মিয়া খলিফাকে চেনে না এমন লোকের সংখ্যা কম। পর্নস্টার হওয়ার পরের খবর সবার জানা থাকলেও কীভাবে তিনি নীল পর্দায় আসলেন তা অনেকেরই অজানা।
মার্কিন পর্নস্টার মিয়া খলিফার বয়স তখন সবে ২১। মন দিয়ে স্নাতক পড়ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিজেকে গুটিয়ে রাখতেন ক্যাম্পাস জীবনে। হঠাৎ একদিন তার মনে হলো আত্ম-সম্মান বোধের ঘাটতি রয়েছে তার। পাচ্ছেন না আত্মবিশ্বাস।

সমাধানে ব্যায়াম করা শুরু করলেন মিয়া খলিফা। কমালেন ৫০ পাউন্ড ওজন। তাতেও মন ভরেনি। সার্জারি করিয়ে বড় করলে স্তনের আকার। তবু মনে হচ্ছিলো কোনো উন্নতি হয়নি।
কদিন তাকে পর্ন অভিনয়ের প্রস্তাব দেন এক মার্কিন পরিচালক। বুঝে না বুঝে রাজি হয়ে যান মিয়া। ভেবেছিলেন এতে বাড়বে আত্ম-সম্মান বোধ, আত্ম-বিশ্বাসও।
মিয়া খলিফা বলেন, প্রথমদিন পর্ন অভিনয় করার পর একই সঙ্গে লজ্জা ও অপরাধবোধ কাজ করছিল। একই সঙ্গে মনে হচ্ছিলো আমি ঠিক করেছি। তখন আমি আসলে ২১ বছর বয়সী একটা গাধা ছিলাম।
ইউটিউবে জনপ্রিয় পডকাস্ট ‘ফরওয়ার্ড’ এর উপস্থাপক ল্যান্স আর্মস্ট্রংকে এসব কথা জানিয়েছেন লেবানিজ বংশোদ্ভূত মার্কিন পর্নস্টার মিয়া খলিফা।
তিনি জানান, প্রথম দিন অভিনয়ের পর খুব বেশি বিচলিত হননি। ভেবেছিলেন কোম্পানির বাইরে কেউ তার পর্নগুলো খুঁজে পাবে না। কিন্তু পরে হঠাৎ চারদিক থেকে সাড়া হয়ে ভটকে যান।
মিয়া খলিফা জানান, তিনি এমনটা ভেবেছিলেন কারণ সে সময় পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্টই ছিল না তার।
মানিক বন্দোপাধ্যায়ের জীবনী – Manik Bandopadhyay Biography in Bengali
নীল ছবি থেকে কত আয় করেন মিয়া খলিফা, ফাঁস হল চমকে দেওয়ার মত তথ্য
ভারতবর্ষে নীল ছবি (Blue Film) বানানো সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হলেও পশ্চিমা দেশগুলোতে কিন্তু এই ছবির ব্যবসা চলে রমরমিয়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নীল ছবি দুনিয়াতে নাম লিখিয়ে সুপারস্টার হয়ে উঠেছেন বহু অভিনেতা এবং অভিনেত্রী। তাদের মধ্যেই অন্যতম নাম হল মিয়া খলিফা (Mia Khalifa)। ২০১৪ থেকে ২০১৫, নিয়ে ছবি দুনিয়াতে মাত্র কয়েক মাস কাজ করেই মিয়া খলিফা সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।

আন্তর্জাতিক মহলের বিখ্যাত পর্নস্টার মিয়া খলিফা ইদানিং আর অশ্লীল ছবিতে কাজ করেন না। বদলে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মারফত তার ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। নীল ছবিতে কাজ করা ৭ বছর আগে বন্ধ করে দিলেও তার জনপ্রিয়তা আজও অটুট রয়েছে। শোনা যায় পর্ন ইন্ডাস্ট্রি থেকে নাকি কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন মিয়া। সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি তার উপার্জনের কথা স্বীকারও করেন।
পর্ন ছবিতে কাজ করার দরুণ মিয়া খলিফার হাতে কত টাকা এসেছিল জানেন? একটি সাক্ষাৎকারে কোনও রাখঢাক না রেখেই তিনি টাকার অংকটা উল্লেখ করেন। এই সাক্ষাৎকারটি তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টেও শেয়ার করেছেন। সেখানেই তিনি বলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে তাকে নিয়ে অনেক খবর ভাইরাল হয়। এমনকি তার উপার্জন নিয়েও অনেক জল্পনা রয়েছে।
মিয়া বলেছেন মানুষ মনে করেন তিনি পর্ন ইন্ডাস্ট্রি থেকে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। কিন্তু আদতে তা সত্যি নয়। এই ইন্ডাস্ট্রিতে ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে তিনি মাত্র তিন মাস কাজ করেছিলেন। এই তিন মাসে তিনি ৯০ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন। তারপরই পর্ন ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেন মিয়া। অন্য পেশা বেছে নিতে চেয়েছিলেন তিনি।মিয়া খলিফা জানিয়েছেন পর্ন ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেওয়ার পর তাকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তিনি এরপর নতুন পেশা বেছে নিতে গিয়েও ভয়ংকর অভিজ্ঞতা সম্মুখীন হন। নীল ছবিতে কাজ বন্ধ করার পর আর একটি পয়সাও উপার্জন করতে পারেননি তিনি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন যখনই স্বাভাবিক চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করেছেন তখনই তাকে অনেক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে।তবে এরপরেও আর নীল ছবি দুনিয়াতে ফিরে আসেননি মিয়া। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন যে নীল ছবিতে আর কাজ করবেন না। এর পেছনে আরেকটা বড় কারণ ছিল আইসিসের তরফ থেকে ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল তাকে। হিজাব পরে পর্ন ছবিতে অভিনয় করার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো তার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
Mia Khalifa: মদ্যপানে অভ্যস্ত নন, ওয়াইনের জন্য ৩ হাজার ডলার খরচ মিয়া খলিফার! কেন জানেন?
তিন হাজার মার্কিন ডলার খরচ করে এক বোতল ওয়াইন কিনলেন মিয়া খলিফা। তাঁর কাণ্ড দেখে আঁতকে উঠেছিলেন বন্ধুবান্ধবরা। কারণ, খুব বেশি মদ্যপান করেন না মিয়া। স্বাভাবিকভাবেই ১৯৬৯ সালের লেবানিজ ওয়াইনটি খুব বেশি খাননি তিনি। তবে এই ওয়াইনটি তাঁর কাছে শুধুমাত্র বিলাস বা নেশার সামগ্রী নয়। বরং এই ওয়াইন কেনার পিছনে গভীর তাৎপর্য রয়েছে। Mia Khalifa-র জন্মস্থান লেবানন। সেইখানে যেতে পারেন না তিনি। কিন্তু, জন্মস্থানের ওয়াইন কেনার ক্ষেত্রে তো কেউ বাধা দিতে পারে না। সেই কারণেই ফাইন কোয়ালিটির ওই ওয়াইন কিনে ফেলেন তিনি। Wine Bottle-টির সঙ্গে ছবিও তোলেন হাসিমুখে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা পোস্ট করে লেখেন, “আমার বন্ধুরা আমাকে পাগল ভাবছিল। আমি সুরাসক্ত নই। তবু তিন হাজার মার্কিন ডলার (দু’ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪৫ টাকা) খরচ করে ওয়াইন কিনেছি। তবে এই ওয়াইন কিনে আমি Lebanon-এর ইতিহাসকে স্পর্শ করলাম।”
মিয়ার সংযোজন, “এই ওয়াইন আমার কাছে শুধুমাত্র মদ নয়। বরং সিভিল ওয়ার, বেইরুট বিস্ফোরণ. অর্থনীতির অবক্ষয়, বিমান হামলা, হৃদয় বিদীর্ণ হওয়া, অভিবাসন, রাজনৈতিক চাপানউতোর, আর্থ সামাজিক সমস্যা, বিদায় এবং সাহায্য প্রার্থনার অনেক আগে যে সুখী লেবাননের অস্তিত্ব ছিল, তা মনে করায় এই ওয়াইন।” তিনি আরও বলেন, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়ত এই হোয়াইট সামান্য গাঢ় এবং টক হয়েছে। অনেকটা এর উৎপত্তিস্থলের মতোই। তবে এই ওয়াইনের স্বাদ খুবই সুন্দর ছিল। চুমুক দেওয়ার পর মধু এবং মাখনের একটা স্বাদ আমার জিভে রয়ে গেল। সেটা দেখেই চমকে গিয়েছিলাম। হুইস্কির মতোই স্মুদ। অথচ এর মিষ্টতা দীর্ঘস্থায়ী। সেটাও এর উৎপত্তিস্থলের মতোই।”
সানি লিওন ও মিয়া খলিফার নামে চাপ! চেখে দেখবেন নাকি?
গরু, খাসি, মুরগি- জীবনে কত প্রাণীর মাংসের চাপই তো খেয়েছেন। এবার একটু সানি লিওন বা মিয়া খলিফা চাপ চেখে দেখবেন নাকি? এই চাপ খেতে হলে একটু কষ্ট আর পয়সা খরচ করে যেতে হবে দিল্লির ডিফেন্স কলোনিতে। সেখানকার ‘ভিরজি মালাই চাপওয়ালে’ নামে এক রেঁস্তোরাতেই পাওয়া যাবে সাবেক দুই পর্নস্টারের নামে চাপ।
দিল্লির ওই রেস্তোরাঁ খুব চড়া দামে সানি লিওন ও মিয়া খালিফার নামে চাপ বিক্রি করে। তার পরও এলাকার বাসিন্দারা খুব আগ্রহ নিয়ে খায় সেই চাপ। লোক আসে দূর-দুরান্ত থেকেও। তবে এই রেস্তোরাঁর সব পদই কিন্তু নিরামিষ! নাম শুনে আবার আমিষ ভেবে ভুল করবেন না। তাই দিল্লি গেলে একবার চেখে দেখতেই পারেন সানি লিওন ও মিয়া খলিফা চাপ।
এর বাইরে বলিউডের বেশ কয়েকজন তারকার নামেও ভারতে বিভিন্ন খাবার রয়েছে। এই যেমন নিজের প্রথম ওয়েব সিরিজ সুজয় ঘোষের ‘দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স’-এর শুটিং করতে সম্প্রতি দার্জিলিং সফরে এসেছিলেন অভিনেত্রী কারিনা কাপুর। সফরের শেষে তিনি নিজের ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছিলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো তিরামিসু খেয়েছেন দার্জিলিংয়েই।
তারপর রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যায় দার্জিলিংয়ের ‘নিনাজ কিচেন’ নামক দোকানটি। স্বয়ং কারিনা কাপুর তার দোকানের তিরামিসুর প্রশংসা করেছেন শুনে দোকানের মালিক সেই তিরামিসুর নামই বদলে ফেলেছেন। এখন সেই দোকানে গেলেই মিলবে ‘কারিনা’জ তিরামিসু’! দোকানের মালিক জানান, না পরিবর্তনের পরই তাদের দোকানের বিক্রি নাকি দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
এর আগে ‘দীপিকা পাড়ুকোন দোসাও’ নেটমাধ্যমে বেশ হৈচৈ ফেলেছিল। আমেরিকার টেক্সাসে এক রেস্তোরাঁ দীপিকার নামে দোসা বিক্রি করে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। অভিনেত্রীর স্বামী রণবীর সিং সে কথা নিজেই ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি মজার ছলে লিখেছিলেন, ‘ওই দোসা আমি খাব!’
এছাড়া মুম্বাইয়ের ‘নুর মোহাম্মাদি হোটেল’ নামে এক রেস্তোরাঁ নিজেদের এক চিকেন রেসিপির নাম দিয়েছেন সুপারস্টার অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের নামে। শোনা যায়, সঞ্জয় দত্ত নিজেই হোটেলের মালিককে চিকেনের এই বিশেষ রেসিপিটি দিয়েছিলেন। এখনও সেই হোটেলে ‘সঞ্জু বাবার চিকেন’ খেতে ভিড় করে সঞ্জয়ের ভক্তরা।

কিছু ভুলের ক্ষমা নেই, মা-বাবাও পরিত্যাগ করেছেন, নীল ছবি ছাড়ার পর বললেন মিয়া
একটি সাক্ষাৎকারে নিজের অভিজ্ঞতার কথা খোলসা করছেন প্রাক্তন পর্ন তারকা মিয়া খলিফা।
চোখে চশমা। মুখে যুবতীর সারল্য। আপাতদৃষ্টিতে সাদামাঠা দেখতে হলেও গোটা দুনিয়ায় তাঁর পরিচিতি নীল ছবির তারকা হিসাবেই। নীল ছবিতে কাজের জন্য মিয়া নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লেও, অনেকেই হয়ত জানেন না এই পেশা তিনি ছেড়েছেন বহু আগেই। মাত্র ৩ মাস নীল ছবিতর জগতে কাজ করেছেন মিয়া খলিফা। অল্প বয়েসে অনেক টাকা রোজগার, অজানা রঙিন জগতে হারিয়ে যাওয়ার হাতছানি থেকেই এই পেশায় আসেন তিনি। অথচ মোহভঙ্গ হয় মাত্র তিন মাসেই। সম্মান ও সময়ের বিনিময়ে সেভাবে টাকাও রোজগার করতে পারেননি মিয়া। সম্প্রতি সংবাদসংস্থা বিবিসি-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নিজের অভিজ্ঞতার কথা খোলসা করছেন প্রাক্তন পর্ন তারকা মিয়া খলিফা।

২০১৫ সালে তিন মাস কাজ করার পরেই এই পর্ন ছবির জগৎ থেকে বেরিয়ে এসেছেন। অথচ হারানো সম্মান আর ফিরে পাননি মিয়া। পর্ন জগতের নীল আলো থেকে বেরিয়ে আজও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি তিনি। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন তছনছ হয়ে গিয়েছে। “আজও রাস্তাঘাটে লোকজনের মাঝে নিজেকে নিয়ে ভীষণ হীনমন্যতায় ভুগি”, এমনটা বললেন আবেগপ্রবণ মিয়া।
মিয়ার কথায়, নীল ছবির জগত থেকে বের হওয়াটা সহজ নয় কখনওই। এই ইন্ডাস্ট্রিতে ঢোকার পর একের পর এক পাকচক্রে জড়িয়ে পড়েন অল্পবয়সী মেয়েরা। পর্ন ইন্ডাস্ট্রির ব্ল্যাক হোল টেনে নেয় অল্পবয়সী মেয়েদের। নারী পাচারকারীদের মাধ্যমেও কীভাবে ছোট ছোট মেয়েরা পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে বাধ্য হয়, সেই বিষয়েও জানিয়েছেন মিয়া। তিনি বললেন, “বহু মেয়ে অপরিণত মনে, ভুল সিদ্ধান্ত ও কিছু খারাপ মানুষের পাল্লায় পড়ে নিজের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমায় এ ধরনের অনেক মেয়েই মেইল করে সে কথা জানিয়েছে।”
মিয়ার কথায়, পর্ন ইন্ডাস্ট্রির আসল রূপ বুঝতে পেরেই কোনওমতে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। মিয়া জানান, তাঁর পর্ন ছবি করার কথা জানতে পেরেই তাঁকে ত্যাগ করেছেন মা-বাবা। সেই পর্ন ছেড়ে দেওয়ার পরেও আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। তবে, সময়ের সঙ্গে ক্ষত কমতে থাকে। তাই আজও আশার আলো মিয়ার চোখে। নীল ছবির জগত থেকে বেরিয়ে মিয়া এখন আইনসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করেন। হিসাবরক্ষকের কাজ করেন তিনি। মিয়া বললেন, “কিছু ভুলের ক্ষমা হয় না, কিন্তু সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতি বদলাবে, সেই আশা রাখি।
হানিমুনে গিয়ে মিয়া খলিফাকে চিনে ফেললেন স্বামী, রেগে আগুন স্ত্রী, তারপর
তারকাদের সঙ্গে আচমকা দেখা হয়ে গেলে কার না ভাল লাগে। তার পর সে যদি পছন্দের কেউ হন। তবে বিপদও যে একেবারে ঘটে না, তা নয়। বিশেষত সেই তারকা যদি পর্নতারকা হয়। আর সেটা যদি হয় আপনার স্বপ্নের হানিমুন। তখন অঘটন ঘটে বৈকি। আর সেই অঘটনের কড়া মাশুলও গুনতে হয়। সম্প্রতি তেমনই ঝামেলায় পড়লেন এক সদ্য় বিবাহিত ব্যক্তি। কী হল তাঁর সঙ্গে শেষমেশ? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
মধুচন্দ্রিমা নিয়ে কমবেশি সমস্ত সদ্যবিবাহিতরই নানাবিধ স্বপ্ন এবং প্রত্যাশা থাকে। তেমনটাই ছিল এই দম্পতিরও। বিয়ের অনুষ্ঠানের হাজারটা ঝঞ্ঝাট পেরিয়ে অবশেষে পূরণ হয় সেই স্বপ্ন। স্বপ্ননগরী প্যারিসে হানিমুন করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে যে হোটেলে তাঁরা ছিলেন, সেখানেই ঘটে যায় অঘটনটা। দেখা হয়ে যায় প্রিয় তারকার সঙ্গে।
তা প্রিয় তারকার সঙ্গে আচমকা দেখা হয়ে গেলে তো সাধারণত খুশিই হয় লোকজন। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যাপারটা তেমন হয়নি। কারণ এই তারকা যে সে তারকা নয়। তিনি বিখ্যাত পর্নস্টার মিয়া খালিফা। যাকে একবার দেখেই চিনে ফেলেছিলেন লায়া মারিয়েলা নামে ওই মহিলার স্বামী।
আরও শুনুন: মিয়া খলিফার পরিচয় এবং পর্ণ দুনিয়ার জীবনী | Mia Khalifa Biography
মিয়াকে দেখে রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে পড়েন ব্যক্তি। বন্ধুদের ফোন করে করে সেই গল্পও বলতে শুরু করেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাপারটিকে খুব একটা ভাল ভাবে নেননি লায়া। লায়া আবার নিজে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। ফলে এত বড় ঘটনা তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিতে ছাড়েননি। ঘটনার একটি ভিডিও তিনি আপলোড করেন টিকটকে। আর রাতারাতি ভাইরালও হয়ে যায় সেটি।
কী ভাবছেন? এখানেই গল্প শেষ! মোটেও না। প্রাক্তন পর্নস্টারকে নিয়ে স্বামীর এই উত্তেজনায় যারপরনাই বিরক্ত হয়েছিলেন লায়া। তার উপরে স্বামী যে ভাবে লাগাতার বন্ধুদের ফোন করে করে ঘটনার বিবরণ দিচ্ছিলেন, তা তো ধৈর্যের সমস্ত সীমাই ভেঙে দিয়েছিল লায়ার। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়া ততক্ষণে ভরে উঠেছে নানাবিধ প্রতিক্রিয়ায়। এমনকী সেখানে কমেন্ট করেন খোদ মিয়া খলিফা। জানান, শুধু লায়াই নন, এমন ঘটনার ভুক্তভোগী মিয়া নিজেও। তাঁর সঙ্গীও দিনরাত ফোন নিয়েই পড়ে থাকেন। তাই তাঁদেরকে ছেড়ে একদিন একসঙ্গে কেনাকাটা করতে যাওয়ারও প্রস্তাব রাখেন মিয়া। কম যান না লায়াও! তিনিও রাতারাতি কমেন্ট করে মিয়ার সঙ্গে দেখা করার পাল্টা প্রস্তাব ছুঁড়ে দেন।
আরও শুনুন:

শেষমেশ কি দেখা হল তারকার সঙ্গে ওই টিকটক স্টারের। সোশ্যাল মিডিয়ার পরবর্তী পোস্ট থেকে তো অন্তত তা-ই জানা গেল। শুধু তাই নয়। প্রাক্তন পর্নস্টারকে চিনে ফেলার যে এত বড় মাশুল দিতে হবে ওই ব্যক্তিকে, তা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি। কারণ সেই ভুলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে স্ত্রীকে একটি বহুমূল্য ব্যাগ কিনে দিতে হয়েছে তাঁকে। না, যে সে ব্যাগ নয়। স্বামীর কাছ থেকে একটি ‘বিরকিন’ ব্যাগ আদায় করে ছেড়েছেন লায়া। যে ব্যাগের দামই শুরু হয় কম সে কম ৫ লক্ষ টাকা থেকে। সেই ব্যাগের ছবিটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন লায়া। এখানেই শেষ নয়। সেই ব্যাগ হাতে খোদ মিয়া খলিফার সঙ্গে পোজও দিয়েছেন তিনি। আর সে সময় ক্যামেরার পিছনে কে ছিলেন, তা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না? ঠিকই ধরেছেন। সেই ছবি তুলতে হয়েছে লায়ার স্বামীকেই। এমনকী সেসময়েও তাঁকে নিয়ে নিন্দামন্দ করতে ছাড়েননি লায়া। আর সে সমস্ত কিছুই মুখ বুজে সহ্য করতে হয় তাঁকে।
আরও শুনুন: শুধু নাক-মুখ নয়, পায়ুপথেও সম্ভব শ্বাসক্রিয়া, চমকপ্রদ আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের
কৈশোরে ‘নীল ছবি’-র নেশা তো অনেককেই অধঃপতনে টেনে নিয়ে যায়। তবে সেই অভ্যাস যে পরবর্তী জীবনে এসে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এত বড় ধাক্কা দিতে পারে, তা বোধহয় আন্দাজ করতে পারেননি ওই ব্যক্তি। পর্ন-তারকাকে চিনে ফেলার মাশুল এভাবে গুনতে হবে জানলে তিনি হয়তো প্যারিসে আসতেনই না হানিমুনে। তবে ওই যে ভাগ্যের লিখন বলে কথা, কে খণ্ডাতে পারে বলুন!
হিজাব পরে যৌনদৃশ্যে অভিনয়, বিতর্কের অন্য নাম মিয়া খলিফা!
পর্ন ফিল্মে অভিনয়ের মেয়াদ মাত্র তিন মাস। তবে ওই ক’মাসেই যাবতীয় খ্যাতি বা কুখ্যাতি লুটে নিয়েছেন মিয়া খলিফা। আজও তার রেশ ফুরোয়নি।
বছর সাতেক আগে নীল ছবির দুনিয়াকে বিদায় জানিয়েছেন মিয়া। তবে নেটমাধ্যমে মিয়ার খোঁজ চলে আজও। তিনি আজকাল কী করেন? কার সঙ্গে থাকেন? বিয়ে করেছেন কি? মিয়াকে নিয়ে কৌতূহল কম নয়।
Mia Khalifa Biography,Mia Khalifa Age, Height, Weight, Husband, Family
এককালে লেবাননের বাসিন্দা মিয়ার অন্য নাম যেন বিতর্ক! তথাকথিত রক্ষণশীল সমাজ থেকে আমেরিকায় নীল ছবির দুনিয়ার পা রাখা, হিজাব পরে যৌনদৃশ্যে অভিনয়, হলিউডের বিরুদ্ধে তোপ দাগা অথবা সুদূর ভারতের কৃষক আন্দোলনের পক্ষে মুখ খোলা কিংবা তা নিয়ে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাসকে কটাক্ষ করা— কম বিতর্কে জড়াননি মিয়া।
সম্প্রতি ফের শিরোনামে মিয়া। গত মাসের শেষে হঠাৎই তার ফেসবুক প্রোফাইলটি মেমোরিয়াল পেজে বদলে গিয়েছিল। ওই ভেরিফায়েড পেজের যাবতীয় ছবি এবং কনটেন্টও এলোমেলো দেখাতে থাকে। সেই সঙ্গে একটি বার্তাও নজরে আসে ফেসবুকে তাঁর প্রায় ৪২ লক্ষ ভক্তের একাংশের। ‘মিয়া খলিফাকে স্মরণ করি। আশা করি যে মিয়া খলিফার অনুরাগীরা নিজেদের প্রোফাইলে ঢোকার সময় তাঁকে স্মরণ করে জীবনকে উদ্যাপন করবেন’। তার পর থেকেই তুমুল জল্পনা, মিয়া কি প্রয়াত?
মিয়ার মৃত্যুর জল্পনায় ভাইরাল হয়েছিল ওই বার্তা। অবশেষে তা নাকি নস্যাৎ করে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন পর্ন তারকা। তার টুইটে ‘মন্টি পাইথন অ্যান্ড দ্য হোলি গ্রেইল’ নামে একটি জনপ্রিয় ফিল্মে র দৃশ্যের পাশে দু’টি লাইন ভেসে ছিল। ওই মিম-এ স্পষ্ট লেখা, ‘আমি এখনও মরিনি। বেশ ভাল রয়েছি।’ ভক্তেরাও স্বস্তি পেয়েছেন— কম কথায় অনেক কিছুই বলেছেন মিয়া।
১৯৯৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি লেবানিজ-ক্যাথলিক পরিবারে জন্ম মিয়ার। ক্যালিস্টা পদবি বদল করেছে হয়েছেন খলিফা। স্কুলজীবন থেকেই বিতর্ক তাড়া করেছে মিয়াকে।
যুদ্ধদীর্ণ লেবানন ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন মাত্র সাত বছর বয়সে। সপরিবার আমেরিকার এসেও অন্য যন্ত্রণা! ‘অদ্ভুত’ বলে কটূক্তি করেছে স্কুলের বড়রা। গায়ের রং নিয়েও খোঁচা দিয়েছে। ৯/১১-র হামলার পর তা আরও বেড়েছিল বলে দাবি।

এক সময় স্কুলের পাঠ চুকিয়ে এল পাসোর টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস নিয়ে স্নাতক হলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার সময় থেকেই বারটেন্ডার এবং মডেলিং করে রোজগার শুরু। সে সময়ই প্রায় পাঁচ বছর উৎকণ্ঠাজনিত সমস্যায় ভুগেছেন। বেশি ঘাম হত বলে বোটক্স ইঞ্জেকশনও নিতে হয়েছিল।
পার্টটইম কাজের সময়ই পর্ন ফিল্মে অভিনয়ের প্রস্তাব পান মিয়া। সঙ্গে সঙ্গে রাজি। সেটি ২০১৪ সালের অক্টোবর। গোড়ায় এ বিষয়ে জানতেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তবে এক বার মেয়ের কাজ সম্পর্কে জানার পর মিয়ার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় পরিবার।
একটি ওয়েবসাইটের হয়ে পর্ন ছবিতে কাজ করার সময় রাতারাতি জনপ্রিয়তার শিখরে মিয়া। হিজাব পরে যৌনদৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সে নিয়ে আরব দেশগুলিতে নিন্দা এবং বিতর্কের ঝড়ও ওঠে। বিষয়টি যে ইসলামি সমাজের পরিপন্থী, তা দাবি করে সরব হন অনেকে। তবে মিয়ার দৌলতে ওই ওয়েবসাইটের দর্শকসংখ্যা একলাফে বেড়ে যায়। ২২ বছরের মিয়া তখন পর্ন দুনিয়ার অন্যতম তারকা। হঠাৎ করে গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে মিয়ার খোঁজ শুরু করেন অনেকে।
পর্ন দুনিয়ায় খ্যাতির মূল্যও চোকাতে হয়েছিল মিয়াকে। তার দাবি, খুনের হুমকি দিতে শুরু করে আইএস জঙ্গিরা। অনলাইনে তার ছবি বিকৃত করে তার বদলে ধড়হীন দেহ পোস্ট করা হয়।
বিতর্কের ঝড়ে মুখ খোলেন মিয়া। বলে বসেন, ‘‘সুদূরে প্রান্তে বসেও এক জন লেবানিজ-আমেরিকান পর্ন তারকা যদি ওই সমাজে ঝড় তুলতে পারেন, তবে লেবাননে নারীদের কতটা অধিকার রয়েছে, বুঝুন! লেবাননকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে পশ্চিমী সভ্যতাঘেঁষা দেশ বলতাম। তবে এখন দেখছি তা অত্যন্ত রক্ষণক্ষীল।’’
মিয়ার ট্যাটু নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। নিজের দেহে লেবাননের জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম লাইনটি ট্যাটু করিয়েছেন তিনি। আর একটি ট্যাটুতে রয়েছে লেবাননের সেনা (এলএফ)-র ক্রস চিহ্ন। তবে তা নিয়েও লেবাননের একনায়কদের রোষানলে পড়েছিলেন মিয়া।
নীল ছবির দুনিয়া ছাড়ার পর ধারাভাষ্যকার হিসাবে কাজ করেছেন মিয়া। নেটমাধ্যমেও সক্রিয়। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফের বিতর্কে জড়ান তিনি। তিন বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থনে টুইট করেছিলেন তিনি। তবে আন্দোলন নিয়ে প্রিয়ঙ্কা কেন নিঃশ্চুপ, সে প্রশ্নও করে বসেন। এর পরেই তোপের মুখে পড়েন মিয়া। অনেকেই জানান, ২০২০ সালের ডিসেম্বরেই আন্দোলনকারীদের সমর্থনে করা দিলজিৎ দোসাঞ্জের টুইট শেয়ার করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা।
সুত্র-আনন্দবাজারপত্রিকা