নারী পুরুষ উভয়েই ব্রণের সমসায় আক্রান্ত হন। এই সমস্যা খুব বড় একটি সমস্যা, কারণ একবার ব্রণ ওঠা শুরু হলে তা থামানো এবং একেবারে নির্মূল করা খুব কষ্টকর। ব্রণ উঠলে ত্বক দেখতে খুব বিশ্রী দেখায়, তার ওপর ব্রণের হালকা ব্যথা তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে ব্রণ আসলেই একটি যন্ত্রণার নাম।
তবে খুব বেশি চিন্তা করার কিছু নেই। কারণ এই যন্ত্রণাটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা এবং নির্মূল করার পদ্ধতিও রয়েছে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও আয়ুর্বেদিক উপায়ে রেহাই পেতে পারেন এই ব্রণের সমস্যা থেকে।
ব্রণ নির্মূলে বেকিং সোডা
ব্রণ নির্মূলের সব চাইতে ভালো প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে বেকিং সোডার ব্যবহার। এর পাশাপাশি এটি ব্ল্যাকহেড এবং হোয়াইটহেডসও দূর করে।
১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও ২ টেবিল চামচ গরম পানি ভালো করে মিশিয়ে নিন। এতে ১ চা চামচ মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর ত্বক ভালো করে ধুয়ে মুছে নিয়ে ত্বকে লাগান তেল ছাড়া ময়েসচারাইজার। ব্রণের সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন ব্যবহার করুন এই মাস্কটি।
ধনিয়া পাতা বা পুদিনা পাতার ব্যবহার
ধনিয়া পাতা এবং পুদিনা পাতার রয়েছে ব্রণ দূর করার জাদুকরী ক্ষমতা। এগুলো অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, সেকারণে ধনিয়া ও পুদিনা পাতার রস ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।
ধনিয়া পাতা বা পুদিনা পাতা খুব ভালো করে চিপে রস বের করেন নিন। ১ টেবিল চামচ রসে ২ চিমটি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন ভালো করে। এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ঘুমুতে যান। সকালে উঠে খুব ভালো করে ত্বক ধুয়ে নেবেন। নিয়মিত ব্যবহারে দ্রুত ফলাফল পাবেন।
মধু ও দারুচিনির ব্যবহার
মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে অনেক আগে থেকেই পরিচিত এবং দারুচিনিও ব্রণের ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে বেশ সহায়তা করে।
দারুচিনি গুঁড়োর সাথে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে একটি পেস্টের মতো তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি শুধুমাত্র ব্রণের ওপরে লাগিয়ে ঘুমুতে যান। সকালের উঠে দেখবেন ব্রণের আকার ও লালচে ভাব অনেক কমে গিয়েছে এবং সাধারনের তুলনায় দ্রুত নির্মূল হবে। সব চাইতে ভালো কথা হচ্ছে এতে করে পুনরায় ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
লেবুর রস ও লবনের ব্যবহার
লেবুর মধ্যে রয়েছে অ্যাসিটিক এসিড যা ব্রণ উৎপন্নকারী ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে সহায়তা করে। এতে করে ব্রণ ওঠার ঝামেলা দূর হয় চিরতরে।
২ চা চামচ লেবুর রসের সাথে অর্ধেক চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আঙুলের ডগায় নিয়ে ব্রণ এবং ব্রণের আশেপাশে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আলতো ঘষে লাগান। ২০-৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি রাতে ব্যবহার করা ভালো। কারণ লেবুর রস সূর্যের আলোর সাথে বিক্রিয়া করে ব্লিচ করে।
প্রাকৃতিকভাবেই হয়তো আপনার ত্বক সুস্থ ও স্বাভাবিক। হঠাৎ একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, মুখে ছোট একটা দাগ। সাধারণত রোদে পুড়ে গেলে বা নিজের অজান্তে ছোট ছোট র্যাশে নখ লাগানোর কারণে মুখে এমন দাগ দেখা যায়। ধীরে ধীরে তা মিলিয়েও যায় বটে। কিন্তু সে সময় যদি কোনো অনুষ্ঠানে যেতে হয়, তখন তো একটু ভাবনায় পড়তেই হয়। হারমোনি স্পার আয়ুর্বেদিক রূপ-বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা জানালেন, ঘরে থাকা জিনিসের ব্যবহারে পাঁচ দিনেই এ ধরনের দাগ দূর করা যায়। কীভাবে? চলুন, দেখে নিই সে উপায়:
১. এক চা-চামচ কমলার খোসার মিশ্রণের সঙ্গে আধা চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার দাগের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। টানা চার থেকে পাঁচ দিন এই মিশ্রণটি লাগালে দূর হবে ত্বকের দাগ।
২. আধা চা-চামচ মসুর ডালের বেসনের সঙ্গে ডিমের কুসুম ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। পুরো মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। এতে মুখের ছোপ ছোপ দাগ দূর হবে।
৩. ডাবের পানি ফ্রিজে রেখে বরফ করে নিন। এবার ঘুমানোর আগে দাগের ওপর সেই বরফের টুকরো ঘষে নিন।
৪. পাকা পেঁপে ত্বকের দাগ দূর করতে বেশ কার্যকর। এর সঙ্গে দুধ ও মধু মিশিয়ে নিন।
৫. পুদিনাপাতার পেস্ট দাগের ওপর লাগিয়ে রাখলে দ্রুত তা দূর হবে।
Read More:‘উদাল’ গাছের উপকারিতা | শারীরিক ক্ষমতা বাড়ায় মহাবিপন্ন ‘উদাল’
মুখের কালো দাগ কেন হয়, মুখের বিচি কমানোর উপায়, ছেলেদের মুখের কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার ক্রিম, মুখের ব্রণ দূর করার ক্রিম, দ্রুত ব্রণের দাগ দূর করার উপায়, মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার ক্রিম, মেয়েদের ব্রণের দাগ দূর করার ক্রিম, মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার সহজ উপায়