কুকুরটিকে ধাওয়া করে ওই জায়গা থেকে তাড়িয়ে দেয় মোরগটি। কিন্তু তত ক্ষণে আরও কয়েকটি কুকুর এসে সেটিকে ঘিরে ধরে হামলা চালায়।
কুকুরের হামলা থেকে ভেড়ার শাবককে বাঁচিয়েছিল পোষ্য মোরগটি। কিন্তু কুকুরের সঙ্গে লড়াইয়ে তার মৃত্যু হয়। নিজের জীবন দিয়ে ভেড়ার শাবককে বাঁচানোয় মোরগের পারলৌকিক কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলেন তার মালিক।
কোনও মানুষ মারা গেলে তাঁর জন্য যে ভাবে পরিবারের সদস্যরা নিয়ম পালন করেন, ঠিক সে ভাবেই ১৩ দিন ধরে নিয়ম পালন করলেন তার মালিক। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের।
মোরগের মালিক সল্করাম সরোজ জানিয়েছেন, গত ৭ জুলাই বাড়ির পিছনে ঘাস খাচ্ছিল ভেড়ার শাবক। সেই সময় রাস্তার একটি কুকুর শাবকটির উপর হামলা চালায়। তখন ওই জায়গাতেই ছিল তাঁর পোষ্য মোরগ লালি। শাবকের উপর হামলা চালাতে দেখেই কুকুরে দিকে তেড়ে যায় মোরগটি। কুকুরটিকে ধাওয়া করে ওই জায়গা থেকে তাড়িয়ে দেয়। কিন্তু তত ক্ষণে আরও কয়েকটি কুকুর এসে মোরগটিকে ঘিরে ধরে হামলা চালায়। কুকুরের হামলায় গুরুতর জখম হয় লালি। ৮ জুলাইয়ে মৃত্যু হয় তার।
বাড়িতেই লালির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করেন সল্করাম। তাঁর ছেলে অভিষেক বলেন, “লালি আমাদের পরিবারের সদস্যের মতো ছিল। তার মৃত্যুর পর বাবা স্থির করেন সব রকম নিয়মনীতি মানবেন।” তাই ১৩ দিন নিয়ম পালন করে খাওয়াদাওয়ারও আয়োজন করেন সল্করাম। প্রায় ৫০০ লোককে নিমন্ত্রণ করে খাইয়েছেন তিনি।