ধনী হওয়ার ১২ উপায়
ধনী হতে কে না চায়। চাকরি বা ব্যবসা যে পেশায়ই মানুষ থাকুক না কেন ধনী হওয়ার বাসনা সবারই। কিন্তু সবার পক্ষে ধনী হওয়া সম্ভব নয়।
বর্তমান বিশ্বের অর্ধেক মানুষের সমান সম্পদের মালিক মাত্র দুই হাজার মানুষ। যাদের শীর্ষ ধনী বলা হচ্ছে। তারা যা সম্পদ তা ভারতের বাজেটের চেয়ে বেশি। ১০০ কোটি গরিবের যে সম্পদ রয়েছে তারচেয়ে চারগুণ বেশি সম্পদের মালিক এই দুই হাজার ব্যক্তি।
তবে এমন ধনী হওয়ার আশা আমরা যদি নাও করি তবুও তুলনামূলক বেশি সম্পদের মালিক হতে চাই। তবে সম্পদের মালিক হতে গেলে জীবনের অনেক অভ্যাস বদলে ফেলতে হবে।
আসুন জেনে নেই যেসব কাজ ঠিকঠাক করতে পারলে বা অনুসরণ করলে বুঝতে হবে সম্পদ ধরা দেবে :
১. স্বপ্নকে অনুসরণ:
যারা ভালো কিছু করার চেষ্টা করেন তার জীবনের স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করেন। তারা স্বপ্নকে অনুসরণ করে জীবন পরিচালিত করেন। ফলে স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন।
২. প্রতিদিন শেখা:
সফল মানুষরা প্রতিদিনই নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করেন। ৮৮ ভাগ ধনী লোক প্রতিদিন ৩০ মিনিট বা তারও বেশি সময় কঠোরভাবে জানতে এবং নিজেকে শিক্ষিত করতে ব্যয় করেন।
৩. চিন্তা নিয়ন্ত্রণ:
আপনি বড় চিন্তা করতে পারেন। আপনার একটি বড় কল্পনা শক্তি আছে। আপনি যা কিছু করছেন তার মালিক আপনিই। ৯১ ভাগ ধনী ব্যক্তি নিজেই সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী।
৪. দায়িত্বশীলতা:
দায়িত্বজ্ঞান থেকে আপনি লজ্জা পান না। বস্তুত আপনি সুযোগ খোঁজেন, যা আপনাকে আরো দায়িত্ববান করে।
৫. ঝুঁকি গ্রহণ:
আপনি সতর্ক এবং ঝুঁকি নিতে বেপরোয়া নন। সতর্ক ঝুঁকি গ্রহণকারী তাদের বাড়ির কাজ করেন, নতুন ধারণা এবং উদ্যোগ তাদের একটি ব্যবসার মধ্যে চালু করার আগে ঝুঁকি নিতে তারা দক্ষতা এবং জ্ঞানকে কাজে লাগান।
৬. পদক্ষেপ নেন:
আপনি কোনো পদক্ষেপ নিতে ভীত নন। সফলতার জন্য আপনাকে পদক্ষেপ নিতে হবে। বসে থাকলে বা শুধু চিন্তা করলে কখনোই সফল হওয়া যাবে না।
৭. ব্যর্থতা জয় করা:
একবার ব্যর্থ হলে থেমে যাওয়ার উপায় নেই। ব্যর্থতাকে আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন ছাড়া অন্য কিছু হিসেবেই দেখছেন না। তাহলে বুঝবেন ধনী হওয়া যাবে।
৮. আউটওয়ার্ক করা:
ধনী ব্যক্তিরা দিন, সপ্তাহ, মাস এবং বছরব্যাপী কাজ করতে ভীত নন। ধনী ব্যক্তিরা সপ্তাহে গড়ে ১১ ঘণ্টা বেশি কাজ করেন ধনহীনদের তুলনায়।
৯. দৃঢ়সংকল্প:
লক্ষ্য পূরণের জন্য ক্রমাগত দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে এবং লক্ষ্যের পেছনে ছুটেন জীবনে নিজেকে সামনে এগিয়ে নিতে। ধনীদের ৮০ ভাগই লক্ষ্য কেন্দ্রীক। তারা লক্ষ্য অর্জনে অভ্যস্ত হতে অভ্যাস গড়ে তোলেন।
১০. প্রত্যাশাকে অতিক্রম:
প্রত্যাশাকে অতিক্রম করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি অন্যদের প্রত্যশাকে অতিক্রম করার চেষ্টা করেন। তাহলে ধনী হওয়া যাবে।
১১. সম্পর্কে অন্ধবিশ্বাসী:
আপনি যদি অন্যের জন্মদিনে ফোন করে বা এমনিতে ফোন করে অন্যের খোঁজ খবর নেন তাহলে আপনার যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। আপনার মূল্যবান সম্পর্ক আপনার জন্য নানা দ্বার খুলে দেবে। সম্পর্ক আপনার কাছে মুদ্রার মতো।
১২. অন্যকে প্রাধান্য:
লোকজন আপনাকে পছন্দ করে। তারা আপনার সঙ্গে কাজ করতে এবং ব্যবসা করতে পছন্দ করে। আপনি লোকদের প্রফুল্ল হতে, সুখী, উৎসাহী এবং আশাবাদী করে তোলেন।
ধনী হওয়ার গোপন সূত্র,ইসলামে ধনী হওয়ার উপায়, ধনী হওয়ার উক্তি, ধনী হওয়ার সূরা, ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায়, অল্প বয়সে ধনী হওয়ার উপায়, দ্রুত কোটিপতি হওয়ার উপায়, রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার উপায়,ধনী হওয়ার উক্তি, ধনী হওয়ার ব্যবসা,ভবিষ্যতে ধনী হওয়ার ৩টি চিহ্ন,বড়লোক হওয়ার উপায়, ধনী হওয়ার লক্ষণ, ধনী হওয়ার সহজ উপায়, রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার উপায়, ধনী হওয়ার ব্যবসা, ধনী হওয়ার মন্ত্র, ছোট থেকে
Read More: ঢাকায় বেসরকারী হাসপাতালের নাম ও ঠিকানা
আমাদের অনেকেই ধনী হতে চাই। ধনী ও গরীবদের ওপর ১২ বছর ধরে গবেষণা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যারিয়ার বিষয়ক এক গবেষক থমাস সি. কর্লি। রিচ হ্যাভিট (ধনী স্বভাব বা অভ্যাস) নামক একটি গবেষণা সাইটে এ সংক্রান্ত গবেষণা নিয়মিত প্রকাশ করে থাকেন।
সম্প্রতি বিজনেস ইনসাইডারে তিনি লিখেছেন ধনী হওয়ার ১৪টি লক্ষণ নিয়ে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার রিচ হ্যাভিট গবেষণা মতে, ধনী হওয়া অধিকাংশ লোক ৬৭ ভাগ সমস্যার জ্বালাতন থেকে দূর থাকে। সৈকতের পাড়ে বাড়ি কেনার সামর্থ, রোলেক্স ঘড়ি অথবা বিদেশ ভ্রমণ অর্থাৎ ধনী হওয়া মানে হচ্ছে জীবনে কম সমস্যা, কম সমস্যা মানে কম চাপ, কম চাপ একটি সুস্বাস্থ্যময় এবং সুখী জীবনের সমান।
বিজনেস ইনসাইডারে লেখায় তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমার গবেষণা থেকে ১৪টি লক্ষণ আপনাকে সফলতা এবং সম্পদের পথে ধাবিত করতে পারে। যদি এই ১৪টি গুণ আপনার অধিকারে থাকে, তবে আপনার ধনী হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ঠ বেড়ে যাবে।’
১. আপনি স্বপ্ন বা জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য অনুসরণকারী
আমার গবেষণায় দেখা গেছে, নিজের চেষ্টায় ধনকুবেরের আশি শতাংশ কিছু স্বপ্ন বা জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য অনুসরণ করে চলেন।
২. আপনি শেখার জন্য প্রতিদিন পড়েন
আপনি একজন উৎসুক পাঠক। আপনাকে শিখতে হলে প্রতিদিন পড়তে হবে। প্রতিদিন প্রায় ঘন্টাখানেক পড়তে হবে। আমার গবেষণায় দেখা গেছে, ৮৮ ভাগ ধনী লোক প্রতিদিন ৩০ মিনিট বা তারও বেশি সময় কঠোরভাবে জানতে এবং নিজেকে শিক্ষিত করতে ব্যয় করেন।
৩. আপনি চিন্তা করেন একজন মালিকের মতো
আপনার একটি নিজস্ব মানসিকতা আছে। আপনি বড় চিন্তা করতে পারেন। আপনার একটি বড় কল্পনা শক্তি আছে। আপনি যা কিছু করছেন তার মালিক আপনিই। আমার গবেষণায়, ৯১ ভাগ ধনী ব্যক্তিই সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী।
৪. আপনি দায়িত্বশীলতার দিকে ধাবিত হন
দায়িত্বজ্ঞান থেকে আপনি লজ্জা পান না। বস্তুত আপনি সুযোগ খোঁজেন, যা আপনাকে আরো দায়িত্ববান করে।
৫. ঝুঁকি গ্রহণে আপনি সতর্ক
আপনি সতর্ক এবং ঝুঁকি নিতে বেপরোয়া নন। সতর্ক ঝুঁকি গ্রহণকারী তাদের বাড়ির কাজ করেন, নতুন ধারণা এবং উদ্যোগ তাদের একটি ব্যবসার মধ্যে চালু করার আগে ঝুঁকি নিতে তারা দক্ষতা এবং জ্ঞানকে কাজে লাগান। প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন এবং বিশেষজ্ঞের প্রতিক্রিয়া নেন।
৬. আপনি পদক্ষেপ নেন
আপনি কোনো পদক্ষেপ নিতে ভীত নন।
৭. আপনি ব্যর্থ হওয়াতে ভয় পান না
ব্যর্থতাকে আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন ছাড়া অন্য কিছু হিসেবেই দেখছেন না।
৮. আপনি আউটওয়ার্ক করেন
আপনি দিন, সপ্তাহ, মাস এবং বছরব্যাপী কাজ করতে ভীত নন। আমার গবেষণায় দেখা গেছে, ধনী ব্যক্তিরা সপ্তাহে গড়ে ১১ ঘণ্টা বেশি কাজ করেন ধনহীনদের তুলনায়।
৯. আপনি ক্রমাগত দৃঢ়সংকল্প হন এবং লক্ষ্যের পেছনে ছুটেন
আপনি ক্রমাগত দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হন এবং লক্ষ্যের পেছনে ছুটেন জীবনে নিজেকে সামনে এগিয়ে নিতে। আমার গবেষণায়, ধনীদের ৮০ ভাগই লক্ষ্য কেন্দ্রীক। তারা লক্ষ্য অর্জনে অভ্যস্ত হতে অভ্যাস গড়ে তোলেন।
১০. আপনি প্রত্যাশাকে অতিক্রম করার চেষ্টা করেন
আপনি উচ্চমান বজায় রেখে চলেন। আপনি অন্যদের প্রত্যশাকে অতিক্রম করার চেষ্টা করেন।
১১. আপনি আপনার সম্পর্কের ব্যাপারে অন্ধবিশ্বাসী
যে সম্পর্ককে আপনি মূল্য দেন সেটিতে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে চলেন। আপনি জন্মদিনে ফোন করা, এমনিতে ফোন করা, জীবন ঘটিত কোনো ব্যাপারেও ফোন করেন। আপনি ধন্যবাদ কার্ড পাঠান। আপনি আপনার মূল্যবান সম্পর্কের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মূল্য স্বীকার করে নেন। আপনার মূল্যবান সম্পর্ককে আপনি সোনার মতো দেখেন। সম্পর্ক আপনার কাছে মুদ্রার মতো।
১২. আপনি অন্যের সঙ্গে একমত হন
লোকজন আপনাকে পছন্দ করে। তারা আপনার সঙ্গে কাজ করতে এবং ব্যবসা করতে পছন্দ করে। আপনি লোকদের প্রফুল্ল হতে, সুখী, উৎসাহী এবং আশাবাদী করে তোলেন।
১৩. আপনি একটি সংগঠিত দলের খেলোয়ারের মতো
আপনি মানুষকে পছন্দ করেন এবং তাদের সঙ্গে একমত হতে পছন্দ করেন এবং একটি দলগত পরিবেশে ভালো কাজ করেন। কেউ আপনাআপনি সফল হয়না। প্রত্যেক উদ্যোগী সফল ব্যক্তিদের সফলতার পেছনে কারো না কারো ভূমিকা আছে।
১৪. আপনার অধিকাংশ সম্পর্কই সফলমনা লোকদের সঙ্গে
আপনি সমমনা এবং সফল লোকদের চারপাশে রাখেন।
ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।