শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও শিক্ষকের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ গঠিত হয়েছে আমাদের শিক্ষকদের প্রয়োজনে শিক্ষা জাতীয়করন যতদিন চাইবেন তত দিন মানুষ এটা নিয়ে তামসা করবে।শিক্ষকদের প্রয়োজনে শিক্ষা জাতীয়করন নয়
১।জাতীয়করন প্রয়োজন শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নের জন্য,
২।দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য,
৩।শিক্ষা পেশায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করার জন্য,
৪।সকলের জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ করে দেওয়ার জন্য,
৫। উন্নত দেশের জন্য যোগ্য নাগরিক তৈরি করার জন্য,
৬।জাতির পিতার শিক্ষা দর্শন বাস্তবায়নের জন্য
৭।আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য
৮। S.D.G বাস্তবায়নের জন্য
৯।মানবতার মা,শিক্ষা বান্ধব সরকারের প্রধান, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কথাই বাস্তবায়ন করার জন্য। তিনি বলেছেন “শিক্ষায় ব্যয় নয়, এটা বিনিয়োগ “
১০।বঙ্গবন্ধুর সপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য
১১।দেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশের পদার্পণ করবে সেই দেশের নাগরিক হিসেবে পরবর্তী প্রজন্মকে প্রস্তুত করা জন্য আসুন আমরা সকলকে একাথাগুলো বলি।শিক্ষা জাতীয়করন হলে সব থেকে বেশি যারা উপকৃত হবে,তারা মনেকরে এগুলো শিক্ষকদের দাবি।
[download id=”772″ template=”প্রধান শিক্ষকদের অধিকার”]
আমাদের কাজ তাদের ভুল ভাঙ্গানো। আমরা যদি এটা করতে পারি, তাহলে শিক্ষাকে জাতীয়করন ঘোষণা দেওয়ার জন্য আন্দোলনের প্রয়োজন হবেনা কাজটি এ সরকার করবে অথবা আগামী নির্বাচনে সকল দলই তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষা জাতীয়করন এক নম্বর এজেন্ডায় রাখবে। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও শিক্ষকের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ গঠিত হয়েছে ১০.১০.২০২০খ্রি. বৈশ্বিক বিপর্যয়ের কারনে আমরা আমাদের প্রানের সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারি। আমরা এ সময়ে নিশ্চুপ ছিলেম এমটি নয়।আমরা এই সংগঠন লক্ষ্য, উদ্দেশ্য গ্রহণযোগ্যতা বিষয় নিয়ে সারা বাংলাদেশের মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে মতবিনিময় করেছি।তাদের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থ পেয়েছি।যা আমাদের সাহস, উদ্দিপনা যুগিছে।তাদের আশা ও উদ্দিপনাকে ধারণ করে আমরা এগিয়ে গিয়েছি আমাদের লক্ষের দিকে। আমাদের সংগঠনটির সূচনা লগ্নকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য আমরা যাত্রা শুরু করেছ ১০.১০.২০২০ খ্রি.।
মুজিব শতবর্ষকে স্মরণ রেখে আমরা আমাদের প্রানের সংগঠনটির আহবায়ক কমিটির সদস্য সংখ্যা নির্ধার করেছি ১০০।মুজিব শতবর্ষকে সম্মান জানিয়ে আমাদের সংগঠনের গঠনতন্ত্রে সংযোজন করা হয়েছে ১০০টি ধারা। আহবায়ক কমিটিতে রয়েছে একজন আহবায়ক ২৬ জন যুগ্ম আহবায়ক, একজন সদস্য সচিব এবং ৭২ জন সদস্য। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, অসাম্প্রদায়িক, অরাজনৈতিক, সাসর্বজনীন, পেশাজীবি সংগঠন। সকল সংকীর্নতা পরিহার করে, ধর্ম, বর্ন,গোত্র,লিঙ্গ, সম্প্রদায়, ভাষা, আঞ্চলিকতা, ছোট, বড়, ধনি, গরীব মতোভেদ ভুলে আমরা বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ গঠন করেছি। এ সংগঠনের সকলেই আমরা সমযোগ্যতার ও সম অভিজ্ঞতার,সমকার্য সম্পাদনকারী এবং সমমর্যদার।তাই এখানে আমরা সকলেই নেতা, আবার সকলেই কর্মী। আমাদের অধিকার ও কর্তব্যও সমান।তারপরেও আমাদের একটি কমিটি তৈরি করতে হয়েছে।এটা করতে গিয়ে আমরা সকল জেলার প্রতিনিধি নিয়েছি।সকল বিভাগকে গুরুত্ব দিয়ে প্রত্যেক বিভাগ থেকে নূন্যতম একজন যুগ্ম আহবায়ক নেওয়া হয়েছে। যোগ্যতার পরিচয় রেখে কোন কোন বিভাগে একাধিক যুগ্ম আহবায়ক হয়েছেন।
আমরা ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ,ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী, সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, মানিকগঞ্জ,ঢাকা মহানগর উত্তর,নারায়ণগঞ্জ, কুষ্টিয়া,সিরাজগঞ্জ,ঝিনাইদহ, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার, চাঁদপুরসহ ৪০টির মত জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ সকল জেলার অধিকাংশ উপজেলা কমিটি গঠন হয়েছে। আমরা আমাদের সংগঠনের গঠনতন্ত্র প্রনয়ণ করেছি এবং সেটা কেন্দ্রীয়আহবায়ক কমিটির দ্বারা অনুমোদন হয়েছে।আমরা এখন জেলা কমিটির সম্মেলন করার দিকে মনোযোগ দিয়েছি।জেলা সম্মেলন শেষ করে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় সম্মেলন করব। গত ২৬.০২.২০২১খ্রি. শুক্রবার সকাল ১১.০০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষরে আত্মপ্রকাশ ঘটে।সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের আহবায়ক জনাব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য সচিব জনাব মজিবুর রহমান বাবুল। সাংবাদিক বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক জনাব দুলাল চন্দ্র চৌধুরী, জনাব শফি উদ্দিন আহমেদ, জনাব আলতাফ হোসেন নাজির সহ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ যে সুশৃঙ্খল সংগঠন তা আমরা ইতিমধ্যে প্রমান করতে পেরেছি। প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলনে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিতি তার প্রমান।নির্ধারিত সময়ের পুর্বে হল রুম কানায়কানয় পূর্ন হয়ে যায। ধারণ ক্ষমতার বেশি উপস্তিত হওয়ায় অনেক সম্মানিত প্রধান শিক্ষক কে দাঁড়িয়ে থাকাতে হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে আমরা আমাদের প্রানের সংগঠনের জন্ম কথা উল্লেখ করেছি। আমরা আমাদের প্রানের সংগঠন ১৪টি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ননা করেছি। পরিশেষে আমারা ১৩টি দাবি পেশ করেছি।দাবি সমুহ বাস্তবায়নের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।এ দাবি বাস্তবায়ন করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয় না। দরকার মানবিক দৃষ্টি ভঙ্গির।আমরা চাই আমাদের চাকুরির নিশ্চয়তা। চাই বৈষম্যের অবসান।আমরা আমাদের সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করেই ২৭ তারিখ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের উদ্দেশ্য টুঙ্গিপাড়া যাই।সেখানে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পরে সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য শপথ পাঠ করা হয়। শপথ বাক্য পাঠ করান সংগঠনের সদস্য সচিব জনাব মোঃ মজিবুর রহমান বাবুল।