২০১৮ সালের এম পিও নীতিমালা ও ২০২১ সালের এম পিও নীতিমালার কিছু দূর্বল দিকের আলোচনা পর্ব ০6

“ডেইলি নিউজ টাইমস ” অনলাইন পত্রিকার পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । আমি শামীমা আফরোজ রুনা, ডেইলি নিউজ টাইমস এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইস্কাটন গার্ডেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব দুলাল চন্দ্র চৌধুরী কাছ থেকে এম.পি.ও নীতিমালা এবং জনবল কাঠামো বিষয় নিয়ে কিছু প্রশ্ন করবো।

Read More: ২০১৮ সালের এম পিও নীতিমালা ও ২০২১ সালের এম পিও নীতিমালার কিছু দূর্বল দিকের তুলনামূলক আলোচনা পর্ব ০১

প্রশ্ন৬। ধন্যবাদ স্যার নবসৃষ্ট অফিস সহায়ক পদ বিষয় অত্যন্ত সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।পদ সৃষ্টি করার বিষয় আপনার আপত্তি নেই। আপত্তি থাকরা কথাও নয়।মহানগর, জেলা সদর এবং পৌরসভার প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ সকল পদে এম. পি. ও ভুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। এ বৈষম্যের জন্যে আপনার আপত্তি। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অফিস সহায়ক পদে এম পি ও ভুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকতে হবে।

নতুন করে বৈষম্য তৈরি না করে বৈষম্য কনিয়ে আনার চেষ্টা করুন। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অফিস সহায়ক পদে এম. পি. ও ভুক্তির সুযোগ দাবি করেছেন। এবার আপনার কাছে জানতে চাইব যে “২০২১সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এম. পি. ও নীতিমালায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার উপযুক্ত শিক্ষক /কর্মকর্তা প্রেষণে নিয়োগ দিতে পারবে ” এ বিষয় আপনার মতামত কী? দুলাল চন্দ্র চৌধুরী বলেন ধন্যবাদ আপনাকে অত্যন্ত সুন্দর একটি প্রশ্নের অবতারণা করেছেন।

২০২১ সালের এম. পি. ও. নীতিমালার ১১.১৩ ধারায় সংযুক্ত করা হয়েছে যে, সরকার প্রয়োজন মনে করলে এম পি ও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসাবে উপযুক্ত শিক্ষক /কর্মকর্তা প্রেষণে নিয়োগ দিতে পারবে।২০১৮ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এম. পি. ও. নীতিমালায় এ ধারা যুক্ত ছিল না। যদিও এ ধারা যুক্ত হওয়ার পূর্বেও সরকার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধন হিসাবে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের প্রেষণে নিয়োগ দিয়েছে। তবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রেষণে সরকারি কলেজের শিক্ষক ও সহকারী কর্মকর্তা প্র্ষণে নিয়োগের সাথে দ্বিমত পোষণ করি। যে যে জায়গায় এ ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ফলাফল ভালো হয়নি। ভালো না হলে তাঁরা করেছেন। এবার সু্যোগ পেয়ে আইন সিদ্ধ করে নিলেন।এর উদ্দেশ্য ভালো না। আমি ভালো বলতাম যদি দেখতাম যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পর পর তিন বার পাবলিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে।

তাই প্রতিষ্ঠানটির পাবলিক পরীক্ষার ভালো ফলাফল করার জন্য সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন বিখ্যাত শিক্ষক কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর ফলাফল ভালো করার জন্য তেমন কিছু ঘটেনি। ঘটেছে উল্টো। দেশের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেটার সুনাম সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ছাড়িয়ে গেছে সেখানেই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার নামে এসে দখল করে নিয়েছে। এখানে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের চেয়ে ব্যাক্তি স্বার্থেই প্রেষণে নিয়োগ হয়ে থাকে।বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো তৈরি করেন তারা সেখানে তাঁরা তাদের স্বার্থের বিবেচনায় ধারা সংযুক্ত করবে এটাই স্বাভাবিক। তার এমন ধারা যুক্ত করবে যাতে গাছেরটা খাওয়া যায় এবং তলারটাও কুড়ানো যায়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক পদ তাদের দখলে। এখন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠন যেগুলো ভালো টাকা পয়সা আছে সেগুলো কেন তাদের বাহিরে থাকবে।সেটা কী করে কব্জায় নেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।আমরা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এধারার বিরুদ্ধিতা করি।এ ধারা বাদ দেওয়ার দবি করছি।

দুলাল চন্দ্র চৌধুরী
সাংগঠনিক সম্পাদক
বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ।
ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।

Leave a Reply