ফ্রিল্যান্সিং কি (What is freelancing)? এর আগে আমি আপনাদের ইন্টারনেট থেকে আয় করার অনেক গুলো উপায় বলেছি। কিন্ত আজ আমি নতুন একটি আয়ের বিষয়ে বলবো। আর সেটা হলো ফ্রিল্যান্সিং (freelancing).
আপনি একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসা (freelancing business) করে অনেকে হাজার হাজার টাকা আয় করছে ঘরে বসে। আবার অনেকে এতো পরিমানে টাকা আয় করছে যে তাদের ফুল-টাইম জব বা চাকরি করার প্রয়োজন হচ্ছে না।
তবে, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে স্বাধীন ভাবে আয় করতে চান তাহালে প্রথমে আপনাকে কিছু জরুলি বিষয়ে জানতে হবে।
এই জরুলি বিষয় গুলো হলো –
১. ফ্রিল্যান্সিং মানে কি?
২. কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করব?
৩. ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে টাকা আয় করবো?
৪. কত টাকা আয় করা যাবে freelancing করে?
৫. আমি কি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার বানাতে পারবো?
৬. ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাই, কেন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে হবে?
৭. নতুনদের জন্য সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট কোনগুলো?
বন্ধুরা আমি উপরে যে বিষয় গুলো সম্পর্কে বললাম সেগুলোর ব্যাপারে সম্পর্ন জানার পরে freelancing সম্পর্ন আপনাদের ধারণা স্পষ্ট হয়ে যাবে। আর সব বিষয়ে জানার পরে আপনি সহজে বুঝে যাবেন freelancing কি এবং কিভাবে এর দ্বারা টাকা আয় করা সম্বভ হতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং কি? (What is freelancing in bangla)
আসলে ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি মাধ্যম বা উপায় যার মাধ্যমে আপনারা অনলাইন আয় করতে পারবেন। যারা চাকরি বা জব করে তাদের সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত অফিসে কাজ করতে হয়।
তবে, freelancing করা মানুষরা এই মাধ্যমে কাজ করে স্বনির্ভর (self-employ) হয়ে থাকেন। তাই বলা যায় ফ্রিল্যান্সিং মানে স্বাধীন বা মুক্তপেশা।এটাকে আপনি যদি একটি ব্যবসা বলেন তাহালে কিন্ত ভুল হবে না।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ খুঁজে নিয়ে সম্পর্ন নিজের ইচ্ছা স্বাধীন ভাবে কাজ করে থাকেন। যারা এভাবে স্বাধীন হয়ে freelancing করেন তাদেরকে বলা হয় freelancer.
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
বর্তমানে ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলো থেকে এই ফ্রিল্যান্সাররা (freelancer) নানা ধরনের কাজ, সার্ভিস খুঁজে নিয়ে তাদের ক্লায়েন্টদের নিদিষ্ট সময়ে কাজ সম্পর্ন করে দিচ্ছি। আর এই সম্পর্ন প্রোজেক্ট এর কাজ সম্পর্ন করার বিনিময়ে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে টাকা পাচ্ছেন।
আর আপনি যে প্রোজেক্ট বা কাজ করবেন বলে ভাবছেন, সেই কাজ করার জন্য কত টাকা নিবেন সেটা আগে থেকে ক্লায়েন্টের (client) কাছ থেকে নিদিষ্ট করে নিবেন। এবং আপনি যখন ক্লায়ন্টের কাজ সঠিক ভাবে শেয় করার পরে আপনাকে টাকা দিয়ে দিবে।
মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার সুবিধা রয়েছে অনেক। এখানে আপনি নিজে ঠিক করে নিতে পারবেন কতটুকু সময় কাজ করবেন আপনি এবং এই কাজ ফুল-টাইম (full-time) করবেন নাকি পার্ট-টাইম (part-time) করবেন।
আর ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য আপনার বিশেষ কোনো জায়গার প্রয়োজন হবে না। আপনি যেকোনো জায়গায় বসে কম্পিউটার (computer) বা ল্যাপটপ (laptop) এবং ইন্টারনেট কানেকশন (Internet connection) এর মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন।
এজন্য ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ আপনারা ঘরে বসে করতে পারবেন এবং ফ্রিল্যান্সিংকে আপনারা নিজের বিসনেজ (business) হিসাবে নিয়েও কাজ করতে পারবেন।
সহজে, ফ্রিল্যান্সিং কি বা কাকে বলে?
Freelancing মানে হলো যে কাজের বিষয়ে আপনার বিশেষ অভিজ্ঞতা, জ্ঞান বা দক্ষতা (skill) রয়েছে সেই কাজ গুলো অন্যের সাথে করে তার বিনিময়ে টাকা নেওয়া।
ক্লায়েন্ট বা অন্যরা তাদের প্রয়োজন মতো কাজ দিবে এবং তাদের দেওয়া কাজ গুলো যদি আপনি ভালো ভাবে জানেন তাহালে নিদিষ্ট সময়ে আপনাকে তার কাজ করে দিতে হবে।
তাছাড়া, আরো সহজে বলা যেতে পারে যে, freelancing হলো এমন একটি প্রক্রিয়া বা উপায় যেখানে আপনি আপনার জানা কাজ গুলো ব্যবহার করে অন্যদের জন্য কাজ করতে পারেন। এই কাজ হতে পারে বিভিন্ন ধরনের।
যেমন-
- Designing
- Digital services
- selling services
- writing
- developing ইত্যাদি।
এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি জানেন এবং অন্যরা আপনাকে দিয়ে করাতে চান। এই কাজ গুলো আপনি চাইলে ঘন্টায়, ডেইলি, সপ্তাহ, মাস হিসাবে করতে পারবেন।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে চান এবং অঅনলাইনে টাকা আয় করতে চান তাহালে প্রথমে আপনাকে দেখতে হবে এমন কি দক্ষতা আপনার মধ্যে রয়েছে যার বিনিময়ে মানুষরা আপনাকে ভরসা করে কাজ দিবেন।
আশাকরি সহজে বুঝতে পারছেন ফ্রিল্যান্সিং কি বা freelancer কাকে বলে। তাহালে চলুন এই freelancing বিষয়ে নিচে থেকে আরো জেনে আসি।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করব? (How to start freelancing)
বর্তমানে সকল জায়গায় ইন্টারনেট এর ব্যবহার হচ্ছে বলে আমি মনে করি। আর freelancing এর কাজ করার জন্য আপনার প্রথমে যে জিনিসের প্রয়োজন হবে সেটার নাম হলো Internet.
কেননা, আপনার নিজের জন্য কাজ খোঁজা থেকে শুরু করে কাজ তৈরি করে ক্লায়েন্টের কাছে জমা দেওয়া সবটা করতে হবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। তাছড়া এই কাজ করে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে অনেক নতুন নতুন প্রজেক্টস বা কাজ এর প্রয়োজন হবে।
এজন্য নিজের কাজের দক্ষতা প্রচার বা মমার্কেটিং করার জন্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোতে শেয়ার করতে হবে। যেমন- social media website, social media groups, freelancing marketplace সহ আরো বিভিন্ন প্লাটফর্ম।
এখানে নিজের দক্ষতা এই কারণে প্রচার বা মার্কেটিং করতে হবে যাতে মানুষরা বুঝতে পারে আপনি কোন কাজের উপর এক্সপার্ট এবং কি কি কাজ আপনি তাদের জন্য করতে পরবেন। এতে ভবিষ্যতে আপনার দক্ষতার সাথে জড়িত বিভিন্ন ধরনের কাজ বা project অনলাইন থেকে পেয়ে যাবেন।
একটা উদাহরণ,
মনে করুন, আমি blogging, SEO এবং WordPress তৈরি করতে এক্সপার্ট। এখন আমি যদি আমার কাজের বিষয়ে মানুষকে না জানায় আমার দক্ষতার কথা তাহালে তারা কিভাবে জানতে যে আমি তাদের জন্য Blogging, SEO এবং WordPress এর সাথে জড়িত কাজ গুলো করে দিতে পারবো। কি আমি ঠিক বলছি না।
এজন্য ফ্রিল্যান্সিং এর ক্যারিয়ার শুরু করার সাথে নিজের কাজের দক্ষতা (skill) গুলো অনলাইনে প্রচার বা মার্কেটিং করাটা অনেক জরুলি। অনলাইনে যেকোনো মাধ্যমে যখন মানুষরা আপনাকে কোনো project দিবেন, তখন তারা আপনার উপরে অনেক ভরসা করে project বা কাজটি দিবেন।
তাই আপনি যদি ভালো কাজে নাম, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা হবে নামের ব্র্যান্ড পরিচয় ততো আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে প্রচুর মানুষের কাছ থেকে সহজে কাজ পাবেন এবং তারা আপনার উপর ভরসা করবে।
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার কিভাবে শুরু / আরম্ব করবেন
আপনারা যদি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে চান তাহালে নিচের স্টেপস গুলো করুন।
১. লক্ষ্য সঠিক ভাবে সেট করুন
প্রথমে আপনাকে সঠিক ভাবে লক্ষ্য সেট করতে হবে। যেমন- আপনি এখানে কতটুকু সময় নিয়ে কাজ করবেন। কতটুকু সময় দিতে পারবেন। নিজের চাকরির করার পাশাপাশি কি এটা করাতে চান। পার্ট-টাইম নাকি ফুল-টাইম হিসাবে ইনকাম করতে চান ফ্রিল্যান্সিং করে। এই সকল ব্যাপারে লক্ষ্য রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে
২. কোন বিষয় নিয়ে কাজ করতে চান
দ্বিতীয় নম্বারে আপনাকে ভাবতে হবে কাজের টফিক কি হবে সেটা নিয়ে। আপনাকে যেকোনো একটি বিষয়ে কাজ করতে হবে। যেমন- graphic design, content writing, web design, content marketing, video editing, SEO services, video creating, coding সহ আরো অনেক গুলো বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
আপনি যখন টফিক বেঁচে নিবেন কখন অবশ্যই নিচের ৪ টি বিষয়ে দেখে নিবেন। যেমন-
আপনি যে বিষয় টফিক হিসাবে নির্ধরণ করবেন সে বিষয়ে অবশ্যই আগে থেকে অভিজ্ঞতা, জ্ঞান, দক্ষতা থাকতে হবে।
যে বিষয়ে আপনার নতুন কাজ শিখতে ভালো লাগবে সেই বিষয়ে কাজ করবেন।
যে টফিক বা নিশ (niche) টার্গেট করে ফ্রিল্যান্সিং করবেন সেই বিষয়ে মার্কেটপ্লেসে কতটা চাহিদা রয়েছে।
এমন বিষয় নিয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে যে বিষয়ে আপনার আবেগ (passion) আছে। এতে আপনি সহজে কাজ করতে পারবেন এবং কাজ করে বিরক্তিকর মনে হবে না। তাহালে আপনার freelancing business সফল হবে।
৩. আপনি কোন কোন freelancing platform বা site এ কাজ করবেন?
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার পরে আপনি বিভিন্ন অনলাইন freelancing সাইট বা মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে পারবেন। এই সকল সাইট গুলোতে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট (clients) রা বিভিন্ন ধরকের কাজ করানোর জন্য ফ্রিল্যন্সার দের খুঁজে থাকেন।
তাছড়া নতুন ফ্রিল্যন্সার রা কাজ খোঁজার জন্য এই সাইট গুলো ব্যববহার করেন। এখানে হাজার হাজার মানুষরা তাদের কাজ করানোর জন্য দক্ষ এবং বিশ্বাসী freelancer দের খুঁজে থাকেন।তাহালে চলুন আমরা জেনে আসি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কোন কোন সাইট গুলো ব্যবহার করতে পারি।
ঘরে বসে কাজ করার ৪ টি ফ্রিল্যান্সিং সাইট
Upwork – বর্তমানে upwork হলো অনেক জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট। সেখানে ১২ মিলিয়ান ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করছেন এবং টাকা আয় করছেন। এখানে প্রায় সকল ধরনের কাজ করানোর জন্য মানুষরা freelancer দের খুঁজে থাকেন। প্রতি বছর ৩ মিলিয়ানের বেশি কাজ পোষ্ট করা হয় এই সাইটে।
Fiverr – fiverr অনেক পুরানো এবং বিশ্বাসী একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট। এখানে আপনি প্রায় সব ধরনের কাজ করতে পারবেন। এখানে প্রতিটা কাজ শুরু হয় $৫ ডলার থেকে। graphic design, web design, SEO, digital marketing, programing, content writing সহ আরো অনেক ধরনের কাজ করতে পারবেন।
Freelancer – নতুনদের জন্য freelancer.com এই সাইটটি অনেক কাজের। এখানে ১৩৫০ টি আলদা আলদা ক্যাটাগরিতে মানুষরা কাজ করছেন। যেমন- Internet marketing, SEO, Photoshop, graphic design, web design, mobile app সহ আরো নানা ধরনের কাজ গুলো করতে পারবেন।
Guru – guru একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট সেখানে ৩০ লক্ষের বেশি মানুষরা কাজ করছেন এবং ১০ লক্ষের বেশি কাজ করানো হয়েছে। এখানে আপনি প্রায় সকল ধরনের ক্যাটাগরিতে কাজ করতে পারবেন। এখানে নিজের একটি প্রোফাইল তৈরি করে নিজের কাজের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান, দক্ষতা সব গুলো উল্লেখ করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে গিয়ে কি করবেন?
প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে এতটি প্রোফাইল (profile) বা একাউন্ট তৈরি করতে হবে। একাউন্ট তৈরি করার পরে আপনার প্রোফাইলে কাজের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান দক্ষতা (skill), social profile, পড়াশুনা, প্রোফাইল পিকচার সহ সব কিছু লিখতে হবে।
তাছাড়া, প্রোফাইলে এটাও লিখতে হবে আপনি কিভাবে clients দের জন্য কাজ করবেন এবং কি কি কাজ করতে পারবেন। এবং তারা কেন আপনাকে কাজে বেঁচে নিবে সেটাও লিখতে হবে ছোট করে।
যে সকল ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে আপনি কাজ করতে চান সেখানে প্রোফাইল তৈরি করে উপরে বলা সমস্ত ডিটেলস গুলো সুন্দর ভাবে সাজিয়ে লিখতে হবে। এতে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভবনা বেশি হবে এবং ততটাই বেশি পরিমানে টাকা আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যাবে?
আসলে সঠিক ভাবে বলা সম্ভব হয় না যে ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করতে পারবেন আপনি। কারণ এটা এক ধরনের ব্যবসা। এখানে আপনার কাছে যত বেশি পরিমানে কাজ আসতে ততটাই বেশি আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।
সহজ ভাবে বললে, ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে প্রচুর পরিমানে লাভ রয়েছে এবং আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন নিজের ঘরে বসে কাজ করে। কিন্ত এটার জন্য আপনাকে সম্পর্ন ভরসা করতে হবে কতজন আপনাকে কাজ দিচ্ছে সেটার উপর। তাছাড়া সেটার উপর নিভর্র করে আপনার আয় হবে।
বর্তমান ইন্টারনেটের দুনিয়াতে অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষরা ছোট ছোট কাজের জন্য অফিসে একজন কর্মীচারী রেখে তাকে বেতন দেওয়ার চেয়ে একজন freelancer কে দিয়ে কাজ করানো অনেক সহজ এবং কম খরচে কাজ করে নিতে পারবেন।
তাছাড়া, আপনার কাজের উপরে যত বেশি জ্ঞান, দক্ষতা থাকবে ততটাই বেশি টাকা আপনি কাজ করে নিতে পারবেন। আর ধীরে ধীরে কাজের দক্ষতা (skill) এর সাথে আয়ের পরিমান বৃদ্ধি পাবে।
ফ্রিল্যান্সিং কোর্স শিখতে হবে কেন?
আসলে ফ্রিল্যান্স করার জন্য আমাদের কোনো প্রকার কোর্স (course) করার প্রয়োজন নেই। তবে, আপনাকে কিছু নলেজ জানতে হবে যেমন, কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করব, কেন সাইটের মাধ্যমে কাজ খুজবো, প্রথমে আমাদের কি কি করতে হবে। এই বিষয় গুলো উপরে জানতে হবে। আমি সকল বিষয় গুলো উপরে বলেছি।
মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিং কোর্স বলে আসলে তেমন কিছু নেই, কিন্ত আপনি freelancing কাজ করার জন্য বিশেষ করে কিছু কোর্স করতে পারবেন। সেগুলো শেখার পরে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ আরম্ব / শুরু করতে পারবেন।
যেমন,
Graphic design – বর্তমানে জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং পেশা হলো graphic design. অনলাইনে বিভিন্ন কোম্পনির মার্কেটিং, লোগো, ব্যানার সহ প্রায় সকল কাজ করার জন্য একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রয়োজন হয়। তাই গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে।
Translating course – আপনার যদি বিভিন্ন ভাষা সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান থাকে তাহালে translator এর কাজ আপনার জন্য অনেক লাভজনক হতে পারে।
Article writing – আপনার যদি লেখা লেখি করতে ভালো লাগে তাহালে আপনি আর্টিকেল লেখার একটি কোর্স করে বিভিন্ন ব্লগ বা ওয়েবসাইটে লিখে আয় করতে পারবেন।
Coding (PHP/java/CSS) – আপনি যদি কোডিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে তাহালে web development এর কাজ অনেক সহজে পেয়ে যাবেন।
Video editing – বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের মার্কেটিং, ব্র্যান্ড এর জন্য ভিডিও এডিট করে নিয়ে থাকে। আপনি যদি ভিডিও এডিটিং কোর্স করে থাকেন তাহালে সহজে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ পেয়ে যাবেন।
WordPress website – হয়তো আপনি জানেন বর্তমান বিশ্বে কত বেশি পরিমানে ওয়েবসাইট তৈরি করা হচ্ছে। এখন আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট কোর্স করেন তাহালে অনেক বেশি লাভজনক হবে আপনার জন্য।
এছাড়া, আরো অনেক গুলো কোর্স রয়েছে যে কোর্স গুলো করে নিজেকে একজন এক্সপার্ট তৈরি করে ফ্রিল্যান্সিং জগতে নিজেকে প্রতিস্থাপন করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2021, ফ্রিল্যান্সিং বলতে কি বুঝায়, ফ্রিল্যান্সিং কেন করব, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2020, ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব, ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশ, ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কি,,ফ্রিল্যান্সিং কি (What Is Freelancing in Bangla),what is freelancing in bangla, freelancing websites, what is freelancing course, what is freelancing in urdu, freelance industry freelancing ebook, freelance startup, freelance writing jobs