অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি গোপালগঞ্জ জেলা শহরের শেখ হাসিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৫৮ শিক্ষার্থী। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, চলতি বছর লটারিতে ভর্তির পর অপেক্ষমাণ ষষ্ঠ শ্রেণির ১৩ শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। এছাড়া অন্য প্রক্রিয়ায় সপ্তম শ্রেণিতে ১৮, অষ্টম শ্রেণিতে ১৬ এবং নবম শ্রেণিতে ১১ ছাত্রী ভর্তি করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে এসব শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাসও করে। কিন্তু ৫ মাস পর হঠাৎ ভর্তি অবৈধ উল্লেখ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের স্কুলে আসতে নিষেধ করে। এছাড়া অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফিও তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়নি।
এসব শিক্ষার্থী শনিবার সকালে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে স্কুলে আসে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ বাধা দিলে তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এতে শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙে পড়ে।
শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের সঙ্গে তারা বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
পরে খবর পেয়ে গোপালগঞ্জ সদরের ইউএনও মহসিন উদ্দীন স্কুলে এসে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের শান্ত করেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্ত করবে।
ফোন ধরার স্টাইলই বলে দেবে আপনি মানুষ হিসেবে কেমন!
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী জাফরিন সুলতানার বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, অন্যায়ভাবে তার মেয়েকে স্কুল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষায় বসতে দেয়নি। তার মেয়ে বৈধ পন্থায় স্কুলে ভর্তি হয়েছে। এখন তাদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তারা এর প্রতিকার চান।
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মানসুরা সিকদার মীম বলে, স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে তাদের এ অবস্থা হয়েছে। গাফিলতির সঠিক তদন্ত করে তাদের ছাত্রত্ব রক্ষার দাবি জানায় সে।
শেখ হাসিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ শাহানাজ রেজা এ্যানি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।