যুগে জীবনের এই প্রতিকূলতার রুপও ভিন্ন ভিন্ন।
কখনো আঘাত আসে ভূমিকম্প, বন্যা বা খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ রূপে; কখনো বা পৃথিবীর বুকে কোন মহাজাগতিক বস্তু আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় মানুষ ভোগে অস্তিত্ব সংকটে; আবার কখনো সভ্যতার মৃত্যুর পদধ্বনি শোনা যায় কোন মারণরোগ কিংবা মহামারীর আগমনে। বিশ্বব্যাপী প্রাণসংহারী এই মহামারীর তালিকায় নবতম সংযোজন আমাদের প্রবন্ধের মূল আলোচ্য করোনা ভাইরাস।
মহামারী কি?
মানব সভ্যতার মতো পৃথিবীতে মহামারীরও এক দীর্ঘ ইতিহাস আছে। করোনা ভাইরাস কে জানতে বা বুঝতে গেলে সর্বপ্রথম মহামারী সম্বন্ধে অবগত হওয়া প্রয়োজন।
স্বাভাবিকভাবে প্রথমেই প্রশ্ন আসে, আসলে কি এই মহামারী? কোন একটি রোগের জীবাণু যখন কোন কারনে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তখন তাকে বলে স্থানীয় সংক্রামক ব্যাধি বা ইংরেজি ভাষায় endemic. সেই জীবাণুই যখন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের গন্ডি পেরিয়ে একটি বৃহৎ অঞ্চল জুড়ে বিস্তার লাভ করে এবং সংক্রমনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তখন তা একটি মহামারী বা epidemic রূপে আখ্যায়িত হয়।
আবার সেই রোগই যখন দেশ বা মহাদেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে তখন তা বিশ্বমহামারী, অতিমারী কিংবা pandemic নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রতিটি মহামারীর সংক্রমণের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ চরিত্র বা ধরন থাকে।
কোন ক্ষেত্রে মহামারী ছড়ায় প্রতিদিনের ব্যবহৃত জল থেকে, কোন ক্ষেত্রে কোন রোগবহনকারী জীব থেকে, কখনো বা কোন ধরনের ছত্রাক থেকে; আবার কখনো মানুষ থেকে মানুষে সরাসরি।
ইতিহাসে মহামারী:
বিশ্বজুড়ে মহামারীর এই ইতিহাস অত্যন্ত নির্মম এবং বেদনাদায়ক। কখনো মহামারী এসেছে কলেরা রূপে, কখনো বা নেমে এসেছে ভয়ানক কৃষ্ণমৃত্যু বা প্লেগের অভিশাপ, কখনো জিকা ভাইরাস, কখনো ইবোলা, আবার কখনো এসেছে স্প্যানিশ ফ্লু। আর এই তালিকায় সর্বাধুনিক সংযোজন করোনাভাইরাস।
ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে, পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন স্থানে নানাধরনের মহামারী হানা দিয়ে প্রাণ কেড়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের। সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এই মহামারীর প্রকোপ আরো তীব্রভাবে অনুভূত হবার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের উৎস:
করোনাভাইরাস এর উৎস সম্পর্কে পৃথিবীজুড়ে আজও সমূহ বিতর্ক বিদ্যমান। কারোর মতে এই ভাইরাস কৃত্রিম উপায়ে গবেষণাগারে তৈরি; আবার কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেন এই ভাইরাসের উৎস হলো বাদুড়। তবে কোন মহলই এই ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেননি।
যে একটি ব্যাপারে মোটামুটি সকলেই নিশ্চিত তা হল এই ভাইরাসের গ্রাউন্ড জিরো। অর্থাৎ এর সংক্রমণ সর্বপ্রথম কোথা থেকে শুরু হয়েছিল। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য অনুযায়ী এই ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয় চীন দেশের হুনান প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি মাংসের বাজার থেকে। সেখান থেকেই এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে এক বিশ্ব মহামারী আকার ধারণ করে।
নামকরণ:
প্রথমেই বলে রাখা দরকার যে করোনা এবং ভাইরাস দুটি শব্দই লাতিন ভাষা থেকে গৃহীত। করোনা শব্দের অর্থ মুকুট বা crown এবং ভাইরাস বলতে বোঝায় একপ্রকার অকোষীয় আণুবীক্ষণিক রোগ সৃষ্টিকারী বীজাণুকে যার আক্ষরিক অর্থ হল ‘বিষ’।
ভাইরাস জীবগোষ্ঠীর অন্তর্গত নাকি জড়, সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিস্তর মতপার্থক্য আছে। তাই ভাইরাসকে একটি রোগ বহনকারী বীজাণু রূপে ধরে নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।অন্যদিকে, আমাদের আলোচ্য ভাইরাসটির নাম করোনা হওয়ার কারণ হল এর আকৃতি।
ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ এ পর্যবেক্ষিত এই ভাইরাসটির শরীরজুড়ে খাজকাটা অসংখ্য কন্টক একে আপাতভাবে একটি রাজমুকুটের আকার দেয়। এই ভাইরাসটি ভাইরাসগোষ্ঠীর অন্যান্য সদস্যদের তুলনায় আয়তনে বেশ খানিকটা বড়। এটি ডায়ামিটারে ০.০৬ মাইক্রন থেকে ০.১৪ মাইক্রন বা গড়ে ০.১২৫ মাইক্রন পর্যন্ত হয়ে থাকে।
করোনা’র চরিত্র বিশ্লেষণ:
আজকের করোনাভাইরাসের প্রকৃত রূপ সম্পর্কে জানার জন্য এর চরিত্রের চুলচেরা বিশ্লেষণ একান্ত প্রয়োজনীয়। করোনাভাইরাস এই পৃথিবীর রোগের দুনিয়ায় নতুন নয়। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে প্রথম মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। তারপর থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মানুষের শরীরে রোগ বহনকারী প্রায় পাঁচ প্রকারের করোনাভাইরাস আবিষ্কৃত হয়।
এই ভাইরাস মানুষের শরীরে বাসা বেঁধে মূলত শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে বিশেষ জটিলতার উদ্রেক ঘটায়। কিন্তু যে করোনাভাইরাস নিয়ে আমাদের মূল আলোচনা, তা পুরনো করোনাভাইরাস থেকে বহুলাংশে পৃথক এবং সম্পূর্ণ নতুন প্রকৃতির। যার ফলে প্রথম থেকেই একে চিহ্নিত করা হচ্ছে নোভেল করোনাভাইরাস নামে। ২০১৯ সালের শেষ দিক থেকে চীনে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়।
মিউকাস এর মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এই ভাইরাসটি বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আক্রমণ করে। এক্ষেত্রেও প্রধান লক্ষ্য হয়ে থাকে মানুষের শ্বাসযন্ত্র। অত্যন্ত ছোঁয়াচে এই ভাইরাসটি প্রধানত মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ ঘটায়। নোভেল করোনা ভাইরাস ঘটিত রোগটিকে বিশেষজ্ঞরা চিহ্নিত করেছেন কোভিড-১৯ নামে। যার পুরো কথা হল COrona VIrus Disease 19 (COVID-19).
সংক্রমণ:
বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসটির সংক্রমনের কারণ সংক্রান্ত ব্যাপারে আর বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। কি কি ভাবে এই ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়তে পারে সে ব্যাপারে বড় বড় চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অব্দি কেউই এখনো সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে পারেননি। তবে এই ভাইরাসটির সংক্রমন বিশেষজ্ঞদের মতে চারটি পর্যায়ে বিভক্ত।
প্রথমটি হল, এমন ধরনের মানুষ যারা বিশেষভাবে সংক্রমিত অঞ্চল থেকে সরাসরি সংক্রমিত হয়ে এসেছে। দ্বিতীয় পর্যায়টি হল, যেখানে সরাসরিভাবে সংক্রমিত হওয়া সেই সব মানুষ গুলি নিজেদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্য মানুষদের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটায়। তৃতীয় পর্যায়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে এক বৃহত্তর অঞ্চল জুড়ে।
এই পর্যায়ে সংক্রমিত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে না আসা ব্যক্তিও তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে সংক্রমিত হয়। এটি গোষ্ঠী সংক্রমনের পর্যায় হিসেবে পরিচিত। চতুর্থ বা অন্তিম পর্যায়ে সংক্রমণ রাজ্য কিংবা দেশজুড়ে এক মহামারীর আকার ধারণ করে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এই চতুর্থ পর্যায়ে পৌঁছে গেলে ভ্যাকসিন ছাড়া তাকে রোধ করা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে পড়ে।
চিকিৎসা:
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা চিহ্নিত করেছেন মানুষের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার অভাবকে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে গলা ব্যথা, জ্বর কিংবা শ্বাসকষ্টের মতন উপসর্গগুলি লক্ষ্য করা যেতে পারে। ভাইরাস ঘটিত এই রোগটির নির্দিষ্ট চিকিৎসা বলে এখনো অবধি কোন কিছুকে চিহ্নিত করা যায়নি।
আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে উদ্রেক হওয়া জটিলতার উপসর্গ অনুসারে ওষুধ প্রয়োগ করে রোগীর শরীরকে এক্ষেত্রে বাইরে থেকে প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা দেওয়া হয়। শরীর এই প্রতিরোধমূলক চিকিৎসার দ্বারা নিজেই নিজের ভিতর ধীরে ধীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি গড়ে তোলে।
এই প্রক্রিয়া চলাকালীন রোগীকে সম্পূর্ণভাবে আইসোলেশনে বা অন্তরীণ অবস্থায় থাকতে হয়। যদিও সম্প্রতি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে যেতে পারে।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:
ইতিপূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে কোভিড-১৯ এর নির্দিষ্ট চিকিৎসা বলে কোন কিছু নেই। উপসর্গ অনুযায়ী এর চিকিৎসা হয়ে থাকে। তাই এই ভাইরাস থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল ভ্যাক্সিনেশন বা টিকাকরণ এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। বিশেষজ্ঞদের মতে এই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বলতে প্রধানত মানুষে মানুষে সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রথাকে বোঝানো হয়।
এই নিয়মের পালনের নিমিত্তই বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের সরকারগুলি দেশ বা নির্দিষ্ট সংক্রমিত অঞ্চল জুড়ে জারি করে লকডাউন। তাছাড়া বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বারবার বিশেষ ধরনের মাস্কের ব্যবহার এবং হাত পরিষ্কার রাখার উদ্দেশ্যে ৭০% আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল দ্বারা তৈরি স্যানিটাইজার তথা সাবান ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
এছাড়াও তারা জানিয়েছেন সংক্রমণ চলাকালীন বিশেষ প্রয়োজন এবং মাস্ক ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোনো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। তা না হলে করোনাভাইরাস কে প্রতিরোধ করা আমাদের পক্ষে আদৌ সম্ভব হবে না।
টিকাকরণ:
সমগ্র বিশ্বব্যাপী দীর্ঘ গবেষণার পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকা আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছে। সর্বপ্রথম যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল দীর্ঘ গবেষণার পর করোনাভাইরাসের একটি টিকা আবিষ্কার করে তার ট্রায়াল’ শুরু করে। এর পরবর্তীতে প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া ও চীন নিজের স্বদেশে আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করে দেয়।
রাশিয়াতে সর্বপ্রথম এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের কন্যা। আমাদের উপমহাদেশও ভ্যাকসিন আবিষ্কার এবং তার প্রয়োগের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকেনি। ভারতের দুটি সংস্থা: সিরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেক দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ভারতে তৈরি দুটি ভ্যাকসিন নিয়ে আসে।
এর একটির নাম হলো কোভিশিল্ড এবং অপরটি ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন। প্রথমে পরীক্ষামুলকভাবে এর প্রয়োগ শুরু হয় এবং ট্রায়ালের পর্যায় সফলভাবে শেষ হবার পর ধাপে ধাপে ব্যাপকহারে জনমানসে টিকাকরণ শুরু হয়ে যায়।
বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাব:
প্রত্যক্ষ প্রভাব:
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রভাব অত্যন্ত সুদূরপ্রসারি। প্রত্যক্ষ প্রভাব রূপে আমরা প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছি আমাদের চোখের সামনে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হচ্ছেন। ঘন জনবসতি অঞ্চলে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি।
এই আক্রান্ত মানুষদের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন তাদের প্রাণ বিসর্জন দিচ্ছেন। অন্যদিকে অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিতে চিকিৎসা তথা পরিকাঠামোগত দুরাবস্থা ক্রমশ আরও প্রকট হচ্ছে। এমনকি উন্নত দেশগুলিও বিপুল সংখ্যক রোগীদের পরিষেবা দানের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর আসছে মানুষ মারা যাচ্ছেন বিনা চিকিৎসায়।
পরোক্ষ প্রভাব:
এদিকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত লকডাউন এর ফলস্বরূপ ছোট মাঝারি বিভিন্ন ধরনের শিল্প অস্তিত্বসংকটের মুখে পড়েছে। বৃহৎ শিল্প গুলিও মূলধনের অভাবে ধুঁকতে শুরু করেছে। এগুলির সাথে যুক্ত অসংখ্য মানুষের জীবিকাও পড়েছে প্রশ্নের মুখে। পৃথিবীজুড়ে বেকারত্ব অস্বাভাবিক রকমের বেড়ে যাচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতি পড়েছে সংকটের মুখে। স্বাভাবিকভাবেই সমাজের বুকে থাবা বসাচ্ছে দারিদ্র, অনাহার, খাদ্যাভাব।
সমাজের বৈষম্যমূলক চিত্রটা দিন দিন আরো বেশি প্রকট হচ্ছে। এরই পাশাপাশি অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রীর কালোবাজারী। মাস্ক বা স্যানিটাইজারের মত প্রতিরোধমূলক উপকরণগুলো ছাড়াও অতি প্রয়োজনীয় টেস্টিং কিটের ক্ষেত্রেও শুরু হয়েছে দুর্নীতি।
অনির্দিষ্টকালব্যাপী লকডাউন এর কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দৈনন্দিন সামগ্রী না পাওয়ার আশঙ্কায় মানুষের মধ্যে বাড়িতে পণ্য মজুত করে রাখার প্রবণতা অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। সরাসরি যার সুযোগ নিয়েছে কালোবাজারি মজুতদারেরা। ফলতই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ার ঘটনাও চোখে পড়ছে।
উপসংহার:
কথায় বলে, সভ্যতা যখন নিজের গতিকে অপ্রতিরোধ্য বলে মনে করে, সৃষ্টি তখন সমগ্র সভ্যতাকে ক্ষণিকের জন্য স্তব্ধ করে দেয়। একটি ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক ভাইরাস যেন আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে এই প্রবাদবাক্যের সত্যতাই প্রমাণ করে দিল। আবারো আমরা দেখতে পেলাম সৃষ্টির কাছে আমরা ঠিক কতখানি অসহায়।
তবে মানুষের এই অসহায়তায় প্রকৃতি বিশ্বজুড়ে দূষণকে কমিয়ে বায়ুকে আবারো বিশুদ্ধ করে তুলেছে ধীরে ধীরে। লকডাউনে শুনশান হাইওয়েতে বন্য নীলগাইয়ের চরে বেড়ানো এই দুর্যোগের পরিস্থিতিতেও আমাদের মুগ্ধ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে করোনাভাইরাস পরবর্তী পৃথিবী আর আগের মতন থাকবে না। রাজনৈতিক তথা আর্থসামাজিক দিক থেকে এই বিশ্বে হয়তো আমূল পরিবর্তন ঘটে যাবে।
মানুষের জীবন যাপনের ক্ষেত্রেও হয়তো আসবে জন্য স্থায়ী পরিবর্তন। তবে একথা সত্যি যে এই দুর্যোগের মেঘ কাটিয়ে উঠে আমরা খুব তাড়াতাড়ি আবার সুস্থ পৃথিবীতে শ্বাস নিতে পারব। নতুন নিয়মের সেই পৃথিবীতে আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে সৃষ্টির সাথে তাল মিলিয়ে সভ্যতার যাপনেই জীবনের প্রকৃত সার্থকতা।
করোনা ভাইরাস রচনা 2
ভূমিকা: মন্বন্তরে মরিনি আমরা মারী নিয়ে ঘর করি’—একথা আবারও সত্য হল সাম্প্রতিক অতিমারী করােনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে। আমরা বাঙালি তথা ভারতীয়রা যে ধৈর্য, সাহস ও উদ্যম দেখিয়েছি তাতে বিশ্বের মধ্যে আমাদের সেরে ওঠার নিরিখে তথা করােনাকে জয় করার ক্ষেত্রে প্রথম স্থানেই রয়েছি। এর কারণ আমাদের নিজস্ব প্রতিরােধক্ষমতা। বিশ্বায়ন উত্তরকালে পৃথিবী যখন একটি মাত্র একক, সেখানে এ ধরনের রােগের আক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচাতে গেলে চাই যথাযথ পরিকল্পনা ও জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে সম্যক সচেতনতা। তাহলেই অন্যান্য ক্ষেত্রের মতাে এইসব অতিমারীর ক্ষেত্রেও আমরা বলতে পারব—ভারত আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে।
উৎস: করােনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চিনের উহান প্রদেশ হলেও আমাদের পশ্চিমবঙ্গে প্রথম তা ছড়িয়েছে লন্ডন থেকে আগত এক যুবকের মাধ্যমে। কোনাে কোনাে বিজ্ঞানীদের অনুমান ‘প্যাঙ্গোলিন’ নামক প্রাণী বা বাদুড় থেকে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। আবার কারাে মতে তা ল্যাবরেটারিতে কৃত্রিমভাবে তৈরি। এ নিয়ে তথ্যানুসন্ধান ও গবেষণা চলতেই থাকবে, আসল কারণ ভবিষ্যই বলতে পারে। তবে এই ভাইরাস দুদিন থেকে চোদ্দ দিন গুপ্তভাবে থেকে মানুষের মধ্যে তা ছড়াতে পারে হাঁচি, কাশি, থুতু, কফ-এর কণার (droplet) মাধ্যমে এবং তাই তা এত সংক্রামক। এই ভাইরাস নাক, সাইনাস বা গলার উপরিভাগে সংক্রমণ ঘটায়।
লক্ষণ ও স্বরূপ : জ্বর, সর্দি, শুকনাে কফ, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, জিভে স্বাদ চলে যাওয়া, নাকে গন্ধ না পাওয়া প্রভৃতি করােনা ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ। এই ভাইরাস প্রথম প্রাণী থেকে সৃষ্ট হলেও তারপরে তা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় ও মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চিনের হুপেই প্রদেশের উহান নগরীতে প্রথম তা শনাক্ত করা হয়। পরে ভাইরাসটি চিনের মূল ভূখণ্ডের অন্যান্য প্রদেশ ও বিমানযাত্রীদের মাধ্যমে থাইল্যান্ড, জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম আক্রান্তের খবর ১৭ই নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে পাওয়া যায়। ২০২০-র ৩০শে জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা এই রােগকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী জরুরি সতর্কতা জারি করে। ভাইরাসটির প্রজননের হার ১.৪ থেকে ৩.৯ পর্যন্ত বিস্তৃত।
সংক্রমণ: করােনা ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে প্রধানত দুই ধাপে ছড়াতে পারে। প্রথম পর্যায়ে করােনা ভাইরাস-সংক্রমিত ব্যক্তি ঘরের বাইরে গিয়ে মুখ না ঢেকে হাঁচি, কাশি উন্মুক্ত স্থানে প্রকাশ করলে আশেপাশে ১-২ মিটার পরিধির মধ্যে বাতাসে কয়েক ঘণ্টা ভাসমান থাকতে পারে। দ্বিতীয় পর্যায়ে সেই ভাইরাস কণাযুক্ত বাতাসে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করলে অন্য ব্যক্তিদের ফুসফুসেও শ্বাসনালি দিয়ে করােনা ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। এছাড়া অন্য একটি সংক্রমণের প্রক্রিয়া হল—করােনা আক্রান্ত ব্যক্তি যদি নিয়মবিধি না মানেন তাহলে তার হাতে বা ব্যবহৃত বস্তুতে ভাইরাস লেগে থাকতে পারে। দ্বিতীয় পর্যায়ে সংক্রমিত ব্যক্তি যদি কোনাে বস্তুর পৃষ্ঠতলে স্পর্শ করেন তাহলে পরবর্তী কয়েকদিন সেই ভাইরাস থেকে যেতে পারে। তৃতীয় পর্যায়ে যদি অন্য কোন ব্যক্তি ঐ বস্তুতে হাত দেন তাহলে সে সংক্রমিত হতে পারে। চতুর্থ পর্যায়ে ভাইরাস থাকা অবস্থায় হাত দিয়ে যদি কেউ নাক, মুখ, চোখ স্পর্শ করে তাহলে তখনই ভাইরাস উন্মুক্ত শ্ৰেঝিল্পি দিয়ে দেহের ভিতর প্রবেশ করে গলায় ও ফুসফুসে বংশ বিস্তার করে।
প্রতিরােধ: যেহেতু ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় এবং দু’ সপ্তাহ পর্যন্ত রােগটি অজান্তে থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে তাই শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাটাই এই রােগ থেকে বাঁচবার প্রধান অস্ত্র। দ্বিতীয়ত, মুখে ও নাকে মাস্ক পরে অপরের সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করা। তৃতীয়ত, হাত ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করা এবং হাত স্পর্শ করার ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রগুলি থেকে নিজেদের সচেতন রাখা। বাইরে থেকে এসে ব্যবহৃত জামাকাপড় পৃথক জায়গায় রেখে গরম জলে সাবান দিয়ে কেচে ফেলা ও ব্যবহৃত সমগ্র জিনিষগুলি সযত্নে জীবাণুমুক্ত করে ঘরে ঢােকা অত্যন্ত জরুরি। চতুর্থত, বহু জনসমাগম-এর স্থান এড়িয়ে যাওয়া, বাইরে গিয়ে একজন থেকে আরেক জনের দূরত্ব বজায় রাখা, হাসপাতালে ও নার্সিং হােমে গেলে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করে আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শ এড়িয়ে থাকা অত্যন্ত প্রয়ােজন। পঞ্চমত, হােটেল, রেস্তোরায় গিয়ে খাওয়ার সময়, কিম্বা অফিসে বা কার্যালয়ে গিয়ে জল খাওয়া বা আহার করার সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি নজর দেওয়া দরকার। ষষ্ঠত, নিজের চারদিকের পরিবেশ, আবাসস্থল জীবাণুমুক্ত রাখা, যাঁরা মাস্ক ব্যবহার করেন না, তাদের বােঝানাে দরকার নিজের নাক কেটে তিনি যেন অপরের যাত্রাভঙ্গ না করেন। কারণ সামাজিক সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে নিজেকে যেমন সচেতন হতে হবে অপরকেও সচেতন করতে সচেষ্ট হতে হবে। সপ্তমত, যে ব্যক্তির জ্বর, সর্দি, কাশি ও হাঁচি হচ্ছে তার থেকে ন্যূনতম ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, যত্রতত্র থুতু ফেলা যাবে না, মাস্ক মুখে না দিয়ে চেঁচিয়ে কথা বলা যাবে না, খালি হাত দিয়ে হাঁচি কাশি ঢাকা যাবে না, প্রতিবেশি বা স্বজনের মধ্যে ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা অ্যাপ-এ সংবাদ দিতে হবে ও আক্রান্ত ব্যক্তি ও ব্যক্তির সঙ্গে থাকা সমস্ত মানুষদের বিচ্ছিন্ন করতে হবে অন্তত চোদ্দ দিন। সন্দেহ হলে পরীক্ষা করা ও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অষ্টমত, ভাইরাসে আক্রান্ত রােগীর সঙ্গে যুক্ত যারা রয়েছেন তাদের চরম সাবধানতা গ্রহণ করতে হবে নিজের ও সমাজের স্বার্থে। সর্বোপরি যে কোন অতিমারী প্রতিরােধ সম্ভব সামগ্রিক সচেতনতার মাধ্যমে এবং জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে সম্যক অবহিত থেকে।
পরিসংখ্যান ও টীকা: ইতিমধ্যে (৩০/১০/২০২০) ভারতে প্রায় একাশি লক্ষ ও পশ্চিমবঙ্গে ৩.৭০ লক্ষ আক্রান্ত হয়েছে এই রােগে এবং ভারতে প্রায় এক লক্ষ বাইশ হাজার মানুষের ও পশ্চিমবঙ্গে প্রায় সাত হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের নিরিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৯৪ লক্ষ)র পরেই ভারত (৮১ লক্ষ)। তবে মৃত্যুর হারে ভারত তৃতীয় (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২.৩৬ লক্ষ, ব্রাজিল ১.৫৯ লক্ষ ও ভারত ১.২২ লক্ষ)। বসন্ত রােগ যেমন টীকা প্রয়ােগ করে প্রতিরােধ করা সম্ভব হয়েছে তেমনি করােনা ভাইরাসও টীকা (vaccine) প্রয়ােগ করে প্রতিরােধ করা সম্ভব। ইতিমধ্যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, রাশিয়া ভ্যাকসিন-এর বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছে, ভারতের বিজ্ঞানীরাও পিছিয়ে নেই। আশা করব শীঘ্র টীকা মানবশরীরে প্রয়ােগ করে তার সুফল পাওয়া যাবে।
উপসংহার: পশ্চিমবঙ্গে করােনা পরিস্থিতি ভৌগােলিক অবস্থান অনুযায়ী অন্য রাজ্য অপেক্ষা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামাে তৈরি করে, উপযুক্ত পরিচালন ব্যবস্থার মাধ্যমে, টেস্টের সংখ্যা বাড়িয়ে, সুদূরপ্রসারী প্রচার করে, লকডাউন এর সুফল গ্রহণ করে ও সর্বোপরি স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশকর্মীদের সেবামূলক মানসিকতায় পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষ এই ভাইরাসকে প্রতিহত করতে যে অনেকটা সক্ষম হয়েছে, তাতে সন্দেহের অবকাশ থাকে না।
করোনা ভাইরাস রচনা 3
করোনাভাইরাস কি এবং এ নিয়ে লোকে এত চিন্তিত কেন?
কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস সংক্রামক অসুখ ২০১৯) একটা অসুখ যা করোনাভাইরাস নামের এক ধরনের ভাইরাস থেকে হয়। করোনাভাইরাসের দেহে খোঁচা খোঁচা কাঁটার মতো কিছু জিনিস দেখা যায়। এদের অনেকটা মুকুটের মতো দেখতে লাগে। তাই মুকুটের লাতিন প্রতিশব্দ করোনা থেকেই এসেছে এই ভাইরাসের নাম।
মানুষের শরীরের অনেক রোগ, যেমন পোলিও, হাম, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সাধারণ ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি ভাইরাস থেকে হয়। কিছু কিছু রোগের টীকা আছে। তার মধ্যে কিছু টীকা আমাদের সকলকেই নিয়ম করে ছোটবেলায় নিতে হয়। আবার কিছু টীকা, যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জার টীকা আমরা চাইলে বড় বয়েসে নিতে পারি। তবে এটা প্রত্যেক বছর নিতে হয়। এই টীকা নেবার পরে যখন সেই ভাইরাস আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, আমাদের শরীর সেটাকে চিনে তার প্রতিরোধ করতে পারে।
আমাদের শরীরে যখন কোন অচেনা ভাইরাস ঢুকে পরে, তখনই দেখা দেয় সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রেই এই ভাইরাসগুলো শুয়োর, পাখি, বাদুড় বা অন্য জন্তুদের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবে থাকে। তবে কখনোসখনো তার একটা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লেই দেখা দেয় নতুন রোগ – যেমন এই কোভিড-১৯। বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে কোভিড-১৯ এর ভাইরাস বাদুড় থেকে এসেছে।
কোভিড-১৯ নিয়ে মানুষের দুশ্চিন্তার বেশ কিছু কারণ আছে। প্রথমত, এটা একটা রেস্পিরেটরি বা শ্বাস-প্রশ্বাসের রোগ যা সহজেই একজনের থেকে অন্যজনে ছড়াতে পারে। দ্বিতীয়ত, অল্পসংখ্যক কিছু মানুষের এর থেকে মৃত্যু হতে পারে। তৃতীয়ত, এই রোগের বিরুদ্ধে লড়বার কোন স্বাভাবিক প্রতিরোধক্ষমতা বা ইমিয়ুনিটি আমাদের শরীরে নেই। এখন অবধি এই রোগের কোন টীকা বা ওষুধও তৈরি হয়নি।
এই রোগের উপসর্গ কী? এটা ছড়ায় কিভাবে?
অধিকাংশ লোকের হালকা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ দেখা দেয়, যেমন (প্রবল) জ্বর, শুকনো কাশি আর ক্লান্তি। কিছু কিছু লোকের গা-ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট, পেশী আর হাড়ের জোড়ে ব্যাথা, গলা ব্যাথা, মাথাধরা, কাঁপুনি হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে অতিসার (পেট খারাপ) ও হতে পারে। অল্পবয়স্কদের তুলনায়ে বয়স্ক লোকেদের এই রোগ বেশি কাহিল করে দেয়। ৯ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রভাব খুবই কম। যাদের আগে থেকেই সুগার, হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগ আছে, বা যাদের দেহের প্রতিরোধশক্তি কম, তাদের মধ্যে আরও গুরুতর লক্ষণ দেখা দেয়। শতকরা বিশ শতাংশ লোকের নিউমোনিয়া বা অন্য কোন কঠিন সমস্যা হতে পারে।
হাঁচি-কাশির সময় আক্রান্ত মানুষের মুখ বা নাক থেকে ভাইরাস-সংক্রামিত ফোঁটা ছড়িয়ে পরে। এইগুলো নানা জায়গার উপর অনেকক্ষণ অবধি থাকতে পারে। এ সব জায়গায় হাত দিয়ে, সেই হাত মুখে বা নাকে দিলে ভাইরাস আপনার শরীরে এবং ফুসফুসে ঢুকে যেতে পারে।
এই রোগ থেকে নিজেকে এবং অন্যদের বাঁচাতে আমি কি কিছু করতে পারি?
হ্যাঁ, অবশ্যই। এই ভাইরাস শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ ধরে ছড়ায় – মানে হাঁচি-কাশির সঙ্গে সংক্রামিত ফোঁটা ছড়িয়ে পরে এবং সেগুলো এখানে সেখানে লেগে থাকে। যে সব জায়গা আমরা মাঝে মাঝে ছুঁই, যেমন অন্য লোকের হাত, দরজার হাতল বা ছিটকিনি, রেলিঙ ইত্যাদি, সেখান থেকে ভাইরাস আপনার হাতে লাগতে পারে এবং তার পর আপনার মুখে এবং ফুসফুসে ঢুকে পড়তে পারে। এর থেকে বাঁচার উপায়? ভালো করে হাত ধুন। এর জন্য ইউটিউবে দারুণ সব ভিডিও পাওয়া যায়। এখানে ডাক্তার-নার্সদের হাত ধোয়ার পদ্ধতি দেখানো হয়েছে। হাত ধোয়ার আগে কলের যে অংশটা ধরে আপনি কলটা খোলেন বা বন্ধ করেন, সেটা সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন। এবার হাত ধোয়ার সময় আপনি বারবার কল খুলতে/বন্ধ করতে পারবেন। এতে অনেকটাই জলের অপচয় কমাতে পারবেন।
সাবান আর জল না থাকলে অ্যালকোহল দেওয়া স্যানিটাইসার ব্যবহার করুন। যতদুর সম্ভব মুখ আর নাকে হাত না দিয়ে থাকুন।
এ ছাড়াও ভাইরাসে আক্রান্ত লোকের সাথে শারীরিক সংস্পর্শ বাঁচাতে ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলুন। মানুষের মধ্যে এই শারীরিক ব্যাবধান রাখাকেই বলা হয় সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং। তিন থেকে ছয় ফুটের ব্যাবধান রাখাটাকে “নিরাপদ” মনে করা হয়। করমর্দন (হ্যান্ডশেক) করবেন না। ভারতীয় মতে নমস্কার বা আদাব জানান। এতে শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকবে।
বাড়ি থেকে বেরলেই কি মাস্ক পরা জরুরী?
বর্তমানে সরকারি নির্দেশ অনুসারে বাড়ি থেকে বেরলেই মাস্ক পরুন। আপনার যদি কোভিড-১৯ হয়ে থাকে, তবে মাস্ক পরলে আপনি অন্যকে ভাইরাস থেকে বাঁচাবেন। যদিও কোভিড-১৯ রুগির কাছে গেলে নিজেকে বাঁচাতে সাধারন মাস্কের কার্যকারিতা কম। সাধারণ লোকে বেশি এন ৯৫ জাতীয় মাস্ক ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যকর্মী এবং অন্যান্য যাদের সত্যিই এটা প্রয়োজন, তাদের কম পড়বে। তাই সাধারন বা বাড়িতে বানানো মাস্ক ব্যবহার করুন।
আমার যদি জ্বর বা কাশির মতো উপসর্গ থাকে তবে আমার কি করা উচিত? আমার কি ডাক্তার দেখানো উচিৎ না কি সকলের থেকে আলাদা থাকা উচিৎ?
যেহেতু কোভিড-১৯ এর লক্ষণগুলির সাথে সাধারণ মরশুমি জ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জার কোনও পার্থক্য নেই, তাই জ্বর ও কাশি আছে মানেই যে আপনি করোনা আক্রান্ত, তার কোন নিশ্চয়তা নেই, আপনার হয়ত সাধারণ মরশুমি জ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়েছে। তবুও আপনি যদি নিজেকে করোনা আক্রান্ত বলে সন্দেহ করেন, তবে প্রথমেই আপনাকে ‘সেলফ-কোয়ারান্টিনে’ থাকতে হবে অর্থাৎ বাড়ির কোন একটি নির্দিষ্ট ঘরে অথবা এমন কোন জায়গায় থাকতে হবে যেখানে অন্যান্য লোকের সঙ্গে আপনার যতটা সম্ভব কম মেলামেশা হবে, যাতে আপনার থেকে রোগটি অন্য কারোর শরীরে না ছড়ায়। এটা যতটা সম্ভব কঠোরভাবে পালন করা উচিত। এমনকি যারা আপনার দেখাশোনা করবেন, তারাও যেন আপনার সাথে কোনরকম শারীরিক সংস্পর্শে না আসেন। এরপর আপনার কাছের স্বাস্থ্য পরিষেবায় বা হেল্পলাইনে জানান ও তাদের পরামর্শ মতো চলুন।
নিজেকে ও অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে কিছু জিনিস অভ্যাস করুন। প্রথমত কাশি বা হাঁচির সময় নিজের নাক ও মুখ কনুই দিয়ে অথবা রুমাল বা টিস্যু দিয়ে ঢাকুন এবং ব্যাবহৃত টিস্যু ঢাকনা দেওয়া পাত্রে ফেলে দিন। এছাড়াও, নিয়মিত আপনার হাত ধুয়ে নিন এবং আপনার চারপাশের লোকদের একই কাজ করতে বলুন, বিশ্রাম নিন, প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন এবং আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ফল খান। যদি আপনার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তবে পরামর্শের জন্য স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত হেল্প লাইনে ফোন করুন। সাধারণ ভাবে, পরামর্শ না নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যাবেন না, বিশেষত যখন আপনার রোগের লক্ষণগুলি হালকা। যদি আপনি করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হন, তবে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে আপনার নিজের অজান্তেই ডাক্তারসহ অনান্য লোকের মধ্যেও রোগটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আমি শুনেছি যে যাদের করোনা আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হয় তাদেরকেই ‘কোয়ারান্টিন’ করা হয়। এর মানে কি? এতে ভয় পাওয়ার কিছু আছে কি ?
সাধারণত দুই ধরনের কোয়ারান্টিন হয়।
একটিতে,আপনাকে সরকারের ঠিক করা জায়গায় বা ঘরে রাখা হবে, যাতে আপনার সাথে অন্যান্য সুস্থ লোকের যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এটি সাধারণত তাদের ক্ষেত্রেই করা হয়, যাদের থেকে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রবল, যেমন আপনার দেহে যদি করোনার প্রাথমিক লক্ষণগুলি দেখা যায় বা আপনি করোনা আক্রান্ত কোন লোকের সংস্পর্শে এসে থাকেন। তবে মনে রাখবেন এ ব্যাপারে সরকারি নীতি মাঝে মাঝে পালটাতে পারে।
অন্যটায়, যদি আপনি কোন ব্যক্তির কাছাকাছি এসে থাকেন যিনি পরবর্তীকালে করোনা আক্রান্ত বলে পরীক্ষায় ধরা পড়েন, তখন আপনাকে ‘সেলফ- কোয়ারান্টিন’ অর্থাৎ স্বেচ্ছায় গৃহবন্দিও থাকতে বলা হতে পারে। এর অর্থ হ’ল আপনাকে বাড়ির কোনো একটি নির্দিষ্ট ঘরে অথবা এমন কোনো জায়গায় থাকতে হবে যেখানে অন্যান্য লোকের সঙ্গে আপনার যতটা সম্ভব কম যোগাযোগ থাকবে।
কোয়ারান্টিনের সময় আপনার সাথে অন্য সকলের শারীরিক সংযোগ যাতে কম হয় সে বিষয়ে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে আপনার শরীরের ভাল-মন্দের দিকে সর্বদা নজর দেওয়া হবে, এবং এই কোয়ারান্টিনের শেষে যদি আপনার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে, তখন আপনাকে করোনা-মুক্ত বলে কোয়ারান্টিনের থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। সাধারণত এই কোয়ারান্টিন দু সপ্তাহের হয়।
কোয়ারান্টিনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সাধারণত আমরা যে ধরনের শারীরিক ও সামাজিক মেলামেশার করে থাকি, তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে কিছুটা অসুবিধার মধ্যে পড়তে হতে পারে। কিন্তু যদি ভাল ভাবে কোয়ারান্টিনের জায়গার ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে আপনি অবশ্যই পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখতে এবং বাইরের জগতের সমস্ত খবরাখবর রাখতে পারেন। এছাড়াও আপনার পুষ্টিকর খাবার ও অনান্য সুযোগ সুবিধার দিকেও নজর রাখা হবে যাতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
দেশে রোগ ছড়ানোর হার নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করার সাথে সাথে কোয়ারান্টিনের নিয়মগুলিরও মূল্যায়ন করা হচ্ছে। কাদের কোয়ারান্টিন করা হবে আর কাদের করা হবে না সে বিষয়ে সরকার পরে নিয়ম আরও কঠিন করতে পারে।
চীন থেকে আসা পণ্য ব্যবহার করলে অথবা মাংস ও আমিষ জাতীয় খাবার খেলে কি আমার কোভিড-১৯ হতে পারে?
না, কোনভাবেই না। মনে রাখবেন এই ভাইরাস মানুষের থেকে মানুষে ছড়ায় শ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্যে দিয়ে। আমাদের আশেপাশে থাকা বেশীর ভাগ প্রাণীর মধ্যে এই ভাইরাস পাওয়া যায় না। তাই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সাথে মাংস খাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। এছাড়াও, এই জাতীয় ভাইরাস আলো-হাওয়ার মধ্যে থাকা জিনিসের উপর বেশি দিন বেঁচে থাকে না এবং উচ্চ তাপমাত্রা খুব সহ্য করতে পারে না। চীন থেকে ভারতে পণ্য পৌঁছতে যে সময় লাগে তাতে ভাইরাস জীবিত থাকবে না। তাই কোনও রকম ভয় ছাড়াই চীনা পণ্য ব্যবহার করতে পারেন।
করোনা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আছে? করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার জন্য কোনো ওষুধ আছে?
না, এখনও পর্যন্ত এরকম কোন ওষুধ বা প্রতিষেধক পাওয়া যায় নি, যদিও সারা বিশ্বের বহু গবেষণাগারেই এর খোঁজ চলছে। অনেকগুলো সম্ভাব্য প্রতিষেধক নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে এবং তার পাশাপাশি অন্যান্য রোগের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধ কোভিড -১৯ রোগীদের ওপর পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে যে তা কাজ করবে কি না। একটা নিরাপদ প্রতিষেধক তৈরি করতে সাধারণত এক থেকে দুই বছর সময় লাগে।
আমি শুনেছি যে ভেষজ জড়িবুটি, আয়ুর্বেদিক বা হোমিওপ্যাথিক ওষুধ কোভিড ১৯ এর মোকাবিলা করতে পারে। এসব কি সত্যি?
প্রচুর লোক হোমিওপ্যাথিক বা আয়ুর্বেদিক ওষুধে আস্থা রাখলেও কোভিড -১৯ এর ওপর এইসব ওষুধের প্রভাব সম্পর্কে আমরা আসলে খুবই কম জানি। কিছু ক্ষেত্রে এসব ওষুধ কাজ করার গল্প শোনা যায়। মনে রাখবেন স্বাস্থ্য শরীর আর মন, দুটোর উপরেই নির্ভর করে। তাই যে ওষুধ কাজ করে না তার উপরেও যদি আপনার অগাধ বিশ্বাস থাকে, তাহলে সেটা আপনার শরীরকে অসুখের সাথে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে। একে বলা হয় ‘প্ল্যাসেবো এফেক্ট’।
তবে এই ধরনের সংক্রমণ ও তার ছড়িয়ে পড়া রুখে দেবার কয়েকটা খুব কার্যকর উপায় আমরা জানি — শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢেকে নেওয়া, আর ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া। যতক্ষন আপনি নিজের এবং আপনার আশেপাশের মানুষদের সুরক্ষার জন্য এইসব প্রতিষ্ঠিত নিয়মগুলো মেনে চলছেন, অনান্য অপরীক্ষিত উপায়ের সাথে একে গুলিয়ে ফেলছেন না, ততক্ষণ কোনো সমস্যা নেই। এছাড়াও, আপনার স্বাভাবিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য তাজা ফল এবং শাকসবজি খান, সূর্যের আলোতে থাকার চেষ্টা করুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খান। মানসিক চাপ কম করার চেষ্টা করুন, কারণ মানসিক চাপ আপনার দেহের স্বাভাবিক রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
কোভিড-19 এর ছড়িয়ে পড়া রুখতে সরকার কি করছে?
সরকার এবং আমাদের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরের কর্মকর্তারা অত্যন্ত সাবধানতার সাথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু (ডাব্লুএইচও) এর নির্দেশাবলী অনুসরণ করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যার উপর নজর রাখছে এবং ডাক্তাদের / হসপিটালগুলিকে রোগীদের কিভাবে আলাদা জায়গায় রাখতে হবে বা কিভাবে চিকিৎসা করতে হবে সে সম্পর্কে নির্দেশ দিচ্ছে। এছাড়াও, ভিসা বাতিল করে সরকার বাইরের দেশের থেকে লোকের এ দেশে ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছে। যাদের কোভিড-১৯ হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।অনেক জায়গায় কোয়ারানটিন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আদর্শ পরিস্থিতিতে কারুর যদি সন্দেহ হয় যে তার কোভিড-১৯ হয়েছে, তাহলেই তার পরীক্ষা করার ব্যবস্থা থাকা উচিত। তবে এখনো এতো পরীক্ষার ব্যবস্থা করে ওঠা সম্ভব হয়নি।
অদূর ভবিষ্যতে কি হবে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। করোনা ভাইরাসের যদি “গোষ্ঠীসংক্রমণ” বা “কমিউনিটি ট্রান্সমিশন” শুরু হয়, তাহলে এতো মানুষ আক্রান্ত হবেন যে আমাদের দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙ্গে পরবে। তাই এই মুহূর্তে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, সেলফ-কোয়ারান্টিন ব্যবহার করা, করোনা আক্রান্তদের খুঁজে বের করা এবং এদের সংস্পর্শে এসে যাদের করোনার উপসর্গ দেখা দিতে পারে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই রোগ কি অনেকদিন থাকবে না তাড়াতাড়ি চলে যাবে? গরম পড়লে কি ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া কমে যাবে? ঠাণ্ডা পড়লে কি এই রোগ আবার দেখা দেবে?
এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন।ফ্লু এর মতো কিছু ভাইরাল রোগ গরম কালের থেকে শীতকালে বেশী ছড়ায়। কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে কি হবে আমাদের কোন ধারনা নেই। হয়তো গ্রীষ্মকালে করোনা ভাইরাসের দাপট একেবারে চলে যাবে, হয়তো আবার ফিরে আসবে এই রোগ (এর সম্ভবনাই বেশী); এই মুহূর্তে আমরা এ ব্যাপারে কিছু জানি না।
করোনাভাইরাস সম্পর্কে সঠিক, বৈজ্ঞানিক এবং সাম্প্রতিকতম তথ্য কোথায় পাবো?
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন হু (ডাব্লুএইচও), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং ইউরোপীয় সিডিসির ওয়েবসাইটগুলোতে সঠিক তথ্য পেতে পারেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং বিবিসির মতো বিশিষ্ট সংবাদপত্র এবং সংবাদ সংস্থার ওয়েবসাইটের তথ্যও বিশ্বাসযোগ্য। বেশ কয়েকটা ভারতীয় সংবাদপত্রও করোনভাইরাস সম্পর্কে সঠিক তথ্য যাচাই করে প্রতিবেদন করেছে। তবে এসব ক্ষেত্রে তথ্যের মুল উৎস দেখাই বুদ্ধিমানের কাজ, যেমন হু (ডাব্লুএইচও) র বা ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের ওয়েবসাইট, যেখানে বর্তমান নির্দেশিকাগুলো দেওয়া থাকে।
করােনা ভাইরাস অনুচ্ছেদ
করােনাভাইরাস বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলােচিত বিষয়। প্রকৃতপক্ষে করােনাভাইরাস হচ্ছে ভাইরাসের একটি বড় পরিবার। এসব ভাইরাসের দ্বারা বিভিন্ন রােগের সৃষ্টি হয়। এগুলাের মধ্যে কোভিড-১৯ সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। এই রােগটি খুবই সংক্রামক। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে এটি প্রথম শনাক্ত হয়। ধীরে ধীরে এটি বিশ্বের প্রায় সকল দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে লক্ষ লক্ষ লােক সংক্রমিত হচ্ছে এবং অনেকেই মৃত্যুবরণ করছে। বাংলাদেশও এ রােগে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত। এ রােগের কিছু সাধারণ লক্ষণ হচ্ছে জ্বর, কাশি, মাংসপেশির ব্যথা, ক্লান্তি এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা। করােনা ভাইরাস চোখ, মুখ ও নাক দিয়ে সহজেই মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে। আক্রান্ত কোনাে ব্যক্তি যখন হাঁচি-কাশি দেয় বা নিঃশ্বাস ফেলে, তখন ভাইরাসটি ছড়ায়। কোনো সুস্থ মানুষ যদি ভাইরাসটির সংস্পর্শে আসে, তাহলে সে সংক্রমিত হয়। প্রতিরােধই এক্ষেত্রে সর্বোত্তম পন্থা। কোনাে মানুষ সংক্রমিত হলে তাকে অবশ্যই আলাদা রাখতে হবে। তাকে সকল ধরনের স্বাস্থ্যগত ও মানসিক সমর্থন দিতে হবে। তাকে নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। আমরা যদি এই রােগ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে চাই, তাহলে আমাদেরকে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। আমাদেরকে সাবান দিয়ে বার বার হাত ধৌত করতে হবে। আমাদেরকে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও (হাতের জীবানুনাশক) ব্যবহার করতে হবে। আমরা যদি কোনাে জনাকীর্ণ স্থানে যাই তবে আমাদেরকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আমাদেরকে অব্যশই অন্যদের সাথে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আমাদেরকে আমাদের টি সেলগুলাে সক্রিয় করা এবং ভিটামিন ডি এর জন্য কিছু সময় সূর্যের আলােতে থাকতে হবে। আমাদেরকে অবশ্যই এসব প্রতিরােধমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কেবল তাহলেই আমরা এই ভয়ঙ্কর ভাইরাস থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে সক্ষম হবাে।
Corona virus composition 4
Coronavirus paragraph for HSC or SSC exam (270 words)
Coronavirus is the most talked about topic of the present time. In fact, corona virus are a large family of viruses. These viruses cause various diseases. Of these, COVID-19 is the most terrifying. This malady is very contagious. It was first identified in December 2019 in Wuhan, China. Gradually it spread to almost all countries of the world. As a result, millions of people are being infected and many are dying. Bangladesh is also severely affected by this anger. Some of the common symptoms of this disease are fever, cough, muscle aches, fatigue and breathing problems. The corona virus can easily enter the human body through the eyes, mouth and nose. The virus is spread when an affected person sneezes, coughs or exhales. If a healthy person comes in contact with the virus, he becomes infected. Resistance is the best way in this case. If a person is infected by any chance, he must be kept separate. He should be given all kinds of health and mental support. He needs to take balanced diet regularly. If we want to protect ourselves from this monsterous virus, we must adhere to personal hygiene and social distance. We have to wash our hands again and again with soap. We also need to use hand sanitizer. If we go to a crowded place, we have to use a mask. We must maintain a safe distance with others. We need to activate our T cells and stay in the sun for some time for vitamin D. We must ensure these preventive measures. Only then we be able to protect ourselves from this terrible virus.
Coronavirus paragraph has become more important for academical exams and also for Board Examinations. By writing this paragraph on COVID-19, you can achieve good mark. Read carefully and there is any mistake in Paragraph writing, don’t be shy to tell us through comment.
Corona virus composition 5
Essay on Coronavirus in English 500 Words
Essay on Coronavirus 500 Words in English for Students and Children
OUTLINE
- Introduction
- Symptoms of Coronavirus
- Prevention of coronavirus
- Origin of Coronavirus
- Conclusion
Essay on Covid 19 in English 500 Words
Introduction
Coronavirus essay in English – Corona Virus which is commonly known as COVID-19 is an infectious disease that causes illness in the respiratory system in humans. The term Covid 19 is sort of an acronym, derived from “Novel Corona Virus Disease 2019”. Corona Virus has affected our day to day life. This pandemic has affected millions of peoples, who are either sick or are being killed due to the spread of this disease.
COVID-19 is a new virus that is impacting the whole world badly as it is spreading primarily through contact with the person. It is spread from person to person among those in close contact within 6 feet. Most of the countries have slowed down their manufacturing of the products.
Symptoms of COVID-19
The most common symptoms of this viral infection are fever, cold, cough, bone pain, and respiratory problems. Apart from these symptoms like Fatigue, Sore throat, muscle pain, loss of smell or taste can also be seen in Corona Virus patients.
Prevention of COVID-19
Thus, the emphasis is on taking extensive precautions such as extensive hygiene, regularly washing of hands with sanitizers or soap, avoidance of face-to-face interaction, social distancing, and wearing a mask, etc.
Origin of Coronavirus
Coronavirus (or COVID-19) was first identified in December 2019 in Wuhan city of China. In March 2020, the World Health Organisation (WHO) declared the Corona Virus outbreak a pandemic.
Due to Corona Virus, the Government of India under Prime Minister Narendra Modi announced nationwide lockdown for 21 days on 23 March 2020, limiting the movement of the entire 1.3 billion population of India as a preventing measure against the Coronavirus pandemic in India.
As a result, in India, all educational institutions and almost every commercial establishment had to be shut down. International, as well as intra-state travel, was banned. India suspended all tourist visas, as a majority of the confirmed cases were linked to other countries.
Thousands of migrant workers were walking across India to reunite with their families in their native places. Indian migrant workers during the COVID-19 pandemic have faced multiple hardships. With the closure of factories and workplaces due to lockdown, millions of migrant workers had to deal with the loss of income, food shortages, and uncertainty.
The various industries and sectors are affected by the cause of this disease including the pharmaceuticals industry, power sector, educational institution, tourism. This Coronavirus creates drastic effects on the daily life of citizens, as well as on the global economy.
Conclusion
All the governments, health organizations, and other authorities are continuously focusing on identifying the cases affected by the COVID-19. Healthcare professionals face lots of difficulties in maintaining the quality of healthcare these days.
With the world facing the coronavirus crisis, the pandemic has wreaked havoc and altered human lives forever. Its impact and the untoward consequences will be felt long after the virus diminishes.
Yet, in times like this, hope is a powerful healer. Mankind stands united in its struggle against the Covid 19 pandemic and life will surely triumph.
করােনাভাইরাস অনুচ্ছেদটি কেমন হয়েছে ? নতুন কিছু সংযোজন করা যায় বা বাদ দেওয়া প্রয়োজন? কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
Read More: – শেখ রাসেল এর জীবন কাহিনী জেনে নিন। sheikh rasel biography
Read More: –শেখ সাদির অবাক জীবন | শেখ সাদি এর জীবনী Biography of Sheikh Saadi In Bangla
Read More: –স্টিফেন হকিং এর জীবনী Stephen Hawking Biography স্টিফেন হকিং এর উক্তি
করোনা ভাইরাস অনুচ্ছেদ রচনা
করোনা ভাইরাস, যা কোভিড -১৯ নামেও পরিচিত, একটি ছোঁয়াচে ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন এই রোগকে বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছে। 2019-NCOV, বা নভেল করোনা ভাইরাস, ভাইরাসের আরেক নাম। করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী চীনের উহানে, ১ November নভেম্বর, ২০১ on সালে আবিষ্কৃত হয়। মোট নিহতের সংখ্যা আনুমানিক এক কোটি, প্রায় পাঁচ লাখের মৃত্যু। বিভিন্ন মিডিয়া সাইট অবশ্য দাবি করে যে প্রকৃত সংখ্যা বেশি। আক্রান্ত রোগীদের প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট। এটি ফুসফুসে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। লক্ষণগুলি গড়ে পাঁচ দিন পরে উপস্থিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ভাইরাসটির 14 দিনের ইনকিউবেশন পিরিয়ড রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ভাইরাসটির উৎস একটি প্রাণী। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাসটি চীনা বাদুড়ের সাথে সম্পর্কিত যা হর্সশু নামে পরিচিত। একটি ভাইরাল সংক্রমণ জ্বর সৃষ্টি করে, যার পরে শুকনো কাশি হয়। প্রায় এক সপ্তাহ পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
Read More: হ্যাল এলরড 10টি বানী হ্যাল এলরড 10টি বানী
কালিদাস গোপাল ভাঁড় খনার জনপ্রিয় বচন ধাঁধাঁ 1000 শালি দুলাভাই এর রসের ধাঁধা সমগ্র ডাউনলোড PDF
মজার তথ্য ✓ হাসির জোকস ✓ বাংলা হট জোকস ✓ বুদ্ধির ধাধার বই সমগ্র ডাউনলোড PDF
Most Popular Downloads:
Adobe Premiere Pro CC
TechSmith Camtasia Studio 8.6.0
TechSmith snagit
Download and Install Explaindio Video Creator For FREE 2021
ProShow Producer 9 Full with Crack
Download and Install Sparkol VideoScribe FREE
Download and Install Edius Pro For FREE
Top Popular Downloads:
Top Maltimedia Media Player Download
wondershare-filmorago-Free download
বাণী চিরন্তণী all Quotes 1000 TOP POPULAR DOWNLOADS.pdf
Tutorial html blog code all.pdf
Himu Ebong Harvard Ph.D. Boltu Bhai By Humayun Ahmed [2011] PDF Downloads
বিখ্যাত লেখক ও মণীষীদের নির্বাচিত ৩০০০ টি [বাংলাঃ ১২০০ English 1800 ] বানী বা উক্তি সমূহের বাংলা বই বা ই-বুক বা PDF [ কম্পিউটার + মোবাইল ভার্সন ]
বাণী চিরন্তণী all Quotes 1000 TOP POPULAR DOWNLOADS.pdf
আরও পড়ুন: Stephen Hawking Biography
বন্ধুরা, এই পোস্টে আমরা আপনাকে পোস্টটি সম্পর্কে বলেছি। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পছন্দ করবেন।
আপনার এই পোস্টটি কেমন লেগেছে, মন্তব্য করে আমাদের জানান এবং এই পোস্টে কোনও ত্রুটি থাকলেও আমরা অবশ্যই এটি সংশোধন করে আপডেট করব।
Biography, Famous Quotes ও উক্তি সমূহ লেখাটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো। এই ধরনের লেখার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি ফলো ।
ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।
Subscribe to the Daily News Times bd.com YouTube channel and follow the Facebook page.
উক্ত আর্টিকেলের উক্তি ও বাণীসমূগ বিভিন্ন ব্লগ, উইকিপিডিয়া এবং .. রচিত গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: Wikipedia, Online
Sourc of : Wikipedia, Online Internet
ছবিঃ ইন্টারনেট
Corona virus composition,covid-19 composition in bangla ,covid-19 composition in english, coronavirus composition for ssc ,people’s awareness to fight covid in bangladesh, essay assignment covid-19, paragraph for class 12 coronavirus, essay in english in 250 words coronavirus, paragraph for class 10, covid-19 paragraph pdf,করোনা ভাইরাস অনুচ্ছেদ রচনা বাংলা,করোনা ভাইরাস রচনা pdf,করোনা ভাইরাস রচনা লিখন,করোনা ভাইরাস অনুচ্ছেদ বাংলা,করোনা ভাইরাস অনুচ্ছেদ,করোনা ভাইরাস অনুচ্ছেদ রচনা,করোনা ভাইরাস নিয়ে অনুচ্ছেদ রচনা,করোনা ভাইরাস সম্পর্কে অনুচ্ছেদ রচনা,করোনা ভাইরাসের অনুচ্ছেদ রচনা,করোনা ভাইরাস সম্পর্কে অনুচ্ছেদ রচনা বাংলা,করোনা ভাইরাস নিয়ে অনুচ্ছেদ রচনা বাংলা,করোনা ভাইরাস রচনা অনুচ্ছেদ বাংলা,করোনা ভাইরাস অনুচ্ছেদ রচনা pdf,করোনা ভাইরাস অনুচ্ছেদ রচনা লিখন,করোনা ভাইরাস বাংলা অনুচ্ছেদ,অনুচ্ছেদ রচনা করোনা ভাইরাস বাংলা,অনুচ্ছেদ,অনুচ্ছেদ রচনা করোনা ভাইরাস,coronavirus paragraph writing in bengali,coronavirus paragraph writing in bengali,coronavirus paragraph writing in bengali,coronavirus letter writing in bengali,coronavirus paragraph writing in bengali for students,coronavirus paragraph writing in bengali for students,coronavirus paragraph writing in bengali for students,coronavirus paragraph in bengali pdf,coronavirus paragraph in bengali language pdf,coronavirus paragraph in bengali pdf,covid-19 paragraph in bengali pdf,coronavirus paragraph in bengali language,covid-19 bangla paragraph, covid-19 paragraph in bengali pdf,coronavirus bangla paragraph,coronavirus paragraph in bengali pdf,coronavirus paragraph in bengali language pdf,coronavirus paragraph in bengali pdf,covid-19 paragraph in bengali pdf,coronavirus paragraph in bengali language,covid-19 bangla paragraph, covid-19 paragraph in bengali pdf,coronavirus bangla paragraph,coronavirus rochona, coronavirus onnuched rochonaঅনুচ্ছেদ, করোনা ভাইরাস,অনুচ্ছেদ রচনা করোনা ভাইরাস প্রবন্ধ রচনা , Coronavirus Rachona ll Covid-19 Bengal Paragraph,তথ্যের আলোকে নভেল করোনা ভাইরাস ও COVID-১৯