বিশল্যকরণী গাছের উপকারিতা | বাঁচানো হোক বিশল্যকরণী

জীবনের পথে ফেলে আসা অনেকগুলো বছরকে পিছনে ফেলে এক পা এক পা করে পিছন দিকে হাঁটি। হঁাটতে হাঁটতে কখনও যদি ছোটবেলার সেই রাতে ফিরে যাই!

সেই ঝিঁঝিঁ পোকা, আর শিয়াল ডাকা ঘুটঘুটে অন্ধকারের রাতে তখন টিনের চালে অবিরাম বৃষ্টির শব্দ হচ্ছে। ঘরের মাঝে লন্ঠনের শিখাটা শ্রাবণ রাতের দমকা হাওয়ায় কেঁপে কেঁপে উঠছে মাঝে মাঝেই। একই সঙ্গে ঘরের কোণে চৌকিতে শুয়ে ভীষণ জ্বরে কাঁপছে একটা ছোট্ট শিশু। সঙ্গে বেদম কাশি।

মাথার কাছে বসে ঠাকুরমা মাথায় জলপট্টি দিচ্ছেন ঘন ঘন। কিছু ক্ষণ পর পর মা এসে দিয়ে যাচ্ছেন মধু, তাল মিছড়ি, দারুচিনির সঙ্গে বাসকপাতা ফুটিয়ে ছেঁকে নেওয়া পানীয়। ঠাকুরমার নির্দেশে ছোট্ট শিশুটিকে চিবিয়ে খেতে হচ্ছে একটা উৎকট স্বাদ-গন্ধ যুক্ত কাঁচা নিসিন্দা পাতা।

সে সময় জ্বর হলেই প্যারাসিটামল বা কাশি হলে কাফ সিরাপ এত সহজলভ্য ছিল না গ্রামের মানুষের কাছে। তাঁরা ওষুধে এত অভ্যস্তও ছিলেন না। জ্বর-জ্বালা হলে বাড়ির আশপাশের গাছগাছালিই ছিল মানুষের সুস্থ হয়ে ওঠার মূল ভরসা। ঔষধি গুনে ভরা কালমেঘ, ঘৃতকুমারি, তেলাকুচো, পলতা, আকন্দ, বৈচি, থানকুনি, কুলেখাড়া, ব্রাহ্মি, কলমি, হ্যালেঞ্চার মতো কতশত নাম জানা, না জানা গুল্ম, বৃক্ষ, শাক গ্রামবাংলার পথঘাটে ছড়িয়েছিটিয়ে ছিল তখন।

এখন যাদের অনেকগুলোই হারিয়ে গিয়েছে বা হারিয়ে যেতে বসেছে। তাদের গুণাগুণ সম্বন্ধেও সচেতন নয় বর্তমান প্রজন্ম। এই যেমন ঘুসঘুসে জ্বরে নিসিন্দা পাতা, সর্দি কাশিতে বাসক, তুলসিপাতা তো আছেই। রক্তাল্পতায় কুলেখাড়া, বুদ্ধি বিকাশে ব্রাহ্মি, অনিদ্রায় শুষনিশাকের ব্যবহার তো অতি পরিচিত। কৃমির জন্য সাত সকালে কাঁচা কালমেঘ পাতা, আনারস পাতার রস তো মহৌষধ বলে মনে করা হয় এখনও। পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা, গাঁদাল পাতা ব্যবহারে ভালোফল মেলে। কেটে গেলে রক্ত বন্ধ করতে বন তুলসি, পাথর কুচি, গাঁদা বা কচার আঠা ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দেওয়া— এ সব তো খুব চেনা টোটকা ছিল ছোটবেলায়।

বেশ কিছুদিন আগেও সাত সকালে নিম, কচা বা বাড়ির পাশে ঝোপ হয়ে থাকা আশশেওড়ার ডাল দিয়েই দাঁত মাজতেন গ্রামবাংলার মানুষ। ভ্যারান্ডা, জীবলি বা পলতা মাদার গাছের ডাল দিয়ে বাড়ির বেড়া দেওয়া তো খুব সাধারণ ব্যপার ছিল একটা সময়। চৈত্র মাসে টানের সময়ে সেই ডাল পুঁতলে তার থেকে সহজেই শিকড় বেরিয়ে গাছ হয়ে যেত। এখন তো জীবলি বা পলতা মাদার গাছ প্রায় চোখেই পড়ে না। জংলি গাছগুলোর মধ্যে দাদমর্দন, পলতা মাদার (পারিজাত), কেওকন্দর মতো বেশ কিছু গাছের ফুল এত সুন্দর দেখতে যে, তাদের বাহারি গাছ হিসেবেও বাড়িতে লাগানো যেতেই পারে। চাকুন্দা, দাদমর্দন গাছের রস চর্মরোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করার রেওয়াজ আছে। এমনকি, গায়ে লাগলেই গা চুলকায় যে বিছুটি গাছকে আমরা এড়িয়ে চলি সেই গাছও চর্মরোগ, প্রস্রাবের সমস্যা, মাথাব্যথা, হাঁপানিতে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

আগে রাস্তার ধারে প্রচুর হাতিশুঁড় গাছ দেখা যেত, যা চোখের সমস্যায় ও গাঁটের ব্যথায় ব্যবহার হত। গ্রামগঞ্জের রাস্তার ধারে ধারে হলুদ ফুলের কাল কাসুন্দার ঝোপ আজও চোখে পড়ে। যা কাশি, রক্তের দোষে ব্যবহার করা হয়। আগে তো বাড়িতে বেড়া দেওয়ার জন্য মেহেন্দি গাছেরও খুব কদর ছিল। মেহেন্দি পাতা বেটে মহিলারা হাতে মেহেন্দি করতেন, তেমনই আবার চুল কালো করতে হাতের নাগালে পাওয়া কেশুত গাছের পাতারও যথেষ্ট ব্যবহার ছিল।

সমস্যার কথা হল, চোখের সামনে আগাছার মতো বেড়ে ওঠা এই গাছগুলো ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে থেকে। গাছগুলোর হারিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে ক্রমশ বেড়ে ওঠা নগর সভ্যতা, গাছগুলোকে আগাছা হিসাবে গণ্য করে তাদের ধ্বংস করা, বর্তমান প্রজন্মের তার চারপাশের প্রকৃতির প্রতি উদাসীন হওয়ার মতো বেশ কিছু কারণকেই দায়ী করছেন পরিবেশবিদেরা।

কৃষ্ণনগরে রাষ্ট্রীয় উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রের প্রাক্তন প্রধান তথা উদ্যানবিদ ব্যাসদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোভিড পরিস্থিতিতে লকডাউনের সময়ে চারপাশে বেড়ে ওঠা বনজঙ্গলের মাঝে, হারিয়ে যেতে বসা কিছু কিছু গাছ আবার চোখে পড়তে শুরু করেছে। এটা ভাল লক্ষণ।’’

এ ছাড়াও এখন বিভিন্ন স্কুলে ভেষজ উদ্যান করার ব্যপারে উৎসাহ বেড়েছে। ‘‘এতে ছাত্রছাত্রীরা এই সব গাছ চিনতে পারছে সহজে’’— বলে মত ব্যাসদেবের। এ ছাড়াও তাঁর পরামর্শ, এরা বেশির ভাগই জংলা গাছ হওয়ায় এদের আলাদা করে বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয় না। নিজে থেকেই বেড়ে ওঠে।

তাঁর মতে, খুব সহজেই কালমেঘ (Andrographis paniculata), বাসক (Justicia adhatoda), শুষনি (Marsilea quadrifolia), পাথরকুচি (Bryophyllum pinnatum), গাঁদাল (Paederia foetida), তুলসী (Ocimum Sp), থানকুনি (Centella asiatica)-র মতো খুব প্রয়োজনীয় কয়েকটি গাছ বাড়ির টবে লাগিয়ে রাখা ভাল।

তাতে প্রকৃতি থেকে এই সব ভেষজ, জরুরি গাছের উবে যাওয়া খানিক রোখা যাবে।

নামঃ ‘বিশল্য’ শব্দের অর্থ বেদনাহীন, বিশল্যকরণী,নিৰ্বিষি,নেপাল নীলােবিষ ,বােম্বাই এবং জাদোয়ার ,নিৰ্বিষী । অর্থাৎ বিশল্যকরণী হল ব্যাথা নিবারণে সাহায্যকারী বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদবিশল্যকরণী (বৈজ্ঞানিক নাম- Polygonum recumbens) একটি বহু শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট সরু লোমযুক্ত উদ্ভিদ।

গাছঃ বিশল্যকরণী মাটিতে লতিয়ে অনেকটা দূর পর্যন্ত যায়। পাতা খুব ঘন ঘন থাকে। আকারে ছোট এবং ডিমের মতো কিছুটা গোলাকার। অবনত এবং বহু প্রশাখা বিশিষ্ট ওষধি গাছ কাণ্ড ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চ শাখাযুদ পত্রে ৫ থেকে ৯টি সরু ও পক্ষকার বিভাগ আছে কাণ্ডে পত্র অল্প হয়,বৃন্ত লম্বা

পাতাঃ পাতা খুব ঘন। আকারে ছোট এবং মতো গোলাকার। পাতার আগের দিকটা মোটা। বীজকোষের মধ্যে অনেকগুলি বীজ একসঙ্গে থাকে। বীজের রং কালো এবং গোড়ার দিকটা অপেক্ষাকৃত চওড়া।গাছের পাতা গুলি গাঢ় সবুজ বর্ণের এবং মাঝখান বরাবর মধ্যেশিরাটি লালচে বর্ণের যা পত্রশীর্ষের দিকে ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে এসেছে। প্রত্যেকটি পাতার গোড়ায় কাঁটা বর্তমান।

ফুলঃ ফুল সংখ্য অল্প হয় , উহা ½ ইঞ্চি লম্বা ও গােলাকার ফুলের পাপড়ী ৫টি ,ফিকে নীলবর্ণ ও পশম পুষ্পস্তবক বিস্তৃত , শ্বেত , নীল , বেগুনে এবং ধুসরবর্ণ পুষ্পদণ্ডে ফুল

বিস্তৃতি 

প্রায় সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অল্প বিস্তর এদের বসবাস। উত্তর ভারতের হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে এবং খাসিয়া পাহাড়ী অঞ্চলে জন্মায়। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলাতে অল্প কিছু গাছ দেখা যায় ।

বিশল্যকরণী গাছের উপকারিতা

১.রক্তপিক্তে রক্তবমি করলে বিশল্যকরণীর শিকড় দুই গ্রাম, পাতা ৮/১০ টা নিয়ে একসঙ্গে বেটে সামান্য ঠাণ্ডা জল মিশিয়ে খাওয়ালে। রক্তবমি বন্ধ হয়ে যায়।

২.কাটা অঙ্গ জোড়া বা ভাঙা হাড় জোড়ার কাজ করে বিশল্যকরণী পাতার রস।

৩.বিশল্যকরণী পাতার রস সামান্য গরম জলে মিশিয়ে তার সাহায্যে দিনে একবার বিষাক্ত ঘায়ে ধুয়ে ভালভাবে পরিষ্কার করে বিশল্যকরণী পাতা এবং মূল ভালাে করে বেটে ঘায়ের ওপর লাগিয়ে টুকরাে কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে। ৪/৫ দিনের মধ্যেই ঘা ভালাে হয়ে যায়।

৪.বিশল্যকরণীতে উপস্থিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পোড়া ঘা তাড়াতাড়ি সারিয়ে তোলে।

৫.এই উদ্ভিদের পাতার রস ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করতে সাহায্যকারী।

৬.বিশল্যকরনী গাছের পাতা ও পোকা-মাকড় ও বিছের কামড়ে মূল ও পাতা উভয়েই বিশেষ উপযোগী।

৭.চুলকানি, অ্যাকজিমা এবং কাঁটা ফোঁটায় বিশল্যকরনীর পাতা বেটে লাগালে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়।

৮.বিশল্যকরণীর মধ্যে ভােগেলিন’ নামে এক ধরনের জৈব যৌগ থাকে। এই কারণে যে কোন ধরনের উচ্চ রক্তচাপ (হাইব্লাড পেসার)-কে কমিয়ে স্বাভাবিক করে দেয়।বিশল্যকরণীর গাছের মূল, পাতা এবং কচি ডাল, যে কোনাে একটি টাটকা তুলে এনে সামান্য ও দিয়ে বেটে তার রস ১০ মিলিলিটার পরিমাণ প্রতিদিন সকালে খালিপেটে এক করে খেলে রক্তের চাপ অবশ্যই স্বাভাবিক হয়।

৯.জ্বরের হলে বিশল্যকরণীর মূলের কাথ ২ থেকে ৪ ড্রাম পরিমাণ ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায় ।

১০.বিশল্যকরনী গাছের মূল চিবাইলে দাঁতের ব্যাথা সেরে যায় ।

বিশল্যকরণী : প্রাচীন ঐতিহ্য ও আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসা
রচনা ও চিত্রগ্রহণ – মৌমিতা দে
———————————————————————-
হিন্দুদের মহাকাব্য রামায়ণ মতে রাম-রাবণের যুদ্ধে লক্ষ্মণের উপর শক্তিশেল বান নিক্ষেপণের পর লক্ষ্মণ শক্তিহীন ও মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে এবং সহোদর সহযোদ্ধা রামও সাথে ক্ষত-বিক্ষত হয়। বহু গাছ-পাতা তুলে আনতে হয় হিমালয় থেকে রাম-লক্ষণের চিকিৎসার জন্য তার মধ্যে চারটি বিশেষ বৃক্ষ ছিল। যথা : মৃত – সঞ্জীবনী, বিশল্যকরণী, সুবর্ণকরণী ও সন্ধানী।
মৃত সঞ্জীবনী মৃতকে প্রাণ দিতে পারে। বিশল্যকরণী পারে অস্ত্রের ঘা সারিয়ে তুলতে। সুবর্ণকরণীর পক্ষে সম্ভব অসুস্থতায় রং পাল্টে যাওয়া শরীরের রং ফেরানো। আর কাটা অঙ্গ জোড়া বা ভাঙা হাড় জোড়ার কাজ করে সন্ধানী। এই সব বৃক্ষের সন্ধান শুধু জানা ছিল হিমালয় নিবাসী রিক্ষরাজ জাম্বোবানের।
কথিত আছে যে দেবতাদের থেকে অমৃত-মন্থনের সময় জাম্বোবান জেনেছিলেন এই বিশল্যকরণীর কথা। ওই সময় ভেষজ আনয়নের দায়িত্ব নিয়ে মহাবলী হনুমানকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ‘বিশল্যকরণী’ বৃক্ষের খোঁজ না পেয়ে হনুমানের পুরো গন্ধমাদন পর্বত আনয়নের ঘটনা প্রায় সকলেরই জানা।
প্রাচীন আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্র মতে ভেষজ গুনগুন সমৃদ্ধ বিশল্যকরণী অনন্য। বাংলা অভিধানে ‘বিশল্য’ শব্দের অর্থ বেদনাহীন, অর্থাৎ বিশল্যকরণী হল ব্যাথা নিবারণে সাহায্যকারী বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ।
● বিস্তৃতি ও পরিচিতি :
প্রায় সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অল্প বিস্তর এদের বসবাস। গাছের পাতা গুলি গাঢ় সবুজ বর্ণের এবং মাঝখান বরাবর মধ্যেশিরাটি লালচে বর্ণের যা পত্রশীর্ষের দিকে ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে এসেছে। প্রত্যেকটি পাতার গোড়ায় কাঁটা বর্তমান।
Acanthaceae পরিবারের এই উদ্ভিদটি ডিসেম্বর-মার্চ মাস পর্যন্ত ফুল ধারণ করে। মোচাকৃতির পুষ্পবিন্যাসের মাথায় অপূর্ব সুন্দর স্বর্ণাভ হলদে রঙের ফুলের আধিপত্যের জন্য একে ‘মোচা-শির-স্বর্ণমুখী’ নামেও অভিহিত করা হয়।
এছাড়া স্থান ভেদে এই উদ্ভিদ কাঁটা বিশল্লা, কাঁটা বিশল্যকরণী, সিম-মুল্লি, সম্মুললি প্রভৃতি বাংলায় সাধারন নামে এবং Hop-headed Barleria or Hophead plant নামক ইংরেজি নামেও প্রসিদ্ধ। এই উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিকসম্মত নাম : Barleria lupulina.
● ভেষজ গুণাবলি :
১. ভেষজ গুণাগুণে ভরপুর বিশল্যকরণী মহামূল্যবান এবং অতি প্রয়োজনীয় ঔষধি বৃক্ষ। এই গাছের পাতা ও শিকড় বেটে লাগালে কাঁটা-ব্যথা ও ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে যায়। পুরনো ব্যথার উপশমে বিশল্যকরণী বিশেষ কার্যকরী।
২. বিশল্যকরণীতে উপস্থিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পোড়া ঘা তাড়াতাড়ি সারিয়ে তোলে।
৩. এই উদ্ভিদের পাতার রস ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করতে সাহায্যকারী।
৪. চুলকানি, অ্যাকজিমা এবং কাঁটা ফোঁটায় বিশল্যকরনীর পাতা বেটে লাগালে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়।
৫. এছাড়া Chickenpox ও Harpes simplex এর ক্ষেত্রে বিশল্যকরনী গাছের পাতা ও পোকা-মাকড় ও বিছের কামড়ে মূল ও পাতা উভয়েই বিশেষ উপযোগী।
যদিও বর্তমানে বিশল্যকরণী গাছের সংখ্যা ও ব্যবহার আগেকার দিনের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে । কিন্তু গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা এখনও প্রয়োজনে এই ঔষধি উদ্ভিদের যথার্থ ব্যবহার করেন এবং উপকৃতও হন।
—————————————————-
প্রবন্ধ লিখন ও চিত্রগ্রহণ : মৌমিতা দে
চিত্রগ্রহণের স্থান : গড়বেতা, পশ্চিম মেদিনীপুর
তথ্য পরিমার্জন ও রূপায়ণ : সিদ্ধার্থ শঙ্কর মন্ডল
#বিঃদ্রঃ প্রকাশিত প্রবন্ধ ও চিত্রসমূহের সত্ত্বাধিকার লেখিকার নামেই সংরক্ষিত।
#বিশল্যকরণী,
#প্রাচীন_আয়ুর্বেদ_শাস্ত্র,
#রামায়ণ , মাদার গাছের উপকারিতা, গাছের উপকারিতা কি, মৃত সঞ্জীবনী গাছ, বিশল্যকরণী ফুল ,অশ্বগন্ধা গাছের ছবি, অশ্বগন্ধার উপকারিতা, তিত বেগুন লাল, বিশল্যকরণী,বিশল্যকরণী গাছের উপকারিতা

Leave a Reply