দাদা, কাকার হাতে ২ বছর ধরে ধর্ষিত নাবালিকা

জলপাইগুঁড়ি, ১২ এপ্রিল : জলপাইগুঁড়ি জেলার ধুপগুঁড়ি গ্রামে ধর্ষণের একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, ১৬ বছরের একটি মেয়েকে গত ২ বছর ধরে বাবা, কাকা ও দাদা মিলে ধর্ষণ করে চলেছে। ধর্ষিতার জবানিতে এই ঘটনার জেরে দুবার গর্ভবতী পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল সে। এই গোটা ঘটনায় এতটাই মানসিকভাবে সে ভেঙে পড়েছিল যে চারবার আত্মহত্যা করার চেষ্টাও চালিয়েছে সে। তবে তার চেয়েও লজ্জাজনক ঘটনা হল এই যে মাকে বারবার এই বিষয়ে বলা সত্ত্বেও মার তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি। উল্টে মা মেয়েকে বুঝিয়েছেন, “ওরা তো তোমারই বাবা, কাকা, দাদা, তোমার আপনজন, অপরিচিত তো কেউ নয়।”

বৃহস্পতিবার কোনও মতে সাহস জুটিয়ে স্কুলের এক শিক্ষককে গোটা বিষয়টি সে জানায়। সেদিনও স্কুল থেকে ফেরার পর তার ২০ বছরের দাদা তার হাত পা দড়ি দিয়ে বেধে তার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। শুক্রবার স্কুলের অধ্যক্ষা ও কয়েকজন শিক্ষক মিলে পীড়িতাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ধুপগুঁড়ি থানায় এফআইআর দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে সঙ্গে সঙ্গেই মেয়েটিক কাকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেদিনই রাতে মেয়েটির দাদা ও বাবাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটির মা আপাতত পলাতক। মেয়েটিকে জলপাইগুড়িরই শিশুকল্যাণ কমিটির হাতে সঁপে দেওয়া হয়েছে। মেয়েটি আরও জানিয়েছে, গোটা গ্রাম এই গোটা বিষয়টা জানত, অথচ কেউ কখনও কোনও প্রতিবাদ করেনি। একমাত্র তার দাদু এই খবর জানতে পেরে ছেলেকে বকাবকি করেছিলেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর থেকে পরিস্থিতি আবার যেই কে সেই হয়ে যায়।

Leave a Reply