বেড়াল যারা ভালোবাসো, তারা কিন্তু বেড়ালকে কখনও দুধ দিও না খেতে। দুধ বেড়ালের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ডায়রিয়া হয়ে মরেও যেতে পারে। বেড়ালদের ল্যাকটোস ইনটলারেন্স থাকে। কাঁচা মাছ দিও না, সেদ্ধ মাছ দিও। মাছের কাঁটা দিও না খেতে, মাছের কাঁটা গলায় আটকে সর্বনাশ হতে পারে। লবণ দেওয়া কোনও খাবার খেতে দিও না, লবণ বেড়ালদের জন্য ক্ষতিকর। বেড়ালদের ঘরে রেখো, ঘরের বাইরে বিপদ তাদের পদে পদে। বেড়ালদের পরিস্কার পানি দিও খেতে।
ওদের পানি খাওয়া খুব দরকার। পানি না খেলে কিডনিতে অসুখ হয় ওদের। বেড়ালকে অসুখ হলে অবহেলা করো না, বেড়ালের ডাক্তার দেখিও, চিকিৎসা করিও। নিজেরা পণ্ডিতি করে বেড়ালদের কিন্তু কখনও মানুষের ওষুধ খাইও না, প্যরাসিটামল বা অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোনও ওষুধ, ওরা মরে যাবে। নানা রকম ফুল গাছ আর ফুল বেড়ালদের জন্য কিন্তু বিষ।
ঋণ পরিশোধ – মোহাম্মদ নাসির আলী
বিশেষ করে লিলি, রডোডেনড্রন, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, টিউলিপ। এসব থেকে বেড়ালদের দূরে রেখো। নরম বিছানা দিও ঘুমোতে। ওরা খেলতে খুব ভালোবাসে, ওদের কিছুটা সময় দিও খেলার জন্য। ওদের কিন্তু লিটার বক্স দিও, হিসু পটি সব করে ঢেকে রাখবে। যত্র তত্র ওসব করতে ওদের একেবারেই ভালো লাগে না।
বলবে তো, বেড়ালের জীবন বেড়াল যাপন করবে, আমাদের জীবন আমরা! এককালে তো ওরা জঙ্গলেই ছিল, শিকার করে খেতো। প্রায় দশ হাজার বছর আগে, কেউ কেউ বলে চার হাজার বছর আগে, ওরা মানুষের এলাকায় চলে এসেছিল। মানুষের ভীষণ উপকার করেছিল বেড়াল, ইঁদুর মেরে মানুষের শস্য বাঁচিয়েছিল।
দুর্ভিক্ষে মানুষ তো মরে সাফ হয়ে যাচ্ছিল। বেড়ালের জন্য প্রাণে বাঁচলো। সেই থেকে বেড়াল মানুষের সঙ্গেই আছে। এক সময় বেড়ালের পুজো করতো মানুষ। এখন তো বেড়ালেরা বলছে না তাদের পুজো করতে।
পুজো না করো, যা যা তাদের দরকার তা-ই তাদের দাও। মানুষের ওপর ভরসা করেই তো মানুষের সঙ্গে বাস করছে বেড়াল। শুধু বেড়াল নয়, কুকুরও মানুষের ওপর ভরসা করেই থাকে। ওদের কিছু খাওয়া দিলে, নিরাপদ আশ্রয় দিলে এমন কোনও ক্ষতি হয় না কারও।