ছেলেদের লিঙ্গ বা যৌনাঙ্গ বা পুরুষাঙ্গ বড় হওয়া নির্ভর করে এতে রক্তের চাপ কেমন থাকে। পুরুষাঙ্গ একটি মাংসপেশি। অন্য সব মাংসপেশি যেমন ব্যায়াম করলে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় তেমনি এটাও ব্যায়ামের মাধ্যমে বাড়াতে হবে। আর ব্যায়াম চালু না রাখলে যেমন মাংসপেশি শুকিয়ে যায় তেমন এটাও কমে যাবে। কিছু কিছু পেনাইল সার্জারির প্রচলন বিদেশে আছে। তবে তা স্থায়ী কোনকিছু নয়। পেনিস পাম্প এর প্রচলন ও আছে। কিন্তু ব্যায়ামের চেয়ে ভাল কিছু আর নেই ।
পুরুষাঙ্গের আকার বৃদ্ধির তিন ধরনের ব্যায়াম আছে। যথা—
১. শেকিংঃ
প্রথমে আপনার পেনিস টাকে গোড়ার দিকে দুই আঙ্গুলে ধরুন (শিথিল অবস্থায়)। এরপর সেটাকে আস্তে আস্তে ঝাঁকাতে শুরু করুন আস্তে আস্তে ঝাঁকানোর…
গতি বাড়ান এভাবে একটানা ২০০-২৫০ বার ঝাঁকান মাঝে মাঝে আপনার ইরেকশন হতে পারে। ইরেকশন হলে পেনিস্ কে শিথিল হওয়ার জন্য কিছু সময় দিন। তারপর আবার করুন এভাবে দিনে দুইবার করুন এটা করার সময় আপনার হস্তমৈথুনের ইচ্ছা জাগতে পারে। ইচ্ছাটাকে পাত্তা দিবেন না। এটা করার সময় যদি হস্তমৈথুন করেন তাহলে ব্যায়াম করা আর না করা সমান কথা। যদি ২০০-২৫০ বারের আগেই বীর্য বেরিয়ে যেতে চায় তাহলে থামুন। উত্তেজনা প্রশমিত হলে আবার করুন এটা করলে আপনার পুরুষাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন আশাতীত ভাবে বাড়বে। একটু কষ্ট করে হলেও এক্সারসাইজ চালু রাখুন বাদ দেবেন না।
২. জেল্কিংঃ
প্রথমে পেনিস কে জলে ধুয়ে নিন এবং মুছে ফেলুন। এরপর খানিকটা ক্রিম বা জেল জাতীয় পিচ্ছিল জিনিস, (তেল জাতীয় জিনিস হলেও হবে) যোগাড় করুন। এটি পেনিসে ভালভাবে মাখান (শিথিল অবস্থায়) এবার বুড়ো আঙ্গুল এবং তর্জনীরসাহায্যে ”OK” সাইন এর মত করুন। এবার এই ”OK” সাইন দিয়ে পেনিসের গোড়া ধরুন (একটু জোরে চেপে ধরতে হবে)। এবার আস্তে আস্তে ভেতর থেকে বাইরের দিকে মর্দন করুন। জিনিসটা অনেকটাই হস্তমৈথুনের মতই। কিন্তু খেয়াল রাখবেন এটা শুধু পেনিসের গোঁড়া থেকে অগ্রভাগের দিকে।
উল্টা দিকে করবেন না। এভাবে ৩০-৪০ বার করুন। দিনে দুইবার। এটি করার সময় আপনি নিজেই টের পাবেন যে আপনার লিঙ্গমুণ্ডে রক্তের চাপ বাড়ছে। মাঝে মাঝে আপনার ইরেকশন হতে পারে ইরেকশন হলে পেনিস্ কে শিথিল হওয়ার জন্য কিছু সময় দিন। এটা করার সময় আপনার হস্তমৈথুনের ইচ্ছা জাগতে পারে। ইচ্ছাটাকে পাত্তা দিবেন
মেয়েদের স্তন সুন্দর ও আকর্ষণীয় করার নিয়ম
না। যদি ৩০-৪০ বারের আগেই বীর্য বেরিয়ে যেতে চায় তাহলে থামুন। উত্তেজনা প্রশমিত হলে আবার করুন এটি করার সময় লিঙ্গমুণ্ডে সামান্য
সাময়িক ব্যাথা বোধ হতে পারে। এছাড়া আপনি দেখবেন লিঙ্গমুণ্ডকে লাল হয়ে ফুলে উঠতে। রক্তের চাপের কারনে এমন হয়।
মিয়া খলিফার পর্নস্টার হয়ে ওঠার গল্প সানি লিওন ও মিয়া খলিফার নামে চাপ! চেখে দেখবেন নাকি?
৩. স্ট্রেচিংঃ
প্রথমে লিঙ্গমুণ্ড পাঁচ আঙ্গুলে সামনে থেকে চেপে ধরুন এবার এটাকে সামনের দিকে টেনে ধরুন এমনভাবে ধরে রাখুন যাতে পিছলে না যায় এভাবে ২০ সেকেন্ড ধরে রাখুন ২০ সেকেন্ড পর ছেড়ে দিন এভাবে একটানা ২০ বার করুন (দিনে ২ বার) মাঝে মাঝে আপনার ইরেকশন হতে পারে৷ ইরেকশন হলে পেনিস্ কে শিথিল হওয়ার জন্য কিছু সময় দিন তারপর আবার করুন৷ এর ফলে ধীরে ধীরে আপনার পুরুষাঙ্গ দীর্ঘতায় বাড়বে৷
যে তিনটি ব্যায়ামের কথা বলা হয়েছে সেগুলো একত্রে প্রতিদিন দুইবার করে করুন। একসাথে না করলে লাভের সম্ভাবনা কম। এক্সারসাইজের সময় হস্তমৈথুন করবেন না। হস্তমৈথুন করলে ব্যায়াম করার কোন দরকার ই নাই। কারন তাতে কোন লাভ হবেনা।
লিঙ্গ বড় করার উপায় নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। তাই পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম করে ৭ দিনে পুরুষাঙ্গ বৃদ্ধির উপায় নিয়েই আজকের আমাদের এই পোস্ট।
পুরুষাঙ্গ (penis) পুরুষের একটি অতি গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ। এই অঙ্গটি শুধু একজন পুরুষকে লিঙ্গাকারে চিহ্নিত করে না বরং সন্তানগ্রহনের মত গুরুত্বপূর্ন কাজের মাধ্যম এটি। কিন্তু এই পুরুষাঙ্গ নিয়েই আমাদের চিন্তার কোন শেষ নেই।
স্বর্ণ হলমার্কিং কিভাবে করা হয়? সোনা কেনার সময় এই নিয়ম অবশ্যই মানবেন! তা না হলেই ঠকবেন…
বয়ঃসন্ধির পর আস্তে আস্তে আমরা নিজেদের পুরুষাঙ্গ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরি কোন না কোন কারনে। যেমনঃ অধিকাংশ মানুষ মনে করে তাদের পুরুষাঙ্গ সাইজে (penis size) ছোট, এই নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তারও কমতি নেই।
কিন্তু পুরুষাঙ্গের আকার (penis size) আকৃতি এসব কিছু নির্ভর করে জিন, জাতি, অঞ্চলসহ নানান দৈহিক, আঞ্চলিক, আবহাওয়া কেন্দ্রিক কারনে। এর কারনে আপনি ইন্টার্নেটে ইউরোপিয়ান অথবা আফ্রিকানদের কথা ভেবে মন মরা হওয়াটা বোকামি ছাড়া কিছু না।
আর আপনি যদি চিন্তা করেন সাইজ বড় হলেই চরম তৃপ্ত দিতে সক্ষম আপনার সঙ্গিকে সেটিও ভূল। বরং বড় সাইজের পেনিস সঙ্গিকে ব্যাথা দিতে পারে। উপভোগ্য যৌনক্রিয়া (Sexual activity) করতে বড় পুরুষাঙ্গ যে হতেই হবে ব্যাপার টা এমন না ।
স্বাভাবিক সাইজের মানদণ্ড কি? প্রশ্ন থেকে যায় । আপনার পেনিস (Penis) যদি উত্থিত অবস্থায় ১১.৪৬ সেন্টিমিটার অথবা ৪.৫ ইঞ্চি হয়ে থাকে তাহলে বুঝে নিবেন এটি স্বাভাবিক। তবে ৪ ইঞ্চি হলেও আপনি সঙ্গিকে তৃপ্ত (Sexual satisfaction) করতে পারবেন। কেননা সাইজের চেয়ে ডিওরেশনটাই (Sex duration) মুখ্য। যেটি মোটামুটি ৭-১০ মিনিট হয়ে থাকে।
লিঙ্গ বড় করার উপায় – মাত্র ৭ দিনে লিঙ্গ বড় করার উপায় অভিনব উপায়
ব্যায়াম |
বর্ণনা |
শেকিং |
|
জেল্কিং |
|
স্ট্রেচিং |
|
পুরুষাঙ্গ বৃদ্ধির উপায় – পুরুষাঙ্গের ৩টি ঘরোয়া ও শতভাগ কার্যকরী ব্যায়াম
পৃথিবীতে মানুষ নিজের লিঙ্গ (penis) নিয়ে অহেতুক হীনম্মন্যতা কাজ করে।পুরুষাঙ্গ মোটা ও বড় হবার পিছনে একটি জিনিস দায়ি হয়ে থাকে তা হচ্ছে রক্ত প্রবাহ (blood circulation) । আপনার যত বেশি রক্ত প্রবাহ বেশি হবে এটি ততটুকু আকার আকৃতি বাড়বে।
পুরুষের কাছে বড় ও মোটা লিঙ্গ অধিক কাম্য । বৈজ্ঞানিক ও নিয়মতান্ত্রিক ভাবে লিঙ্গ মোটা ও বড় করা সম্ভব। সবচেয়ে ভালো ও কার্যকরী পন্থা হল ব্যায়াম (Exercise) করা। আজ আমি কিছু ব্যায়ামের কথা বলব যেগুলো আপনি যদি নিয়মিত করে থাকেন আপনার পেনিসের রক্ত (Penis blood circulation) প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে এর আকৃতি বৃদ্ধি সহ বাকা লিঙ্গ (curved penis)
সমান্তরাল করতেও সাহায্য করবে। এছাড়া ভালভাবে উত্থিত (Erection) হওয়া, পূর্ন বীর্যপাতের (Full Ejaculation ) জন্যও উপকারি। চলুন দেখা যাক।
১। শেকিং
হয়ত শুনে হস্তমৈথুন (Musterbation) বলে মনে হচ্ছে। আদতে আসলে অনেকটা অমনই কিন্তু আপনি হস্তমৈথুনের (Musterbation) উদ্দেশ্যে করবেন না। লিঙ্গের গোড়ার (Penis root) দিকে দুই আঙ্গুল দিয়ে ধরতে হবে।
তারপর আস্তে আস্তে ঝাকানো শুরু করবেন গতি বাড়িয়ে। এর ফলে ইরেকশন হতে পারে। সেক্ষেত্রে লিঙ্গ শিথিল পর্যন্ত সুযোগ দিয়ে আবার শুরু করবেন। এভাবে ২০০ বার পর্যন্ত করতে হবে। এতে করে আপনার পেনিসের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে।
আরো পড়ুন: যৌন উত্তেজক ঔষধ এর নাম এবং কিভাবে কাজ করে?
২। জেল্কিং
এই পদ্ধতি অবলম্বন করার ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, আপনার পেনিসটিকে ভালো মত ধুয়ে নিন।যাতে করে কোনো ময়লা ও ঘাম না থাকে। তারপর একটু জেল জাতীয় কোন তরল কিংবা তেল আপনার পেনিসে মাখিয়ে নিন।
পুরুষাঙ্গ শিথিল (Loose penis) অবস্থায় থাকবে। আপনার বুড়ো আঙ্গুল ও তর্জনী ধরে গোল সাইন করুন এবং পেনিসের গোড়াতে ধরুন। একটু জোরে চেপে ধরে আস্তে আস্তে সামনের দিকে আনুন। অনেকটা হস্তমৈথুনের (Musterbation) মত। তবে ভুলেও হস্তমৈথুন (Musterbation) করবেন না যেন।
এতে কোন লাভ হবে না ক্ষতি ছাড়া। এমন ৫০ বারের মত করুন। এভাবে টানা করে যান। কয়েকমাস এভাবে করার পর নিজেই বুঝতে পারবেন কতটা উন্নতি হলো। এক্সারসাইজের সময় হস্ত মৈথুনের (Musterbation) প্রবল ইচ্ছা জাগ্রত হতে পারে।
সেক্ষেত্রে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। একই সময় হস্ত মৈথুন এবং এক্সারসাইজ (Exercise) একই সময়ে চলতে পারে না । আপনার এক্সারসাইজ কোন কাজেই আসবে না যদি না আপনি হস্তমৈথুন (Musterbation) করেন।
আরো পড়ুন: পুরুষের যৌন বিষয়ক শারীরবৃত্তীয় কাজগুলো কী কী? এবং তার চিকিৎসা
৩। স্ট্রেচিং
আপনার লিঙ্গের মাথাটি (Penis head) আলতো করে ধরুন প্রথমে। তারপর শিথিল অবস্থাতেই সামনের দিকে টেনে ধরুন। যতটুকু করতে পারুন ধরুন। ২০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এভাবে। দিনে ২০ বার করে করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এটিও পেনিসের (penis ) এর জন্য ভালো একটি এক্সারসাইজ। এর ফলে ধীরে ধীরে আপনার পুরুষাঙ্গ দীর্ঘতায় বাড়বে৷
আরো পড়ুন: S o n a Bo ro Ko r ar Upay লি ঙ্গ ব ড় ও মো টা করার উপায়
পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম এর কিছু জটিলতা ও ঝুঁকি
লিঙ্গ বড় করার উপায় নিয়ে তো অনেক আলোচনা হলো। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু জটিলতা ও ঝুঁকি রয়েছে।
কোন কিছুই অধিক মাত্রায় করা বিপদ ডেকে আনে । দ্রুত ফলাফল পেতে আপনি যদি আপনার পেনিসের সাথে জোর জবস্তি করেন, সেক্ষেত্রে পেনিসের টিস্যু (Penis tissue) ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
পেনিস জয়েনিং লিগামেন্টেও (Penis joining ligament) ক্ষতি হলে উত্থিত (Erection) হতে গেলে জটিলতা হতে পারে। অনেক্ষেত্রে উত্থিত (Erection) হতেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খুব বেশি অতিরিক্ত কিছু না করাই উত্তম ।
আরো পড়ুন: যৌন উত্তেজক ঔষধ এর নাম এবং কিভাবে কাজ করে?
এইসকল এক্সারসাইজ করতে গেলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে । এগুলো থেকে সাবধান হতে হবে। এক্সারসাইজ গুলো করার সময় যা যা হতে পারে তা হলো,
- পুরুষাঙ্গ ( penis) এবং হাত জীবানুমুক্ত না করে এক্সারসাইজ করলে চুলকানি ও ফুসকুড়ি হতে পারে।
- হালকা অধিক পরিমানে এক্সারসাইজ করলে হাতের আঙ্গুলের ঘষায় পেনিসের চামড়ার ছাল ছিড়ে যেতে পারে।
- লিঙ্গমুণ্ডে লাল রঙ এর স্পট দেখা দিতে পারে।
- অনেক ক্ষেত্রে লিঙ্গের অসারতা দেখা দিতে পারে ।
- লিঙ্গের গায়ে কালশিটে দাগ ও লিঙ্গের শিরা কালো হয়ে যেতে পারে।
একটি কথা মাথায় রাখবেন , লিঙ্গের ব্যায়ামের কারণে রাতারাতি আপনার লিঙ্গ মোটা ও বড় হবে এমন টা আশা না করাই ভালো। ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি আপনার লিঙ্গের স্বাস্থ্য ও কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারবেন, এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই।
পরিশেষে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় তা হলো, যে কোন পদ্ধতি নিয়ে লিঙ্গের এক্সারসাইজ শুরু করার আগে অবশ্যই এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা এক এক জনের জন্য এক একটি পদ্ধতি কার্যকর।
তাই এক্সারসাইজ শুরু করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে। । আর হ্যা, অবশ্যই নিয়মিতভাব।।এক্সারসাইজ করতে হবে। হবে। অনিয়মিত এক্সারসাইজ কখনোই আপনাকে কাংখিত ফলাফল দিবে না ।
সূত্র: প্রিয় ডট কম