ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাক চাপায় মায়ের পেট ফেটে জন্ম নেয়া শিশুর সহায়তার জন্য ব্যাংক একান্ট খুলে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সোনালী ব্যাংকের ত্রিশাল শাখায় রত্না আক্তার রহিমার নবজাতক ও অপর দুই সন্তানের সহায়তা হিসাব নামে একাউন্ট খুলা হয়। ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, রত্না আক্তার রহিমার নবজাতক ও অপর দুই সন্তানের সহায়তা হিসাবে নামে সোনালী ব্যাংক ত্রিশাল শাখায় একাউন্ট খুলে দেয়া হয়েছে ওই একাউন্টে সোনালী ব্যাংক অথবা অন্য যে কোন ব্যাংক থেকে সহায়তা করতে পারবেন। নিহতের বাবা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু বিডি২৪লাইভ কে বলেন, ওই নবজাতক ছাড়াও এবাদত (৮) ও জান্নাত আক্তার (১০) নামে আরও দুই নাতি আছে। ওদের জন্য প্রশাসন একটি একাউন্ট খুলে দিয়েছেন।
দেশবাসী যদি সহায়তা করে তাহলে আমার নাতিদের মানুষের মত মানুষ করে তুলতে পারবো ইনশাল্লাহ। তিনি আরও বলেন, বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসছিলেন। তিনি আমাদের নগদ ১০ হাজার টাকা, একটি প্রতিবন্ধী ভাতা ও প্রতি মাসে ৩০ কেজি চালের একটি কার্ড দিয়েছেন। আমার নাতির নাম কি রাখব, সে জন্য পরার্মশ চেয়েছি।
স্বনামধন্যা অমিতা সেন এর ১১১ তম জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
কেউ নাম দিলে নিজেরা পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।গত শনিবার (১৬ জুন) দুপুরের পরে উপজেলার রাইমনি গ্রামের ফকির বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০), তার অস্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না বেগম (৩০), মেয়ে সানজিদাকে (৬) নিয়ে আল্টাসনোগ্রাফি করাতে ত্রিশালে আসেন।
পৌর শহরের খান ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জাহাঙ্গীর আলম, স্ত্রী, রত্না বেগম মারা যায় এবং মেয়ে সানজিদা আক্তার গুরুতর আহত হয়। এসময় ট্রাক চাপায় রত্না বেগমের পেট ফেটে কন্যা শিশুর জন্ম হয়।
এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা নভেম্বরে শুরু হতে পারে
পরে আহত সানজিদা ও নবজাতককে নিয়ে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সানজিদাকে মৃত ঘোষণা করে নবজাতক বাচ্চাটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। তবে, অতিরিক্ত যানজটের কারণে নবজাতককে চুরখাই কমিনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মহনগরীর চরপাড়া এলাকায় লাবিব হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই নবজাতক বর্তমানে ওই হাসপাতালেই আছেন।