ডেঙ্গু রোগীর রক্তের প্লাটিলেট নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্লাটিলেট অতি মাত্রায় কমে না গেলে এ নিয়ে ব্যবস্থাও নিতে হবে।
ডেঙ্গু ভালো হওয়ার পরে রক্তের ভেতরের তরল অংশ বের হয়ে আসা, রক্ত ঘন হয়ে যাওয়া কিংবা রক্তের প্রেশার কমে যেতে পারে। তাই এর চিকিৎসা একটাই স্যালাইন নেয়া বা প্রয়োজনে শিরায় স্যালাইন দেয়া।
যে দেশে প্রতি ৫০ জনের একজন জানে না তার বাবা কে?
রাজধানীসহ সারা দেশে মহামারি রুপে ছড়িয়ে পড়েছে এডিস মশা। এই এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয়ে অনেকে মারা যাচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বর হলে যে সমস্যার কারণে সবচেয়ে বেশি রোগী মারা যায় তা হলো মানুষের শরীরের রক্তে প্লাটিলেট কমে যাওয়া।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকারে ঘরোয়া পরামর্শ
প্লাটিলেট কি?
প্লাটিলেট রক্তের এক ধরনের ক্ষুদ্র কণিকা বা অণুচক্রিকা। প্লাটিলেট রক্ত জমাট বাঁধতে ও রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে। একজন সুস্থ মানুষের রক্তে প্লাটিলেটের হার প্রতি ১০০ মিলিলিটারে দেড় লাখ থেকে চার লাখ। এই পরিমাপের চাইতে প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি দেখা দেয়। ২০ হাজারের নিচে প্লাটিলেটের সংখ্যা নেমে এলে কোনো প্রকার আঘাত ছাড়াই রক্তক্ষরণ হতে পারে।
তবে কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে রক্তে কমে যাওয়া প্লাটিলেট আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আসুন জেনে নেই এমন ৫ খাবার সম্পর্কে।
১. মিষ্টি কুমড়ায় থাকা ভিটামিন ‘এ’ রক্তে প্লাটিলেট তৈরিতে সাহায্যে করে। তাই ডেঙ্গু রোগীর রক্তে প্লাটিলেট কমে গেলে মিষ্টি কুমড়া খেতে পারে।
২. লেবুর রসে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়ায়।এছাড়া শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
৩. আমলকিতেও রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট । আমলকি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং প্লাটিলেট ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা করে।
৪. রক্তের যেকোনো সংক্রমণ দূর করতেও অ্যালোভেরা খুবই উপকারি। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস পান করলে রক্তের প্লাটিলেট বাড়ে।
৫. ডালিম ফল আমাদের অনেকের প্রিয়। এই ফলে প্রচুর আয়রন রয়েছে। যা রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে খুবই ভালো কাজ করে।
ডেঙ্গু রোগীকে যেসব খাবার খাওয়ানো জরুরি
মনে রাখবেন ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিলেট কমে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা