২০১৮ সালের এম পিও নীতিমালা ও ২০২১ সালের এম পিও নীতিমালার কিছু দূর্বল দিকের তুলনামূলক আলোচনা পর্ব ০১

“ডেইলি নিউজ টাইমস ” অনলাইন পত্রিকার পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । আমি শামীমা আফরোজ, ডেইলি নিউজ টাইমস এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইস্কাটন গার্ডেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব দুলাল চন্দ্র চৌধুরী কাছ থেকে এম.পি.ও নীতিমালা এবং জনবল কাঠামো বিষয় নিয়ে কিছু প্রশ্ন করবো।

প্রিয় দর্শক আপানাদের জন্য সাক্ষাৎকারটি থাকছে কয়েকটি পর্বে । জনাব দুলাল চন্দ্র চৌধুরী ২০২১ সালে জনবল কাঠামো ও এম.পি ও নীতিমালা প্রকাশিত হওয়ার পরে ২০১৮ সালের এম পি ও নীতিমালা ও ২০২১ সালের এম পি ও নীতিমালা তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন যা আমাদের অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।

সেখানে ২০২১ সালের এম পি ও নীতিমালা কিছু দূর্বল দিক পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করেছিলেন। আমাদের বিশেষ সাক্ষাৎকারটিতে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইস্কাটন গার্ডেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব দুলাল চন্দ্র চৌধুরী ।

ডেইলি নিউজ টাইম বিডি অনলাইন পত্রিকার পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে শুভেচছা ও অভিনন্দন – আমি শামীমা আফরোজ রুনা ডেইলি নিউজ টাইমস এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব দুলাল চন্দ্র চৌধুরী কাছ থেকে এম.পি. ও নীতিমালা এবং জনবল কাঠামো বিষয়ে সাক্ষাৎকার নিব।

জনাব দুলাল চন্দ্র চৌধুরী ২০২১ সালে জনবল কাঠামো ও এম.পি ও নীতিমালা প্রকাশিত হওয়ার পরে ২০১৮ সালের এম পি ও নীতিমালা ও ২০২১ সালের এম পি ও নীতিমালা তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন যা আমাদের অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।সেখানে ২০২১ সালের এম. পি. ও. নীতিমালা কিছু দূর্বল দিক পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করেছিলেন। আজকে আমি আপনার কাছে জানতে চাইব কেন আপনি এগুলোকে দূর্বল মনে করছেন?

আপনার কাছে আমার প্রথম প্রশ্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিফট খোলার অনুমতি দেওয়া কেন আপনার কাছে দূর্বল দিক বলে মনে হল? দুলাল চন্দ্র চৌধুরী বলেন ২০১৮ সালের জনবল কাঠামো ও এম. পি.ও নীতিমায় ৮ নং ধারার ‘ক’ উপধায় সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়েছিল কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন করে শিফট খোলা যাবে না।

ধারা ৮ এর’ খ’ উল্লেখ করা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মূল ক্যাম্পাস ব্যতীত অন্য কোথাও ব্রাঞ্চ খুলতে পারবে না।কিন্তু ২০২১ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এম.পি.ও. নীতিমালার ধারা ৮ এর ১ উপধারায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিফট খোলার এবং ৮এর ২ উপধারায় বাঞ্চ খোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই শিফট ও ব্রাঞ্চ খোলার অনুমতি দেওয়া হল কাদের দাবির প্রেক্ষিতে?

এখানে কাদের স্বার্থে এ অনুমতি দেওয়া হল? কোন শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে এমন দবি করা হয়েছে বলে আমার মনে পরে না।আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিফট ও ব্রাঞ্চ খোলার বিপক্ষে। তাই আমি ২০২১ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল ও এম.পি.ও নীতিমালার দূর্বল দিক মনেকরি।

কারণ

১.শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিফট ও ব্রাঞ্চ খোলার অনুমতি দেওয়া এ নীতিমালা পরিশিষ্ট ‘ ক’ এর ১ও২ এর সাথে সাংঘর্ষিক

২.শিক্ষানীতি ২০১০ এর মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে কর্মঘণ্টা উল্লেখ আছে তার সাথে সাংঘর্ষিক।

৩. কারিকুলাম ২০১২ অনুযায়ী এক শিফটের স্কুলে সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা ৩৬ ও দুই শিফফের স্কুলে সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা হয় ৩০ ঘন্টা।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই শিফট খোলা অনুমতি দিয়ে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উভয় শিফটের শিক্ষার্থীদের এক শিফটের শিক্ষার্থীদের থেকে সপ্তাহে ৬ ঘণ্টা পাঠ গ্রহনে সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হল। এতে কার স্বার্থ সংরক্ষিত হল।

৪.এতে শিক্ষার্থী,অভিভাবক, শিক্ষক সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

৫. ক্লাষ্টার পদ্ধতি মানা হয়নি।

৬. শিক্ষায় ভর্তি বানিজ্য ও নিয়োগ বানিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

৭.ঘন বসতিপূর্ন এলাকায় শিফট খোলা , শাখা খোলার অনুমতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের অযথা হয়রানি করা হয়েছে। ৮.মহানগরীর ক্ষেত্রে যাতায়াতের সমস্যা সৃষ্টি হয়।

৯. পার্শ্ববর্তী স্কুলগুলো শিক্ষার্থী সংকটে পরে।

১০.ভালো স্কুলগুলোর শিক্ষার মান ধরে রাখা সম্ভব হয় না।

১১. তুলনামূলক দূর্বল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মান উন্নয়ন করতে হিমশিম খেতে হয়। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি দুই শিফট এর পক্ষে কোন ভালো যুক্তি নেই। আছে কিছু অসাধু ম্যানেজিং কমিটির ও প্রতিষ্টান প্রধানদের বারতি আয়ের সুযোগ খোঁজা।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিফট খোলা বা ব্রাঞ্চ খোলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের কোন লাভ নেই।

তাই শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তা প্রতি বিনয়ের সাথে বলছি এ ধারা পরিমার্জন করুন। শিক্ষকদের অনেক ন্যায্য দাবী আছে সেগুলো যুক্ত করুন।

ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।

Leave a Reply