সন্ধি কাকে বলে ? কয় প্রকার ও কি কি?সন্ধি কাকে বলে ? কয় প্রকার ও কি কি? সন্ধি কি? কত প্রকার ও কিকি?

#সন্ধিকি? কত প্রকার ও কিকি? #সন্ধিরগঠনেরনিয়ম এবং বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা #সন্ধিবিচ্ছেদ বিস্তারিত জেনে নিন।

#সন্ধি বাংলা ব্যাকরণে শব্দগঠনের একটি মাধ্যম। এর অর্থ মিলন। অর্থাত্‍ দুটি শব্দ মিলিয়ে একটি শব্দে পরিণত হওয়াকে বা পরস্পর সন্নিহিত দু’ বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে। সন্ধি তিন প্রকার; যথাঃ ১)স্বরসন্ধি, ২)ব্যঞ্জন সন্ধি এবং ‪৩)বিসর্গ সন্ধি। সন্ধি ব্যাকরণের ধ্বনিতত্ব অংশে আলোচিত হয়। ধ্বনিগত মাধুর্য এবং স্বাভাবিক উচ্চারণে সহজপ্রবণতা সন্ধির উদ্দেশ্য।সন্ধি নতুন শব্দ তৈরির একটি কৌশল। সন্ধির দ্বারা দুটি শব্দকে মিলিয়ে একটি নতুন শব্দ তৈরির করা হয় ।যেমন-‘দেব’- শব্দ এর অর্থ দেবতা,আর ‘আলয়’ শব্দের অর্থ গৃহ।এই দুটি শব্দ মিলে তৈরী হয় ‘দেবালয়’। যার অর্থ ‘দেবতা’ বা ‘গৃহ’ নয়,দেবতার একটি অন্যতম থাকার জায়গা বা গৃহ ‘মন্দির’।নতুন শব্দ তৈরিতে সন্ধির অবদান অনস্বীকার্য ।

সন্ধি শব্দটির বিশ্লেষিত রূপ সম+√ধি+ই। অর্থাত্‍ সমদিকে ধাবিত হওয়া বা মিলিত হওয়া। বাংলা ব্যাকরণমতে দুটি শব্দের মধ্যে প্রথম শব্দের শেষ অক্ষর এবং দ্বিতীয় শব্দের প্রথম অক্ষর যদি একইভাবে উচ্চারিত হয় বা তাদের উচ্চারণ প্রায় কাছাকাছি হয় তবে অক্ষরদ্বয় পরস্পর সংযুক্ত হওয়া অর্থাত্‍ শব্দ দুটি মিলিত হয়ে এক শব্দে পরিণত হওয়াকে সন্ধি বলে। এক কথায়,সন্নিহিত দুটি বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে যেমনঃবিদ্যা+আলয়=বিদ্যালয় এখানে বিদ্যা ও আলয় শব্দদ্বয় মিলিত হয়ে বিদ্যালয় শব্দটি গঠন করেছে।

সন্ধির উদ্দ্যেশ্যঃ

বাক্যকে সুন্দর,প্রাঞ্জল ও সহজবোধ্য করা।

নতুন শব্দ তৈরী করা।

শব্দকে সংক্ষেপ করা।

বাক্যকে সংক্ষিপ্ত করা।

উচ্চারণে স্বাচ্ছন্দ্য আসে।

ধ্বনিগত মাধুর্য রক্ষা করা।

প্রকারভেদ

সন্ধি প্রধানত দুই প্রকার। যথা:

১) বাংলাসন্ধি

এবং

২) তৎসমসন্ধি

বাংলা সন্ধি ২ প্রকার।যথা:

১) স্বরসন্ধি

১) ব্যঞ্জনসন্ধি

তৎসম সন্ধি আবার তিন প্রকার।যথা:

১) স্বরসন্ধি

২) ব্যঞ্জনসন্ধি

৩) বিসর্গসন্ধি

উল্লেখ্য বাংলাসন্ধিতে কখনো বির্সগ সন্ধি হয় না।

স্বরসন্ধি

স্বরধ্বনির সাথে স্বরধ্বনির যে সন্ধি হয় তাকে স্বরসন্ধি বলে।

যেমন, সিংহাসন = সিংহ + আসন

সিংহ = স্‌+ই+ং+হ্‌+অ ; আসন = আ+স্‌+অ+ন্‌+অ

বিদ্যালয় = বিদ্যা + আলয়

হিমালয় = হিম + আলয়,

দেখা যাচ্ছে ‘অ’ এবং ‘আ’ মিলে স্বরসন্ধিতে ‘আ’ হয়।

স্বরসন্ধির সুত্র

১. অ/আ + অ/আ = আ

উদাহরণ: সিংহাসন = সিংহ + আসন (স্‌+ই+ং+হ্‌+অ + আ+স্‌+অ+ন্‌+অ = স্‌+ই+ং+হ্‌+আ+স্‌+অ+ন্‌+অ = সিংহাসন)

২. ই/ঈ + ই/ঈ = ঈ

উদাহরণ: সতীশ = সতী + ঈশ (স্‌+অ+ত্‌+ঈ + ঈ+শ্‌+অ = স্‌+অ+ত্‌+ঈ+শ্‌+অ = সতীশ)

৩. উ/ঊ + উ/ঊ = ঊ

উদাহরণ: বধূৎসব = বধূ + উৎসব (ব্‌+অ+ধ্‌+ঊ + উ+ত্‌+স্‌+অ+ব্‌+অ = ব্‌+অ+ধ্‌+ঊ+ত্‌+স্‌+অ+ব্‌+অ = বধূৎসব)

৪. অ/আ + ই/ঈ = এ

উদাহরণ: মহেশ = মহা + ঈশ (ম্‌+অ+হ্‌+আ + ঈ+শ্‌+অ = ম্‌+অ+হ্‌+এ+শ্‌+অ = মহেশ)

৫. অ/আ + উ/ঊ = ও

উদাহরণ: বঙ্গোপসাগর = বঙ্গ + উপসাগর (ব্‌+অ+ঙ্‌+গ্‌+অ + উ+প্‌+অ+স্‌+আ+গ্‌+অ+র্‌+অ = ব্‌+অ+ঙ্‌+গ্‌+ও+প্‌+অ+স্‌+আ+গ্‌+অ+র্‌+অ = বঙ্গোপসাগর)

৬. অ/আ + ঋ = অর্‌

উদাহরণ: সপ্তর্ষি = সপ্ত + ঋষি (স্‌+অ+প্‌+ত্‌+অ + ঋ+ষ্‌+ই = স্‌+অ+প্‌+ত্‌+অ+র্‌+ষ্‌+ই = সপ্তর্ষি)

৭. অ/আ + এ/ঐ = ঐ

উদাহরণ: জনৈক = জন + এক

৮. অ/আ + ও/ঔ = ঔ

উদাহরণ: পরমৌষধ = পরম + ঔষধ

৯. ই/ঈ + ই/ঈ ছাড়া অন্য স্বরবর্ণ = ্য‍্

উদাহরণ: ন্যূন = নি + ঊন

১০. উ/ঊ + উ/ঊ ছাড়া অন্য স্বরবর্ণ = ্ব

উদাহরণ: অনু + অয় = অন্বয়

১১. ঋ + ঋ ছাড়া অন্য স্বরবর্ণ = ্র্

উদাহরণ: পিত্রালয় = পিতৃ + আলয়

১২. এ + অন্য স্বরবর্ণ = অয়্‌

উদাহরণ: নয়ন = নে + অন

১৩. ঐ + অন্য স্বরবর্ণ = আয়্‌

উদাহরণ: গায়ক = গৈ + অক

১৪. ও + অন্য স্বরবর্ণ = অব্‌

উদাহরণ: গবেষণা = গো + এষণা

১৫. ঔ + অন্য স্বরবর্ণ = আব্‌

উদাহরণ: নাবিক = নৌ + ইক

ব্যঞ্জনসন্ধি

স্বরে আর ব্যঞ্জনে অথবা ব্যঞ্জনে ও ব্যঞ্জনে অথবা ব্যঞ্জনে ও স্বরে যে সন্ধি হয় তাকে ব্যঞ্জন সন্ধি বলে। ব্যঞ্জনসন্ধি মূলত কথ্য রীতিতে সীমাবদ্ধ। প্রকৃত বাংলা ব্যঞ্জন সন্ধি মূলত সমীভবন এর নিয়মে হয়ে থাকে। ব্যঞ্জন সন্ধিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

যেমন, বিপজ্জনক = বিপদ + জনক

বিপদ = ব্‌+ই+প্‌+অ+দ্‌+অ ; জনক = জ্‌+অ+ন্‌+অ+ক্‌+অ

এখানে ‘অ’ এবং ‘জ’ মিলে ‘জ্জ’ হচ্ছে।

ব্যঞ্জনসন্ধির সূত্র

১. বর্গের প্রথম বর্ণ (ক, চ, ট, ত/ৎ, প) + স্বরবর্ণ = বর্গের তৃতীয় বর্ণ (গ, জ, ড/ড়, দ, ব)

ষড়ঋতু = ষট্‌ + ঋতু

২. বর্গের প্রথম বর্ণ + বর্গের পঞ্চম বর্ণ = বর্গের প্রথম বর্ণ বদলে সেই বর্গেরই পঞ্চম বর্ণ হয়

মৃন্ময় = মৃৎ + ময়

৩. ত/দ + জ/ঝ = জ্জ/জ্ঝ

বিপজ্জনক = বিপদ + জনক

৪. ত/দ + চ/ছ = চ্চ/চ্ছ

উচ্ছেদ = উৎ + ছেদ

৫. ত/দ + ল = ল্ল

তল্লিখিত = তদ্‌ + লিখিত

৬. ম + স্পর্শবর্ণ (ক-ম) = ম বদলে ং হয়, অথবা যেই বর্গের স্পর্শবর্ণ সেই বর্গেরই পঞ্চম বর্ণ হয়

সংগীত/সঙ্গীত = সম্‌ + গীত

৭. ম + অন্তঃস্থ বর্ণ (য, র, ল, ব)/ উষ্মবর্ণ (শ, ষ, স, হ) = ম বদলে ং হয়

বশংবদ = বশম্‌ + বদ

৮. স্বরবর্ণ + ছ = চ্ছ

পরিচ্ছেদ = পরি + ছেদ

৯. ত/দ + হ = দ্ধ

উদ্ধত = উৎ + হত

১০. ত-বর্গীয় বর্ণ (ত, থ, দ, ধ) + শ = চ্ছ

উচ্ছ্বাস = উৎ + শ্বাস

১১. শ/ষ + ত = ষ্ট

দৃষ্টি = দৃশ্‌ + তি

১২. শ/ষ + থ = ষ্ঠ

ষষ্ঠ = ষষ + থ

বিসর্গসন্ধি

বিসর্গসন্ধি ব্যঞ্জন সন্ধির অন্তর্গত। বিসর্গ সন্ধির প্রকারভেদগুলো হচ্ছেঃ র জাত বিসর্গ এবং স জাত বিসর্গ। বিসর্গসন্ধি র্ ও স্ এর সংক্ষিপ্ত রূপ।

যেমন, আশীর্বাদ = আশীঃ + বাদ

আশীঃ = আ+শ্‌+ঈ+ঃ ; বাদ = ব্‌+আ+দ্‌+অ

এখানে ‘ঃ’ এবং ‘ব’ মিলে ‘র্‌’ হচ্ছে।

নিপাতনে সিদ্ধসন্ধি

যেসব সন্ধির নিদিষ্ট কোন নিয়ম নেই তাদেরকে নিপাতনে সিদ্ধসন্ধি বলে

যেমন, পরস্পর = পর + পর।

Read More: Narration কাকে বলে ? Narration বলতে কি বুঝায় ? Narration কত প্রকার ও কি কি ?

বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর

১. পাশাপাশি দুটি বর্ণ বা ধ্বনির মিলনকে কি বলে? (আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধীন সহকারী আবহাওয়াবিদঃ৯৫)

– সন্ধি।

২. সন্ধির প্রধান সুবিধা কি? (১৮তম বিসিএস/সহকারী পরিসংখ্যান কর্মকর্তাঃ ৯৮)

– উচ্চারনের সুবিধা।

৩. সন্ধির উদ্দেশ্য কোনটি? (তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে তথ্য অফিসারঃ০৫)

– ধ্বনিগত মাধুর্য সৃষ্টি।

৪. কোন বাংলা পদের সাথে সন্ধি হয় না? (স ও জ গণপুর্ত অধিদপ্তরে উপসহকারী প্রকৌশলী, সিভিলঃ০১)

– অব্যয়।

স্বরসন্ধি

স্বরসন্ধি কাকে বলে?

– স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনি মিলে যে সন্ধি হয় তাকে স্বরসন্ধি বলে।

উদাহরণঃ রত্ন +আকর = রত্নাকর

পরি + আলোচনা= পর্যালোচনা

১. ‘স্বাগত’ এর সন্ধিবিচ্ছেদ কি?

– সু+আগত= স্বাগত।

২. ‘পাগলামী’ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ করলে পাওয়া যায়-

– পাগল+আমি=পাগলামী।

৩. ‘পরীক্ষা’ সন্ধিবিচ্ছেদ কি হবে?

– পরি+ঈক্ষা=পরীক্ষা।

৪. ’বহ্ন্যুৎসব’ শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ করলে পাই–

– বহ্নি+উৎসব=বহ্ন্যুৎসব।

৫. ‘জনৈক’ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ-

– জন+এক=জনৈক।

৬. ‘দৈনিক’ শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?

– দিন + এক=দৈনিক

৭. ‘রবীন্দ্র’ এর সন্ধি বিচ্ছিদ-

– রবি+ইন্দ্র=রবীন্দ্র।

৮. ‘পিত্রালয়’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ হচ্ছে-

– পিতৃ+আলয়=পিত্রালয়।

৯. ’ক্ষুধার্ত’ এর সন্ধি বিচ্ছেদ-

– ক্ষুধা+ঋত

১০. ‘জলৌকা’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

– জল+ওকা=জলৌকা

১১. ’লবণ’ এর সন্ধিবিচ্ছেদ কি?

– লো+অন=লবণ

১২. ‘নাবিক’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ-

– নৌ+ইক=নাবিক

১৩. ‘নায়ক’ শব্দের সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ-

– নৈ+অক=নায়ক

১৪. ‘ব্যর্থ’ শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ হলো-

– বি+অর্থ=ব্যর্থ

ব্যঞ্জন সন্ধি

ব্যঞ্জন সন্ধি কাকে বলে?

– স্বরে-ব্যঞ্জনে, ব্যঞ্জনে-স্বরে ও ব্যঞ্জনে-ব্যঞ্জনে যে সন্ধি হয় তাকে ব্যঞ্জন সন্ধি বলে।

ব্যঞ্জনধ্বনি+স্বরধ্বনি

স্বরধ্বনি+ব্যঞ্জনধ্বনি

ব্যঞ্জনধ্বনি+ব্যঞ্জনধ্বনি

উদাহরনঃ চলৎ+চিত্র=চলচ্চিত্র।

বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর

১. ‘বাগাড়ম্বর’ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ- [৩০তম বিসিএস]

– বাক্+আড়ম্বর

২. ‘ষড়ঋতু’ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ- (১৭তম বিসিএস/পাসপোর্ট এন্ড ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরে সহকারী পরিচালকঃ ০৩)

– ষট্+ঋতু

৩. ‘বৃষ্টি’ এর সন্ধি বিচ্ছেদ কি হবে? [তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সহকারী পরিচালক গ্রেড-২:০৩]

– বৃষ্+তি

৪. ‘চলচ্চিত্র’-এর সন্ধি বিচ্ছেদ- [পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ডাটা প্রসেসিং অপারেটরঃ ০২]

– চলৎ+চিত্র

৫. ‘পদ্ধতি’ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ করলে পাওয়া যায়- [পিএসসি কর্তৃক নির্ধারিত ১২টি পদঃ০১]

– পদ্+হতি

৬. ‘উল্লাস’ এর সন্ধিবিচ্ছেদ- [প্রাথমি বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকঃ১০]

-উৎ+লাস

৭. ’উন্নত’ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ হচ্ছে- [প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক (বরিশাল বিভাগ): ০৯]

– উৎ+নীত

৮. ‘দ্যুলোক’ শব্দের যথার্থ সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি? [১৫তম বিসিএস]

– দিব্+লোক

৯. ‘দোলনা’ শব্দের সঠিক প্রকৃতি প্রত্যয় কোনটি? (১৮তম বিসিএস)

– দুল্+না

১০. ‘নিরবধি’ শব্দটির সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি? (মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে সহকারী পরিচালকঃ৯৯)

– নির+অবধি

১১. কোনটি ’নিরাময়’ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ? (প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক, ঢাকা বিভাগঃ০২)

– নির+আময়

১২.’সংবাদ’ এর সন্ধিবিচ্ছেদ কি? [গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক (টিভি প্রশিক্ষণ):০৩/গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের থানা প্রকৌশলীঃ ৯৯]

– সম+বাদ

১৩. ‘সংসার’ এর সন্ধিবিচ্ছেদ- (পরিসংখ্যান ব্যুরোর কম্পিউটার কর্মকর্তাঃ৯৫)

– সম+সার

১৪. ‘সংবিধান’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি? (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পার্সোনাল অফিসারঃ০৪)

– সম+বিধান

১৫. ’অলংকার’ শব্দের সঠিক সন্ধিজাত বিশ্লেষণ কোনটি? [উপজেলা নির্বাচন অফিসারঃ০৮]

– অলম+কার

১৬. ‘দর্শনীয়’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি? (অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রশাসনিক কর্মকর্তাঃ ০৪)

– দৃশ+অনীয়

১৭. ‘সাহচর্য’ শব্দের শুদ্ধ গঠন কোনটি? [৩০তম বিসিএস]

– সহচর+য

১৮. ‘কাঁদুনি’ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ হবে- [প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকঃ ১০]

– কাঁদ+উনি

১৯. ‘মোড়ক’ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ হবে- [প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকঃ১০]

– মুড়+অক

২০. ‘যাচ্ছেতাই’ শব্দটির সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি? [ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ইন্সপেক্টরঃ১০/স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা তত্ত্বাবধায়কঃ১০]

– যা+ইচ্ছা+তাই

২১. সন্ধি বিচ্ছেদ করুনঃ পনির = [জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তাঃ ০৯]

– পনি + এর

বিসর্গ সন্ধি

বিসর্গ সন্ধি কাকে বলে?

– বিসর্গের সাথে স্বরধ্বনির কিংবা ব্যঞ্জনধ্বনির যে সন্ধি হয় তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে।

বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর

১. ‘প্রাতরাশ’ এর সন্ধি – [২৩তম বিসিএস]

– প্রাতঃ+রাশ

২. ‘মনঃকষ্ট’ এর সন্ধি বিচ্ছেদ – (উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসারঃ ০৫)

– মনঃ+কষ্ট

৩. ’মনোযোগ’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি? (সাব-রিজিস্ট্রারঃ০৩)

– মনঃ+যোগ

৪. ‘মনস্তাপ’ এর সন্ধিবিচ্ছেদ- [প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকঃ ১০]

– মনোঃ+তাপ

৫. সন্ধির নিয়মে কোনটি ঠিক? (সহকারী থানা শিক্ষা অফিসারঃ ০৫/ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সাইফার অফিসারঃ ৯৯)

– শিরঃ+ছেদ=শিরশ্ছেদ

৬. ‘দুর্যোগ’-এর সন্ধি বিচ্ছেদ কি? (মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকঃ০১)

– দুঃ+যোগ

নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি

নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি কাকে বলে?

– যেসব ক্ষেত্রে সন্ধি নিয়মানুসারে হয় না তাকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে।

বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর

১. যেসব ক্ষেত্রে সন্ধি নিয়মানুসারে হয় না তাকে বলে – (প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকঃ০০)

– নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি।

২. কোন সন্ধিটি নিপাতনে সিদ্ধ? (২৭তম বিসিএস)

– পর+পর=পরস্পর।

৩. ‘বনস্পতি’-এর সঠিক সন্ধি-বিচ্ছেদ কোনটি? (অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঞ্চয় পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালকঃ০৭)

– বন+পতি

৪. ‘অহরহ’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি? [প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক (রাজশাহী বিভাগ): ০৯]

– অহঃ+অহ

সন্ধি ও সমাসের মধ্যে পার্থক্যঃ

১. পাশাপশি দুটি ধ্বনি বা বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে। যেমন—বিদ্যা+আলয়=বিদ্যালয়। পক্ষান্তরে পরস্পর অর্থসংগতিপূর্ণ দুই বা ততোধিক পদ মিলে এক পদে পরিণত হওয়াকে সমাস বলে। যেমন—সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন।

২. সন্ধিতে প্রতিটি শব্দের অর্থ বজায় থাকে। পক্ষান্তরে সমাসে কখনো পূর্বপদ, কখনো পরপদ, কখনো উভয় পদ ও কখনো অন্য পদের অর্থ প্রাধান্য পায়। যেমন—চাঁদের ন্যায় মুখ = চাঁদমুখ।

৩. সন্ধির মিলন মূলত উচ্চারণগত বা ধ্বনির মিলন। পক্ষান্তরে সমাসে বাক্যের অন্তর্গত পদগুলোর মধ্যে মিলন ঘটে।

৪. সন্ধিতে পদের বিভক্তি লোপ পায় না, বরং সংকুচিত হয়। পক্ষান্তরে সমাসে সাধারণত পূর্বপদের বিভক্তি চিহ্ন লোপ পায়। যেমন—দুঃখকে প্রাপ্ত = দুঃখপ্রাপ্ত।

৫. সন্ধিতে শব্দগুলো ক্রমপরিবর্তিত না হয়ে যুক্ত হয়। পক্ষান্তরে সমাসে পদক্রম বিভিন্ন সময় নানা রূপ ধারণ করে।

৬. সন্ধিতে দুই বর্ণের মধ্যে যোগ চিহ্ন (+) ব্যবহার করতে হয়। পক্ষান্তরে সমাসে দুই পদের মধ্যে অব্যয় পদ ব্যবহৃত হয়।

৭. সন্ধি প্রধানত তিন প্রকার। যথা : স্বরসন্ধি, ব্যঞ্জনসন্ধি ও বিসর্গসন্ধি। পক্ষান্তরে সমাস প্রধানত ছয় প্রকার। যথা : দ্বন্দ্ব, দ্বিগু, কর্মাধারয়, তত্পুরুষ, বহুব্রীহি ও অব্যয়ীভাব।

১. সন্ধি কাকে বলে ?

উত্তর : পরস্পর সনি্নহিত দু’বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে।

২. সন্ধি কত প্রকার ও কী কী? উত্তর ঃ সন্ধি তিন প্রকার। যথা ১) স্বরসন্ধি, ২) ব্যঞ্জন সন্ধি এবং বিসর্গ সন্ধি।

৩. সন্ধান এর সন্ধি বিচ্ছেদ কর। উত্তর : সম্+ধান।

৪. কৃৎ+অনত্ম এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি ? উত্তর : কৃদনত্ম।

৫. সন্ধি ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়? উত্তর : ধ্বনিতত্বে।

৬. প্রকৃত বাংলা ব্যঞ্জন সন্ধি কোন নিয়মে হয়ে থাকে? উত্তর : সমীভবনের নিয়মে।

৭. সন্ধির উদ্দেশ্য কি? উত্তর : স্বাভাবিক উচ্চারণে সহজপ্রবণতা।

৮. তৎসম সন্ধি মূলত_ উত্তর : বর্ণ সংযোগের নিযম।

৯. স্বরসন্ধি কাকে বলে?

উত্তর : স্বরসন্ধির সাথে স্বরসন্ধির যে সন্ধি হয় তাকে স্বরসন্ধি বলে।

১০. যাচ্ছেতাই এর সন্ধি বিচ্ছেদ কী? উত্তর : যা+ইচ্ছে+তাই।

১১. ব্যঞ্জন সন্ধি কাকে বলে? স্বরে আর ব্যঞ্জনে, ব্যঞ্জনে ও ব্যঞ্জনে এবং ব্যঞ্জনে ও স্বরে যে সন্ধি হয় তাকে ব্যঞ্জন সন্ধি বলে।

১২. প্রকৃত বাংলা ব্যঞ্জন সন্ধি মূলত কোন নিয়মে হয়ে থাকে?

উত্তর : সমীভবন এর নিয়মে।

১৩. ব্যঞ্জনসন্ধি মূলত কোন রীতিতে সীমাবদ্ধ? উত্তর : কথ্য রীতিতে।

১৪. বাংলা ভাষার তৎসম সন্ধি কত প্রকার? উত্তর : তিন প্রকার।

১৫. মহার্ঘ্য কোন ধরনের সন্ধি? উত্তর : তৎসম সন্ধি।

১৬. নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি কাকে বলে?

উত্তর : যেসব সন্ধি কোন নিয়মানুসারে হয় না তাকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে।

১৭. প্রৌঢ় শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি? উত্তর : প্র+উঢ়।

১৮. ব্যঞ্জন সন্ধিকে কত ভাগে ভাগ করা যায়? উত্তর : তিন ভাগে।

১৯. বিসর্গ সন্ধিকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? উত্তর : দুই ভাগে।

২০. বিসর্গ সন্ধি কোন সন্ধির অনত্মর্গত? উত্তর : ব্যঞ্জন সন্ধির।

২১. বিসর্গ সন্ধির প্রকারভেদগুলো কি কি?

উত্তর : র জাত বিসর্গ এবং স জাত বিসর্গ।

২২. বিসর্গ সন্ধি কিসের সংৰিপ্ত রূপ? উত্তর : র্ ও স্ এর।

২৩. বাচস্পতি এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি ? উত্তর : বাঃ + পতি।

২৪. তৎসম সন্ধি কোন নিয়মে হয়ে থাকে? উত্তর : সংস্কৃত নিয়মে।

২৫. সন্ধির উদ্দেশ্যে কী? উত্তর : ধ্বনিগত মাধুর্য সাধন।

Read More: কারক কাকে বলে? কারক কয় প্রকার ও কী কী

তথ্যসূত্র

উইকিপিডিয়া-বাংলা ব্যাকরণ

শৈলেন্দ্র বিশ্বাস রচিত সংসদ বাংলা অভিধান ৪র্থ সংস্করণের ৬৬২ পৃঃ৪৩নংপংক্তি,যা প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮২ সাল কলকাতায়

সন্ধি-বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি পাঠ্যবই,অষ্টম শ্রেণী,২০১৫ সংস্করণ

মাধ্যমিক বাংলা ব্যকরণ;সন্ধি

বিডিচাকরি.কম

Leave a Reply