মো. সায়ের আলম পাভেল (৩৪) পেশায় একজন রংমিস্ত্রী। তবে পরিচয় দিতেন বিবিএ, এমবিএ ডিগ্রীধারী, আবার কখনো ম্যাজিস্ট্রেটের ছেলে। এই পরিচয়ে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় এক তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন পাভেল। একপর্যায়ে প্রেমে ব্যর্থ হবার পর তরুণীর বাবা-মায়ের কাছে অপমানিত হন। এই অপমান থেকে প্রতিশোধের পরিকল্পনা করেন পাভেল। এক পর্যায়ে নিজের কথিত ছোট ভাই লন্ডনের বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যান ওই তরুণীর ছোট বোনকে (১৪)। অপহরণের পর মুক্তিপণ চাইলে ভিকটিম কিশোরীর বাবা গতকাল বৃহস্পতিবার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকা থেকে ভিকটিম কিশোরীকে উদ্ধারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জন্মনিবন্ধনের নিয়ম শিথিল, অনেকের অনেক প্রশ্ন
গ্রেপ্তার করা হয় মো. সায়ের আলম পাভেল (৩৪), মো. শেখ আলমগীর (২৩) ও মো. জাহাঙ্গীর আলমকে (৩৫)। আজ শুক্রবার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক জানান, ওই কিশোরীকে অপহরণ করে টাঙ্গাইলে জাহাঙ্গীরের বাসায় রাখা হয়। তিনি আরও দুই মামলার আসামি। এ থেকে পুলিশ ধারণা করছে গ্রেপ্তাররা নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য। তবে পরবর্তী তদন্তে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তিনি বলেন, গত ১৪ আগস্ট নবম শ্রেণি পড়ুয়া ওই কিশোরীকে প্রলোভন দেখিয়ে বাসা থেকে অপহরণ করা হয়।
এরপর জাহাঙ্গীর ভিকটিমের বাবার কাছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন, অন্যথায় মেয়েটিকে যৌনপল্লীতে বিক্রি করার হুমকি দেন। বিষয়টি পুলিশকে জানালে মেয়েকে গুম করারও হুমকি দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে ১৮ই আগস্ট মেয়েটির বাবা পুলিশকে জানালে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে মির্জাপুর থেকে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ দুজনকে ও পরে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।