সোমবার রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিআইডি সদস্যরা রাসেল হোসেন ওরফে কাটা রাসেল নামের ৩১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তার নামে খুন, অস্ত্র, চুরি, নারী নির্যাতনসহ মোট ১৩টি মামলা রয়েছে।এর মধ্যে দুটি মামলা তদন্তাধীন এবং বাকি মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন বলে সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান। গত ১ জুন নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের ৩ নম্বর ওভারব্রিজের উপর রাকিব হোসেন (২৫) নামের এক যুবককে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়।
ভারতীয় রুপিতে এবার রবীন্দ্রনাথ, আবদুল কালামের ছবি!
ওই ঘটনার পর নিহত রাকিবের বড় ভাই মো. শাকিল হোসেন সান্তাহার রেলওয়ে থানায় মামলা করেন, যেখানে রাসেলকে প্রধান আসামি করা হয়। মঙ্গলবার সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তা ধর বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জেনেছেন, কিছু দিন আগে একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে হাজাতে থাকা অবস্থায় রাসেলকে তার স্ত্রী লাবণ্য সিদ্দিকা সাথী (২৬) তালাক দেন এবং রাকিবকে বিয়ে করেন। “সেই সংবাদ পেয়ে বন্ধু থেকে শত্রুতে পরিণত হওয়া রাকিবের প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ছক কষতে থাকেন রাসেল।
রৌমারীতে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, বরাদ্দ পায়নি পানিবন্দিরা
” মুক্তা ধর জানান, রাসেল এবং লাবণ্য সাত বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন, তাদের সংসারে পাঁচ বছরের একটি ছেলেও আছে। নাটোর সদর থানার দস্যুতার এক মামলায় গত ২৩ মার্চ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান রাসেল। সেখানে বসেই স্ত্রীর তালাকনামা পান তিনি। লাবণ্য তারই বন্ধু রাকিবকে বিয়ে করে নতুন দাম্পত্য জীবন শুরু করেছেন, সে খবরও তার কাছে পৌঁছায়। সিআইডির সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৩১ মে জামিনে মুক্তি পান রাসেল। মুক্তির পর থেকেই তিনি রাকিবকে খুঁজছিলেন।
জমজমাট কনসার্টের অপেক্ষা, শেষ ২৫ হাজার টিকিট
গত ১ জুন কৌশলে আরেকজনকে দিয়ে রাকিবকে তিনি নাটোর রেলওয়ে প্লাটফর্মের ৩ নম্বর ওভারব্রিজের উপর ডেকে নিয়ে যান। মুক্তা ধর বলেন “রাকিব সেখানে রাসেলকে দেখামাত্র দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। রাসেল কয়েকজন সহচরকে সঙ্গে নিয়ে রাকিবের পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যায়।” গুরুতর আহত রাকিবকে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান মুক্তা ধর। তিনি বলেন, রাকিবকে হত্যার পর তার ভাই মামলা করলে ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি। রাকিব হত্যায় আরও কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।