- ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়
- ফেসবুক পেজ থেকে আয়
- ফেসবুকে চোখ বুলালেই হাজারো পেজের ভীরে আমাদের চোখ ধাঁধায়। মানসম্মত কন্টেন্টসহ একটি ফেসবুক পেজ কিন্তু সহজেই কমবেশি অনেকের নিউজ ফিডেই প্রাধান্য পাবে।
ফেসবুক থেকে আয়
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার নিয়ম এ প্রথম ধাপ হলো ফেসবুকে একটি পেজ খুলে নেওয়া। এক্ষেত্রে আপনার নিজের আগ্রহের পাশাপাশি অন্যদের আগ্রহকেও প্রাধান্য দেয়া উচিত। ফেসবুক পেজ হতে পারে যেকোনো ধরনের। যেমন- ফুড রিভিউ, ট্রাভেল পেজ, নিউজ পোর্টাল কিংবা ট্রেন্ডি কোনো ট্রল পেজ। ট্রল পেজের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যেন এটি কোনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে আঘাত না করে বা কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না করে। তাহলে কিন্তু আপনার ফেসবুক থেকে আয় এর উদ্দেশ্যের হিতে বিপরীত হতে পারে!
একটি ফেসবুকের পেজ মূল অংশ হলো কন্টেন্ট বা বিষয়বস্তু। ফেসবুক ইউজারদের এই বিশাল সংখ্যার কাছে আপনার পেজের গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করে কন্টেন্টের উপর। মানসম্মত ও সুন্দরভাবে বর্ণিত যেকোনো কন্টেন্ট ভালো ইউজারদের মাঝে সাড়া জাগাতে অনেকটাই সহায়ক। কন্টেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে পরবর্তীতে বেশ কিছু পদক্ষেপ অবলম্বন করতে হবে । যেমন-
আপনার ফ্যান পেজের জন্য একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট তৈরি করুন। ফেসবুকে পেজের পাশাপাশি একটি ওয়েবসাইট থাকা কিন্তু বেশ কাজের। আপনার কন্টেন্টের বিশদ বর্ণনা থাকবে এসব ওয়েবসাইটে। ওয়েবসাইট তৈরির জন্য আপনি ব্লগস্পট, ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা উইবলির সাহায্য নিতে পারেন। ফ্রি ডোমেইনের কিছু সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে আসতে আপনি অল্প কিছু টাকা খরচ করে বানিয়ে নিতে পারেন আপনার নিজেরই একটি ওয়েবসাইট।
“অ্যাডসেন্স (AdSense)” নামক গুগলের একটি প্রোগ্রাম রয়েছে, যা ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার জন্য সাড়া বিশ্বব্যাপী বহুল ব্যবহৃত। অ্যাডসেন্সের কাজ হলো ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপনের সরবরাহ করা এবং বিনিময়ে ওয়েবসাইটের পরিচালনাকারীদের একটি নির্দিষ্ট অর্থ দেয়া। প্রায়সময়ই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে হাজারো অ্যাড আমাদের নজরে আসে এবং এগুলোই আপনার ফেসবুক পেজের ওয়েবসাইটে ব্যবহার করতে পারবেন গুগল অ্যাডসেন্স যুক্ত করার মাধ্যমে। এর ফলে আপনি আপনার ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।
ফেসবুকে পেজে নিয়মিত নিত্যনতুন কন্টেন্ট হালনাগাদ করা অনেক জরুরী। বেশি বেশি কন্টেন্ট আপলোড করলে আপনার পেজ প্রতিনিয়তই নতুন নতুন মানুষের চোখে পড়বে, লাইক-কমেন্ট-শেয়ারের পরিমাণও বাড়তে থাকবে দ্রুতই।
ফেসবুক থেকে আয় এর ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, আপনার শেয়ার করা কন্টেন্ট যেন অন্য কোনো আর্টিকেলের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ না হয়। কেননা অনেক ফেসবুক পেজের নিজস্ব কপিরাইট থাকে। অনেক অনেক ক্ষেত্রে রিপোর্ট করার মাধ্যমেও আর্টিকেল চুরির বিষয়টা চোখের সামনে চলে আসে। কন্টেন্ট হুবুহু প্রমাণিত হলে ফেসবুক কতৃপক্ষ সেসব পোস্ট তাৎক্ষনাত সরিয়ে দেয়।
ফেসবুকে আপনার পেজ তৈরি করা শেষ, শেষ কন্টেন্ট বানানোর কাজও। এবার এগোতে হবে কন্টেন্ট বা পোস্টগুলো বিক্রি করার দিকে। শপসামথিং (shopsomething.com) নামক অনলাইন একটি ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি আপনার ফেসবুক পোস্ট বিক্রি করতে পারেন। এখানে নিজের একাউন্ট খুলে আপনার ফ্যান পেজের প্রতিটি পোস্টের জন্য নির্দিষ্ট মূল্য ধার্য করে দিতে হবে।
আপনাকে নির্দিষ্ট অর্থ দিয়ে এসব পোস্ট ক্রয় করা হবে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন অ্যাডভারটাইজের জন্য এসব পোস্ট, পোস্টের ছবি ব্যবহার করা হবে। মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, শুরুতেই অতি চড়া মূল্যের পোস্টে কিন্তু কেউই আগ্রহ দেখাবে না। তাই মাত্রাতিরিক্ত দাম চাওয়া থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।
জীবনে নিয়ে আসো বৈচিত্র্যঅ্যাডভারটাইজিং
অ্যাফিলিয়েট অ্যাডভারটাইজিং এর নাম অনেকেই না শুনে থাকতে পারেন। অনেকসময় ফেসবুক স্ক্রল করে গেলে নিউজফিডে বিভিন্ন অ্যাড আসে, যার নিচে ছোট্ট করে “স্পনসরড” লেখা থাকে। এটিই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট অ্যাডভারটাইজিং
অ্যাফিলিয়েট অ্যাডভারটাইজিং প্রোগ্রাম খুঁজে নিয়ে এর জন্য সাইন আপ করলে আপনাকে দেয়া হবে অনন্য একটি আইডি, সঙ্গে থাকবে আপনার অ্যাডভারটাইজিং সম্পর্কিত বিভিন্ন বিজনেস ম্যাটেরিয়াল দেয়া হবে। এসব বিভিন্ন ইউজারদের দ্বারা জেনারেটের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা হতে থাকবে
অ্যাফিলিয়েট অ্যাডভারটাইজিং প্রোগ্রামের জন্য আলাদা একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলুন। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি বিজ্ঞাপনের জন্য আলাদা আলাদা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা উচিত। এর ফলে ইউজাররা নিজেদের পছন্দ মত বিজ্ঞাপন খুঁজে নিতে পারবে আর আপনার আয় করার পুরো কাজটাই দ্রুত সম্পন্ন হবে
আপনার বিজ্ঞাপন যতবার মানুষ দেখবে, ততবারই আপনার আয় বাড়তে থাকবে। সুতরাং বিজ্ঞাপনের প্রোমোশনের বিষয়টাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে যেন আপনার পোস্টে ক্লিক করে অ্যাফিলিয়েট থেকে কিছু কেনামাত্র আপনি আয় করা শুরু করতে পারে
ফ্রিল্যান্সিং
আমরা যারা অনলাইনে আয় করার পদ্ধতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখছি, তাদের কাছে ফ্রিল্যান্সিং সবচেয়ে পরিচিত একটা নাম। ফেসবুকের মাধ্যেমেও কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলে সবচেয়ে বড় বাঁধা থাকে কাজ পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে। দেখা যায়, অনেক ফ্রিল্যান্সাররা নিজের পছন্দ ও যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে পাচ্ছে না। ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কিছু সক্রিয় গ্রুপ আছে। এসব গ্রুপের মেম্বাররা বিভিন্ন কাজের অপরচুনিটি শেয়ার করে। এর ফলে অনেকেই খুঁজে পেতে পারেন আপনার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, অনলাইন মার্কেটিং এর মত নানা ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ফেসবুকে রয়েছে হাজারো গ্রুপ ও পে
অনলাইন প্রতিযোগি
দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলো নিজেদের প্রোমোশনের জন্য বিভিন্ন সময়ে আয়োজন করে ফেসবুক ভিত্তিক বিভিন্ন অনলাইন প্রতিযোগিতা। এসব প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য থাকে গ্রাহকদের কাছে তাদের পণ্যের প্রচার। নতুন কোনো ক্যাম্পেইন, পণ্য, মার্কেট প্ল্যানিং এর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফেসবুককেই বেছে নেয় এসব কোম্পানি। আর এসব প্রতিযোগিতায় পুরষ্কার হিসেবে থাকে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থ, পুরষ্কার, কখনো থাকে ইন্টার্নশিপ-চাকরির সুযো
এসব প্রতিযোগিতার অংশ নিয়ে আপনার কাজ হবে বেশি বেশি লাইক, শেয়ার এবং বন্ধুদেরকে ট্যাগ দেয়া
অনলাইন মার্কেটিং হালের টাকা আয় করার জনপ্রিয় একটি উপায়। আজকাল ফেসবুক কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে হাজারো মার্কেটপ্লেস। এসব কিন্তু সাধারণ দশটা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মত নয়। ফেসবুকে ইদানীং কালে ড্রেস, জুয়েলারি, মেকআপ সামগ্রী, হ্যান্ডিক্রাফট, বই ইত্যাদির জন্য হাজারো অনলাইন শপ গড়ে উঠেছে
ফেসবুকে এসব অনলাইন মার্কেটিং পেজ বা গ্রুপে বিভিন্ন পণ্যের ছবি, বিবরণ, সাইজ ও দাম দেয়া থাকে। মেসেজ দিয়ে বা কমেন্টে গ্রাহকেরা তাদের পছন্দমত পণ্য অর্ডার করে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে অর্ডার করার সময়ই ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ এর মত অন্যান্য পদ্ধতিতে টাকা পরিশোধ করে দিতে হয়, আবার কিছু প্রতিষ্ঠানে ক্রেতাদের ফরমায়েশ অনুযায়ী যথাসময়ে ডেলিভারির সময়ে টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা থাকে। এভাবে ধীরে ধীরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি পরিচিতি পায় এবং টাকা আয় করার রাস্তাটাও সরু থেকে চওড়া হতে শুরু করে
অনলাইন জিনিসপাতি বিক্রির জন্য “ফেসবুক শপ” নামের অসাধারণ একটা অ্যাপ ও রয়েছে। আপনার অনলাইন মার্কেটিং এর ছোটখাটো কোনো ওয়েবসাইট থাকলে আপনি এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এই অ্যাপের ২টি ভার্সনের মধ্যে ফ্রি ভার্সনটি লিমিটেড, অন্যদিকে পেইড ভার্সনে রয়েছে এমন অনেক সুবিধা যা ফ্রি ভার্সনে অনুপস্থি
ফেসবুক অ্যাড
ওয়েব ডিজাইনার, গেম ডেভলপার ও প্রোগ্রামারদের জন্য ফেসবুকে রয়েছে অপার এক সম্ভাবনা। ফেসবুক অ্যাপ তৈরির মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আয় সম্ভব। নিজস্ব অ্যাপ তৈরির মাধ্যমেও ফেসবুক থেকে আয় করা সম্ভব। ফেসবুকের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করলে সেটির ইউজারদের সংখ্যার উপর আপনার আয় নির্ভর
ফেসবুকে গেম চালু হওয়ার শুরু দিকে একটি গেম খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো, নাম ফার্মভিল। ফার্মভিল গেমটিরশীল।পত।।।e)essটিং।গ।তাজ।d)?ন।।।।
বর্তমানে ফেসবুক সারা বিশ্বে সবচেয়ে বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সারা বিশ্বব্যাপী ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২ বিলিয়ন। তবে অধিকাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী ব্যক্তিরাই ফেসবুকে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। তারা প্রতিদিন প্রায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ফেসবুকে বিভিন্ন ভিডিও বা পোস্ট দেখে ব্যয় করে। অনেকেই আবার ফেসবুকের সুফল কুফল নিয়ে করে তীব্র সমালোচনা।
বস্তুত সকল বিষয়ের এর ভালো দিক এর পাশাপাশি রয়েছে খারাপ একটি অংশ। তবে ফেসবুক শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা বিনোদনের একটি অংশ নয়। এখান থেকে আপনি আয় করতে পারবেন অর্থ। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে ফেসবুক পেজ তৈরি করার মাধ্যমে সেখান থেকে আয় করা যায়। তবে কিভাবে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আয় করতে হয় এ বিষয়টি অনেকেই জানেন না।
কিভাবে তৈরি করবেন ফেসবুক পেজ?
আমাদের অনেকেরই হয়তো ফেসবুক পেজ রয়েছে। নিছক বিনোদন বা বন্ধুদের সাথে মজা করার জন্যই এসব ফেসবুক পেজ গুলো খোলা হয়েছিল। তবে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা এখনো জানেন না যে কিভাবে তৈরি করতে হয় ফেসবুক পেইজ। এখানে আমি খুব সংক্ষেপে কিভাবে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয় সে বিষয়ে আলোচনা করব। এতে করে আপনি যদি ফেসবুক পেইজ সম্পর্কে নতুন জেনে থাকেন তবে খুব সহজেই তৈরি করে ফেলতে পারেন আপনার নিজস্ব একটি ফেসবুক পেইজ।
ফেসবুক পেজ তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনার ফেসবুক একাউন্টেে যাবেন। সেখানে ক্রিয়েট পেইজ নামে একটি অপশন পাবেন। এখানে ক্লিক করার পর আপনার সামনে কিছু ক্যাটাগরি আসবে। যেমন ব্যবসায়িক এন্টারটেইনমেন্ট ইত্যাদি। এখান থেকে ব্যবসায়িক ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে নিবেন। এখন আপনার পেজ টির একটি পছন্দ অনুযায়ী নাম দিবেন। এরপর নাম অনুযায়ী প্রোফাইল পিকচার এবং কভার ফটো এড করবেন। সেই সাথে প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন গুলো দিয়ে পেজটি তৈরি করে ফেলবেন।
ফেসবুক পেজে লাইক বাড়াবেন কিভাব?
ফেইসবুক পেজ থেকে আয় করার মূলে রয়েছে এর লাইক সংখ্যা বৃদ্ধি। অর্থাৎ আপনার পেইজটিতে যত লাইক বাড়বে তত আপনার আয় বৃদ্ধি পাবে। অনেকেরই হয়তো অনেক ফেসবুক পেইজ রয়েছে তবে সেখানেও লাইক বৃদ্ধি করতে পারছেন না। এক্ষেত্রে তাদের জন্য কিছু কথা বলতে চাই। আপনি যদি একটি নতুন ফেসবুক পেইজ খুলে থাকেন বা আপনার ফেসবুক পেজটি যদি পুরনো হয়ে থাকে তবে লাইক বৃদ্ধি করার জন্য আপনি আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ড দের কে ইনভাইট করতে পারেন।
এছাড়া বিভিন্ন গ্রুপে এবং অন্যান্য ফেসবুক পেইজে শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার ফেসবুক পেইজের লাইক বৃদ্ধি করা যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার পেইজটির কনটেন্ট অবশ্যই আকর্ষণীয় হতে হবে। এতে করে ফেসবুক ইউজার গোনার পেইজটির প্রতি আকৃষ্ট হবেন।
কিভাবে আয় করবেন ফেসবুক পেজ থেকে?
মনে করুন আপনার একটি ফেসবুক পেইজ রয়েছে এবং তাতে পর্যাপ্ত লাইক রয়েছে। তাহলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে আপনি ফেসবুক পেইজটি থেকে কিভাবে আয় করতে পারেন। আসলে বিভিন্ন মাধ্যমে ফেসবুক পেজ থেকে আয় করা যায়। এখানে আমি কয়েকটি জনপ্রিয় মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা করব। যে মাধ্যমগুলো দ্বারা আপনি খুব সহজেই ফেসবুক পেজ থেকে আয় করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই মাধ্যমগুলো।
লিংক শর্ট করে আয়
ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে লিংক শট করে আয়। আপনারা হয়তো কখনো ফেসবুক থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করতে গিয়ে দেখেছেন যে ফাইলটি ডাউনলোড হওয়ার পূর্বে সেখানে ৫ সেকেন্ড বা দশ সেকেন্ডের জন্য একটি বিজ্ঞাপন ভিডিও দেখানো হয়। এতে করে আপনার হয়তো কিছুটা সময় নষ্ট হয়। কিছুটা বিরক্তি ও লাগে। কিন্তু আপনি কি জানেন এই ছোট্ট বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যম এই ফেইসবুক পেইজের অনার কামিয়ে নিচ্ছেন অনেক টাকা। হ্যা এভাবেই কোন ফাইল ডাউনলোডের পূর্বে কোন বিজ্ঞাপন দেখানো কে বলা হয় লিংক শট।
আপনিও চাইলে এভাবে লিংক শর্ট করে আয় করতে পারবেন অর্থ। এজন্য প্রথমে আপনার ফেসবুক পেইজে কিছু প্রয়োজনীয় ফাইল এটি হতে পারে কোন বইয়ের পিডিএফ পোস্ট করবেন। সেখানে যুরে দিবেন একটি বিজ্ঞাপন। এরপর যখন কেউ ওই ফাইলটি ডাউনলোড করার জন্য ক্লিক করবে সে বিজ্ঞাপনটি দেখবে। এর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপনার আপলোড করা ফাইলটি যেন আকর্ষণীয় হয়। কারণ আপনার একটি আপলোড করা ফাইল যদি ১০০০ বার ডাউনলোড করা হয় তবে মাসে আপনি ১৫ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
অনেকেই মনে করেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট এর প্রয়োজন। তবে আপনি ফেসবুক পেজ থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। এর জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার পদ্ধতিটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট এর মতই। আপনি আপনার ফেসবুক পেইজে একটি চমৎকার কনটেন্ট উপস্থাপন করবেন। কনটেন্টের শেষে একটি পণ্যের লিংক প্রদান করবেন। এরপর কোন ব্যক্তি ওই লিঙ্ক থেকে পণ্যটি ক্রয় করলে আপনি তার কমিশন পাবেন।
আপনি আপনার ফেসবুক পেজে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন যে আপনি সরাসরি ওই পণ্যটির লিংক দিবেন না। এর জন্য আপনি চমৎকার এবং বিস্তারিতভাবে পণ্যটি সম্পর্কে লিখবেন। এরপর আকর্ষণীয় একটি ছবি যোগ করবেন এবং সবশেষে পণ্যটির লিংক দিবেন। এতে করে আপনার ফেসবুক পেজ টির ভিজিটরগন আকর্ষন বোধ করবে।
এফ-কমার্স এর মাধ্যমে আয়
আমরা অনেকেই ই-কমার্স এর নাম শুনেছি। ই-কমার্স এবং f-commerce মূলত একই ধরনের বিষয়। ফেসবুকের মাধ্যমে যে মার্কেটিং করা হয় তাকে মূলত f-commerce বলে। ফেসবুক থেকে আয় করার সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে f-commerce। এখানে যদি আপনার কোনো ব্যক্তিগত ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান থেকে থাকে তবে আপনি সেই পণ্যগুলো ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে প্রচার করতে পারবেন।
আবার ফেসবুক পেইজে তৈরি করে ফেলতে পারবেন আপনার বিজনেস প্লাটফর্ম। এক্ষেত্রে আপনার পণ্য রাখার জন্য আপনার বাসাকে ব্যবহার করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে নারীদের পোশাক সহ প্রসাধনী নিয়ে এফ কমার্স বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। ব্যতিক্রমধর্মী আইডিয়া হিসেবে আপনি f-commerce এ আপনার হস্তশিল্পের সামগ্রিক গুলো উপস্থাপন করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
আপনার পণ্যগুলোকে অবশ্যই আপনার ফেসবুক পেইজের নামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। এছাড়া আপনার পণ্যের গুণগত মান ভালো হতে হবে। পণ্যগুলো উপস্থাপন ভালোভাবে করতে হবে। আপনি যদি এই সবকিছু ভালোমতো করতে পারেন তবেই গ্রাহক আপনার পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট হবেন।
ব্লগ প্রচার করে আয়
আপনার যদি কোন ব্লগিং সাইট থেকে থাকে তবে আপনি তা ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে প্রচার করতে পারেন। যারা ব্লগিং এর সাথে সম্পর্কযুক্ত তারা জানেন যে ব্লগিংয়ে আয় হয় ট্রাফিকের ওপর ভিত্তি করে। ফেসবুকে প্রচার এর মাধ্যমে আপনার ব্লগের ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে।
স্পনসর কন্টাক্ট থেকে আয়
আমাদের অনেকেরই ধারণা রয়েছে যে বিজ্ঞাপন শুধুমাত্র ভিডিওর মাধ্যমে হয়ে থাকে। কিন্তু বস্তুত তা নয়। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা লিখিত কনটেন্ট এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কনটেন্টগুলো আপনি যখন আপনার ফেসবুক পেইজে পাবলিশ করবেন সেখান থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।
ফেসবুক পেজ বিক্রি করে আয়
ফেসবুক পেইজ বিক্রি করে আয় করা যায়। মনে করুন আপনার একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে যেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক লাইক রয়েছে। আপনি ইচ্ছা করলে এই পেজটি অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করতে পারেন। তবে এই প্রক্রিয়া কিছুটা সময় সাপেক্ষ। কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার ফেসবুক পেইজে লাইক ভালো না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত পেইজটি বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
এখানে আমরা ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার বিভিন্ন মাধ্যম গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। যেগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে ফেসবুক পেজ থেকে আয় করতে পারবেন। আপনার যদি একটি ফেসবুক পেজ থেকে থাকে তবে ফেসবুকে এখন আর শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয় বরং আয়ের এর উৎস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
লাইক দিয়ে টাকা আয় ,Facebook page থেকে কিভাবে আয় করা যায়, অনলাইনে কিভাবে আয় করা যায়, ইউটিউব থেকে আয় করার ৫টি উপায়, ফেসবুক ভিডিও থেকে আয়, ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়, ফেসবুক পেজ বড় করার উপায়, টাকা আয় করার apps,facebook page login, facebook page manager, facebook page app, facebook pagecreate free, facebook page, my facebook page, facebook page for business, official facebook page