চীনের হংকংয়ের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার ২৫তম বার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষ্যে হংকং সফরে গেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেন, চীনের এক দেশ দুই নীতি হংকংকে সুরক্ষা দিয়েছে এবং এটি দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও উন্নতির নিশ্চয়তা দিতে পারে।
বৃহস্পতিবার চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিতে সফরে যান দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং।
তিনি বলেন, আগুন থেকে হংকং নতুন করে জন্ম নিয়েছে।
গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভের পর হংকংয়ে এটিই তার প্রথম সফর।
কিন্তু হংকং সফরে গিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি বলেন, এসব ঘটনা প্রমাণ করেছে এক দেশ দুই শাসননীতির এ পদ্ধতি সত্যিকারের মহান জীবনীশক্তি, যা হংকংয়ে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও উন্নতির নিশ্চয়তা দিতে পারে এবং একই সঙ্গে হংকংয়ের মানুষের কল্যাণের পক্ষে কাজ করবে।
পদ্মা সেতু দিয়ে গাবতলীর বাস চলাচলে অপেক্ষা বাড়ল আরও
শুক্রবার শি জিন পিং বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে মেনে চলতে হবে এ নীতি।
এদিকে প্রতি বছর স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিরা। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে ২০১৯ সালে। বিক্ষোভ ঠেকাতে ওই সময় ব্যাপক ধরপাকড় চালায় বেইজিং সরকার। ২০২০ সালে হংকংয়ের নিরাপত্তা ইস্যুতে কঠোর আইন পাস করে শি জিনপিং সরকার।
বেইজিংপন্থি জন লি গণতন্ত্রকামী হংকংয়ের পরবর্তী প্রধান নির্বাহী নির্বাচিত হয়েছেন এবার। গণতন্ত্রের দাবিতে করা আন্দোলন কঠোরভাবে দমনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন এই নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা। এখন তার হাতেই হংকং পরিচালনার দায়িত্ব পড়ল।
হৈমন্তী – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হৈমন্তী গল্প Hoimonti by Rabindranath Tagore
আইনের আওতায় হংকংয়ের ১৫০ জনের বেশি নাগরিককে আটক করা হয়। গণতন্ত্রপন্থি অনেক নেতাকেই জেলে যেতে হয় সেই সময়। দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন অনেকে। সিভিল সোসাইটির সংগঠনগুলো ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি হংকংয়ে অ্যাপল ডেইলি ও স্ট্যান্ড নিউজের মতো মিডিয়া আউটলেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী হস্তান্তরের ৫০ বছর পর (১৯৪৭ সাল) হংকংয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাবে চীন। তবে চুক্তি অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে অঞ্চলটি স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীন থাকবে।
সূত্র: বিবিসি